1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

হংকং নিয়ে কড়া ব্যবস্থা ইইউ-র

২৯ জুলাই ২০২০

হংকং-এ এমন কোনও জিনিস রপ্তানি করবে না ইইউ যা দিয়ে সেখানকার লোকেদের নির্যাতন করতে পারে বা নজরদারি চালাতে পারে চীন।

ছবি: picture-alliance/dpa/K.Ohlenschläger

সম্প্রতি হংকং-এ চীন নতুন নিরাপত্তা আইন চালু করেছে। তারপরই শুরু হয়েছে সমস্যা। পশ্চিমা দেশগুলি চীনের এই সিদ্ধান্ত নিয়ে অত্যন্ত ক্ষুব্ধ। তাঁরা মনে করছে, নতুন আইন হংকং-এর লোকেদের অধিকার ও স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করবে। এই আইনে বলা হয়েছে, চীনের সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা যাবে না। বিদেশি শক্তির সঙ্গে হাত মিলিয়ে চরমপন্থী ও সন্ত্রাসবাদী কোনও কাজ করা যাবে না। ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলির আশঙ্কা, এই আইন ব্যবহার করে হংকং-এ যাবতীয় বিক্ষোভ বন্ধ করে দেবে চীন।

তাই মঙ্গলবার ইইউ দেশগুলি সিদ্ধান্ত নিয়েছে, হংকং-এ এমন কোনও জিনিস রপ্তানি করা হবে না, যা দিয়ে চীন লোকেদের ওপর নজরদারি চালাতে পারে, সাইবার নজরদারি করতে পারে এবং লোকেদের নির্যাতন করতে পারে। বিশেষ করে উচ্চ প্রযুক্তির জিনিস, যা দিয়ে লোকের অধিকার হরণ করা সম্ভব, সেরকম কোনো জিনিস হংকং-এ যাবে না। চীনের প্রতি যে নীতি নেওয়া হয়, এ বার থেকে হংকং-এর প্রতিও তাই নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইইউ। 

যুক্তরাজ্য হংকং-কে চীনের হাতে তুলে দেওয়ার পর থেকে এতদিন তাঁদের সঙ্গে বিশেষ বনিজ্যিক সম্পর্ক বজায় রেখেছিল ইইউ-র দেশগুলি। তবে তাঁরা সবসময়ই গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের পক্ষে। কিন্তু সম্প্রতি চীন কড়া আইন করে বিক্ষোভ বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর পরিস্থিতি বদলে গেছে।   

ইইউ-র এই সিদ্ধান্ত অবশ্য খুব সহজে নেওয়া যায়নি। অনেক দেশই চীনের সঙ্গে তাঁদের বাণিজ্যিক সম্পর্কের কথা বিবেচনা করে কিছুটা দ্বিধায় ছিল। কিন্তু এ ক্ষেত্রে জার্মানি ও ফ্রান্স কড়া মনোভাব নিয়ে চলার কথা বলে ও অন্যদের বোঝায়। এই দুই দেশের উদ্যোগেই হংকং নিয়ে কড়া সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইইউ।

জার্মানির বিদেশমন্ত্রী হাইকো মাস বলেছেন, ''আমাদের সিদ্ধান্ত হংকং-এর লোকেদের কাছে একটি বার্তা পৌঁছে দিয়েছে। তা হলো, আমরা তাঁদের সঙ্গে আছি। হংকং-এর লোকেরা ভয় পাচ্ছেন যে, তাঁদের স্বাধীনতা খর্ব হবে।''

জার্মানি অবিলম্বে সিদ্ধান্ত কার্যকর করছে। তারা সামরিক সরঞ্জাম ও অন্যান্য জিনিস, যা দিয়ে নজরদারি বা নির্যাতন করা যেতে পারে, তার রপ্তানি বন্ধ করে দিয়েছে।

ইইউ অবশ্য কোথাও নিষেধাজ্ঞা কথাটা ব্যবহার করেনি। তবে বিদেশমন্ত্রীদের বৈঠকের পর বলা হয়েছে, নিরাপত্তা আইন কীভাবে রূপায়ণ করা হবে, তার প্রতিক্রিয়া কী হবে তার দিকে নজর রাখা হচ্ছে। এই বছরের শেষে এ ব্যাপারে প্রতিক্রিয়া জানানো হবে।

জিএইচ/এসজি(এএফপি, ডিপিএ)

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ