২৭শে জানুয়ারি ‘হলোকস্ট স্মরণ দিবস'৷ তাই জার্মান সংসদের নিম্নকক্ষ বুন্ডেস্টাগে স্মরণ করা হলো নাৎসিদের ইহুদি নিধনযজ্ঞের বলি লক্ষ লক্ষ মানুষকে৷ মনে করা হলো সেই মানুষগুলোকে, যাঁরা আজ বেঁচে থেকেও যেন বেঁচে নেই৷
বিজ্ঞাপন
১৯৪৫ সালের এই দিনে, অর্থাৎ ২৭শে জানুয়ারি, মুক্ত হয়েছিল পোল্যান্ডে অবস্থিত নাৎসি নিধন শিবির আউশভিৎস৷ জীবিত বন্দিদের মুক্ত করেছিল তখনকার সোভিয়েত সেনারা৷ ৬০ লক্ষ ইহুদি নিহত হয়েছিল নাৎসিদের হাতে৷ প্রাণ হারিয়েছিল আরো বহু মানুষ৷ তাই আউশভিৎস হয়ে আছে গণনিধনযজ্ঞেরই এক প্রতীক৷ ১৯৯৬ সাল থেকে বুন্ডেস্টাগ এক বিশেষ অধিবেশনে স্মরণ করে আসছে নিহত সেই মানুষদের৷
হলোকস্টের স্মরণে জার্মানি যা করেছে, করছে
১৯৪৫ সালের ৮ মে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষ হয় ইউরোপে৷ এরপর থেকে হলোকস্টের শিকার হয়েছিলেন যাঁরা, তাঁদের স্মরণে রাখতে এই গণহত্যার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন স্থাপনা সংরক্ষণ করে আসছে জার্মানি৷
ছবি: picture-alliance/dpa/Sven Hoppe
ডাখাউ
মিউনিখের কাছে ডাখাউ-এ প্রথম কনসেনট্রেশন ক্যাম্পটি স্থাপন করেছিল নাৎসিরা৷ আডল্ফ হিটলারের ক্ষমতা গ্রহণের কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই তাঁর গড়ে তোলা কুখ্যাত আধা-সামরিক বাহিনী বা এসএস-এর সদস্যরা রাজনৈতিক ভিন্নমতাবলম্বীদের সেই ইহুদি নিধন শিবিরে ধরে নিয়ে গিয়ে প্রথমে বন্দি করতো৷ তারপর অমানুষিক নির্যাতন চালিয়ে হত্যা করতো তাঁদের৷ পরবর্তীতে নাৎসিদের স্থাপন করা অন্যান্য ক্যাম্পগুলো ঐ ডাখাউ-এর আদলেই তৈরি করা হয়েছিল৷
ছবি: picture-alliance/dpa
নাৎসিদের ব়্যালি গ্রাউন্ড
ন্যুরেমব্যার্গে নাৎসি আমলের সবচেয়ে বড় প্রচারণা ব়্যালিটি অনুষ্ঠিত হতো৷ প্রায় ১১ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে থাকা একটি ‘গ্রাউন্ডে’ নাৎসিদের বার্ষিক কংগ্রেস এবং এই ব়্যালি অনুষ্ঠিত হতো, যাতে প্রায় দুই লক্ষ মানুষ অংশগ্রহণ করতেন৷ ছবিতে অসমাপ্ত কংগ্রেস হলটি দেখতে পাচ্ছেন৷ এটি বর্তমানে একটি জাদুঘর এবং ডকুমেন্টেশন সেন্টার৷
ছবি: picture-alliance/Daniel Karmann
হলোকস্টের মূল পরিকল্পনা
বার্লিনের ভানজে লেক এলাকার এই ‘ভানজে হাউস’-টিতে ইহুদি নিধনযজ্ঞের মূল পরিকল্পনা হয়েছিল৷ নাৎসি সরকার ও এসএস বাহিনীর মোট ১৫ জন সদস্য ১৯৪২ সালের ২০ জানুয়ারি এই ভবনে মিলিত হয়ে ‘ফাইনাল সলিউশন’ নামের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছিলেন৷ অর্থাৎ জার্মান নিয়ন্ত্রিত অঞ্চল থেকে সব ইহুদিদের তাড়ানো ও তাঁদের শেষ করার পরিকল্পনা নেওয়া হয় এখানেই৷ ১৯৯২ সাল থেকে ভবনটি একটি জাদুঘরে পরিণত হয়েছে৷
ছবি: picture-alliance/dpa
আনে ফ্রাঙ্কের স্মৃতি বিজড়িত
আনে ফ্রাঙ্ককে এখন অনেকেই চেনেন৷ তাঁর ডাইরিও পড়েছেন অনেকে৷ আনে ফ্রাঙ্ক সহ প্রায় ৫০ হাজার ইহুদিকে ব্যার্গেন-বেলজেনের এই কনসেনট্রেশন ক্যাম্পে হত্যা করা হয়েছিল৷
ছবি: picture alliance/Klaus Nowottnick
হিটলারকে মারার ব্যর্থ পরিকল্পনা
জার্মানিতে হিটলারের নাৎসি অপশাসন প্রতিরোধে ১৯৪৪ সালের ২০ জুলাই সামরিক কর্মকর্তা কর্নেল ক্লাউস ফন স্টাউফেনব্যার্গ-এর নেতৃত্বে একটি দল হিটলারের ওপর বোমা হামলা চালায়৷ কিন্তু হত্যা পরিকল্পনাটি ব্যর্থ হলে, সেই রাতেই বার্লিনের এই ‘বেন্ডলারব্লক’ ভবনে স্টাউফেনব্যার্গ ও তাঁর সঙ্গীদের গুলি করে হত্যা করা হয়৷ এই ভবনটি এখন ‘জার্মান রেসিস্টেন্স মেমোরিয়াল সেন্টার’ হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে৷
ছবি: picture-alliance/dpa
শারীরিক ও মানসিক প্রতিবন্ধী হত্যা স্মরণ
হেসে রাজ্যের হাডামারে একটি হাসপাতালের প্রায় ১৫ হাজার শারীরিক ও মানসিক প্রতিবন্ধীকে হত্যা করা হয়৷ এরকম ‘অক্ষমদের’ নাৎসি সরকার ‘অবাঞ্চিত’ ঘোষণা করেছিল৷ তাই তাঁদের দেহে ইনজেকশনের মাধ্যমে বিষাক্ত ওষুধ প্রবেশ করানোসহ বিভিন্ন উপায়ে হত্যা করা হয়৷ পুরো জার্মানিতে এভাবে প্রায় ৭০ হাজার প্রতিবন্ধীকে মেরে ফেলে নাৎসি বাহিনী৷ পরবর্তীতে নিহতদের স্মরণে হাডামারে একটি স্মৃতিস্তম্ভ গড়ে তোলা হয়েছে৷
ছবি: picture-alliance/dpa
বার্লিনে স্মৃতিস্তম্ভ
হলোকস্টের স্মরণে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষের ৬০ বছর পর, বার্লিনের ঐতিহাসিক ব্রান্ডেনবুর্গ তোরণের কাছে ‘মেমোরিয়াল টু দ্য মার্ডার্ড জিউস অফ ইউরোপ’ নামের এই স্মৃতিস্তম্ভটি স্থাপন করা হয়৷ নিহতদের স্মরণে সেখানে কংক্রিটের ২,৭১১টি স্ল্যাব বসানো হয়েছে৷ ইহুদি নিধনযজ্ঞের শিকার, এমন বহু মানুষের নামও লেখা আছে একটি জায়গায়৷
ছবি: picture-alliance/dpa
সমকামী হত্যা স্মরণ
বার্লিনের ঐ স্মৃতিস্তম্ভ থেকে সামান্য দূরে অবস্থিত ‘টিয়ারগার্টেন’ নামক একটি উদ্যানে স্থাপন করা হয়েছে চার মিটার উঁচু এই স্মৃতিফলক৷ ১৯৩৩ থেকে ১৯৪৫ সালের মধ্যে নাৎসিদের হাতে নিহত সমকামীদের স্মরণে এটি স্থাপন করা হয়৷ এই স্তম্ভের মধ্যে থাকা একটি পর্দায় চোখ রাখলে দুটি ছবি দেখা যায়৷ একটিতে চুমু খাচ্ছেন দু’জন পুরুষ, অন্যটিতে দুই নারী৷
ছবি: picture alliance/Markus C. Hurek
সিন্টি ও রোমা হত্যা স্মরণ
বার্লিনের সংসদ ভবনের ঠিক উল্টো দিকে ২০১২ সালে একটি পার্ক উদ্বোধন করা হয়৷ নাৎসি আমলে নিহত প্রায় পাঁচ লক্ষ সিন্টি ও রোমার স্মরণে এটি স্থাপন করা হয়েছিল৷
ছবি: picture-alliance/dpa
স্মতিস্মারক হিসেবে ‘শ্টলপারশ্টাইন’
নব্বইয়ের দশকে শিল্পী গুন্টার ডেমনিগ নাৎসি নির্যাতনের শিকাররা যে সব বাড়িতে বাস করতেন, সেগুলোর সামনে রাস্তার ওপর সোনালি পাতের ছবির মতো এই স্মৃতিস্মারক বসানো শুরু করেন৷ এতে যিনি নির্যাতিত হয়েছিলেন, তাঁর নাম, তাঁকে ধরে নিয়ে যাওয়া ও মেরে ফেলার তারিখ লেখা আছে৷ ইউরোপের ১৮টি দেশে এরকম ৪৫ হাজারেরও বেশি ‘শ্টলপারশ্টাইন’ রয়েছে৷
ছবি: picture-alliance/dpa
মিউনিখের ব্রাউন হাউস
নাৎসি আমল শেষের এত বছর পরও সে সময়ের স্মৃতি ধরে রাখতে তৎপর জার্মানি৷ তাই তো ৩০ এপ্রিল, ২০১৫-তে আরও একটি ডকুমেন্টেশন সেন্টার উদ্বোধন করতে যাচ্ছে জার্মানি৷ মিউনিখ শহরে হিটলারের অফিসের অদূরে যেখানে নাৎসিদের প্রধান কার্যালয় ছিল, সেই ব্রাউন হাউসে ‘ডকুমেন্টেশন সেন্টার ফর দ্য হিস্টরি অফ ন্যাশনাল সোশ্যালিজম’ নামের এই সেন্টারটির উদ্বোধন করা হবে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/Sven Hoppe
11 ছবি1 | 11
শুক্রবারও এক বিশেষ অধিবেশনে জার্মান বুন্ডেস্টাগের প্রেসিডেন্ট নরব্যার্ট লামের্ট হলোকস্টকে ‘মানবাধিকার হরণের চরম নিদর্শন' বলে উল্লেখ করেন৷
আউশভিৎসে প্রায় ১৩ লাখ মানুষকে বন্দি রাখা হয়েছিল৷ তাঁদের মধ্যে গ্যাস চেম্বারে, অনশনে এবং চরম দুর্বলতায় প্রাণ হারান ১১ লাখ মানুষ৷ এঁদের অধিকাংশই ছিলেন ইহুদি, রোমা ও সিন্টি এবং রাজনৈতিক বিরোধীরা৷
৭২ বছর আগে সোভিয়েত রেড আর্মি যখন এই মৃত্যুশিবিরকে মুক্ত করে, তখন বেশ কিছু মানুষ ফিরে যান ইসরায়েলে৷ এ বছরের হলোকস্ট স্মরণ দিবস উপলক্ষ্যে তাঁদের মধ্যে বেঁচে থাকা কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলেছেন ডয়চে ভেলের তানিয়ে ক্র্যামার৷ তাঁদের সঙ্গে দেখা করতে ছুটে গেছেন ইসরায়েলের একটি নার্সিংহোমে৷
The nursing home for Holocaust survivors
02:43
আসলে বিভীষিকাময় সেই অতীতকে আজ অনেকেই ভুলে যেতে চান, ভুলে যাচ্ছেন৷ আর ঠিক সে কারণেই এই ‘হলোকস্ট স্মরণ দিবস'৷ সেই বিস্মৃতির বিরুদ্ধে বারংবার মত প্রকাশ করেছেন বুন্ডেস্টাগের বক্তারা – সেই সঙ্গে বহির্বিশ্বের নেতারা৷ জার্মান প্রেসিডেন্ট ইওয়াখিম গাউক সেই কারণেই তো বলেছিলেন, ‘‘আউশভিৎসকে বাদ দিয়ে জার্মান সত্তা হয় না৷''
হলোকস্টের স্মৃতি যে জার্মানির সব নাগরিকের, এ দেশের ইতিহাসের এক অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ৷
ডিজি/এসিবি
নাৎসি লুটের সেই সংগ্রহ
মিউনিখের এক ফ্ল্যাটে ইউরোপীয় শিল্পীদের আঁকা ১,৪০০ অমূল্য ছবির সন্ধান পাওয়ার পর গত বছর আলোচনায় আসেন কর্নেলিয়াস গুরলিট, যাঁর বাবা হিল্ডেব্রান্ড গুরলিট ছিলেন নাৎসি আমলের আর্ট ডিলার৷ গত মঙ্গলবার ৮১ বছর বয়সে মারা গেছেন তিনি৷
ছবি: Staatsanwaltschaft Augsburg/dpa
জানালার নর-নারী
ড্রেসডেনের শিল্পী উইলহেল্ম লাখনিট (১৮৯৯-১৯৬২) জলরংয়ে ‘ম্যান অ্যান্ড উইমেন ইন দ্য উইনডো’ আঁকেন ১৯২৩ সালে৷ নাৎসি প্রোপাগান্ডা মন্ত্রী ইওসেফ গ্যোবেল্সের নির্দেশে অন্য অনেক ছবির সঙ্গে এ ছবিটিও ‘অধঃপতিত’ ঘোষণা করে সংগ্রহশালা থেকে সরিয়ে ফেলা হয়৷
ছবি: Staatsanwaltschaft Augsburg/dpa
যুগল
‘যুগল’ শিরোনামে জলরংয়ের এই ছবিটি হান্স ক্রিস্টফ (১৯০১-১৯৯২) এঁকেছিলেন ১৯২৪ সালে৷ সে সময় তিনি খুব বেশি পরিচিতি না পেলেও এখন উইলহেল্ম লাখনিট, ওটো গ্রিবেল, ওটো ডিক্সের মতো শিল্পীদের সঙ্গে তাঁর নাম উচ্চারিত হয়৷
ছবি: Staatsanwaltschaft Augsburg/dpa
সন্ত
ক্রিস্টফ ফল (১৮৯৭-১৯৩৯) সেই বিংশ শতকের গোড়ার দিকেই ভাস্কর্য আর ছবির জন্য খ্যাতি পান৷ কিন্তু নাৎসি সরকারের কোপে পড়ে তাঁর ক্যারিয়ারের সমাপ্তি ঘটে, কারণ তাঁদের বিচারে এসব শিল্পকর্ম ছিল অ-জার্মান৷ ‘মংক’ ছবিটি তিনি আঁকেন ১৯২১ সালে৷
ছবি: Staatsanwaltschaft Augsburg/dpa (Ausschnitt)
ড্রেসডেন জ্বলছে
ব্যার্নহার্ড ক্রেচমারও (১৮৮৯-১৯৭২) ছিলেন ড্রেসডেনের শিল্পী৷ জলরংয়ে ‘ট্রাম’ ছবিটি তিনি কবে এঁকেছিলেন, তার সঠিক তারিখ জানা যায় না৷ তাঁর আঁকা বহু ছবি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ‘অধঃপতিত’ আখ্যা দিয়ে গ্যালারি থেকে সরিয়ে নেয়া হয়৷ ১৯৪৫ সালে ড্রেসডেনে ‘মিত্রবাহিনীর’ বোমা হামলায় তাঁর বহু শিল্পকর্ম ধ্বংস হয়ে যায়৷
ছবি: Staatsanwaltschaft Augsburg/dpa
ভিন্নমত
ওটো গ্রিবেল (১৮৯৫-১৯৭২) জার্মান কমিউনিস্ট পার্টির জন্য লিফলেট ও পোস্টার তৈরি করতেন৷ সামরিক বাহনীর কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে তিনি সোচ্চার হয়েছেন ছবি এঁকেও৷ স্বাভাবিকভাবেই এসব কাজ নাৎসি নেতাদের পছন্দ হয়নি৷ সে সময় ওটো গ্রিবেলের আঁকা বহু ছবি ধ্বংস করে ফেলা হয়৷ তবে ‘চৌপায়ায় শিশু’ শিরোনামের এই ছবিটি কোনোভাবে রক্ষা পেয়ে যায় এবং বহু বছর পর এর সন্ধান মেলে কর্নেলিয়াস গুরলিটের গোপন সংগ্রহশালায়৷
ছবি: picture-alliance/AP(Ausschnitt)
সমালোচকের কণ্ঠরোধ
বাঁয়ের ছবিতে দেখা যাচ্ছে অগাস্ট রঁদার (১৮৪০-১৯১৭) একটি ড্রয়িং৷ ডানে ওটো ডিক্সের (১৮৯১-১৯৬৯) আঁকা ‘দ্য ফিমেল লায়ন ট্যামার’৷ ওটো ডিক্স ছিলেন নাৎসি আমলের একজন প্রতিবাদী কণ্ঠ, যিনি সেই সময়ের বাস্তবতার ছবি এঁকেছেন তুলির রূঢ় আঁচড়ে৷ ১৯৩৪ সালে ওটো ডিক্সের ছবি প্রদর্শনের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়৷ বিভিন্ন জাদুঘর থেকে তুলে নেয়া হয় তাঁর আঁকা শতাধিক ছবি৷
ছবি: Staatsanwaltschaft Augsburg/dpa (Ausschnitt)
ড্রেসডেনের প্রতিবাদ
ওটো গ্রিবেল ও ওটো ডিক্সের মতো ড্রেসডেনের শিল্পী কনরাড ফেলিক্সম্যুলারও ছিলেন নাৎসি কর্মকাণ্ডের একজন কড়া সমালোচক৷ এ কারণে তাঁকেও রাষ্ট্রীয় নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়তে হয়৷ ‘রিয়েলিস্ট’ ধারার এই শিল্পী ‘কাপল ইন দ্য ল্যান্ডস্কেপ’ ছবিটি আঁকেন ১৯২৪ সালে৷
ছবি: Staatsanwaltschaft Augsburg/dpa (Ausschnitt)
‘ক্যামেরা অবসকিউরা’
ইটালির শিল্পী আন্তোনিও কানালেত্তো (১৬৯৭-১৭৬৮) চিত্রকলার ইতিহাসে বিখ্যাত তাঁর আঁকা ল্যান্ডস্কেপের জন্য৷ এ সব ছবি আঁকার ক্ষেত্রে তিনি ‘ক্যামেরা অবসকিউরা’ নামের একটি যন্ত্র ব্যবহার করতেন, যা আধুনিক ক্যামেরার পূর্বসূরি৷ তাঁর করা এই ছাঁপচিত্রটি পাওয়া গেছে কর্নেলিয়াস গুরলিটের সংগ্রহশালায়৷
ছবি: Staatsanwaltschaft Augsburg/dpa
দেলাক্রোয়ার স্কেচ
ফ্রান্সে রোমান্টিক শিল্প আন্দোলনের অন্যতম প্রভাবশালী শিল্পী ইউজিন দেলাক্রোয়ার (১৭৯৮-১৮৬৩) ছাঁপচিত্রগুলো তাঁর জিবদ্দশাতেই দারুণভাবে আলোচিত হয়৷ ইতিহাস বা পুরাননির্ভর ছবি, স্টিল লাইফ ও পোর্ট্রেট – সবই তিনি করেছেন৷ কর্নেলিয়াস গুরলিটের ফ্ল্যাটে পাওয়া শিল্পকর্মের মধ্যে দেলাক্রোয়ার এই পেনসিল স্কেচটিও ছিল৷