এদেশে ‘হাউসওয়াইফ', জার্মানে যাকে বলে ‘হাউসফ্রাউ' – চিরকালই একটি পেশা ও ‘ফুলটাইম জব', যদিও পারিশ্রমিক ছাড়াই৷ আজও জার্মানিতে ফুলটাইম গৃহিণীদের কোনো অভাব নেই – তবে সেটা অর্থনৈতিক চাপে, সামাজিক চাপে নয়৷
বিজ্ঞাপন
আমার অতি প্রিয় ও পরিচিত জার্মান বন্ধুবান্ধবদের মধ্যে প্রথমেই যে দু'জন ‘হাউসফ্রাউ' বা গৃহিণীর নাম করতে হয়, তাঁদের একজন ছিলেন স্থাপত্যবিদ্যায় ডক্টরেট, অন্যজন নিজেই ডাক্তার৷ এই দু'জন মহিলার মধ্যে প্রথমজনের স্বামী ছিলেন আইনের অধ্যাপক, দ্বিতীয়জনের স্বামী বনবিভাগের কর্মকর্তা৷ দু'টিই স্বচ্ছল পরিবার৷ প্রথম মহিলার চার সন্তান, দ্বিতীয়জনের তিন৷ দুই মহিলাই জ্ঞানতভাবে বাড়িতে থেকে ‘ছেলে মানুষ করার' সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন৷ এটা ছিল তাঁদের – ও তাঁদের স্বামীদের – ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত, সমাজের চাপ এখানে কোনো ভূমিকা পালন করেনি৷
ইউরোপের ইতিহাস ঘাঁটলেই বোঝা যায় যে, সব দেশের সমাজই বস্তুত আধুনিকতার দিকে এগোচ্ছে; একমাত্র প্রশ্ন হলো, কোন হারে ও কোন পথে? ধরতে গেলে, সব দেশের সমাজ যেন রেলের গাড়ি; দুনিয়া জুড়ে এই রেলগুলো চলেছে মেন লাইন, কর্ড লাইন, লুপ লাইন, নানা লাইন ধরে, নানা গতিতে, নানা ইস্টিশানে থেমে কিংবা না থেমে৷ কিন্তু শেষমেষ সব সমাজই যেখানে গিয়ে পৌঁছাবে, সেই টার্মিনাসটির নাম হবে নারীমুক্তি, নারী-পুরুষের সমতা৷ জার্মানির মতো শিল্পোন্নত দেশও এখনও পর্যন্ত সেই টার্মিনাসে পৌঁছায়নি৷ তাই ‘হাউসফ্রাউ' কথাটাও কিছু তামাদি হয়ে যায়নি৷
একজন গৃহিণীর কাজের মূল্য কত?
স্যালারি ডট কম-এর ২০১৩ সালের পরিসংখ্যান বলছে, যুক্তরাষ্ট্রে প্রত্যেক গৃহিণী, অর্থাৎ যাঁরা চাকরি করেন না, এমন মায়েরা সপ্তাহে গড়ে ৯৪ ঘণ্টা কাজ করেন৷ গাড়ি চালক, মনোবিজ্ঞানী এবং অন্য অনেকের কাজের চেয়ে যা প্রায় দ্বিগুণ৷
ছবি: picture-alliance/blickwinkel/McPhoto
বাড়তি কাজ, বাড়তি বেতন
এক সপ্তাহে একজন চিকিৎসক ৫৬ ঘণ্টা কাজ করলে মাসে পান ১ লাখ ৫৩ হাজার মার্কিন ডলার৷ সেই অনুযায়ী গৃহিণীদের সপ্তাহে ৯৪ ঘণ্টা কাজের হিসেবে বছরে কত বেতন হওয়া উচিত? স্যালারি ডট কম বলছে, গৃহিণীরা ৯টা থেকে ৫টা কাজের বাইরে সপ্তাহে যে অতিরিক্ত ৫৮ ঘণ্টা খাটেন, সেটা হিসেব করলে তাদের বাড়তি বেতন হওয়া উচিত বছরে ৬৭,৪৩৬ মার্কিন ডলার৷
রান্না করা
একজন গৃহিণীকে সপ্তাহে কমপক্ষে অন্তত ১৪ ঘণ্টা রান্না করতে হয়৷ ঘণ্টায় ৯ দশমিক ০৩ মার্কিন ডলার হিসেব করলে বছরে কেবল রান্নায় তাঁদের আয় হওয়া উচিত ৬,৫৭০ ডলার৷
ছবি: picture-alliance/dpa/J. Woitas
গাড়ি চালানো
একজন গৃহিণী সন্তানকে স্কুলে দেয়া, বাজার করাসহ বিভিন্ন কাজে সপ্তাহে ৯ ঘণ্টা গাড়ি চালান৷ ঘণ্টায় ১৩ দশমিক ৮৫ ডলার হিসেবে বছরে সেই কাজের পারিশ্রমিক দাঁড়ায় ৬,৪৮২ মার্কিন ডলার৷
ছবি: Colourbox
সন্তানদের পড়ালেখায় সাহায্য করা
সন্তানদের পড়ালেখায় একজন মা সপ্তাহে ১০ ঘণ্টা সময় দেন বলে স্যালারি ডট কমের জরিপে উঠে এসেছে৷ একজন শিক্ষিকার বেতন হিসেবে ঘণ্টায় ১৮ দশমিক ২৩ ডলার হিসেব করলে বছরে সেই কাজের পারিশ্রমিক দাঁড়ায় ৭,২৯০ ডলার৷
যুক্তরাষ্ট্রে স্যালারি ডট কম যে ৬ হাজার মায়ের উপর জরিপ করেছেন, তারা জানিয়েছে সপ্তাহে গড়ে ৪০ ঘণ্টা সন্তানের যত্নে সময় দেন৷ ঘণ্টায় ৯ দশমিক ৬৫ ডলার করে হিসেব করলে এর জন্য তারা পারিশ্রমিক পেতে পারেন ২০ হাজার ডলার৷
ছবি: picture-alliance/Agencia Estado
ঘর পরিষ্কার করা
সপ্তাহে ১০ ঘণ্টা ঘর পরিষ্কারে ব্যয় করেন গৃহিণীরা৷ ঘণ্টায় ৯ দশমিক ৮৮ ডলার করলে বছরে যা দাঁড়ায় ৫,১৩৫ ডলার৷
ছবি: Konstantin Yuganov - Fotolia.com
বাড়ির বাজার করা
সপ্তাহে ৩ ঘণ্টা যদি গৃহিণীরা বাজার-সদাইয়ে ব্যয় করেন, তাদের পামিশ্রমিক ঘণ্টায় ১০ ডলার করে ধরলে বছরে দাঁড়ায় ১,৬৯৬ ডলার৷
ছবি: Fotolia/G. Sanders
আয়-ব্যয়ের হিসাব রাখা
সপ্তাহে আধা ঘণ্টা করে এ কাজে সময় দেন গৃহিণীরা৷ ঘণ্টায় এ কাজের জন্য তাদের যদি ২৪ দশমিক ৯০ ডলার দেয়া হয় বছরে দিতে হবে ৬৪৭ ডলার৷
ছবি: picture-alliance/dpa/J. Kalaene
অন্যান্য কাজ
বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে গৃহিণীদের স্বামী, ও পরিবারের অন্য সদস্যদের জন্যেও কাজ করতে হয়৷ স্বামীর টিফিন প্রস্তুত করা, অফিসে যাওয়ার তার কাপড়-চোপড় প্রস্তুত রাখা এসব৷
ছবি: picture alliance/zb/H. Wiedl
বাংলাদেশের গবেষণা
সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ বলছে, একজন নারী প্রতিদিন গড়ে ১২ দশমিক ১টি কাজ করেন৷ পুরুষদের ক্ষেত্রে এ কাজের গড় সংখ্যা ২ দশমিক ৭৷ গবেষণা বলছে, বাংলাদেশের নারীদের বার্ষিক মজুরিবিহীন গৃহকাজের অর্থনৈতিক মূল্য প্রায় ১ লাখ ১১ হাজার ৫৯২ কোটি টাকা৷ বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান ‘উন্নয়ন অন্বেষণ’ প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এই চিত্র উঠে এসেছে৷
ছবি: AP
10 ছবি1 | 10
সমাজ ও প্রযুক্তিতে পরিবর্তন আনে যুদ্ধ; বলা যায়, যত বড় সংঘাত, তত বড় পরিবর্তন৷ দুই বিশ্বযুদ্ধের ধাক্কায় ইউরোপে নারীমুক্তি আন্দোলন যেখানে পৌঁছেছে, যুদ্ধ ছাড়া তা সম্ভব হতো কি? জার্মানিতেই তো মহিলাদের সম্পর্কে বলা হতো, তারা ‘কিন্ডার, ক্যুশে, কির্শে' নিয়ে ব্যস্ত থাকবেন, অর্থাৎ ‘ছেলেপিলে, রান্নাঘর আর গির্জা' হবে তাঁদের জীবনের পরিধি বা উপজীব্য৷
যুদ্ধ এসে পড়লে দেখা গেল, অস্ত্র উৎপাদন তো বটেই, অন্যান্য শিল্পেও শ্রমিক কম পড়ছে, কেননা পুরুষরা সকলে যুদ্ধে গেছেন৷ কাজেই মহিলাদের কারখানায় কাজ করা শুরু হলো৷ যুদ্ধের পর পশ্চিম জার্মানিতে ঐ মহিলারাই আবার নামলেন পুনর্নির্মাণের কাজে: প্রখ্যাত ‘ট্র্যুমারফ্রাউয়েন'-দের কথা মনে করুন, যাঁরা বার্লিন বা কোলনের মতো যুদ্ধবিধ্বস্ত শহরে ফুটপাথ থেকে ভাঙা ইট-কাঠ-পাথর সরিয়ে নতুন করে দেশ গড়ার কাজ শুরু করেছিলেন৷
ওদিকে পুবে তখন কমিউনিস্ট পূর্ব জার্মানি৷ কমিউনিজমে নারী-পুরুষ সকলেই কমরেড, সকলেই কর্মী – অন্তত তত্ত্বগতভাবে৷ কাজেই ট্র্যাক্টর কে চালাচ্ছেন বা রেলের গার্ড কে হচ্ছেন, তিনি পুরুষ না মহিলা, এ হিসেব-নিকেশটা পূর্ব জার্মানিতে কম ছিল৷ মহিলাদের বিভিন্ন ‘পুরুষালি' পেশায় কাজ করাতে গেলে, তাঁদের ছোট ছোট ছেলেমেয়েদের জন্য ক্রেশ থেকে শুরু করে কিন্ডারগার্টেন, সারাদিনের স্কুল, স্কুলে দুপুরের খাওয়া ইত্যাদির ব্যবস্থা করতে হবে৷ করাও হয় তাই – যে কারণে আজও জার্মানির পূর্বাঞ্চলে, অর্থাৎ সাবেক পূর্ব জার্মানির রাজ্যগুলিতে কিন্ডারগার্টেনে সিটের কোনো অভাব নেই৷ যে পূর্ব জার্মানিতে জন্মের হার কমছে, তার উপর আবার লোক পালাচ্ছে পশ্চিমে, সেখানে মহিলাদের ‘হাউসফ্রাউ' করে বসিয়ে রাখাটা একটা বিলাস৷ পূর্ব জার্মানি সে পথ মাড়ায়নি৷
পশ্চিমে যতদিন সমৃদ্ধি শুধু বাড়তে থেকেছে, যতদিন একজনের একার উপার্জনে ভালোমতো সংসার চলে গেছে, ততদিন মহিলারা বাড়িতে থেকে শুধুমাত্র গৃহিণীর ভূমিকা পালন করতে পেরেছেন৷ আজ দেখা যাচ্ছে, একার রোজগারে ভালোভাবে সংসার চালানোর ক্ষমতা খুব কম মানুষেরই আছে; কাজেই স্বামী-স্ত্রী দু'জনকেই কাজ করতে হবে, রোজগার করতে হবে; কাজেই পশ্চিমেও এখন আরো বেশি ক্রেশ ও কিন্ডারগার্টেন গড়ার ধুম উঠেছে; কথা চলছে, অধিকাংশ স্কুল সারাদিন খুলে রেখে, ছাত্রছাত্রীদের দুপুরে খাওয়ার ব্যবস্থা করে মায়েদের – পক্ষান্তরে বাবাদের খানিকটা স্বস্তি দিলে কেমন হয়? যে দেশে দীর্ঘমেয়াদি সূত্রে মোট জনসংখ্যা কমতে চলেছে; যে দেশে মানুষজনকে ৭০ বছর বয়স অবধি কাজ করানোর পরিকল্পনা করা হচ্ছে, সে দেশে গৃহিণীর ধারণাটাই উঠে যাওয়ার কথা, নয় কি?
না, উঠে যাবে নয়, কেননা গৃহ থাকবে, গৃহকর্ম থাকবে৷ কিন্তু আজকের দুনিয়ায় সংসার চালানো বা সন্তান প্রতিপালন স্বামী-স্ত্রীর জয়েন্ট স্টক কোম্পানির কাজ৷ এ দেশে পুরুষরাও আজকাল ‘পেটার্নিটি লিভ' নিয়ে থাকেন৷ জার্মান রাজনীতির অতি পরিমাণে রক্ষণশীল কিছু আনাচে-কানাচে আজও ‘শুধুমাত্র গৃহিণীর' সেই অতীত সুখস্বপ্ন উঁকিঝুঁকি মারলেও, জার্মান জনগণ আজ জানেন ও মেনে নিয়েছেন যে, নারী-পুরুষের সমান শিক্ষা, পেশা অবলম্বনের অধিকার, ক্যারিয়ার করার অধিকার – এটাই স্বাভাবিক৷
তার মধ্যে যদি বাভেরিয়ার খ্রিষ্টীয় সামাজিক দলের ভাবুকরা ‘ম্যুটাররেন্টে' বা ‘মায়ের অবসরভাতা' নিয়ে লড়ে যান, তবে সেটা অতীতের সেই সব মায়েদের অর্জনকে স্বীকৃতি জানানো ছাড়া আর কিছু নয়, কেননা...
গৃহিণী ও গৃহস্থের মধ্যে ফারাকটা যে কখন উধাও হয়ে গেছে, সেটা কেউ খেয়াল করেননি৷
এ বিষয়ে আপনার কোন মতামত থাকলে লিখুন নীচে মন্তব্যের ঘরে৷
যেসব ক্ষেত্রে মেয়েরা ছেলেদের চেয়ে পারদর্শী
৮ই মার্চ আন্তর্জাতিক নারী দিবস৷ বহু ক্ষেত্রে নারীর সমাধিকার নিশ্চিত হয়নি ঠিকই, কিন্তু কিছু ক্ষেত্রে নারীরা এমনিতেই পুরুষদের চেয়ে পারদর্শী৷ জেনে নিন সেসবের কথা৷
ছবি: imago/fotoimedia
যে নারী গন্ধ চেনে
নারীর নাক পুরুষের তুলনায় অনেক বেশি সংবেদনশীল৷ তাই যে কোনো সুগন্ধ বা গন্ধ নারীর নাকে আগে এসে পৌঁছায়৷ কারণ নারীদের মস্তিষ্কের গন্ধকেন্দ্রের নার্ভে ক্রসসংযোগ থাকে পুরুষেদের চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ বেশি৷
ছবি: AP
নারীর অনুভূতি
অনুভূতির ক্ষেত্রে যে নারী এগিয়ে সেকথা বহুল উচ্চারিত৷ নারীর নরম হাতের প্রতিটি নার্ভসেলের স্কয়ার সেন্টিমিটার নাকি পুরুষের শক্ত হাতের নার্ভসেলের চেয়ে বড়৷
ছবি: Colourbox
নারীর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেশি
যে কোনো অসুখের বিরুদ্ধে নারীর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা পুরুষের তুলনায় বেশি কার্যকর ভূমিকা পালন করতে পারে৷ তবে তা নারীর সেক্স হরমোন ‘ইস্ট্রোজেন’-এর কারণে৷ তাছাড়াও ‘ইস্ট্রোজেন’ নারীর রক্তনালীকে সুরক্ষা করে এবং নারীর হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমাতেও সহায়তা করে থাকে৷
ছবি: Colourbox/L Dolgachov
নারীর ‘কুলনেস’
‘ইস্ট্রোজেন’ নারীর স্ট্রেস হরমোনকে একদিকে যেমন দমন করে, তেমনি অন্যদিকে বড় ধরনের কোনো স্ট্রেসের সময়ও নারীকে শান্ত রাখতে বিশেষভাবে সহায়তা করে এই হরমোন৷
ছবি: imago/fotoimedia
চিন্তা ও ভাষায় ভিন্নতা ()
মাতৃগর্ভে থাকাকালীন অবস্থায়ই শিশু মস্তিষ্কে পুরুষ হরমোন টেস্টোস্টেরন এবং নারী হরমোন ইস্ট্রোজেন আলাদাভাবে বিকাশ ঘটে৷ বহু সমীক্ষা থেকে জানা গেছে যে, নারীদের চিন্তা-ভাবনা, বোঝার ক্ষমতা বা অনুভূতি অনেক গভীর হয়৷ তাছাড়া মেয়েরা ছেলেদের তুলনায় অনেক সহজ ভাষায় তাদের মনের ভাব বা কোনো কঠিন কথাও সহজে বলে ফেলতে পারে৷
ছবি: picture-alliance
অর্থ বিনিয়োগের ক্ষেত্রে সচেতন
গবেষণায় জানা গেছে, পুঁজি বা শেয়ার বাজারের ক্ষেত্রে ছেলেদের তুলনায় মেয়েদের লাভ হয় শতকরা দুই ভাগ বেশি৷ কারণ অর্থ বিনিয়োগের ব্যাপারে মেয়েরা বেশি সচেতনতার পরিচয় দিয়ে থাকে৷
ছবি: Fotolia/Franz Pfluegl
মেয়েরা সতর্ক ড্রাইভার
জার্মানির ট্র্যাফিক আইন অমান্য বা জোড়ে গাড়ি চালানো অপরাধীদের মধ্যে মাত্র ২১ শতাংশ নারী৷ আর শারীরিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া দুর্ঘটনাগুলোর মধ্যে তিন ভাগের দুইভাগই ঘটে থাকে পুরুষদের কারণে৷ এই পরিসংখ্যান জানা গেছে জার্মানির ফ্লেন্সবুর্গ-এ ট্র্যাফিক অপরাধমূলক সংস্থা থেকে৷