কোথাও এ ওষুধের পক্ষে চলছে প্রচার, আবার কোনো কোনো দেশ একে করছে নিষিদ্ধ ৷ কোভিড-১৯ এর চিকিৎসায় হাইড্রক্সিক্লোরোকুইনের ব্যবহার নিয়ে পৃথিবী দ্বিধাবিভক্ত হয়ে পড়েছে৷
বিজ্ঞাপন
বিশ্বজুড়ে মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়া নতুন করোনা ভাইরাস এরই মধ্যে ৩ লাখ ৭২ হাজারের বেশি মানুষের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে৷ আক্রান্ত হয়েছে প্রায় ৬৩ লাখ৷
এখনো এ রোগের টিকা বা উপশমে কার্যকর কোনো ওষুধ আবিষ্কৃত হয়নি৷ বিভিন্ন দেশে গুরুতর রোগীদের উপর কয়েকটি ওষুধের ‘ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল’ চলছে৷ যে ওষুধগুলোর একটি হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন৷ এটি মূলত ম্যালেরিয়ার ওষুধ৷
তবে এ ওষুধের গুরুতর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া আছে, বিশেষ করে হৃদপিণ্ডের গতি অস্বাভাবিক হয়ে যেতে পারে৷
যদিও ম্যালেরিয়ার চিকিৎসায় হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন নিরাপদ৷ এছাড়া, আর্থ্রাইটিসের চিকিৎসায়ও এ ওষুধ ব্যবহৃত হয়৷ কিন্তু কোভিড-১৯ এর চিকিৎসায় এর কার্যকারিতা এখনো প্রমাণিত নয়৷
কেন এ ওষুধ নিয়ে এত হইচই
করোনা ভাইরাস মহামারিতে বিশ্ব যখন দিশেহারা তখন অ্যামেরিকার প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প কোনো প্রমাণ ছাড়াই করোনায় চিকিৎসায় হাইড্রক্সিক্লোরোকুইনের সফলতার পক্ষে প্রচারে নেমে যান৷ এমনকি, মে মাসের প্রথম দিকে তিনি সংক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে নিজে হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন সেবনের দাবিও করেন৷ তার এ দাবির পর যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসক্রিপশনে এ ওষুধের ব্যবহার বেড়ে যাওয়ার খবর পাওয়া যায়৷
ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট জাইর বোলসোনারোও হাইড্রক্সিক্লোরোকুইনের কার্যকারিতার পক্ষে সাফাই গেয়ে একটি ভিডিও বানিয়েছিলেন৷ যদি পরে অনলাইন থেকে ভিডিওটি সরিয়ে নেওয়া হয়৷
করোনা: গুজব ও বাস্তবতা
করোনা ভাইরাস নিয়ে ভয় পাওয়াটা অস্বাভাবিক নয়৷ কিন্তু এই ভয়কে কাজে লাগিয়ে অনলাইনে ছড়িয়ে পড়ছে ভুয়া তথ্য, মিথ্যা সংবাদ৷ ডয়চে ভেলে চেষ্টা করছে বিশেষজ্ঞদের মত অনুসারে আপনাদের সঠিক তথ্য জানানোর৷
ছবি: picture-alliance/Photoshot/Xiao Yijiu
শিশুদের আশঙ্কা কি বেশি?
শিশুদের নিয়ে আলাদা করে কোনো আশঙ্কা নাই৷ যে কোনো বয়সের মানুষ আক্রান্ত হতে পারেন৷ আক্রান্তদের পাঁচ জনের চারজনের ওপর এই ভাইরাস সাধারণ ঠান্ডা-জ্বরের মতোই প্রভাব ফেলবে৷ এখন পর্যন্ত আক্রান্ত হওয়া রোগীদের বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে শিশু ও তরুণ বয়সিরা স্বাভাবিক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দিয়েই সংক্রমণ কাটিয়ে উঠতে পারেন৷ মধ্যবয়সিরা এতে আক্রান্ত হলেও পর্যাপ্ত সেবা ও চিকিৎসায় তাদেরও সেরে ওঠার সম্ভাবনা প্রায় শতভাগ৷
ছবি: Reuters/A. Jalal
কী খেলে ঠেকানো যাবে করোনা?
কোনো কিছু খেয়েই করোনা ঠেকানো যাবে না৷ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ঠিক রাখার জন্য সুষম খাবার এমনিতেই প্রয়োজন৷ অনলাইনে গুজব ছড়াচ্ছে৷ কেউ রসুন খাওয়ার কথা বলছেন, কেউ ব্লিচিং বা অন্য রাসায়নিক দ্রব্যের কথা বলছেন৷ রসুনে নানা উপাদান রয়েছে যা শরীরের জন্য ভালো৷ রসুন খেলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ বাড়াতে তা ভূমিকা রাখতে পারে৷ তবে ব্লিচিং বা অন্য রাসায়নিক শরীরে গেলে তা করোনা ভাইরাসের চেয়েও মারাত্মক পরিণতি ডেকে আনতে পারে৷
ছবি: AFP/C. De Souza
গরম বা ঠান্ডা পানি পান করা উচিত?
নিয়মিত পানি পান করলে শরীরের জন্য ভালো৷ কিন্তু ১৫ মিনিট পর পর গরম পানি পান করলে ভাইরাস মারা যাবে, এমন তথ্য সঠিক নয়৷ মুখে বা শরীরে একবার ভাইরাস প্রবেশ করলে কোনো খাবার বা পানীয় দিয়েই তা আটকানো যাবে না৷ শরীরের স্বাভাবিক রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা নিজেই এই ভাইরাসের সঙ্গে লড়াই করতে সক্ষম৷
ছবি: Colourbox/Haivoronska_Y
অ্যান্টিবায়োটিক বা কোনো ওষুধে কাজ হবে?
অ্যান্টিবায়োটিক ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের জন্য কার্যকর, ভাইরাসের জন্য নয়৷ কোনো কোনো ক্ষেত্রে অসুস্থ শরীরে ভাইরাসের পাশাপাশি ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণও হতে পারে৷ সেসব ক্ষেত্রে চিকিৎসক অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহারের পরামর্শ দিতে পারেন৷ এখনো নভেল করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিন বা প্রতিষেধক আবিষ্কার হয়নি৷ বিভিন্ন সংস্থা প্রতিষেধক আবিষ্কারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে৷ শিগগিরই হয়তো আসবে সুখবর৷
ছবি: imago/Science Photo Library
আবহাওয়া ও তাপমাত্রার কোনো প্রভাব রয়েছে?
এ বিষয়ে এখনো বিজ্ঞানীরা নিশ্চিত নন৷ পরীক্ষাগারে দেখা গেছে ৬০ থেকে ৭০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় ভাইরাস মারা যায়৷ কিন্তু এত উচ্চ তাপমাত্রা কোনো দেশেই থাকে না৷ অনেকে মনে করছেন গরম পানি দিয়ে স্নান করলে ভাইরাস থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে৷ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকা সবসময় জরুরি৷ কিন্তু প্রচণ্ড গরম পানি দিয়ে স্নান করলেই তা করোনা ভাইরাস থেকে বাঁচাবে, এমন তথ্য সঠিক নয়৷
ছবি: picture-alliance/dpa/D. Lipinski
থার্মাল স্ক্যানার দিয়ে কি করোনা ভাইরাস শনাক্ত সম্ভব?
থার্মাল স্ক্যানার দিয়ে শরীরে তাপমাত্রা বোঝা সম্ভব, ভাইরাসের উপস্থিতি নিশ্চত করা সম্ভব না৷ সেক্ষেত্রে কারো শরীরে জ্বর বা অন্য উপসর্গ দেখা দেয়ার আগ পর্যন্ত তার শরীরে ভাইরাসের উপস্থিতি বোঝা যাবে না৷ সাধারণত ভাইরাস শরীরে ঢোকার ১ থেকে ১৪ দিনের মধ্যে করোনা ভাইরাসের উপসর্গ দেখা দেয়৷ বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ৫ দিনের মধ্যেই তা টের পাওয়া যায়৷ তবে কোনো কোনো ক্ষেত্রে ১৪ দিনের পরও ভাইরাস শরীরে কর্মক্ষম থাকতে পারে৷
ছবি: Reuters/P. Mikheyev
টাকার মাধ্যমে কী করোনা ছড়ায়?
শরীরের বাইরে করোনা ভাইরাস কয়েক মিনিট থেকে কয়েক ঘণ্টা বেঁচে থাকতে পারে৷ ফলে আমদানি করা কোনো পণ্য বা চিঠির মাধ্যমে করোনা ভাইরাস ছড়ানোর আশঙ্কা নেই বললেই চলে৷ ময়লা টাকা থেকে যেকোনো জীবাণুই ছড়াতে পারে৷ ফলে টাকা লেনদেনের পর ভালো করে হাত ধুয়ে নেয়া উচিত৷ যত বেশি সম্ভব হাত-মুখ-নাক-কানে হাত নেয়া থেকে বিরত থাকতে হবে৷
ছবি: DW
মশা বা অন্য পশুর মাধ্যমে ছড়াতে পারে?
সার্স ভাইরাস ছড়িয়েছিল এক ধরনের বেড়াল থেকে৷ মার্স ছড়িয়েছিল উট থেকে৷ নভেল করোনা ভাইরাস কিভাবে ছড়ালো বিজ্ঞানীরা নিশ্চিত নন৷ ধারণা করা হচ্ছে, বাদুড় থেকে অন্য কোনো মাধ্যম হয়ে মানুষের মধ্যে এটি ছড়িয়েছে৷ তবে মশা বা অন্য কোনো প্রাণীর মাধ্যমে এটি আপনার মধ্যে ছড়াবে না৷ সতর্কতা হিসেবে মাছ-মাংস খাওয়ার আগে ভালোভাবে রান্না করতে হবে৷ অর্ধেক সিদ্ধ মাছ-মাংস বা পোচ করা ডিম থেকে যেকোনো জীবাণুই ছড়াতে পারে৷
ছবি: picture-alliance/blickwinkel/A. Rose
কিভাবে থাকবো নিরাপদ?
সবচেয়ে জরুরি হাত পরিষ্কার রাখা৷ সাবান দিয়ে হাত ভালো করে ২০ সেকেন্ড পরিষ্কার করতে হবে৷ যদি সাবান না থাকে, ব্যবহার করতে পারেন অ্যালকোহলযুক্ত হ্যান্ড স্যানিটাইজার৷ হাঁচি-কাশি দেয়ার সময় টিস্যু ব্যবহার করে তা ডাস্টবিনে ফেলুন, হাত ধুয়ে নিন৷ অথবা হাতের কনুইয়ে মুখ ঢাকুন৷ হাতের তালুতে হাঁচি-কাশি দিলে সেখান থেকে ভাইরাস ছড়িয়ে আক্রান্ত হতে পারেন অন্য়রা৷ হ্যান্ডশেক বা হাত মেলানো ও কোলাকুলি থেকেও বিরত থাকুন৷
ছবি: AFP/N. Almeida
আমি কী মারা যাবো?
করোনায় আক্রান্ত হলেই আপনি মারা যাবেন, এমন আশঙ্কা একেবারেই কম৷ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকার চেষ্টা করুন৷ চিকিৎসক ও বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ মেনে চলুন৷ অনলাইনে যা দেখবেন, সব বিশ্বাস না করে নির্ভরযোগ্য তথ্যের সন্ধান করুন৷ সাবান, স্যানিটাইজার নিজে কিনে জমিয়ে রাখবেন না৷ আপনি নিরাপদ থাকলেও আপনার আশেপাশের মানুষ নিরাপদ না থাকলে সহজেই তার কাছ থেকে ছড়াবে ভাইরাস৷ ফলে নিজে নিরাপদ থাকুন, অন্যদেরও থাকার সুযোগ দিন৷
ছবি: AFP/Getty Images/J. Moore
10 ছবি1 | 10
অথচ গত ২২ মে প্রকাশিত মেডিক্যাল জার্নাল দ্য লানসেট-র এক প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রায় এক লাখ কোভিড-১৯ আক্রান্তের উপর জরিপ চালিয়ে দেখা গেছে হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন ও ক্লোরোকুইন ব্যবহারে তাদের শরীরিক অবস্থার তেমন কোনো উন্নতি হয়নি৷ বরং ওই ওষুধে তাদের মৃত্যুর ঝুঁকি বেড়ে যায়৷
ওই প্রতিবেদন প্রকাশের পর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা হাইড্রক্সিক্লোরোকুইনের ‘ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল’ বন্ধ করার নির্দেশ দেয়৷ যদিও অনেক বিজ্ঞানী দ্য লানসেট-র জরিপ পদ্ধতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন৷ যার প্রেক্ষিতে জার্নালটি প্রতিবেদনের কিছু তথ্য সংশোধন করে৷ কিন্তু তাতেও বিতর্ক শেষ হয়নি৷
নানা দেশ ওষুধটি নিয়ে নিজেদের মত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করছে৷ শুরুতে ব্যবহার করলেও এখন ফ্রান্স, ইটালি, জার্মানি, সুইডেন, মিশর, তিউনিসিয়া, কলম্বিয়া, চিলি, এল সালভাদর, আলবানিয়া, বসনিয়া অ্যান্ড হার্জেগভিনাসহ কয়েকটি দেশ এ ওষুধের ব্যবহার স্থগিত করে৷ তবে চাইলে গুরুতর রোগীদের উপর পরীক্ষামূলক ব্যবহার করার অনুমতি আছে৷
আবার ব্রাজিল, আলজেরিয়া, মরক্কো, তুরস্ক, জর্ডান, রোমানিয়া, পর্তুগাল, কেনিয়া, সেনেগাল, চাড এবং রিপাবলিক অব কঙ্গো করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন ব্যবহারে রীতিমত উৎসাহ দিচ্ছে৷
থাইল্যান্ড, ভারত, ভেনেজুয়েলা, রাশিয়া, বাহরাইন, ওমান, সংযুক্ত আরব আমিরাত এখন এ ওষুধের ব্যবহার বন্ধ ঘোষণা করেনি৷ ইরান বলছে, সেখানে এখনো রোগীরা এই ওষুধের ব্যবহারে সুস্থ হচ্ছে৷
যুক্তরাষ্ট্রে শুধু হাসপাতালে করোনা রোগীদের চিকিৎসায় হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন ব্যবহার করার অনুমতি আছে৷ তবে একই সঙ্গে দেশটির খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসন এপ্রিলে এর ব্যবহারে হৃদপিণ্ডে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার বিষয়ে সতর্ক করেছে৷
দ্য লানসেট-র প্রতিবেদন প্রকাশের পর ফ্রান্স, জার্মানি ও ডেনমার্কসহ কয়েকটি দেশে গবেষণাগারে হাইড্রক্সিক্লোরোকুইনের পরীক্ষা বন্ধ করা হয়েছে৷ কোথাও কোথাও এখনো চলছে৷
এসএনএল/কেএম (এএফপি)
করোনা কালে পাল্টে যাচ্ছে জার্মানদের খাদ্যাভ্যাস
রেস্তোরাঁ বন্ধ থাকায় আর বাড়ি থেকে অফিসের কাজ করতে হয় বলে জার্মানদের রান্না ও খাওয়ার অভ্যাসে পরিবর্তন এসেছে৷ এর প্রভাব কি দেশটির খাদ্য উৎপাদন ও খাদ্য গ্রহণ প্রক্রিয়ায়ও পড়তে যাচ্ছে?
ছবি: imago images/photothek/T. Tritschel
ঘরে রান্না বেড়েছে
কোভিডে-১৯-এর কার্যকর চিকিৎসা না থাকায় শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাই লড়াইয়ের বড় অস্ত্র৷ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে চাই তাজা ও পুষ্টিকর খাবার৷ এজন্য জার্মানরা ঘরে রান্না খাবারের দিকে ঝুঁকেছেন৷
প্রতি চার জনে এক জন জার্মান আগের তুলনায় এখন রান্না ঘরে বেশি সময় দিচ্ছেন৷ এক জরিপে দেখা গেছে, ১৮ শতাংশ জার্মান স্বাস্থ্যকরভাবে খাবার রান্না করতে, ৭০ শতাংশ আরো বেশি তাজা সবজি ও সালাদ খেতে এবং ৪৮ শতাংশ নিরামিষ খাবার খেতে নিজেই রান্না করছেন৷
ছবি: picture-alliance/dpa/F. May
টান পড়েছে ময়দা ও ইস্টে
জরিপে অংশ নেওয়া ৩৮ শতাংশ জার্মান বলেছেন, তারা এখন আগের তুলনায় বাড়িতে অনেক বেশি রুটি বানাচ্ছেন৷ ফলে সুপারশপগুলোতে মাঝেমধ্যেই ময়দা ও ইস্ট পাওয়া যাচ্ছে না৷
ছবি: picture-alliance/dpa/Aldi Süd
মাংস খাওয়া কমছে?
যদিও গত কয়েক বছর ধরে জার্মানদের মধ্যে মাংস খাওয়ার প্রবণতা কমতে শুরু করেছে৷ বিশেষ করে তাদের প্রিয় শূকরের মাংস৷ ২০২০ সালের এক জরিপে দেখা গেছে, বিশেষ করে পুরুষদের মধ্যে প্রতিদিনের প্রোটিনের চাহিদা পূরণে মাংস খাওয়া কমছে৷
ছবি: picture alliance/dpa/P. Seeger
তরুণরা মাংসের বিকল্পে ঝুঁকছে
জার্মান তরুণরা প্রোটিনের চাহিদা মেটাতে মাংসের বিকল্প খাবারে আগ্রহী হয়ে উঠছে৷ তাদের মাঝে কৃত্রিম (ভেগান) মাংস বা পোকামাকড় থেকে তৈরি খাবার জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে৷
ছবি: Imago Images/Panthermedia
শরীরচর্চা বেড়েছে
করোনা কালে শরীর ঠিক রাখতে খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তনের পাশাপাশি জার্মানরা সাইকেল চালানো ও যোগ ব্যায়ামেও মনযোগী হয়ে উঠেছে৷