1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

হরতালে আক্রান্ত দেশ

হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা৩০ অক্টোবর ২০১৩

বিরোধী দলের ডাকা তিন দিনের হরতাল শেষ হয়েছে ব্যাপক সহিংসতার মধ্য দিয়ে৷ সহিংস ঘটনায় প্রাণহানি ছাড়াও বোমা, ককটেল বোমা আর আগুনে পঙ্গু হয়েছেন অনেকে৷ টার্গেট করে হামলা হয়েছে গণমাধ্যম ও সাংবাদিকদের ওপরও৷

epa03926365 View of the streets in the Dhaka Chittagong highway during the the first day of the 60-hour countrywide shutdown called by the Bangladesh Nationalist Party (BNP) led 18-party alliance in Dhaka, Bangladesh 27 October 2013. The 18-party alliance has enforced the strike demanding a non-partisan government to oversee next year_s general elections. An opposition activist was killed in clashes with police in Nagarkanda, 60 kilometres west of Dhaka, police officer Jamil Hasan said. Police fired teargas and rubber bullets to disperse the mob. EPA/ABIR ABDULLAH +++(c) dpa - Bildfunk+++
ছবি: picture-alliance/dpa

বাংলাদেশে বিএনপির নেতৃত্বে বিরোধী ১৮ দলীয় জোটের তিন দিনের হরতাল শুরু হয় রবিবার৷ যা শেষ হয়েছে মঙ্গলবার সন্ধ্যায়৷ হরতালে রবিবার পাঁচজন, সোমবার পাঁচজন এবং মঙ্গলবার একজন নিহত হয়েছেন৷ এছাড়াও দেশের বিভিন্ন স্থানে ব্যাপক সংঘর্ষ, বাস-ট্রেনে আগুন, ভাঙচুর, বিভিন্ন স্থাপনায় হামলা, বিচারক, মন্ত্রী, প্রসিকিউটর, পুলিশ কর্মকর্তার বাসভবনে হামলার ঘটনা ঘটেছে৷ শেষ দিনে রাজধানীতে এক বোমা হামলায় একজন পুলিশ ইন্সপেক্টর ও নয় বছরের একটি শিশু গুরুতরভাবে আহত হয়েছে৷ শুধু তাই নয়, এই হরতালে আক্রান্ত হয়েছেন গণমাধ্যম ও সংবাদকর্মীরাও৷ ঢাকা ও ঢাকার বাইরে অন্তত ১০ জন সংবাদকর্মীর ওপর হামলা হয়েছে৷ বোমা ছোড়া হয়েছে বেশ কয়েকটি বেসরকারি টেলিভিশন ও অনলাইন সংবাদমাধ্যম ভবনে৷ আর সাংবাদিকদের বহনকারী গাড়ি ‘টার্গেট' করে করা হয়েছে আক্রমণ৷

ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মো. ওমর ফারুক ডয়চে ভেলেকে বলেন, সাংবাদিক এবং গণমাধ্যমের ওপর এই হামলা স্বাধীন সাংবাদিকতার জন্য অশনিসংকেত৷ তিনি বলেন, টার্গেট করে সাংবাদিকদের ওপর হামলা চালানো হয়, হচ্ছে৷ তাই সরকারের কাছে সাংবাদিকদের নিরাপত্তা চাওয়া হয়েছে৷ তাঁদের নিরাপত্তা না দেয়া হলে তাঁরা পেশাগত দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হবেন৷

দেশের বিভিন্ন স্থানে ব্যাপক সংঘর্ষ, বাস-ট্রেনে আগুন, ভাঙচুর, বিভিন্ন স্থাপনায় হামলা হয়ছবি: Reuters

একই সঙ্গে বিরোধী দলের কাছেও একই আবেদন জানান ওমর ফারুক৷ বলেন, বিরোধী দলের রাজনৈতিক কর্মসূচির খবর সংগ্রহেরে সময় সাংবাদিকরা যেন আক্রান্ত না হন৷ তাঁর মতে, সাংবাদিকরা আক্রান্ত হয় – এমন কোনো কথিত আন্দোলন কর্মসূচির খবর সংগ্রহ প্রয়োজনে বয়কট করা হবে৷ ওমর ফারুক বলেন, আগামীতে এই হামলা যদি অব্যাহত থাকে তাহলে কঠোর কর্মসূচি নিয়ে মাঠে নামবেন সাংবাদিকরা৷

ওদিকে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান ডয়চে ভেলেকে বলেন, রাজনৈতিক কর্মসূচির এই সহিংস রূপ কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়৷ তিনি বলেন, সাধারণ মানুষের জীবন যাচ্ছে, আক্রান্ত হচ্ছেন বিভিন্ন পেশা ও শ্রেণির মানুষ৷ টার্গেট করা হচ্ছে সাংবাদিকদের৷ এটা কোনোভাবেই গণতান্ত্রিক আন্দোলনের বৈশিষ্ট্য হতে পারে না৷ এর দায়-দায়িত্ব রাজনৈতিক দল ও নেতা-নেত্রীদের নিতেই হবে৷

ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর মনে রাখা উচিত যে হিংসাত্মক পথে কখনো গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয় না৷ গণতন্ত্রের জন্য জীবন দেয়া আর রাজনৈতিক হিংসা হানাহানি এক নয়৷ ক্ষমতার লড়াইকে গণতন্ত্রের নামে চালিয়ে দেয়ার কোনো সুযোগ নেই৷ তাই তাঁর কথায়, এই সহিংসতায় গণতন্ত্র কখনোই লাভবান হবে না৷ লাভবান হবে অগণতান্ত্রিক শক্তি৷ লাভবান হবে গণতন্ত্রের শত্রুরা৷ তাই এই পথ পরিহার করে তিনি রাজনৈতিক দলগুলোকে গণতান্ত্রিক আচরণের অনুরোধ জানান৷ তাঁর মতে, কোনো রাজনৈতিক অধিকারই মানুষের প্রাণ কেড়ে নেয়ার অধিকার দেয় না৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ