হাঙর শিকার
২০ সেপ্টেম্বর ২০১৩অস্ট্রেলিয়ান ইনস্টিটিউট অফ মেরিন সায়েন্সের বিজ্ঞানী মার্ক মিকানের নেতৃত্বে অস্ট্রেলিয়া ও ক্যানাডার বিজ্ঞানীদের একটি দল প্রবাল শৈল নিয়ে একটি গবেষণা করেছেন৷ অস্ট্রেলিয়ার উত্তর-পশ্চিম উপকূলে সমুদ্রের তলদেশে প্রায় ৩০০ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে বিস্তৃত প্রবালগুলো নিয়ে ১০ বছর ধরে পরীক্ষা করেছেন তাঁরা৷
বৃহস্পতিবার অস্ট্রেলিয়ান ব্রডকাস্টার করপোরেশন এবিসি-কে দেয়া সাক্ষাৎকারে মিকান জানান, দীর্ঘদিনের এ গবেষণা থেকে তাঁরা এ সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন যে, যেসব অঞ্চলে বেশি হাঙর শিকার করা হয় সেসব জায়গায় প্রবাল শৈলের পরিমাণ কমে যাচ্ছে৷
মিকান বললেন, এই সব শৈলের শাখা-প্রশাখার ফাঁকে আশ্রয় নেয় সামুদ্রিক প্রাণীরা৷ সেসব সামুদ্রিক মাছগুলো হাঙরের খাদ্য৷ আর ঐ মাছদের খাদ্য হলো এই প্রবাল৷
হাঙরের সংখ্যা কমে যাওয়ার ফলে খাদ্য শৃঙ্খলের মধ্যবর্তী প্রাণীটি, অর্থাৎ শিকারি মাছ যেমন স্ন্যাপারের সংখ্যা এসব অঞ্চলে অনেক বেড়ে গেছে৷ তাই তাদের খাদ্য শৈবাল বা প্রবালের পরিমাণ দ্রুত কমে যাচ্ছে৷ শৈবালগুলো প্রবালের ঝরে পড়া কোষের স্থান থেকে সৃষ্ট হয়৷ মাছ খাওয়ার ফলে ঐ শাখা প্রশাখাগুলো বেড়ে উঠতে পারছে না৷ ধীরে ধীরে কমে যাচ্ছে এদের সংখ্যা৷
মিকানের মতে, বৈশ্বিক উষ্ণতার কারণে জলজ প্রাণীরা এমনই হুমকির মুখে রয়েছে৷ তাই হাঙর শিকার না কমালে খাদ্য শৃঙ্খলে বিপর্যয় দেখা দেবে৷ একেবারে নিঃশেষ হয়ে যেতে পারে প্রবাল শৈল৷
মিকান বললেন, প্রবাল শৈলকে বাড়তে দেয়ার জন্য হাঙরের প্রয়োজন, যারা তাদের ত্রাতা হিসেবে কাজ করবে৷ এ কারণেই হাঙর শিকার বন্ধ করা উচিত৷ কেবল প্রবালের উৎপাদন বৃদ্ধির জন্যই নয়, সমুদ্র তলদেশের খাদ্যশৃঙ্খল রক্ষার জন্যও এটা ভীষণ জরুরি৷
এপিবি/ডিজি (ডিপিএ/এএফপি)