1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভ-এ জলবায়ু পরিবর্তন বিল পাস

২৭ জুন ২০০৯

বৈশ্বিক উষ্ণতা কমাতে বিকল্প জ্বালানির সন্ধানে যুগান্তকারী জলবায়ু পরিবর্তন বিল পাস করেছে যুক্তরাষ্ট্রের হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভ৷ ঐতিহাসিক এই বিল অনুমোদনের জন্য সিনেটরদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা৷

জলবায়ু বিষয়ে মার্কিন নীতির পরিবর্তন ঘটাতে যাচ্ছেন ওবামাছবি: AP

বৈশ্বিক উষ্ণায়নের জন্য দায়ী কলকারখানার দূষণ রোধের জন্য প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত এই বিলটি অনুমোদিত হয় শুক্রবার৷ আমেরিকার ইতিহাসে প্রথমবারের মতো সাংসদরা উষ্ণায়ন রোধে কার্বন নির্গমন কমানোর পক্ষে ভোট দিলেন৷ বিলটি প্রতিনিধি পরিষদে উত্থাপন করা হলে পক্ষে ২১৯ টি এবং বিপক্ষে পড়ে ২১২ টি ভোট৷ রিপাবলিকানদের মাত্র আটটি ভোট ডিমোক্র্যাটরা নিজেদের পক্ষে টানতে সক্ষম হন৷

প্রেসিডেন্ট ওবামা'র বক্তব্য

শনিবার সাপ্তাহিক রেডিও বক্তৃতায় প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা সিনেট সদস্যদের এই বিলটি অনুমোদনের জন্য আহ্বান জানান৷ ওবামা এটিকে একটি ঐতিহাসিক বিল বলে আখ্যায়িত করেন৷ ওবামা বলেন, আমরা ভবিষ্যতের ভয়ে ভীত হতে পারি না৷ এছাড়া আমাদের পক্ষে অতীতের হাতে বন্দী হয়ে থাকা সম্ভব নয়৷ তিনি বলেন, এটি আমেরিকার উন্নততর ভবিষ্যৎ এবং পরিবেশ বান্ধব জ্বালানি নির্ভর অর্থনীতির পথ উন্মুক্ত করবে৷ ওবামার ভাষায়, এটি একটি প্রয়োজনীয় এবং সাহসী উদ্যোগ৷ এর ফলে নতুন শিল্প-কারখানা স্থাপন এবং লাখ লাখ নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে৷ বিদেশ থেকে তেল আমদানির উপর আমাদের নির্ভরশীলতা কমবে৷ এছাড়া মানব সম্প্রদায়ের জীবন-মান ও স্বাস্থ্য এবং গোটা উপগ্রহের জন্য ক্ষতিকর গ্যাস নির্গমন হ্রাস পাবে৷

বিলটিকে স্বাগত জানালেন ম্যার্কেল

জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল মার্কিন হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভে পরিবেশ বিষয়ক বিলটি পাসের ঘটনাকে স্বাগত জানিয়েছেন৷ ম্যার্কেল এটাকে একটা গুরুত্বপূর্ণ সাফল্য বলে মন্তব্য করেন৷ তাঁর ভাষায়, এ ধরণের একটি পদক্ষেপযে যুক্তরাষ্ট্রে সত্যিই শেষ পর্যন্ত গৃহীত হবে তা মাত্র এক বছর আগেও তিনি ভাবতে পারেননি৷

ইতিবাচক দিক

‘আমেরিকান ক্লিন এনার্জি অ্যান্ড সিকিউরিটি এ্যাক্ট' শীর্ষক এই বিলটি পাসের ফলে যুক্তরাষ্ট্রের তেল শোধনাগার, শিল্প কারখানাসহ অন্যান্য কোম্পানিগুলোকে ২০২০ সালের মধ্যে কার্বন ডাই অক্সাইডসহ বৈশ্বিক উষ্ণায়নে সহায়তাকারী গ্যাসের নির্গমন ১৭ ভাগ কমাতে হবে৷ আর ২০৫০ সালের মধ্যে গ্যাস নির্গমন কমাতে হবে ৮৩ ভাগ৷ ২০০৫ সালের র্নির্গমনের হারকেই এক্ষেত্রে মান ধরতে হবে৷ তাই তাদের এখন বিকল্প জ্বালানির সন্ধান করতে হবে৷ যে জ্বালানি কয়লা এবং তেলের চেয়ে পরিবেশকে কম উষ্ণ করে৷ এছাড়া এই পরিকল্পনার আওতায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে ২০২০ সালের মধ্যে তাদের চাহিদার ১৫ শতাংশ বিদ্যুৎ নবায়নযোগ্য জ্বালানি উৎস থেকে উৎপাদন করতে হবে৷ অবশ্য, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ২০২০ সালের মধ্যে তাদের সদস্য দেশগুলোর বিদ্যুৎ চাহিদার ২০ শতাংশই নবায়নযোগ্য জ্বালানি উৎস থেকে উৎপাদনের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে৷

বিলটির বিরোধীদের অভিমত

কিন্তু রিপাবলিকানরা বলছে পুরো উল্টো কথা৷ প্রতিনিধি পরিষদের রিপাবলিকান নেতা জন বোয়েনার তাই এটিকে 'দি বিগেস্ট জব কিলিং বিল' হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন৷ তিনি বলেন, ‘এটা আমেরিকার জনগণের স্বাধীনতাকে খর্ব করবে৷ এতদিন এমন ধরণের অতিরিক্ত কর এবং আমলাতান্ত্রিকতার ঊর্ধ্বে জীবন যাপন করতো এদেশের মানুষ৷' রিপাবলিকানদের মতে, এর মাধ্যমে পরিবেশের তো কোনও উন্নতি হবে না৷ এ বিল মন্দা কাটাতেও কোন সহায়তা করবে না৷ উল্টে চাকরির ক্ষেত্র প্রস্তুতের বদলে চাকরির বাজারকে আরও সংকুচিত করবে নতুন এই বিল৷

প্রতিবেদক: হোসাইন আব্দুল হাই, সম্পাদনা: সুপ্রিয় বন্দোপাধ্যায়

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ