1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

হঠাৎ বন্যায় ব্যাপক ক্ষতির মুখে কৃষক

২১ অক্টোবর ২০২১

বৃষ্টিতে তিস্তা, ঘাঘটসহ বিভিন্ন নদনদীর পানি বেড়ে যাওয়ায় হঠাৎ বন্যা দেখা দিয়েছে৷ ফলে অনেক ফসলি জমি ডুবে গেছে উত্তরের কয়েকটি জেলায়৷ শস্যক্ষেত ডুবে যাওয়ায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির মুখে পড়েছে কৃষকেরা৷

ফাইল ছবিছবি: Mortuza Rashed

পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে, তিস্তার পানি দোয়ানি পয়েন্টে বিপৎসীমার ৬০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড৷ ভেঙে গেছে তিস্তা ব্যারাজের সড়কের ফ্লাড বাইপাস, খুলে দেওয়া হয়েছে তিস্তা ব্যারাজের ৪৪টি গেট৷ হঠাৎ বন্যায় গঙ্গাচড়া উপজেলার ছালাপাক, চর চল্লিশা, আলমবিদিতর, লক্ষ্মীটারি, কোলকোন্দ, নোহালী ও গজঘণ্টার নিম্নাঞ্চলে পানি ঢুকে পড়ায় অনেক পরিবার এখন পানিবন্দি৷

নদীঘেঁষা চরাঞ্চলসহ নিম্নাঞ্চলের অনেকেই আশ্রয় নিয়েছে উঁচু জায়গায়৷ লক্ষ্মীটারী ইউনিয়নের চরইশরকুল, ইছলি, পূর্ব ইছলি, পশ্চিম ইছলি ও শংকর, বাগেরহাট,কেল্লারহাটসহ বেশকিছু নিচু এলাকায় কৃষিজমি ডুবে গেছে৷ চর চল্লিশার ৬০ বছর বয়সি কৃষক আজমত আলী ডয়চে ভেলের কন্টেন্ট পার্টনার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ‘‘পানির নিচে থাকলে আলুগুলো নষ্ট হয়ে যাবে৷ কিছুদিন আগেই লাগিয়েছিলাম, এখনই তুলতে হচ্ছে৷ অনেক ক্ষতি হয়ে গেল, জানি না কীভাবে মহাজনের ঋণ শোধ করব৷’’

আরেক কৃষক মনসুর মিঞা বলেন, ‘‘গতবার আলুতে অনেক লোকসান হয়েছে তাই এবার আগাম আলু চাষ করে কিছুটা ক্ষতি পুষিয়ে ওঠার চেষ্টা করেছিলাম৷ কিন্তু সব সপ্ন পনিতেই ডুবে গেল৷’’ মাত্র কয়েকদিন আগেই ৪০ শতক জমিতে রোমানা জাতের হাইব্রিড আলুর বীজ লাগিয়েছেন চর ছালাপাকের আলুচাষি হালিম মিয়া৷  জমি থেকে আলুর বীজগুলো তুলতে না পারলে সব পচে যাবে বলে আশঙ্কা তার৷

তিস্তার ধারে তিস্তা বিতর্ক

16:47

This browser does not support the video element.

এদিকে শুধু বীজ লাগাতেই প্রায় ২০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে আরেক চাষি কামাল হোসেনের যা দুদিনের টানা বৃষ্টিতে প্রায় শেষ৷ গতকাল হঠাৎ তিস্তার পানি বাড়ায় লক্ষ্মীটারী ইউনিয়নের বাগেরহাট এলাকার কৃষক আব্দুর রহিম মিয়ার লাগানো সব ফসলই পানিতে তলিয়ে গেছে৷

তবে তিস্তাপাড়ের মানুষজনকে নিরাপদ স্থানে নিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে মর্নেয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোসাদ্দেক হোসেন৷

পানি উন্নয়ন বোর্ডের ডালিয়া বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আসফাউদ্দৌলা প্রিন্স বলেন, ‘‘উজানে ভারি বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলের কারণে তিস্তার পানি বৃদ্ধি পেয়েছে, যা তিস্তা পয়েন্টে এ মৌসুমের সর্বোচ্চ পানিপ্রবাহ৷ এজন্য আমরা তিস্তা ব্যারাজের ৪৪টি গেট খুলে দিয়ে নদীর পানিপ্রবাহ অব্যাহত রেখেছি৷’’

এনএস/কেএম (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ