1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

হাওড়া-দিল্লি কালকা মেল দুর্ঘটনার পরের ছবি

১৩ জুলাই ২০১১

হাওড়া-দিল্লি কালকা মেল দুর্ঘটনার উদ্ধার কাজ শেষ৷ উত্তরপ্রদেশের ফতেপুর ও কানপুর হাসপাতালে আহতদের চিকিৎসা চলছে৷ সামগ্রিক অব্যবস্থা নিয়ে হতাহতদের আত্মীয় পরিজনদের ক্ষোভ চাপা থাকেনি৷মৃতের সংখ্যা ৭০-এর কোঠায়৷

আসামে বিধ্বস্ত গুয়াহাটি-পুরী এক্সপ্রেসছবি: dapd

উত্তরপ্রদেশের ফতেপুরের কাছে হাওড়া-দিল্লি কালকা মেল দুর্ঘটনার ধ্বংসস্তূপ অপসারিত৷ লাইন খুলে দেয়া হয়েছে আবার ট্রেন চলাচলের জন্য৷ ফতেপুর ও কানপুর হাসপাতালে চলছে আহতদের চিকিৎসা৷ মৃতদেহগুলি কফিন বন্দি করে নিজ নিজ জায়গায় পাঠানোর কাজ শেষ৷ শেষ হয়নি শুধু চোখের জল৷ আপনজনদের হারানোর ব্যথা৷ হতাহতের বেশির ভাগই বাঙালি৷ কেউ যাচ্ছিলেন বেড়াতে, কেউ যাচ্ছিলেন কাজের সন্ধানে কেউবা আত্মীয়দের সঙ্গে দেখা করতে৷ হাওড়া স্টেশনে এক বিশেষ ট্রেনে পৌঁছে দেয়া হয় কফিন বন্দি দেহগুলি৷সেগুলি গ্রহণের জন্য অপেক্ষা করছিলেন আত্মীয় স্বজন৷ কিন্তু অনেকে আবার কান্নায় ভেঙে পড়ে তাঁদের আপনজনের মৃতদেহগুলি না পেয়ে৷ মোট ১০টি মৃতদেহ এবং ২০জন আহত ছিল ঐ ট্রেনে৷ হাওড়া স্টেশন চত্বরে যেন জ্ঞানেশ্বরী ট্রেন দুর্ঘটনা কাণ্ডের ফ্ল্যাশব্যাক৷

দুর্ঘটনাগ্রস্ত হাওড়া-দিল্লি কালকা মেলছবি: dapd

এই দুর্ঘটনার তদন্ত শুরু করেছেন রেলওয়ের মুখ্য সুরক্ষা কমিশনার৷ দুর্ঘটনা সম্পর্কে যে যা জানে তা জানাতে জনসাধারণের কাছে অনুরোধ করেছেন৷ রেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে ট্রেনের ইমার্জেন্সি ব্রেক কষার জন্য দুর্ঘটনা হয়নি৷ সিগন্যাল, পয়েন্টস এবং ফিসপ্লেট ঠিক ছিল৷ তাসত্ত্বেও দুর্ঘটনা কেন হলো তার আসল কারণ বিস্তারিত তদন্তসাপেক্ষ - প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে একথা বলেছে উত্তর রেল কর্তৃপক্ষ৷

এদিকে রেলমন্ত্রীর শপথ নেবার পরই আহতদের দেখতে ফতেপুর ও কানপুর হাসপাতালে ছুটে যান নতুন রেলমন্ত্রী তৃণমূল কংগ্রেসের দীনেশ ত্রিবেদি৷ ক্ষতিপূরণের পাশাপাশি নিতদের পরিবারের একজনকে রেলে চাকরি দেবার আশ্বাস দেন তিনি৷ রেলমন্ত্রীর আগে ছুটে গেছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী৷ ট্রেন দুর্ঘটনা রোধে রেল কর্তৃপক্ষের ব্যর্থতা নিয়ে ক্ষোভ উগরে দেয় মানুষজন নেতাদের কাছে৷ তাঁদের বক্তব্য,একের পর এক ট্রেন দুর্ঘটনা হচ্ছে প্রথামাফিক তদন্ত কমিশন বসছে৷ রিপোর্টও জমা পড়ছে কিন্তু তা হিমঘরেই থেকে যাচ্ছে৷ তা কার্যকর হচ্ছেনা৷ কেন ? এর জবাব নেই৷

অন্যদিকে, আসামের কামরুপ জেলায় গুয়াহাটি-পুরি এক্সপ্রেস ট্রেনে বিস্ফোরনের কারণে যে দুর্ঘটনা হয়, তারসঙ্গে জড়িত সন্দেহে পুলিশ ১৬জনকে আটক করে৷ আসাম পিপলস আর্মি নামে যে জঙ্গি গোষ্ঠী এই বিস্ফোরণের দায় স্বীকার করেছে এরা সেই গোষ্ঠীভুক্ত৷ বিস্ফোরণে ট্রেনের চারটি বগি বেলাইন হয়ে জলে পড়ে যায়৷ আহত হয় শতাধিক৷

প্রতিবেদন: অনিল চট্টোপাধ্যায়, নতুনদিল্লি

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ