হাঁচি, কাশি ঢাকতে হবে হাত নয়, কনুই দিয়ে
১৭ জুলাই ২০১০মেডিকেল শিক্ষার্থীরা গোপনে চালান এই গবেষণাটি৷ তারা দেখতে পান, প্রতি চারজনের একজন হাঁচি বা কাশি দেয়ার সময় তা ঢাকার চেষ্টা করেননা৷ ফলে সহজেই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ে৷ আর যারা ঢাকার চেষ্টা করেন, তারা হাত দিয়ে তা করেন৷ কিন্তু এটাও স্বাস্থ্যকর নয়৷ চিকিৎসকরা বলছেন, এর ফলে অন্য উপায়ে ভাইরাস ছড়াতে পারে৷ কারণ বেশিরভাগ লোকই হাত দিয়ে হাঁচি বা কাশি ঢাকার পর তা আর পরিষ্কার করেননা৷ পরে সেই অপরিষ্কার হাত দিয়েই বাসার দরজা খোলেন বা অন্য কিছু ধরেন৷ ফলে ঐসব জিনিসেও ভাইরাস চলে যায়৷ পরবর্তীতে অন্য কেউ ঐ জিনিসগুলো ধরলে তাদের মধ্যেও ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা থেকে যায়৷ এরকম হাত দিয়ে হাঁচি ও কাশি ঢাকার সংখ্যা প্রতি তিনজনে দুইজন৷
তাহলে কী করা উচিত? ডাক্তাররা বলছেন, সবচেয়ে ভাল উপায় হলো কনুই ব্যবহার করা৷ কিন্তু গবেষণায় দেখা গেছে, প্রতি ৭৭ জনের মাত্র একজন এই কাজটি করেন৷ দ্বিতীয় যে পদ্ধতিটির কথা ডাক্তাররা বলছেন সেটা হলো টিস্যু বা রুমালের ব্যবহার৷ কিন্তু সেটাও করেন কম সংখ্যক মানুষ৷ প্রতি ৩০ জনে একজন৷
নিউজিল্যান্ডের রাজধানী ওয়েলিংটনের একটি রেল স্টেশন, একটি হাসপাতাল ও একটি শপিং সেন্টারে এই গবেষণাটি চালানো হয়৷ ওয়েলিংটনের ওতাগো বিশ্ববিদ্যালয়ের জনস্বাস্থ্য বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক নিক উইলসন এই গবেষণা কাজের নেতৃত্ব দেন৷ তিনি এই গবেষণার ফলাফলে বেশ উদ্বেগ প্রকাশ করেন৷ কারণ গবেষণাটি এমন এক সময়ে চালানো হয়েছিল যখন বিশ্বব্যাপী সোয়াইন ফ্লু নিয়ে বেশ আলোচনা চলছিল৷ সেসময় হাঁচি, কাশি দেয়ার ব্যাপারে সবাইকে সতর্ক থাকতে পরামর্শ দেয়া হচ্ছিল৷ কিন্তু এর পরেও গবেষণায় এমন ফল আসায় রীতিমত উদ্বিগ্ন উইলসন৷
উল্লেখ্য, এর আগে ২০০৭ সালে আরেকটি গবেষণায় জানা গিয়েছিল যে, প্রতি চারজনের একজন বাথরুম থেকে ফিরে হাত পরিষ্কার করেনা৷
প্রতিবেদন: জাহিদুল হক
সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন