1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

হাইতির পুনর্গঠনে প্রয়োজন সাড়ে ১১ বিলিয়ন ডলার

১৮ মার্চ ২০১০

হাইতির সরকার বুধবার বলেছে, গত জানুয়ারীতে ভয়াবহ ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত দেশটির পুনর্গঠনে প্রায় সাড়ে ১১ বিলিয়ন ডলার প্রয়োজন হতে পারে৷ দেশটির সরকারী কর্মকর্তারা বলছেন, এটি একটি খসড়া অনুমান৷

ভূমিকম্পের পর রাজধানী পোর্ট অব প্রিন্সছবি: AP

পর্যটনমন্ত্রী পেট্রিক ডেলাটুর বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেছেন, এটি কোনো চুড়ান্ত বিষয় নয়, এটি কেবল একটি প্রক্রিয়ার শুরু৷ তিনি বলেন, পুরোপুরি পুনর্গঠন করতে প্রায় ১৪ বিলিয়ন ডলার প্রয়োজন হতে পারে৷

এদিকে আন্তর্জাতিক সাহায্য সংস্থাগুলোর সহায়তায় হাইতির পুনর্গঠনে একটি পরিকল্পনা প্রণয়ন করা হয়েছে৷ আগামী ৩১শে মার্চ হাইতির পুনর্গঠন নিয়ে যে আন্তর্জাতিক সম্মেলন হবে সেখানে এই পরিকল্পনাটি তুলে ধরা হবে বলে জানা গেছে৷ নিউইয়র্কে সম্মেলনটি হবার কথা রয়েছে৷

সম্মেলনের জন্য তৈরি করা পরিকল্পনাপত্রের হিসেব অনুযায়ী, ভূমিকম্পে মোট ধ্বংসযজ্ঞের আর্থিক পরিমাণ প্রায় আট বিলিয়ন ডলার, যা হাইতির জিডিপির ১২০ শতাংশ৷ এর মধ্যে প্রায় ৭০ শতাংশ ক্ষতিগ্রস্ত অবকাঠামোর মালিক বেসরকারী খাত৷ ভূমিকম্পে স্কুল, হাসপাতাল, রাস্তা, ব্রিজ, বন্দর, বিভিন্ন ভবন ও বিমানবন্দরসহ অন্যান্য বহু অবকাঠামো ধ্বংস হয়ে গেছে৷

এখনো অনেকে অস্থায়ীভাবে নির্মিত এধরণের ক্যাম্পে বাস করছেছবি: picture-alliance/ dpa

ভূমিকম্পটি হাইতিতে একটি অপ্রত্যাশিত পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে বলে পরিকল্পনাপত্রে মন্তব্য করা হয়েছে৷ এর কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, ভূমিকম্পটি দেশটির সবচেয়ে জনবহুল এবং অর্থনৈতিক ও প্রশাসনিকভাবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চলে আঘাত এনেছিল৷

স্বল্প মেয়াদী পরিকল্পনার অংশ হিসেবে সবার আগে গৃহহীন মানুষদের জন্য জরুরীভিত্তিতে একটি ব্যবস্থা গ্রহণ করার কথা বলা হয়েছে৷ কারণ আগামী মাস থেকেই বর্ষাকাল শুরু হচ্ছে এবং জুন থেকে শুরু হবে হারিকেনের মরশুম৷

উল্লেখ্য, ঐ ভূমিকম্পে প্রায় দুই লক্ষ ২০ হাজার লোক নিহত হয়েছে বলে ধারণা করা হয়৷ আরও প্রায় সমান সংখ্যক লোক এখনো রাজধানী পোর্ট অব প্রিন্সে অস্থায়ীভাবে নির্মিত ক্যাম্পে বসবাস করছে, যে অঞ্চলটি অতিরিক্ত বন্যা ও ভূমিধ্বসপ্রবণ৷

এদিকে যুক্তরাষ্ট্র ও হাইতির দুটি কোম্পানি যৌথ উদ্যোগে বেসরকারীখাতে পরিচালিত হাইতির সবচেয়ে বড় বন্দরটি উন্নয়নের ঘোষণা দিয়েছে৷ এর জন্য ৭০ মিলিয়ন ডলার ব্যয় হবে বলে জানা গেছে৷ উল্লেখ্য, ভূমিকম্পের পর এখন পর্যন্ত বেসরকারী খাতে নেয়া এটাই সবচেয়ে বড় প্রকল্প, যেটি বাস্তবায়িত হতে তিন থেকে পাঁচ বছর লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন প্রকল্পের একজন মুখপাত্র৷

উল্লেখ্য, হাইতির পুনর্গঠন কাজ এগিয়ে নিয়ে যাবার জন্য বন্দরটি সংস্কার করা খুবই প্রয়োজন বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা৷

এদিকে ভূমিকম্পের পর হাইতির যে ৩৩ জন শিশুকে অনাথ বলে কয়েকজন মার্কিন মিশনারী নিয়ে যেতে চেয়েছিল তাদের সবারই মা-বাবা রয়েছে বলে জানা গেছে৷ বুধবার শিশুরা তাদের পরিবারের সাথে পুনরায় মিলিত হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে৷

প্রতিবেদক: জাহিদুল হক

সম্পাদনা: সাগর সরওয়ার

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ