প্রার্থীদের হলফনামার তথ্য কেউ যেন দেখতে বা ডাউনলোড করতে না পারে সেজন্য কৌশলে নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে গতি কমিয়ে দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে৷
ছবি: Munir Uz Zaman/AFP/Getty Images
বিজ্ঞাপন
সুশাসনের জন্য নাগরিক, সুজন-এর সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার ডয়চে ভেলেকে জানান, হলফনামার তথ্য জানার অধিকার রয়েছে নাগরিকদের৷ এটা গোপন করা হলে তারা এর বিরুদ্ধে আদালতে যাবেন৷
দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থীরা, বিশেষ করে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা, হলফনামায় যেসব তথ্য দিয়েছেন সেখানে আট ধরণের তথ্যের মধ্যে সম্পদের হিসাবও রয়েছে৷ ৫ বছর আগে দেয়া তাঁদের সম্পদের হিসাবের সঙ্গে তা তুলনা করায় বেরিয়ে এসেছে থলের বেড়াল৷ সংবাদ মাধ্যমগুলো এ নিয়ে ধারাবাহিক রিপোর্ট করছে৷
সাফল্য, ব্যর্থতার ২০১৩
বাংলাদেশের জন্য ঘটনাবহুল এক বছর ২০১৩৷ রানা প্লাজায় ধস, নির্বাচন নিয়ে সহিংসতা, মানুষ পোড়ানো, ব্লগার হত্যাসহ হতাশার খবর অনেক৷ তবে সন্তুষ্টিও আছে৷ ২০১৩ সালের আলোচিত ১৩ ঘটনা নিয়ে ছবিঘর৷
ছবি: REUTERS
‘বিজয়চিহ্ন’
একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে পাঁচ ফেব্রুয়ারি যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা হয় জামায়াত নেতা আব্দুল কাদের মোল্লার৷ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এই রায় ঘোষণার পর ‘বিজয়চিহ্ন’ দেখান মোল্লা৷ তার এই বিজয়চিহ্নের প্রতিবাদে শাহবাগে গড়ে ওঠে গণজাগরণ মঞ্চ৷
ছবি: Strdel/AFP/Getty Images
গণজাগরণ মঞ্চ
একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে কাদের মোল্লাসহ অন্যান্য অভিযুক্তদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে পাঁচ ফেব্রুয়ারি রাতে শাহবাগে সমবেত হন অসংখ্য মানুষ৷ ব্লগারদের আহ্বানে সাধারণ মানুষের অংশগ্রহণে এধরনের বিশাল প্রতিবাদ কর্মসূচি আগে কখনো দেখা যায়নি বাংলাদেশে৷ শাহবাগ প্রজন্ম চত্বর থেকে যাত্রা শুরু করা গণজাগরণ মঞ্চ এখনো বিভিন্ন দাবিতে রাজপথে সক্রিয় রয়েছে৷
ছবি: REUTERS
ব্লগার হত্যা, কারাদণ্ড
গণজাগরণ মঞ্চের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকা ব্লগার আহমেদ রাজীব হায়দারকে হত্যা করে একদল দুর্বৃত্ত৷ ১৫ ফেব্রুয়ারি রাতে তাঁকে নিজের বাড়ির সামনে জবাই করে হত্যা করা হয়৷ এই হত্যাকাণ্ডের পরপরই ইন্টারনেটে একটি মহল রাজীবকে নাস্তিক ব্লগার হিসেবে প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করে৷ চলতি বছর আরেক ব্লগার আসিফ মহিউদ্দীনও (ছবিতে মাঝে) হত্যাচেষ্টার শিকার হন৷ পরবর্তীতে তিনিসহ কয়েক ব্লগার কারাভোগও করেছেন৷
ছবি: Babu Ahmed
জিল্লুর রহমানের চিরবিদায়
২০১৩ সালের ২০ মার্চ সিঙ্গাপুরে চিকিৎসারত অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান৷ তাঁর মৃত্যুর পর এক প্রতিক্রিয়ায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, ‘‘তিনি ছিলেন একজন আজীবন গণতন্ত্রী মানুষ৷ তাই সবার কাছে তাঁর গ্রহণযোগ্যতা ছিল৷’’ জিল্লুর রহমানের মৃত্যুর পর রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব গ্রহণ করেন আবদুল হামিদ৷
ছবি: AFP/Getty Images
ভবন ধসে সহস্রাধিক প্রাণহানি
পৃথিবীর ইতিহাসে অন্যতম ভবন ধসের ঘটনা ঘটে বাংলাদেশের সাভারে৷ ২৪ এপ্রিল সকাল ৯ টায় সাভার বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অবস্থিত নয় তলা ‘রানা প্লাজা’ ধসে পড়লে সহস্রাধিক মানুষ প্রাণ হারান৷ রানা প্লাজায় কয়েকটি গার্মেন্টস কারখানা ছিল৷ তাই হতাহতের মধ্যে অধিকাংশই ছিলেন গার্মেন্টস কর্মী৷ এই ঘটনায় গোটা বিশ্বেই সমালোচনার ঝড় ওঠে৷
ছবি: Reuters
হেফাজতে ইসলামের ঢাকা অবরোধ
কথিত নাস্তিক ব্লগারদের শাস্তিসহ বিভিন্ন দাবিতে পাঁচ মে ঢাকার মতিঝিলের শাপলা চত্বরে সমাবেশ করেন কয়েক লাখ হেফাজতে ইসলাম সমর্থক৷ তবে সেদিন তারা মতিঝিল ত্যাগ না করে সেখানে অবস্থান করতে চাইলে নিরাপত্তা বাহিনী রাতের আধারে অভিযান চালিয়ে তাদের সরিয়ে দেয়৷ এই অভিযানে ঠিক কতজন প্রাণ হারিয়েছে তা এখনো এক অমীমাংসিত বিষয়৷
ছবি: STR/AFP/Getty Images
সতের দিন বেঁচে থাকা
রানা প্লাজার ধ্বংসস্তূপের মধ্যে সতের দিন আটকে ছিলেন পোশাককর্মী রেশমা৷ ১০ মে তাঁকে উদ্ধারে সক্ষম হয় উদ্ধারকারী দল৷ এভাবে আটকে থেকেও বেঁচে থাকার ঘটনা গোটা বিশ্বে বিরল৷ রেশমা বর্তমানে ঢাকার ওয়েস্টিন হোটেলে কাজ করছেন৷
ছবি: Getty Images/AFP/STRDEL
বিশ্বকাপে সিদ্দিকুর
চলতি বছর গলফ খেলায় বাংলাদেশকে এক নতুন আসনে নিয়ে গেছেন সিদ্দিকুর রহমান৷ প্রথমবারের মতো গলফ বিশ্বকাপে বাংলাদেশের নাম লেখান তিনি৷ এছাড়া ভারতের নতুন দিল্লিতে অনুষ্ঠিত হিরো ইন্ডিয়া ওপেন গলফ টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন হন সিদ্দিকুর রহমান৷
ছবি: Getty Images
১৫২ জনের ফাঁসি
ঢাকার পিলখানায় তৎকালীন বিডিআর সদর দফতরে এক বিদ্রোহের মাধ্যমে ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জনকে হত্যার দায়ে পাঁচ নভেম্বর ১৫২ জনকে ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত৷ বাংলাদেশের ইতিহাসে একসঙ্গে এত মানুষের ফাঁসির আদেশ আর কখনও হয়নি৷
ছবি: Reuters
মানুষ পোড়ানোর রাজনীতি
২০১৩ সালে রাজনৈতিক অস্থিরতার আগুনে পুড়ে নিহত হয়েছেন অনেক মানুষ৷ যুদ্ধাপরাধের বিচার কার্যক্রমের বিরুদ্ধে জামায়াত-শিবিরের বিভিন্ন কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে প্রাণহানিও কম নয়৷ এছাড়া পুলিশের গুলিতে বেশ কয়েকজন রাজনৈতিক কর্মী নিহত হয়েছে৷ চলতি বছর রাজনৈতিক অস্থিরতায় প্রাণহানির সংখ্যা দু’শোর বেশি৷
ছবি: Mustafiz Mamun
কাদের মোল্লার ফাঁসি কার্যকর
একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ১২ ডিসেম্বর জামায়াত নেতা আব্দুল কাদের মোল্লার ফাঁসি কার্যকর হয়৷ মোল্লাকে এভাবে ফাঁসি না দিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছিল জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশন, জার্মানি সহ অন্যরা৷ জামায়াতে ইসলামীর সমর্থকরা তাকে ‘শহিদ’ আখ্যা দিয়ে বিভিন্ন এলাকায় গায়েবানা জানাজার আয়োজন করে৷
ছবি: Mustafiz Mamun
‘‘সবচেয়ে বড় মানব পতাকা’’
পৃথিবীর ইতিহাসে ‘‘সবচেয়ে বড় মানব পতাকা’’ তৈরির ইতিহাস গড়েছে বাংলাদেশ৷ স্বাধীনতার ৪২ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে ঢাকার জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে এই মানব পতাকা তৈরি করেন প্রায় ত্রিশ হাজার সেনা সদস্য, স্কুল শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষ৷
ছবি: Reuters
বিশ্বজিৎ হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের শাস্তি
গত বছর ডিসেম্বরে বিরোধী দলের অবরোধের সময় ঢাকায় নিহত দোকান-কর্মচারী বিশ্বজিৎ হত্যা মামলায় ছাত্রলীগের ৮ কর্মীকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত৷ এছাড়া ১৩ জনকে দেয়া হয়েছে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড৷ ১৮ ডিসেম্বর ঢাকার দ্রুত বিচার আদালত এই রায় ঘোষণা করেন৷ (ফাইল ফটো)
ছবি: Munir Uz Zaman/AFP/Getty Images
13 ছবি1 | 13
তাতে দেখা যাচ্ছে বিস্ময়করভাবে কারো কারো সম্পদ একশ' গুণও বেড়েছে৷ তাঁদের স্ত্রীদের কোনো প্রকাশ্য আয় না থাকলেও তাঁরাও সম্পদশালী হয়েছেন৷ প্রার্থীরা প্রধানত তাঁদের সম্পদের উৎস হিসেবে দেখিয়েছেন মৎস্য খামার ব্যবসা৷ তবে বাস্তবে মৎস্য খামারের অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না৷ আর এই সম্পদ বাড়ার তালিকায় প্রধানমন্ত্রীর কাছের বলে যারা পরিচিত, তাঁরাও রয়েছেন৷ এতে বিব্রত শাসক দল ও সরকার৷
গত রোববার সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের নির্বাচন কমিশন বিষয়ক উপ কমিটির আহ্বায়ক ড. মহীউদ্দিন খান আলমগীর সরাসরি নির্বাচন কমিশনে গিয়ে হলফনামার তথ্য প্রকাশে লিখিত আপত্তি জানান৷ প্রধান নির্বাচন কশিনার কাজী রকিব উদ্দিন আহমেদ বিষয়টি বিবেচনার আশ্বাস দেন৷
এরপর থেকেই নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে হলফনামার অংশে প্রবেশ করা যাচ্ছে না৷ নির্বাচন কমিশনের সিস্টেম ম্যানেজার অবশ্য দাবি করেছেন, ইন্টারনেটের গতি কম হওয়ার কারণে দেখতে সমস্যা হচ্ছে৷
২০০৫ সালে দেশের সর্বোচ্চ আদালত প্রার্থীদের হলফনামায় আট ধরণের তথ্য থাকার নির্দেশ দেয়৷ এই তথ্য সবার জন্য উন্মুক্ত করার কথা বলা হয়৷ নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও হলফনামার তথ্য সবার জন্য উন্মুক্ত রাখা হয়েছিল৷ কিন্তু আপত্তি উঠছে এবার একপাক্ষিক নির্বাচনের সময়৷
পোশাক শ্রমিকদের নির্বাচনি ভাবনা
আগামী পাঁচ জানুয়ারি জাতীয় সংসদ নির্বাচন৷ ইতোমধ্যে আন্তর্জাতিক মহলে এই নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে৷ কিন্তু সাধারণ মানুষ নির্বাচন নিয়ে কি ভাবছেন? এই ছবিঘরে পোশাক শ্রমিকদের নির্বাচনি ভাবনা প্রকাশ করা হয়েছে৷
ছবি: DW/M. Mamun
বিরোধী দলের উপর ‘ক্ষিপ্ত’ আকলিমা
ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়ার পোশাক শ্রমিক আকলিমা বেগম৷ কাজ করেন ঢাকার রামপুরার একটি পোশাক কারখানায়৷ নির্বাচনে অংশ না নিয়ে অবরোধ দেয়ায় বিরোধী জোটের ওপর ক্ষিপ্ত এই পোশাক শ্রমিক৷ এমনিতেই সামান্য কিছু টাকা বেতন পান৷ তার উপর টানা অবরোধের কারণে নিত্যপণ্যের দাম গেছে বেড়ে৷ ফলে সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছেন আকলিমা৷
ছবি: DW/M. Mamun
ভোট দিতে পারবেন না লাকী আক্তার
ঢাকার তেজগাঁও শিল্প এলাকার একটি তৈরি পোশাক কারখানায় কাজ করেন লাকী আক্তার৷ বাড়ি বরিশালের মেহেন্দীগঞ্জে হলেও ভোটার হয়েছেন ঢাকায়৷ তাঁর এলাকার সাংসদ ইতোমধ্যেই একক প্রার্থী হিসেবে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়ে গেছেন৷ তাই ভোট নিয়ে তাঁর কোনো পরিকল্পনা নেই৷
ছবি: DW/M. Mamun
রুবেলের ভাষায় ‘প্রতিযোগিতাহীন নির্বাচন’
পোশাক শ্রমিক রুবেলের বয়স মাত্র ২৩ বছর৷ কুমিল্লা জেলার তিতাস থানায় তাঁর বাড়ি৷ কাজ করেন ঢাকায়৷ রুবেলের প্রশ্ন, ‘‘প্রতিযোগিতাহীন এই নির্বাচনে ভোট দেয়ার কী আছে?’’ জীবনের প্রথম ভোটটি নষ্ট করতে রাজি নন তিনি৷ একইসঙ্গে আসন্ন নির্বাচনে ভোট দেয়াটাও অর্থহীন মনে করেন তিনি৷
ছবি: DW/M. Mamun
এখনো সিদ্ধান্ত নেননি শেফালি
শেফালির বাড়ি ঢাকার পাশে আশুলিয়ায়৷ কাজ করেন, ঢাকার রামপুরার একটি তৈরি পোশাক কারখানায়৷ দশম জাতীয় সংসদ নিয়ে তাঁর অভিমত হচ্ছে, দুই পক্ষই যদি ভোটে আসত তাহলে ভালো হতো৷ ভোট দিতে কেন্দ্রে যাবেন কিনা এখনো সিদ্ধান্ত নেননি তিনি৷
ছবি: DW/M. Mamun
হোসনে আরার স্বপ্ন ছেলেকে মানুষ করা
গুলশানের একটি তৈরি পোশাক কারখানায় কাজ করেন ফরিদপুরের হোসনে আরা৷ দুপুরের খাবারের বিরতির সময় ছেলেকে নিয়ে বসেছেন পাশের একটি চায়ের দোকানে৷ ভোট নিয়ে তাঁর কোনো চিন্তাভাবনা নেই৷ খেটেখুটে একমাত্র ছেলেকে মানুষ করাই তাঁর স্বপ্ন৷
ছবি: DW/M. Mamun
ভোট দেবেন না সাদ্দাম হোসেন
সাদ্দাম হোসেনের বাড়ি বরিশালের উজিরপুরে৷ কাজ করেন ঢাকার রামপুরার একটি তৈরি পোশাক কারখানায়৷ রাজনীতিবিদদের উপর তাঁর অনেক রাগ৷ ডয়চে ভেলেকে তিনি বলেন, ‘‘ভোট দিয়া হইবটা কী? যারা দল করেন তারা কোনো না কোনো ভাবেই লাভবান হন, মরি আমরা শ্রমিকরা৷ ভোট দিব না ভাই৷’’
ছবি: DW/M. Mamun
ভোট দিতে গ্রামে যাবেন মিতু
জামালপুরের বকশীগঞ্জের মিতু কাজ করেন ঢাকার গুলশানের একটি তৈরি পোশাক কারাখানায়৷ কাজের ফাঁকে স্বামীর মোবাইল ফ্লেক্সি লোডের দোকানেও বসেন৷ জীবনের প্রথম ভোট দিতে গ্রামে যাবেন মিতু৷ তবে নিরুত্তাপ নির্বাচন তাঁর ভালো লাগছে না৷
ছবি: DW/M. Mamun
ছুটি পেলে ভোট দিতে যাবেন মিজান
জামালপুরের সরিষাবাড়ীর মিজানুর রহমান কাজ করেন গুলশানের একটি তৈরি পোশাক কারাখানায়৷ ছোট সময় তিনি নির্বাচন দেখেছেন অনেক উৎসবমুখর৷ কিন্তু এবার নিজে ভোটার হয়ে ভোটের উৎসব দেখতে পাচ্ছেন না৷ তারপরেও ছুটি পেলে পাঁচ জানুয়ারির নির্বাচনে ভোট দিতে গ্রামে যাবেন মিজান৷
ছবি: DW/M. Mamun
ভোট নিয়ে ভাবার সময় নেই সাথীর
দিনাজপুরের কাহারোল উপজেলার পোশাক শ্রমিক সাথী৷ কাজ করেন রামপুরার একটি পোশাক কারখানায়৷ নির্বাচন কিংবা ভোট নিয়ে ভাবার সময় নেই তাঁর৷ সাথীর একমাত্র চিন্তা কাজ নিয়ে৷ তিনি মনে করেন, ভালোভাবে কাজ করতে পারলেই সন্তানদের মুখে দুই বেলা খাবার তুলে দিতে পারবেন৷
ছবি: DW/M. Mamun
ভোট দেওয়া অনর্থক মনে করেন আব্দুল আলীম
পটুয়াখালী জেলার খেপুপাড়ায় বাড়ি আব্দুল আলীমের৷ কাজ করেন রামপুরার একটি তৈরি পোশাক কারখানায়৷ ছুটি নিয়ে এই ধরনের নির্বাচনে ভোট দিতে যাওয়া তার কাছে অনর্থক মনে হয়৷ তাছাড়া তার ধারণা সে ভোট না দিলেও যে প্রার্থী জয়লাভ করার তার জয় হবেই৷
ছবি: DW/M. Mamun
হাসনা হেনার কাছে ‘নিরুত্তাপ নির্বাচন’
ঢাকার মালিবাগের একটি তৈরি পোশাক কারখানায় কাজ করেন হাসনা হেনা বেগম৷ বাড়ি রংপুরের মিঠাপুকুরে৷ দেশে যে সবচেয়ে বড় ভোট উৎসব চলছে সেটা তাঁর মনেই হচ্ছে না৷ নিরুত্তাপ নির্বাচনে ভোট দিতে চান না হাসনা হেনা৷
ছবি: DW/M. Mamun
ভোট দেয়ার ইচ্ছা ছিল লাইলীর
লাইলী বেগমের বাড়ি পিরোজপুরের জিয়ানগরে৷ ভোটার হয়েছেন ঢাকার তেজগাঁও এলাকায়৷ ভোট দেয়ার ইচ্ছাও ছিল তাঁর৷ কিন্তু শুনতে পাচ্ছেন তাঁর এলাকায় নাকি ভোট হবে না৷ একক প্রার্থী হিসেবে একজন ইতিমধ্যেই জিতে গেছেন৷
ছবি: DW/M. Mamun
পদত্যাগে ভয় কিসের? প্রশ্ন সোহাগের
সোহাগ মিয়া কাজ করেন ঢাকার মালিবাগের একটি তৈরি পোশাক কারখানায়৷ বাড়ি নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে৷ তাঁর মতে, প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ করে বিরোধী দলকে নিয়ে নির্বাচনে যাওয়া উচিত ছিল৷ তিনি বলেন, ‘‘ভালো কাজ করলে পদত্যাগে প্রধানমন্ত্রীর এতো ভয় কিসের? ভোটতো আমরাই দিব৷’’
ছবি: DW/M. Mamun
13 ছবি1 | 13
সুজন সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, প্রার্থীদের হলফনামার তথ্য জানার অধিকার রয়েছে নাগরিকদের৷ এই অধিকার কোনোভাবেই কেড়ে নেয়া যাবে না৷ কারণ ভোট দেয়ার আগে ভোটার এই হলফনামা অবশ্যই দেখতে চাইতে পারেন৷ তিনি জানান, আদালত বলেছেন হলফনামার তথ্য জানা ভোটারের বাক স্বাধীনতার অংশ৷ কারণ ভোটার ভোটের মধ্য দিয়ে তার নাগরিক অধিকারের সঙ্গে বাক স্বাধীনতাও প্রয়োগ করে৷
বদিউল আলম মজুমদার বলেন, সরকার কোনোভাবেই হলফনামার তথ্য গোপন করতে নির্বাচন কমিশনকে চাপ দিতে পারে না৷ নির্বাচন কমিশন সেই চাপের কাছে নতি স্বীকার করতে পারে না৷ তা যদি করা হয় তাহলে এর বিরুদ্ধে নাগরিক সমাজের পক্ষ থেকে আদালতে যাওয়ার কথা বলেন তিনি৷ কারণ আদালতের মাধ্যমেই নাগরিকরা এই অধিকার পেয়েছেন৷
তিনি বলেন প্রার্থীদের যারা অবৈধভাবে সম্পদ অর্জন করেছেন তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে হবে৷ তিনি এজন্য দুদককে ব্যবস্থা নেয়ার আহ্বান জানান৷