হাঁপানি রোগ ও অ্যালার্জি আজ শিশু-কিশোরদের জন্যও একটা বড় সমস্যা৷ ফাস্ট ফুড, অস্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রা এর জন্য অন্তত খানিকটা হলেও দায়ী, এমনটা আগেই জানা ছিল৷ এবার তার স্পষ্ট প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে৷
বিজ্ঞাপন
বসন্তে প্রকৃতি আবার জেগে উঠছে৷ কিন্তু অনেক মানুষের জন্য বড় কষ্টের এক সময় শুরু হচ্ছে৷ ফুলের পরাগ বা পুষ্পরেণু তাদের সর্দিকাশি ও চোখ ফোলার জন্য দায়ী৷ ক্রমশঃ আরও বেশি মানুষ অ্যালার্জিতে ভুগছেন৷ শরীরের প্রতিরোধ ব্যবস্থার মাত্রাতিরিক্ত প্রতিক্রিয়াকে ডাক্তাররা ‘একবিংশ শতাব্দীর মহামারি' হিসেবে বর্ণনা করছেন৷ কিন্তু আপাতদৃষ্টিতে নির্দোষ ফুলের পরাগ কেন আমাদের এত কাহিল করে দেয়?
মারিয়া গ্রাফ ও তাঁর ১০ বছরের কন্যা আনা এক খামারবাড়িতে থাকেন৷ দীর্ঘমেয়াদি এক গবেষণায় স্বেচ্ছাসেবি হিসেবে তাঁরা এই প্রশ্নের জবাব খুঁজতে সহায়তা করছেন৷ শিশু হিসেবেই আনা গোয়ালে নানা রকম জীবাণুর সংস্পর্শে এসেছে৷ সে কারণেই কি তার ইমিউন সিস্টেম পুষ্পরেণুর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে?
হলৎসলার পরিবার এমন এক ফ্ল্যাটে বসবাস করে, যেখানে কোনো গৃহপালিত পশু নেই৷ সে কারণে কি ১০ বছর বয়সি রাফায়েলের অ্যালার্জির ঝুঁকি তুলনামূলকভাবে বেশি?
ধূলিকণার অ্যালার্জি থেকে মুক্তি পাওয়ার কিছু উপায়
আপনার কি প্রায়ই নাকবন্ধ থাকে বা চোখ চুলকায় কিংবা রয়েছে হাঁপানির সমস্যা? এ সব হওয়ার অনেক কারণের মধ্যে সবচেয়ে বড় কারণ ধূলিকণা থেকে অ্যালার্জি৷ তবে একটু সচেতনতাই কিন্তু এ কষ্ট থেকে মুক্তি দিতে পারে৷ জেনে নিন কিভাবে৷
ছবি: DW/A. Islam
চাই পরিষ্কার বিছানা
মাঝে মাঝেই নাক বন্ধ থাকে অথবা ঠান্ডা লাগে৷ তার ওপর এর জন্য কোনো ওষুধ খেয়েও লাভ হয় না৷ এমনকি বিছানায় শুয়ে থেকেও ঠিকমতো বিশ্রাম হয় না, বরং উল্টোটাই হয়৷ কারণ বিছানায় রয়েছে ধুলোবালি, ছারপোকা, যা সাধারণ চোখে সেভাবে দেখা যায় না৷ তাই যতক্ষণ এগুলো পুরোপুরি পরিষ্কার না হবে, ততক্ষণ অ্যালার্জির কষ্ট থাকবেই৷
ছবি: Fotolia/fotogestoeber
ধূলিকণার অ্যালার্জি
ধূলিকণার অ্যালার্জি জার্মানিতে আনুমানিক শতকরা ১০ জন মানুষের রয়েছে ধূলিকণার অ্যালার্জি৷ তথ্য জার্মানির অ্যালার্জি এবং হাঁপানি অ্যাসোসিয়েশনের৷ এতে করে সবসময় সর্দি ভাব থাকে, চোখ দিয়ে পানি পড়ে৷ সবচেয়ে কষ্টের ব্যাপার হলো, এটা বেশ নিয়মিতভাবে হয় এবং কখনই একেবারে সেরে যায় না৷ ঘরের ভেতরে থাকলে এতে বেশি কষ্ট হয়, যা পরে এক সময় হাঁপানিতেও পরিণত হতে পারে৷
ছবি: picture-alliance/dpa
বাড়ির পর্দা পরিষ্কার রাখুন
ধূলিকণার অ্যালার্জি থেকে দূরে থাকতে নিয়মিত বাড়ির দরজা, জানালার পর্দা ধুতে হবে৷ সম্ভব হলে পর্দা তৈরির জন্য এমন কাপড় কিনতে হবে, যা সহজে ধোয়া যায়৷ তাছাড়া পর্দার কাপড় হওয়া চাই সেরকম, যাতে ধুলোবালি আটকে থাকতে না পারে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/Jens Wolf/
কাপড়ের খেলনা
ছোট্ট-মিষ্টি কাপড়ের খেলনাগুলো দেখলেই কেমন যেন আদর করতে ইচ্ছে করে, তাই না? এ সব খেলনা অনেক শিশুই হাতে রাখে বা বিছানায় সাথে নিয়ে ঘুমায়৷ যত আদরের খেলনাই হোক না কেন, এগুলোতে কিন্তু অনেক ধুলো আটকে থাকে৷ তাই মাঝে মাঝেই শিশুদের প্রিয় কাপড়ের এই খেলাগুলোকে ‘ডিপফ্রিজে’ কিছুক্ষণের জন্য রেখে দিন, যাতে এতে বসে থাকা ছারপোঁকাগুলো মরে যায়৷
ছবি: picture-alliance/dpa
সোফার ধুলোবালি
আমরা সবাই জানি যে, চামড়ার সোফা ছাড়া বেশিরভাগ সোফার কাপড়ে ধুলো আটকে থাকে৷ তাই যাঁদের অ্যালার্জি আছে তারা হয় চামড়ার সোফাসেট ব্যবহার করুন, নয় তো সোফা পরিষ্কার ও সোফার ঢাকনা নিয়মিত পাল্টান৷
ছবি: Fotolia/Minerva Studio
চাদর বালিশ, লেপ, কম্বল
যাঁদের এ ধরনের অ্যালার্জি আছে, তাঁরা নিয়মিত পর্দা, বিছানা, সোফা – ইত্যাদি পরিষ্কার রাখুন৷ এগুলোর মধ্যে ধুলোবালি বা ছারপোঁকা থেকে গেলে কিন্তু কোনো লাভ নেই৷ কারণ ওরা অতি দ্রুত বংশবৃদ্ধি করে৷ বলা বাহুল্য, ছারপোঁকার সবচেয়ে আরামের জায়গা হচ্ছে তোষক৷ আর তার ওপরই মানুষ অনেকটা সময় কাটায়৷ তাই সবচেয়ে ভালো হয় পুরনোগুলো ফেলে দিয়ে, নতুনগুলো নিয়মিত পরিষ্কার রাখতে পারলে৷
ছবি: Gina Sanders - Fotolia
স্বাস্থ্য আগে, সৌন্দর্য নয়!
অনেক মা-বাবাকেই বলতে শোনা যায় যে, তাঁদের বাচ্চাদের কার্পেট থেকে অ্যালার্জি হয়৷ কিন্তু বিছানার ম্যাট্রেসের কথা অনেকে হয়ত লক্ষ্যই করেন না৷ যাই হোক, যে বাড়িতে বাচ্চার অ্যালার্জি আছে, সেখানে ছোট কার্পেট রাখা যেতে পারে৷ তবে খুব ভালো করে নিয়মিত কার্পেটটি শ্যাম্পু করতে হবে৷ গরমের দেশে বাড়িতে কার্পেট শুধু সৌন্দর্য বাড়ানো ছাড়া আর কোনো কাজে লাগে না৷ তাই সেটা না রাখাই ভালো৷
ছবি: Irna
ডাক্তারি পরীক্ষা
জার্মানির গ্যোটিংগেন মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যালার্জি বিশেষজ্ঞ বলেন, যাদের সর্দি, নাকবন্ধ, চোখ দিয়ে জল পড়া, হাঁপানি, শুকনো কাশি নিয়মিতভাবে হয়, তাদের অবশ্যই অ্যালার্জি পরীক্ষা করা জরুরি৷ একমাত্র তখনই ঠিকমতো চিকিৎসা সম্ভব৷ অ্যালার্জি টেস্ট যে কোনো ডাক্তারের কাছেই করা সম্ভব৷ তবে ডাক্তার যদি অ্যালার্জি বিশেষজ্ঞ হয়, তাহলে স্বাভাবিকভাবেই আরো ভালো হয়৷
ছবি: picture-alliance/dpa
ছারপোঁকার প্রবেশ নিষেধ
জার্মানিতে অ্যালার্জি রোগীদের জন্য পাওয়া যায় বিশেষ ধরণের তোষক, বালিশ এবং লেপ৷ এগুলোতে ছারপোঁকা সহজে বাসা বাঁধতে পারে না৷ তবে স্বাভাবিকভাবেই এ সবের দাম একটু বেশি হয়ে থাকে৷
ছবি: picture-alliance/blickwinkel/R. Koenig
বাইরের ধূলিকণা
বাইরে না গিয়ে মানুষের উপায় থাকে না৷ তাই বাইরে থেকে এসে, অর্থাৎ বাড়িতে ঢুকেই ভালোভাবে স্নান করে নেবেন৷ অর্থাৎ চুল, নাক, মুখ, চোখ, হাত, মুখের ভেতর – এগুলোকে গুরুত্ব দেবেন৷ ওপরের বিষয়গুলোর দিকে লক্ষ্য রাখলে অ্যালার্জির রোগীরা অনেকটাই অ্যালার্জি মুক্ত জীবন উপভোগ করতে পারবেন৷ জীবন হয়ে উঠবে আরো আনন্দময়!
ছবি: DW/A. Islam
10 ছবি1 | 10
শিশু চিকিৎসক এরিকা ফন মুৎসিউস গবেষণা প্রকল্পের নেতৃত্ব দিচ্ছেন৷ এর ফলাফল অত্যন্ত স্পষ্ট৷ তিনি বলেন, ‘‘আমরা দেখেছি, যে সব শিশু খামারবাড়িতে থাকে, অন্যদের তুলনায় তাদের হে ফিভার, হাঁপানি বা অ্যালার্জি অনেক কম হয়৷ এই শিশুরা খুব কম বয়সে গোয়ালে গিয়ে গরুর দুধ পান করলে এবং তাদের মায়েরা গর্ভবতী অবস্থায় সেখানে সময় কাটালে সবচেয়ে বেশি উপকার পাওয়া যায়৷ অর্থাৎ তখন শিশুদের হাঁপানি রোগ ও অ্যালার্জির সম্ভাবনা প্রায় ৫০ শতাংশ কমে যায়৷''
স্বাস্থ্যবিধি মেনে অতিরিক্ত পরিচ্ছন্নতার ফলে কি রোগের ঝুঁকি বাড়ছে? রাফায়েল এই তত্ত্বকে কার্যত সত্য প্রমাণিত করছে৷ ঘরের মধ্যে ধুলাবালি ও ফুলের পরাগের সংস্পর্শে এলে তার শরীরে প্রতিক্রিয়া দেখা যায়৷ পাঁচ বছর বয়স থেকেই সে হে ফিভার ও হাঁপানি রোগে ভুগছে৷ বসন্তকাল তার জন্য বড় দুঃখের, কারণ তাকে এ সময় যতটা সম্ভব বাড়িতেই থাকতে হয়৷
অন্যদিকে আনা অ্যালার্জি-মুক্ত৷ কিন্তু তার এই সুরক্ষা ঠিক কোথা থেকে আসে? গবেষকরা একটি বিষয় জানতে পেরেছেন৷ শিশুরা খামারে গরুর যে তাজা দুধ পান করে, তাতে বাজারে প্যাকেটের দুধের তুলনায় অনেক বেশি জীবাণু থাকে৷ শরীরের প্রতিরোধ ব্যবস্থা তখন অনেক সহজে মানিয়ে নিতে পারে৷
অ্যালার্জির বাড়-বাড়ন্তের সঙ্গে কি সামগ্রিকভাবে আমাদের খাদ্যাভ্যাস জড়িত? উল্ম বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসক গাব্রিয়েলে নাগেল ও তাঁর সহকর্মীরা সেই প্রশ্নের উত্তর খুঁজছিলেন৷ বিশ্বব্যাপী এক সমীক্ষার আওতায় তাঁরা শিশু ও কিশোরদের অ্যালার্জি সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করছিলেন৷
বিশাল এই প্রকল্পের আওতায় তাঁরা ৫১টি দেশে প্রায় ৫ লক্ষ ছেলেমেয়েকে জেরা করেছেন৷ প্রো. গাব্রিয়েলে নাগেল বলেন, ‘‘শিশু-কিশোর ও তাদের বাবা-মায়েদের সরাসরি প্রশ্ন করা হয়েছিল৷ খাদ্যাভ্যাস, হাঁপানি রোগ ও অ্যালার্জি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চাওয়া হয়েছিল৷ দ্বিতীয় পর্যায়ে তাদের শারীরিক পরীক্ষা করা হয়েছিল৷''
এই তথ্যভাণ্ডার বিশ্লেষণ করতে চার বছর সময় লেগেছিল৷ এর স্পষ্ট ফলাফল এমনকি গবেষকদেরও বিস্ময়ের কারণ হয়েছিল৷ যে সব শিশু-কিশোর সপ্তাহে তিনবার অথবা তার বেশি ফাস্টফুড খায়, তাদের মধ্যে হাঁপানি রোগ, হে ফিভার ও ত্বকে লাল দাগ বেশি করে দেখা যায়৷ যারা ফলমূল ও শাকসবজি খায়, তাদের মধ্যে এই সম্ভাবনা কম৷
খাদ্য বিশ্লেষণ করেও অ্যালার্জির উৎস সম্পর্কে ইঙ্গিত পাওয়া যায়৷ হ্যামবার্গার, আলু ভাজার মতো খাবারে যে ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে, সেগুলিই সম্ভবত এর জন্য দায়ী৷ প্রো. গাব্রিয়েলে নাগেল বলেন, ‘‘বড় মাত্রায় ফ্যাট তৈরি করার সময় ট্রান্স ফ্যাটি অ্যাসিড সৃষ্টি হয়৷ ল্যাবে পরীক্ষায় তার প্রভাব শনাক্ত করা গেছে৷ খাদ্যের মধ্যে এনার্জি ডেনসিটিও আরেকটি কারণ৷ অর্থাৎ যে খাবারে সামগ্রিকভাবে উচ্চ মাত্রার ফ্যাট রয়েছে, সেগুলি হাঁপানি রোগ ও অ্যালার্জির লক্ষণ বাড়িয়ে দেয়৷''
অর্থাৎ সুস্থ খাদ্যাভ্যাস অ্যালার্জি এড়াতে সাহায্য করতে পারে৷ ডাক্তাররা একটি টিকাও তৈরি করার চেষ্টা করছেন৷ সেই লক্ষ্যে তারা উজ্জ্বল একটি সম্ভাবনার পথে এগোচ্ছেন৷
শিশুর অ্যালার্জি রোধে গর্ভবতী নারীর যা করণীয়
আজকাল কথায় কথায় নানা ধরনের অ্যালার্জির কথা শোনা যায়৷ তবে গর্ভবতী নারী কিছুটা সতর্ক হলে সন্তানের অ্যালার্জির ঝুঁকি অনেকটাই প্রতিরোধ করা সম্ভব৷
ছবি: Colourbox/Serhii Bobyk
সতর্ক হতে হবে শিশুর জন্মের আগেই!
জার্মানির ত্বক ও অ্যালার্জি বিশেষজ্ঞদের করা এক সমীক্ষা থেকে জানা গেছে, সন্তান জন্মের পর অনেক মা-বাবাই অ্যালার্জি সম্পর্কে আগ্রহী হয়ে উঠেন৷ এতে অবশ্য তেমন কোনো উপকার হয় না৷ কারণ সন্তানের অ্যালার্জির ঝুঁকি কমাতে হলে শিশুর জন্মের আগেই মা এবং বাবাকে সতর্ক হতে হবে৷ শিশুর জন্মের পরে নয়!
ছবি: Fotolia/Subbotina Anna
মা-বাবা
বাবা-মায়ের যদি অ্যাজমা, ফুলের রেণু থেকে অ্যালার্জি বা হে ফিভার, ধূলোবালি বা বিভিন্ন খাবারে অ্যালার্জি থাকে, তাহলে স্বাভাবিকভাবে তার সন্তানেরও সেই সব অ্যালার্জি হতে পারে৷ এছাড়া শিশুর মা এবং বাবা – দু’জনেরই যদি অ্যালার্জি থাকে, তাহলে তাঁদের সন্তানের অ্যালার্জি হওয়ার আশংকা থাকে আরো বেশি৷ জানান জার্মান বিশেষজ্ঞ এরহার্ড হাকলার৷
ছবি: BildPix.de/Fotolia
ধূমপান
গর্ভবতী হওয়ার সাথে সাথেই শিশুর মা এবং বাবার ধূমপান করা উচিত নয়৷ তাছাড়া জন্মের পর শিশু যতদিন মায়ের দুধ পান করে, এমনকি তার পরেও বাবা-মায়ের ধূমপান থেকে দূরে থাকা উচিত৷ বাড়িতে কেউ ধূমপান করলে তা শিশুর রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়তে বাধাগ্রস্ত করে৷ কারণ তখন অ্যাজমা বা শ্বাসনালীর মতো অন্যান্য অ্যালার্জি হওয়ার ঝুঁকি শিশুর মধ্যে বেশি থাকে৷
ছবি: Fotolia/ Gina Sanders
বিভিন্ন বাদাম, বেগুন, মাংস...
শিশু যতদিন মায়ের দুধ পান করে, অন্তত ততদিন শিশুর মাকে সুসম খাবার খেতে হবে৷ বাদাম, বেগুন বা গরুর মাংসের মতো খাবারে যদি মায়ের অ্যালার্জি থাকে, তাহলে সে সমস্ত খাবার থেকে মাকে দূরে থাকতে হবে অবশ্যই৷
ছবি: COLOURBOX
পোষা জীবজন্তু
যে বাড়িতে ছোট বাচ্চা থাকে, সেখানে পোষা জীবজন্তু রাখা ঠিক নয়৷ বিশেষ করে বেড়াল৷ কারণ বেড়াল শিশুর অ্যালার্জির জন্য খুবই ঝুঁকিপূর্ণ৷ পাখিও ঝুঁকিমুক্ত নয়৷ তবে কুকুরকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা গেলে, তারা তেমন ঝুঁকিপূর্ণ নয় বলে জানান বিশেষজ্ঞরা৷
ছবি: Fotolia/otisthewolf
বেবির ঘর
নতুন অতিথীর জন্য অনেক বাড়িই নতুন ফার্নিচার ও জিনিসপত্র দিয়ে সুন্দর করে সাজানো হয়৷ জার্মানিতে বেশিরভাগ পরিবারেই মেয়ে শিশু হলে তার জন্য সবকিছু গোলাপি আর ছেলের জন্য নীল রঙের জিনিস দিয়ে সাজানো হয়৷ অথচ কাঠের নতুন ফার্নিচার থেকেও শিশুর অ্যালার্জি হতে পারে৷ তাই ফার্নিচার কেনার সময় বিষয়টা পরিবারের সকলকে মনে রাখতে হবে, জানান ড. এরহার্ড হাকলার৷
ছবি: Colourbox/pitrs
ঘরে নতুন রং
শিশুর ঘর মনের মতো করে সাজাতে অনেকেই ঘরে নতুন রং করেন৷ কিন্তু রঙের মধ্যে থাকে নানা রকম ক্ষতিকর উপাদান, যা থেকে শিশুর অ্যালার্জি হওয়ার আশঙ্কা থাকে৷ তাই ঘরে যদি রং করতে হয়, তবে অবশ্যই পরিবেশবান্ধব রং ব্যবহার করা উচিত৷
ছবি: picture alliance/Denkou Images
মুক্ত বাতাস
দিনে তিনবার দশ মিনিট করে শিশুর ঘরের জানালা বড় করে খুলে দিতে হবে, যাতে ঘরে কোনোরকম গন্ধ না থাকে বা ফাঙ্গাস না পড়ে৷ এছাড়া বিছানার চাদর, বালিশ নিয়মিত পরিষ্কার করতে হবে৷ শিশুর মা-বাবা এবং পরিবারের সকলে এই নিয়মগুলো মেনে চললেই একমাত্র অ্যালার্জির ঝুঁকি থেকে শিশুকে দূরে রাখা সম্ভব৷