1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

হরতাল ও অস্থিরতায় বিপর্যস্ত গ্রিস

২৯ নভেম্বর ২০১৪

যে দেশের সংকট ইউরো এলাকা তথা ইউরোপীয় ইউনিয়নের ভবিষ্যৎ প্রশ্নের মুখে ফেলেছিল, সেই গ্রিস সংবাদ শিরোনাম থেকে কিছুটা সরে গেছে৷ সম্প্রতি এক হরতালের কারণে আবার সবার নজর পড়লো এথেন্সের দিকে৷

Griechenland Generalstreik 27.11.2014
ছবি: Reuters/A. Konstantinidis

বৃহস্পতিবার পালিত হয়েছে ২৪ ঘণ্টার হরতাল৷ বিমান, রেল, মেট্রো রেল, ফেরি চলাচল বন্ধ৷ বন্ধ স্কুল সহ বন্ধ নানা সরকারি পরিষেবা৷ এমনকি হাসপাতাল ও অ্যাম্বুলেন্সও সীমিত আকারে সক্রিয় ছিল৷ বিক্ষুব্ধ শ্রমিক ও কর্মীরা হাজারে-হাজারে পথে নেমেছিলেন সরকারের ব্যয় সংকোচ নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ দেখাতে৷ দেশের দুই বড় শ্রমিক সংগঠন বড় বড় শহরে বিক্ষোভ সমাবেশ আয়োজন করেছে৷ শুধু রাজধানী এথেন্সেই ১৮ থেকে ২০ হাজার মানুষ দুটি সমাবেশে যোগ দিয়েছিলেন৷

এর এক দিন আগে সাংবাদিকদের ধর্মঘটের ফলে সংবাদ-মাধ্যম স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিল৷ ফলে বৃহস্পতিবার কোনো সংবাদপত্র প্রকাশিত হয়নি৷ অবসর ভাতা কমানোর বিরুদ্ধে তাঁরা প্রতিবাদ জানিয়েছেন৷ বেসরকারি ক্ষেত্রে অনেক সাংবাদিক মাসের পর মাস বিনা বেতনে কাজ করে চলেছেন৷

অথচ দেশে অর্থের ‘অভাব' নেই৷ আন্তর্জাতিক তিন প্রতিষ্ঠান – ইউরোপীয় কমিশন, ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল আইএমএফ – ২০১০ সাল থেকে দাতা হিসেবে কোটি কোটি ইউরো সাহায্য দিয়ে এসেছে৷ কিন্তু এর শর্ত হিসেবে সরকারকে অনেক ক্ষেত্রে আমূল সংস্কার ও ব্যয় সংকোচ চালাতে হচ্ছে৷ এর কুফল ভোগ করতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে৷ করের হার বেড়েছে, বেতন ও পেনশন কমেছে৷ বিপর্যস্ত অর্থনীতি এখনো মাথা তুলে দাঁড়াতে পারছে না৷ বেকারত্বের হার প্রায় ২৬ শতাংশ৷ গত প্রায় ৬ বছর ধরে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে৷ ফলে অনেক মানুষের ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে পড়ছে৷

দেশের এমন পরিস্থিতি কবে দূর হবে, তাও স্পষ্ট নয়৷ সরকার তার সীমিত কিছু সাফল্য ফলাও করে প্রচার করছে৷ কিন্তু দেশের আগামী যাত্রাপথ এখনো স্পষ্ট নয়৷ আগামী বছরের বাজেট নিয়ে আন্তর্জাতিক দাতাদের সঙ্গে আলোচনা এখনো থমকে রয়েছে৷ আন্তর্জাতিক দাতাদের হিসেব অনুযায়ী নির্ধারিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে ২০১৫ সালে গ্রিসকে ২০০ থেকে ৩০০ কোটি ইউরো কম ব্যয় করতে হবে৷ গ্রিসের সরকার এই লক্ষ্যমাত্রার হিসেব মেনে নিতে প্রস্তুত নয়৷ ঐকমত্য না হলে অনিশ্চয়তা কমার বদলে আরও বেড়ে যেতে পারে৷ পর্যবেক্ষকদের মতে, চলতি বছরে বিষয়টির নিষ্পত্তির সম্ভাবনা কম৷ দেশের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক পরিস্থিতিও বেশ নাজুক৷ বর্তমান জোট সরকারের স্থায়িত্বও প্রশ্নের মুখে৷ ফলে আরও সাহসী পদক্ষেপ নিতে তারা বিলম্ব করছে৷

এসবি/ডিজি (ডিপিএ, এএফপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ