1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

চীনের ধৈর্যের পরীক্ষা

৩ অক্টোবর ২০১৪

আরও গণতন্ত্রের দাবিতে প্রতিবাদ-বিক্ষোভে মুখর হয়ে উঠেছে হংকং৷ বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে তাদের প্রতি সংহতি দেখাচ্ছে মানুষ৷ চীন অবশ্য কোনো রকম বিদেশি হস্তক্ষেপ বরদাস্ত করবে না বলে জানিয়েছে ইতিমধ্যেই৷

Bildergalerie Proteste in Hongkong 02.10.2014
ছবি: Reuters/Carlos Barria

তাইওয়ানের রাজধানী তাইপে থেকে শুরু করে লন্ডন, নিউ ইয়র্কের মতো শহরে হংকং-এর বিক্ষোভকারীদের প্রতি সমর্থন দেখিয়ে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে৷ মোট ২৩টি শহর থেকে এমন বিক্ষোভ সমাবেশের খবর পাওয়া গেছে৷ হংকং-এর মতো সেখানেও মানুষের হাতে ছাতা ও স্মার্টফোনের উজ্জ্বল পর্দা৷ লন্ডনে চীনা দূতাবাসের সামনে প্রতিবাদ-বিক্ষোভ দেখা গেছে৷ তাদের দাবি, চীনের সরকারের উপর চাপ সৃষ্টি করতে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরনকে কূটনৈতিক তৎপরতা শুরু করতে হবে৷ হংকং-এর সাবেক শাসক হিসেবে ব্রিটিশদের এ ক্ষেত্রে নৈতিক দায়িত্ব রয়েছে বলে অনেকে মনে করছেন৷

বিশেষ প্রশাসনিক অঞ্চল হিসেবে হংকং-এর মানুষ এমন অনেক স্বাধীনতা ভোগ করেন, যা গণপ্রজাতন্ত্রী চীনে অভাবনীয়৷ কিন্তু বেইজিং এর বেশি ছাড় দিতে প্রস্তুত নয়৷ কারণ সে ক্ষেত্রে এই দৃষ্টান্ত কমিউনিস্ট শাসনের ভিত্তি নাড়িয়ে দিতে পারে৷ হংকং-এর মতো বিশেষ প্রশাসনিক অঞ্চল ম্যাকাউ৷ সেখানেও প্রতিবাদ শুরু হয়ে গেছে৷ তিব্বতি বা উইগুর-দের মতো সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীও বাড়তি অধিকার দাবি করতে পারে৷ নির্বাসিত উইগুর নেত্রী রেবিয়া কাদের বলেছেন, হংকং-এর আন্দোলন থেকে উইগুর-রা প্রেরণা পেতে পারে৷ খোদ বেইজিং-এ তিয়ানানমেন স্কোয়্যারের ছাত্র আন্দোলনের স্মৃতিও চীনা শাসকদের মন থেকে দূর হয়নি৷ অতএব হংকং-এর আন্দোলনকারীদের প্রতি সংহতি ও আন্তর্জাতিক সমর্থন তাদের মোটেই পছন্দ নয়৷ চীনের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপের বিষয়ে তাই সতর্ক করে দিয়েছে সরকার৷ হংকং-এর প্রশাসন বর্তমান এই সংকট সামলে নেবে – প্রকাশ্যে অন্তত এ রকমই অবস্থান নিচ্ছে বেইজিং৷

গণতন্ত্রের দাবিতে প্রতিবাদ-বিক্ষোভে মুখর হয়ে উঠেছে হংকংছবি: Reuters/Carlos Barria

হংকং প্রশাসন ধৈর্যের পরীক্ষায় বিক্ষোভকারীদের থেকে এগিয়ে থাকতে চায়৷ অর্থাৎ দমন নীতির বদলে সপ্তাহের পর সপ্তাহ ধরে তাদের প্রতিবাদ চালিয়ে যেতে দেয়া হবে – এমনটাই ইঙ্গিত করেছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা৷ সংবাদ সংস্থা রয়টার্স-কে তিনি এ কথা বলেছেন৷ শুধু হিংসা বা অন্য ধরনের অরাজকতা সৃষ্টি হলেই পুলিশ হস্তক্ষেপ করবে৷ গত সপ্তাহান্তের পর বিক্ষোভকারীদের সংখ্যা কমে যাওয়ায় উৎসাহ পাচ্ছে স্থানীয় প্রশাসন৷

চীনা ও হংকং প্রশাসন আসলে এক উভয় সংকটে রয়েছে৷ হংকং পুঁজিবাজার ও আর্থিক কেন্দ্র৷ সেখানে দমন নীতি চালালে অর্থনীতির উপর তার প্রভাব পড়তে বাধ্য৷ হংকং-এ পর্যটনের ক্ষেত্রে এমন ধাক্কা এখনই টের পাওয়া যাচ্ছে৷ আবার কড়া প্রতিক্রিয়া না দেখালেও বিরোধীরা উৎসাহ পাবে৷

এসবি/ডিজি (রয়টার্স, এএফপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ