1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

হরমুজে সফলভাবে ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করলো ইরান

২ জানুয়ারি ২০১২

হরমুজ প্রণালিতে আবারও সফলভাবে ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ করলো ইরান৷ ফলে ইরানের সঙ্গে পশ্চিমের সম্পর্কে আরেক দফা চিড় ধরলো৷

হরমুজে ইরানের মহড়াছবি: REUTERS

রবিবারের পর সোমবার

ইরান রবিবার একটি ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করেছিল৷ এরপর সোমবার আবারও দুটি সফল পরীক্ষা চালালো৷ এর মধ্যে সবচেয়ে দূরে যেটি হামলা করতে সক্ষম হবে সেটার নাম ‘কাদের'৷ এটি প্রায় ২০০ কিলোমিটার দূরে আঘাত আনতে সক্ষম বলে জানা গেছে৷ ইরানের গণমাধ্যমে একে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র বলা হচ্ছে৷ কিন্তু আসলে যে দূরত্বের কথা বলা হচ্ছে আন্তর্জাতিকভাবে তাকে মাঝারি পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র বলা যায়৷ অপর ক্ষেপণাস্ত্র ‘নাসের' এর রেঞ্জ সম্পর্কে অবশ্য কিছু জানা যায়নি৷ আজই আরেকটি ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালানোর কথা ছিল, যার নাম নূর৷ এর ক্ষমতাও হওয়া কথা ২০০ কিলোমিটার৷ অবশ্য শেষ পর্যন্ত ‘নূর' উৎক্ষেপণের খবর পাওয়া যায়নি৷ এগুলোর মধ্যে ‘কাদের' ইরানি বিশেষজ্ঞদের হাতে তৈরি বলে জানিয়েছে সরকারি বার্তা সংস্থা ইরনা৷ এটা ইসরায়েল ও মার্কিন ঘাঁটিতে হামলা করতে সক্ষম হবে বলে জানা গেছে৷

সামরিক অনুশীলনে ইরানের এক নৌসেনাছবি: picture-alliance/dpa

কেন এই পরীক্ষা

ইরানের ওপর আবারও নিষেধাজ্ঞা আরোপের কথা বলছে পশ্চিমা বিশ্ব৷ এর মধ্যে অ্যামেরিকা আরেক দফা অবরোধের পদক্ষেপ নিয়েছে৷ ফলে ইরানের তেল খাত ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে৷ অবরোধটা এরকম - যে সব বহুজাতিক কোম্পানি ইরান থেকে তেল আমদানি করবে তারা অ্যামেরিকার সঙ্গে ব্যবসা করতে পারবে না বলে একটি আইনে স্বাক্ষর করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ওবামা৷ এদিকে অ্যামেরিকার এমন পদক্ষেপে উৎসাহিত হয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়নও৷ তারাও ইরানের ওপর নতুন করে নিষেধাজ্ঞা বসাতে আগ্রহী৷ এ ব্যাপারে ইইউ পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের পরবর্তী বৈঠকে সিদ্ধান্ত হতে পারে বলে জানা গেছে৷ পশ্চিমা বিশ্বের এসব সিদ্ধান্তে ইরানের আয়ের সবচেয়ে বড় যে খাত, সেই তেল খাত ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় ইরান স্বভাবতই ক্ষুব্ধ৷ এবং তারা হরমুজ প্রণালি দিয়ে তেল সরবরাহ বন্ধ করে দেয়ার হুমকি দিয়েছে৷ এর মাধ্যমে আসলে দেশটি পশ্চিমা বিশ্বকে সতর্ক করে দিতে চাইছে৷ আর আজকের ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার মাধ্যমে ইরান তার সামর্থ্যটাও দেখাতে চাইলো৷

পশ্চিমা বিশ্বের প্রতিক্রিয়া

ফ্রান্স একে দু:খজনক ঘটনা হিসেবে আখ্যায়িত করেছে, এবং মনে করছে এটা ‘খুব খারাপ একটা সংকেত'৷ আর যুক্তরাষ্ট্রও প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে৷ বাহরাইনে থাকা মার্কিন নৌ ঘাঁটির এক মুখপাত্র বলেছেন, হরমুজ প্রণালি দিয়ে নৌ চলাচলে বাধা দেয়ার চেষ্টা করা হলে সেটা প্রতিহত করা হবে৷

প্রতিবেদন: জাহিদুল হক

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ