1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

হংকং-এ মেন্যু থেকে বাদ পড়লো ‘শার্ক ফিন স্যুপ’

২২ নভেম্বর ২০১১

চাইনিজ খাবার খেতে কম-বেশি আমরা সকলেই ভালোবাসি৷ চিলি চিকেন, স্টার-ফ্রায়েড-স্কুইড, সুইট অ্যান্ড সাওয়ার প্রন, ডিম-সাম....শব্দগুলো শুনলেই যেন জিভে জল আসার জোগাড়৷ কিন্তু, ‘শার্ক ফিন স্যুপ’-এর কথা শুনেছেন কি?

Beschreibung Grzybowa.jpg Polski: zupa grzybowa z suszonych grzybów z ziemniakami, jajkiem, marchewką, makaronem, zabielana English: forest mushrooms soup Datum 2007(2007) Quelle Eigene Arbeit Urheber Mariuszjbie Copyright: CC-BY-SA. Quelle: Wikipedia. URL: http://de.wikipedia.org/w/index.php?title=Datei:Grzybowa.jpg&filetimestamp=20071013114603
এমন সুস্বাদু স্যুপ দেখে কার জিভে জল না এসে পারেছবি: cc-by-sa/Mariuszjbie

স্যুপের মধ্যে ভেসে উঠেছে ‘ফিন' – মানে তিনকোনা ডানা আর মুখের নীচের অংশের ক্ষুদ্র ক্ষুরধার দাঁত৷ দেখলেই বোঝা যায়, ওটা হাঙরের বাচ্চা৷ হ্যাঁ, বিশ্বের বিভিন্ন দেশের চীনা রেস্তোঁরাগুলিতে শার্ক বা হাঙরের ডানা দিয়ে তৈরি এ স্যুপ অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি খাবার৷ মানে এক ধরনের ‘ডেলিক্যাসি' আর কি!

সাধারণত, হাঙরের ডানা কেটে, তারপর তা শুকিয়ে এই স্যুপ তৈরি করা হয়ে থাকে৷ অপ্রতুল হওয়ার কারণে, বিশ্বের অন্য যে কোনো ‘ডেলিক্যাসি'-র মতো ‘শার্ক ফিন স্যুপ'-ও বিক্রি হয় বেশ চড়া দামে৷ তবে দাম বেশি হলেও, এর চাহিদা আকাশছোঁয়া৷ তারমধ্যে হাঙরটির আয়তন যদি কমের দিকে হয় – তাহলে তো কথাই নেই৷ রাশিয়াতে যেমন ‘কাভিয়ার', তেমনই চীনে হচ্ছে ‘শার্ক ফিন স্যুপ'৷ অর্থাৎ চীনই হচ্ছে এই খাবারের প্রাণকেন্দ্র৷

কিন্তু সম্প্রতি, লোভনীয় এই খাবারটি নিয়ে দেখা দিয়েছে সমস্যা৷ মঙ্গলবার খোদ হংকং-এর একটি শীর্ষস্থানীয় হোটেল জানিয়েছে, এবার থেকে তাদের ‘মেন্যু-কার্ড'-এ আর থাকছে না ‘শার্ক ফিন'-এর তৈরি কোনো রকম ব্যাঞ্জন৷ অর্থাৎ, হাঙরের ডানা একরকম নিষিদ্ধই ঘোষণা করেছে ‘হংকং অ্যান্ড শাংহাই হোটেল লিমিটেড' বা এইচএসএইচ, জানান হোটেলটির মালিক ক্লেমেন্ট কোয়ক৷ শোনা যাচ্ছে, আগামী জানুয়ারি মাস থেকে ‘শার্ক ফিন স্যুপ'-এর আর নাগালটি পাওয়া যাবে না হোটেলের পেল্লাই সব ‘সি ফুড' প্লাজাগুলিতে৷

ছবি: AP

স্বাভাবিকভাবেই, বিপন্ন প্রাণীরক্ষায় যাঁরা স্বক্রিয়ভাবে কাজ করছিলেন – তাঁরা সবাই, হংকং-এর মস্ত এই ‘হোটেল চেইন'-এর মালিকের মুখে এ ঘোষণা শুনে বেজায় খুশি৷ হবে না? বছরে যে প্রায় ৭৩ মিলিয়ন শার্ক মারা যাচ্ছিল ঐ ‘শার্ক ফিন স্যুপ'-এর দৌলতে৷ ফলত, হাঙর প্রজাতিটি ছিল একেবারে বিলুপ্তির মুখে৷ তাই সাগরতল থেকে হাঙরের দল একেবারে হারিয়ে যাবে, এ আশঙ্কায়, ‘শার্ক ফিন' বিক্রি বন্ধ করতে, বেশ কয়েক বছর যাবতই অভিযান শুরু করেছিল প্রাণীসম্পদ রক্ষায় সক্রিয় বিশ্বের বিভিন্ন সংগঠন৷

‘ওয়ার্ল্ড ওয়াইল্ডলাইফ ফান্ড' বা ডাব্লিউডাব্লিউএফ-এর প্রকৃতি শাখার প্রধান জানান, হাঙরের ডানা নিয়ে যে দেশগুলি বাণিজ্য করে থাকে, তাদের মধ্যে হংকং অন্যতম৷ বছরে নাকি প্রায় ১০ হাজার টন ‘ফিন' আমদানি করে হংকং৷ এমনকি বাংলাদেশও সমুদ্রের হাঙর মাছের ডানা কেটে শুকিয়ে সিঙ্গাপুর আর হংকং-এ রপ্তানি করে থাকে৷ অবশ্য ডাব্লিউডাব্লিউএফ ইতিমধ্যেই বিশ্বের প্রায় ১৮টি হোটেল এবং রেস্তোঁরা থেকে এই ‘ডেলিক্যাসি' নির্মূল করতে সক্ষম হয়েছে বলেও জানান তিনি৷

মজার বিষয়, ‘শার্ক ফিন' খাওয়ার চল চীনে আজকের নয়৷ সেই ‘মিং' সাম্রাজ্যের সময় থেকে চলে আসছে এই ঐতিহ্য৷

প্রতিবেদন: দেবারতি গুহ

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ