1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

অত্যাধুনিক ট্যাবলেট!

১৮ মার্চ ২০১৪

হাইতি৷ নাম শুনলেই চোখে ভাসে অতীতের কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ, রাজনৈতিক অস্থিরতার চিত্র বা দারিদ্রপীড়িত কিছু মানুষের মুখ৷ ক্যারিবীয় এই দেশটি এখন সংবাদ শিরোনামে এসেছে অন্য কারণে৷ হাইতিতে তৈরি হচ্ছে অত্যাধুনিক ট্যাবলেট!

ছবি: picture-alliance/dpa

হাইটেক প্রযুক্তির এ যুগে বিজ্ঞান-প্রযুক্তির অগ্রগতিতে আফ্রিকা বা ক্যারিবীয় কোনো দেশ উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখছে, এমন খবর কমই শোনা যায়৷ অর্থনীতির মতো, এসব দেশের বিজ্ঞান-প্রযুক্তিও পরমুখাপেক্ষী৷ বিদেশি সাহায্য ছাড়া দেশ অচল, নিত্যব্যবহার্য সব পণ্যের জন্যও বাইরের জগতের দিকেই হাত বাড়াতে হয় তাদের৷ তবে ক্যারিবীয় অঞ্চলের তৃতীয় বৃহত্তম দেশ হাইতিতে এবার লেগেছে পরিবর্তনের হাওয়া৷ রাজধানী পোর্ট অফ প্রিন্সে এখন তৈরি হচ্ছে নানা ধরণের ট্যাবলেট৷ দেশের সীমানা ছাড়িয়েও ছড়িয়ে পড়ছে কম দামি এই ট্যাবলেটের চাহিদা৷ চাহিদা পূরণ করতে প্রতিমাসে তৈরি করা হচ্ছে ৪ থেকে ৫ হাজার ট্যাবলেট৷ ‘স্যুরট্যাব' বা ‘শিওরট্যাব' নামটি বিশ্বময় ছড়িয়ে পড়তে বোধহয় আর বেশি বাকি নেই৷

এতদিন হাইতির নাম বললে শুধুই মনে পড়তো দারিদ্র্যপীড়িত এমন কিছু মুখছবি: Hans-Ulrich Dillmann

ফরাসি শব্দ ‘স্যুর' আর ট্যাবলেট-এর প্রথম অংশ ‘ট্যাব' মিলিয়ে হাইতির এই ট্যাবলেটটির নাম রাখা হয়েছে ‘স্যুরট্যাব'৷ ‘স্যুর' শব্দের অর্থ নিশ্চিত৷ তাই ইংরেজিতে বললে নামটা হয়ে যায় ‘শিওরট্যাব'৷ অর্থাৎ এই ট্যাবলেট কেনা মানেই ক্রেতার মুখে নিশ্চিত প্রশান্তির হাসি৷ মাত্র ১০০ ডলার দামের ৫১২ মেগাবাইটের ট্যাবলেট থেকে শুরু করে ২৮৫ ডলারের ২ গিগাবাইট ক্ষমতাসম্পন্ন থ্রি-জি মডেলের ট্যাবলেট – সবই এখন তৈরি হচ্ছে হাইতিতে৷ চীন বা যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি আইফোন বা ট্যাবলেট কেনার ক্ষমতা যাঁদের নেই, যাঁরা দেশি পন্য কিনতে পারলে সত্যি সত্যিই খুশি হন, তাঁদের জন্য ‘স্যুরট্যাব' বা ‘শিওরট্যাব' সত্যিই দারুণ এক সুখবর৷

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক উন্নয়ন সংস্থা ইউএসএইড-এর কাছ থেকে মাত্র ২ লক্ষ ডলার অর্থসহায়তা নিয়ে কাজ শুরু করে এই ‘শিওরট্যাব'৷ তাদের লক্ষ্য, যেসব দেশে অতিরিক্ত দামের কারণে বিখ্যাত সব ব্র্যান্ডের আইফোন বা ট্যাব ভালো চলে না, সেইসব দেশের বাজার দখল করে নেয়া৷ সেই লক্ষ্যে পোর্ট অফ প্রিন্সের একটি ভবনে অক্লান্ত পরিশ্রম করে চলেছেন ‘শিওরট্যাব'-এর কর্মীরা৷ কর্মীদের বেশিরভাগই নারী৷ প্রতি ৩৫ মিনিট থেকে এক ঘণ্টার মধ্যে তাঁদের প্রত্যেকেই তৈরি করছেন একটা করে ট্যাবলেট৷ সেই ট্যাবলেট যাচ্ছে স্থানীয় বাজারে, সরকারি অফিস-আদালতে৷ দেশের বাইরেও ধীরে ধীরে ছড়িয়ে পড়ছে ‘শিওরট্যাব'-এর চাহিদা৷ কেনিয়ার একটি বিশ্ববিদ্যালয় ৬৫০টি ‘শিওরট্যাব' ডিভাইস কেনার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করেছে৷

এখন হাইতিতেও তৈরি হচ্ছে এমনই উচ্চমানের ট্যাবছবি: picture-alliance/dpa

‘শিওরট্যাব'-এর এমন সাফল্যে কর্মীরা খুব খুশি৷ ২২ বছর বয়সি তরুণী সার্জিন ব্রাইস জানালেন ক'দিন আগেও সবাই মনে করতো, হাইতির মানুষ খুব ভালো কোনো কাজে চমক সৃষ্টি করতে পারে না৷ তবে সার্জিন তারপরই জানিয়েছেন যে, মানুষের মনে ধীরে ধীরে পরিবর্তন আসছে৷ তিনি বললেন, ‘‘(আমি ট্যাবলেট তৈরি করতে পারি) শুরুতে এটা কেউ বিশ্বাস করতে চাইছিল না৷ সবাই প্রশ্ন করতো, ট্রাবলেট তৈরি হয় হাইতিতে! কী বলছো তুমি! সবার ধারণা, হাইতিয়ানরা ভালো কিছু করতে পারেন না৷ কিন্তু আমরা প্রমাণ করেছি, হাইতির মানুষের বহু কিছু করার ক্ষমতা আছে৷ যুক্তরাষ্ট্র বা চীনের মতো আমাদেরও অনেক কিছু করার ক্ষমতা সত্যিই আছে৷''

এসিবি/ডিজি (রয়টার্স, এপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ