হাইনৎসে’এর গোলে জিতলো আর্জেন্টিনা
১২ জুন ২০১০এই তিন তারকাকে পেছনে ফেলে আর্জেন্টিনার পক্ষে একমাত্র গোলটি করেছেন রক্ষণভাগের খেলোয়াড় গাব্রিয়েল হাইনৎসে৷ খেলা শুরুর ৬ মিনিটে ইয়ুন ভেরন-এর কর্নার কিকটি'কে অসাধারণ হেডে গোলে জড়াতে একটুও বিলম্ব করেননি তিনি৷ অথচ ৩২ বছর বয়সী হাইনৎসে আগের বিশ্বকাপে জার্মানির বিরুদ্ধে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ খেলায় ছিলেন সাইডলাইনে৷ আর তাই, এবার ক্ষোভটা ভালোই মিটিয়েছেন তিনি৷
সারা মাঠ চষে বেড়ানো লিওনেল মেসি প্রথমার্ধে কয়েকটি গোলের চেষ্টা করেন৷ ১৮ মিনিটের মাথায় তাঁর অসাধারণ শট ফিরিয়ে দেন নাইজেরিয়ার গোলরক্ষক ইনিয়ামা৷ এরপর খেলার ৩৭ থেকে ৪০ মিনিটের মধ্যে পর পর কয়েকটি আক্রমণ চালান মেসি৷ তবে, কোনটিই শেষ পর্যন্ত গোলের নেটে জড়ায় নি৷ ৬৫ মিনিটের মাথায় তেভেজের দেয়া পাস থেকে শট নেন মেসি৷ কিন্তু গোলের মাত্র কয়েক ইঞ্চি দূর থেকে মাটি ঘেঁষে মাঠ ছাড়ে সেই বল৷
ও হ্যাঁ, মেসি কিন্তু খেলায় পেয়েছেন সবচেয়ে স্বাধীনতা৷ অর্থাৎ আক্রমণভাগ বা মাঝ মাঠ, ডান কিংবা বাম যেখানে খুশি সেখানে খেলো, কিন্তু সেরা খেলাটাই দাও – এমনটাই নির্দেশনা ছিল কোচ মারাদোনার৷
এদিকে তারকায় ঠাসা আর্জেন্টিনার বিরুদ্ধে তেমন একটা সুবিধা করতে পারেনি নাইজেরিয়া৷ দলের তারকা ওবাসি ১৪ মিনিটের মাথায় গোল শোধের একটু সুযোগ পেলেও তা কাজে লাগাতে পারেননি৷ এরপর ৭১ মিনিটের মাথায় টাইয়োর মাটি ঘেঁষা শট আর্জেন্টিনার রক্ষণভাগকে ধোঁকা দেয়, পার করে গোলরক্ষককেও কিন্তু গোল পোস্টের গা ঘেঁষে মাঠের বাইরে চলে যায় সেটি৷ এই ম্যাচে নাইজেরিয়া দলের ভালো খেলোয়াড় বলতে গোলরক্ষক ইনিয়ামা৷ মেসির কয়েকটি চেষ্টাই গোলের মুখ দেখেনি তাঁর কল্যাণে৷
জোহানেসবার্গের এলিস পার্কে খেলা চলাকালে সাইডলাইনে বেশ ভদ্রবেশে ছিলেন কোচ মারাদোনা৷ বিশ্বকাপ শুরুর আগে তাঁর অসংলগ্ন আচরণ আলোচনার ঝড় তুললেও, এবার ধূসর রঙের স্যুট-টাই পড়া মারাদোনা ছিলেন বেশ শান্ত৷ তবে, দলের জয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশে কোন কার্পণ্য করেননি তিনি৷
প্রতিবেদন: আরাফাতুল ইসলাম
সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন