বুধবার রাতে হাঁসখালি থানায় পৌঁছেছে সিবিআই দল। বৃহস্পতিবার তাদের গ্রামে যাওয়ার কথা।
বিজ্ঞাপন
হাঁসখালিতে কি সত্যিই ভয়ের আবহ আছে? ধর্ষণ-কাণ্ডে পুলিশের ভূমিকা কী? এই সমস্ত প্রশ্ন সামনে রেখে বুধবার রাতে হাঁসখালিতে পৌঁছেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাসিবিআইয়ের একটি দল। চার সদস্যের দলে দুইজন নারী অফিসার আছেন। বৃহস্পতিবার নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে কথা বলার কথা তাদের।
রামপুরহাট-কাণ্ডে পুলিশকেও জেরা
রামপুরহাটের বগটুই গ্রাম কার্যত ঘিরে রেখেছে সিবিআই। চলছে একের পর এক জিজ্ঞাসাবাদ। গ্রেপ্তার আরও দুই।
ছবি: Satyajit Shaw/DW
বগটুইয়ে সিবিআই
বগটুইতে রীতিমতো সক্রিয় সিবিআই। বাড়ি বাড়ি ঢুকে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। সংগ্রহ করা হচ্ছে তথ্যপ্রমাণ।
ছবি: Satyajit Shaw/DW
এসডিপিও-কে জেরা
এলাকার সাবেক এসডিপিও-কে বুধবার প্রায় চার ঘণ্টা জেরা করেছেন সিবিআইয়ের অফিসাররা। প্রশাসনের উপর রাজনৈতিক চাপ কতটা, তা নিয়ে প্রশ্ন করা হয়েছে।
ছবি: Satyajit Shaw/DW
পুলিশকে জেরা
স্থানীয় থানার সাসপেন্ড হওয়া আইসি-কেও বুধবার জেরা করা হয়েছে। পুলিশকে কারা ফোন করে যেতে নিষেধ করেছিল, সে বিষয়ে তাকে প্রশ্ন করা হয়েছে।
ছবি: Satyajit Shaw/DW
আরো জেরার সম্ভাবনা
পুলিশের আরো উচ্চপদস্থ কর্তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হতে পারে বলে সিবিআই সূত্র জানিয়েছে। গোটা ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা খতিয়ে দেখতে চাইছে সিবিআই।
ছবি: Satyajit Shaw/DW
এখনো পর্যন্ত গ্রেপ্তার আট
বুধবারও দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এখনো পর্যন্ত এই ঘটনায় আটজনকে গ্রেপ্তার করা হলো। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে আটক ব্যক্তিরা পালিয়ে গিয়েছিল।
ছবি: Satyajit Shaw/DW
অনুব্রতের পাশে মুখ্যমন্ত্রী
বগটুই নিয়ে বিজেপি একটি ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং ফাইল বানিয়েছে। সেখানে এই ঘটনায় অনুব্রত মন্ডলের প্রত্যক্ষ যোগাযোগের কথা বলা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরাসরি সেই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে বলেছেন, বিজেপি সিবিআই-কে প্রভাবিত করার চেষ্টা করছে।
ছবি: Satyajit Shaw/DW
গ্রামে ফিরছেন সকলে
ঘটনার পর কার্যত মানুষশূন্য হয়ে গেছিল বগটুই গ্রাম। অনেকেই প্রাণের ভয়ে আত্মীয়দের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছিলেন। ঘটনার দিন রাতেই পরিস্থিতি আঁচ করে পুরুষরা পালিয়েছিলেন। একে একে সকলেই ফের গ্রামে ফিরছেন।
ছবি: Satyajit Shaw/DW
7 ছবি1 | 7
বুধবার রাতে হাঁসখালি থানার পুলিশের সঙ্গে প্রায় চার ঘণ্টা কথা বলেন সিবিআই অফিসাররা। তার আগে ঘটনার এফআইআর চেয়ে পাঠানো হয়। এফআইআর-এ কোন কোন ধারায় মামলা করা হয়েছে, সে বিষয়ে খতিয়ে দেখা হয়। সূত্র জানাচ্ছে, এফআইআর-এ খুন, ধর্ষণ, তথ্য প্রমাণের ধারা ঢুকিয়েছে সিবিআই। এই বিষয়গুলিকে সামনে রেখেই মামলা করা শুরু করা হয়েছে বলে সিবিআই-এর এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন।
তারা হাঁসখালির শ্মশান থেকে কয়েক টুকরো হাড় পেয়েছেন। সেগুলি ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। এই হাড় থেকেও মৃত্যুরহস্য সম্পর্কে বাড়তি তথ্য পাওয়ার আশা করছেন তদন্তকারীরা।
ঘটনার পাঁচদিন পর কেন পুলিশকে জানানো হলো, এই প্রশ্নটিরও অন্বেষণ করা হচ্ছে। নির্যাতিতার বাবা অভিযোগ করেছেন, তার বুকে বন্দুক ঠেকিয়ে মেয়ের মৃতদেহ শ্মশানে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। যাওয়ার সময় মৃতদেহটি মাদুরে জড়িয়ে ফেলা হয়েছিল। নির্যাতিতার এক দাদা সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, প্রতিদিন হুমকির মুখোমুখি হতে হচ্ছিল তাদের। গ্রামে সিবিআই চলে আসায় এখন অনেকটাই নিশ্চিন্ত বোধ করছেন তারা।