ইউরোপের দেশ হাঙ্গেরি বাংলাদেশের কাছে পাঁচ হাজার টিকা চেয়েছে৷ এই টিকা পাঠানোর সিদ্ধান্তও নিয়েছে সরকার৷ সংসদে এমন তথ্য জানিয়েছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম৷
বিজ্ঞাপন
এছাড়াও দক্ষিণ অ্যামেরিকার দেশ বলিভিয়াও কিছু টিকা চেয়েছে বলে জানান তিনি৷ তবে এই বিষয়ে সরকার এখনও সিদ্ধান্ত নেয়নি৷ বাংলাদেশে ডয়চে ভেলের কনটেন্ট পার্টনার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম জাতীয় সংসদে প্রতিমন্ত্রীর দেয়া বক্তব্যের ভিত্তিতে এসব তথ্য জানিয়েছে৷ রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আনা ধন্যবাদ প্রস্তাবের আলোচনায় প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘‘গত সপ্তাহে চিঠি এসেছিল৷ হাঙ্গেরি ৫ হাজার টিকা চেয়েছিল৷ প্রধানমন্ত্রী সদয় সম্মতি দিয়েছেন৷ আমরা হাঙ্গেরির ভাইবন্ধুদের জন্য পাঠিয়ে দেব আমাদের স্টক থেকে৷’’
শুধু হাঙ্গেরি নয় বলিভিয়াও টিকা চেয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি৷ বলেন, ‘‘বলিভিয়াও চিঠি দিয়েছে ভ্যাকসিন চেয়ে৷ প্রধানমন্ত্রী ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সম্মতি দিলে আমরা পাঠিয়ে দেব৷’’
করোনার টিকা কার্যক্রম শুরু
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে টিকা প্রদান কার্যক্রম উদ্বোধন করেছেন৷ কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে প্রথমদিন মোট ২৭ জনকে টিকা দেয়া হয়েছে৷
ছবি: facebook.com/ATNNews
প্রথম টিকা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে টিকা প্রদান কার্যক্রম উদ্বোধন করেন৷ তার উপস্থিতিতে পাঁচজনকে টিকা দেয়া হয়৷ প্রথম টিকা নেন কুর্মিটোলা হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স রুনু বেরোনিকা কস্তা৷ এরপর টিকা নেন মেডিসিন কনসালটেন্ট ডা. আহমেদ লুৎফর মবিন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপিকা নাসিমা সুলতানা, ট্রাফিক পুলিশ মো: দিদারুল ইসলাম ও ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এম ইমরান হামিদ৷
ছবি: facebook.com/ATNNews
সাহস দেন প্রধানমন্ত্রী
প্রথম টিকা নেয়া রুনুকে প্রধানমন্ত্রী জিজ্ঞেস করেন, ‘তুমি ভয় পাচ্ছো না তো?’ তখন রুন মাথা নেড়ে জানিয়ে দেন, তিনি ভয় পাচ্ছেননা৷ এরপর প্রধানমন্ত্রী তাকে বলেন, ‘তুমি সাহসি মেয়ে’৷ টিকা দেয়া শেষে প্রধানমন্ত্রী হাততালি দিয়ে তার সুস্থতা কামনা করেন৷ এভাবে বাকি চারজনের সঙ্গে কথা বলে তাদের ‘রিলাক্স’ করার চেষ্টা করেন প্রধানমন্ত্রী৷ এছাড়া যারা টিকা প্রয়োগের কাজে ছিলেন তাদেরকে তিনি ‘মাসল লুজ’ করারও পরামর্শ দেন৷
ছবি: facebook.com/ATNNews
‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু’
টিকা নেয়া শেষে কেউ হাত তুলে, কেউ সালাম দিয়ে ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু’ ও ‘জয় বাংলা’ বলেন৷
ছবি: facebook.com/ATNNews
মোট ২৭ জন
প্রথমদিন মোট ২৭ জনকে টিকা দেয়া হয়৷ আগামীকাল বৃহস্পতিবার ঢাকার পাঁচ হাসপাতালের ৪০০ থেকে ৫০০ জনকে টিকা দেওয়া হবে৷ ছবিতে তেজগাঁও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অধীনে সাব-সেন্টারে কাজ করা ডাঃ দেওয়ান মোঃ হেমায়েত হোসেইনকে টিকা নিতে দেখা যাচ্ছে৷
ছবি: Mortuza Rashed/DW
সারা দেশে শুরু ৭ ফেব্রুয়ারি
বাংলাদেশে যেহেতু করোনা টিকার ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল হয়নি তাই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রটোকল অনুযায়ী প্রথমে টিকা পাওয়া ব্যক্তিদের পর্যবেক্ষণ করা হবে৷ সব ঠিক থাকলে আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি সারা দেশে টিকাদান কার্যক্রম শুরু হবে বলে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক জানিয়েছেন৷
ছবি: Mortuza Rashed/DW
অবজারভেশন রুম
কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে টিকা নেয়া ব্যক্তিদের পর্যবেক্ষণে রাখার জন্য একটি আলাদা কক্ষ ঠিক করা হয়েছে৷
ছবি: Mortuza Rashed/DW
নিবন্ধন প্রক্রিয়া
যারা টিকা নিতে চান, তাদের সবাইকে অনলাইনে নিবন্ধন করতে হবে৷ ‘সুরক্ষা’ (www.surokkha.gov.bd) প্ল্যাটফর্মের মোবাইল অ্যাপ ও ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করে নিবন্ধন করতে হবে৷ নিবন্ধনের জন্য অন্যান্য তথ্যের সঙ্গে জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর লাগবে৷ যাদের জাতীয় পরিচয়পত্র নেই তারা আপাতত করোনার টিকা পাবেন না৷
ছবি: surokkha.gov.bd
সরকারের পরিকল্পনা
আগামী ছয় মাসে তিন কোটি মানুষকে টিকা দেয়ার পরিকল্পনা করেছে সরকার৷ প্রতি মাসে ২৫ লাখ মানুষকে টিকা দেওয়া হবে৷ জনপ্রতি দুটি করে মাসে ৫০ লাখ ডোজ টিকার প্রয়োজন হবে৷
ছবি: Mortuza Rashed/DW
প্রস্তুত পাঁচ হাসপাতাল
টিকা দিতে আপাতত ঢাকার পাঁচটি হাসপাতাল প্রস্তুত রাখা হয়েছে৷ এগুলো হলো ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল, মুগদা জেনারেল হাসপাতাল, কুয়েত মৈত্রী হাসপাতাল ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতাল৷
ছবি: Mortuza Rashed
অগ্রাধিকার পাবেন যারা
অগ্রাধিকার ভিত্তিতে এক কোটি ৬৯ লাখ ৩৭ হাজার ৯৭৩ জনকে করোনার টিকা দেয়ার জন্য পরিকল্পনা সাজিয়েছে সরকার৷ এদের মধ্যে আছেন কোভিড-১৯ স্বাস্থ্য সেবায় নিয়োজিত চার লাখ ৫২ হাজার ২৭ জন স্বাস্থ্যকর্মী, অনুমোদিত ছয় লাখ বেসরকারি ও প্রাইভেট স্বাস্থ্যকর্মী, দুই লাখ ১০ হাজার বীর মুক্তিযোদ্ধা, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর পাঁচ লাখ ৪৬ হাজার ৬২০ জন সদস্য, সামরিক ও বেসামরিক প্রতিরক্ষা বাহিনীর তিন লাখ ৬০ হাজার ৯১৩ জন সদস্য৷
ছবি: Mortuza Rashed/DW
অগ্রাধিকার তালিকায় সরকারি কর্মকর্তা, সাংবাদিক
রাষ্ট্র পরিচালনায় অপরিহার্য ৫০ হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারী, ৫০ হাজার গণমাধ্যম কর্মী, এক লাখ ৭৮ হাজার ২৯৮ জন জনপ্রতিনিধি, সিটি করপোরেশন ও পৌরসভার দেড় লাখ কর্মচারী, পাঁচ লাখ ৪১ হাজার ধর্মীয় প্রতিনিধি, মৃতদেহ সৎকারে নিয়োজিত ৭৫ হাজার ব্যক্তি, জরুরি সেবার চার লাখ কর্মী, স্থল, নৌ ও বিমানবন্দরের দেড় লাখ কর্মী, এক লাখ ২০ হাজার প্রবাসী অদক্ষ শ্রমিকও আছেন অগ্রাধিকারের তালিকায়৷
ছবি: bdnews24.com
আছেন জাতীয় দলের খেলোয়াড়রাও
জেলা উপজেলায় কর্মরত চার লাখ জরুরি সেবার সরকারি কর্মচারী, এক লাখ ৯৭ হাজার ৬২১ জন ব্যাংক কর্মকর্তা-কর্মচারী, স্বল্প রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার (যক্ষ্মা, এইডস, ক্যানসার) ছয় লাখ ২৫ হাজার জনগোষ্ঠী, ৬৪ থেকে ৭৯ বছর বয়সী এক কোটি তিন লাখ ২৬ হাজার ৬৫৮ জন্য ব্যক্তি, ৮০ বছর ও তদূর্ধ্ব ১৩ লাখ ১২ হাজার ৯৭৩ জন জনগোষ্ঠী, জাতীয় দলের খেলোয়াড় ২১ হাজার ৮৬৩ জনও আগে টিকা পাবেন৷
ছবি: Munir Uz zaman/AFP
12 ছবি1 | 12
উল্লেখ্য, ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটের উৎপাদিত অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার করোনাভাইরাসের তিন কোটি ডোজ টিকাকেনার চুক্তি করেছে বাংলাদেশ৷ এরইমধ্যে ৫০ লাখ ডোজ দেশে পৌঁছেছে৷ এর বাইরে উপহার হিসেবে আরো ২০ লাখ ডোজ টিকা বাংলাদেশে পাঠিয়েছে ভারত৷ এর মাধ্যমে ২৭ জানুয়ারি টিকাদান কার্যক্রমের উদ্বোধন করেছে বাংলাদেশ৷ পরেরদিন স্বাস্থ্যকর্মীসহ বিভিন্ন পেশাজীবীদের ছয়শ'জনকে টিকা প্রদান করা হয়৷ ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে সারাদেশে টিকা কার্যক্রম শুরুর কথা৷
এদিকে, গত ২৭ ডিসেম্বর থেকে শুরু হলেও সরবরাহ ঘাটতিতে ইউরোপের দেশগুলোতে টিকাদান কার্যক্রমে ধীর গতি নেমে এসেছে৷ বায়োনটেক-ফাইজার ও মডার্নার পর শুক্রবার অক্সফোর্ড-আস্ট্রাজেনেকার টিকারও অনুমোদন দিয়েছে ইইউ৷ কিন্তু বেলজিয়ামে নিজেদের কারখানায় উৎপাদন সমস্যার কারণে চুক্তি অনুযায়ী সময়মত সব টিকা সরবরাহ করতে পারবে না বলে জানিয়েছিল আস্ট্রাজেনেকা৷ এ নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে তাদের কাছে জবাব চেয়েছে ইইউ৷
এফএস/এআই (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম, রয়টার্স)
করোনা ভ্যাকসিনের যত পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
বিশ্বের অনেক দেশে শুরু হয়েছে করোনার টিকাদান৷ তবে এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কী সেটি নিয়ে এখনও অনেকের মনে প্রশ্ন রয়েছে৷ ছবিঘরে থাকছে সে সম্পর্কে কিছু তথ্য৷
ছবি: Robin Utrecht/picture alliance
সাধারণ প্রতিক্রিয়া
যেকোন টিকারই সাধারণ কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থাকে৷ যেমন, শরীরে ইনজেকশন দেয়ার স্থানটি লাল হয় বা ফুলে যায়৷ তিনদিনের মধ্যে অবসাদ, জ্বর, মাথা ব্যাথা, শরীরের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে ব্যাথা হতে পারে৷ তবে এর কোনটিই দীর্ঘস্থায়ী নয়৷ শরীরে টিকার কার্যকারিতা শুরু হলে অ্যান্টিবডি বা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি হওয়ায় এমন প্রতিক্রিয়া স্বাভাবিক৷ অনুমোদন পাওয়া করোনা ভ্যাকসিনগুলোর ক্ষেত্রেও এমন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া পাওয়া গেছে৷
ছবি: Mark Lenninhan/AFP/Getty Images
গুরুতর প্রতিক্রিয়া
বিরল হলেও কিছু ক্ষেত্রে গুরুতর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ঘটার সম্ভাবনা থাকে৷ যেমন, যুক্তরাজ্যে টিকা কর্মসূচি চালুর পর ১১ ডিসেম্বর পর্যন্ত দুইজনের অ্যালার্জি দেখা দেয়৷ দেশটির কর্তৃপক্ষ এ ধরনের সমস্যা যাদের আছে তাদেরকে সতর্ক করেছে৷ তবে সার্বিকভাবে নিরাপদ হিসেবে বিবেচিত হওয়ার কারণেই করোনার বিভিন্ন টিকার অনুমোদন দিয়েছে ইউরোপীয় মেডিসিন এজেন্সি, যুক্তরাজ্যের খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসন ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা৷
ছবি: Robin Utrecht/picture alliance
টিকার উপাদান
সাধারণত টিকায় দুর্বল বা মৃত ভাইরাস থাকে৷ যার মাধ্যমে শরীর সেই ভাইরাসের বিপরীতে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তোলে৷ তবে করোনার টিকাগুলোর মধ্যে কয়েকটি প্রথমবারের মতো এমআরএনএ প্রযুক্তিতে তৈরি৷ এতে কোন ভাইরাস থাকে না৷ তার বদলে কোভিড-১৯ এর জীবাণুর ব্লুপ্রিন্ট বা প্রতিরূপ থাকে৷ তাই দুই ধরনের টিকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দুই রকম হতে পারে৷
ছবি: picture-alliance/AP Photo/J. Cairns
বায়োনটেক-ফাইজার
অনুমোদন পর্যায়ে বায়োনটেক-ফাইজার উদ্ভাবিত টিকার গুরুতর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি৷ কোন কোন ক্ষেত্রে টিকা গ্রহীতা সাময়িক অবসাদ আর মাথা ব্যাথায় ভুগেছেন৷ এমআরএনএ ভ্যাকসিনটির ব্যবহার শুরুর পর যুক্তরাষ্ট্রে একজন ও ব্রিটিনে দুইজনের ত্বক লাল হওয়া এবং শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যা দেখা দিয়েছিল৷ যাদের অ্যালার্জি সমস্যা রয়েছে তাদেরকে সতর্ক করেছে বিট্রিশ মেডিসিনস অ্যান্ড হেলথকেয়ার প্রোডাক্টস রেগুলেটরি এজেন্সি৷
ছবি: Jacob King/REUTERS
মডার্না
বায়োনটেক-ফাইজারের মতোই এমআরএনএ ভিত্তিক মডার্নার টিকাটি৷ কর্তৃপক্ষের তথ্য অনুযায়ী ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে এই টিকাগ্রহীতাদের তেমন কোন সমস্যা হয়নি৷ হালকা যেসব পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হয়েছে সেগুলো ছিল সাময়িক৷ তবে ১০ শতাংশ অবসাদে ভুগেছেন বলে জানিয়েছে একটি স্বাধীন পর্যবেক্ষক প্যানেল৷ অল্প কয়েকজন রোগী অ্যালার্জি ও মুখের স্নায়ু নিষ্ক্রিয় হওয়ার মতো জটিলতায় ভুগেছেন৷ তবে কারণ সম্পর্কে এখনও নিশ্চিত কিছু জানা যায়নি৷
ছবি: Dado Ruvic/Reuters
অক্সফোর্ড-আস্ট্রাজেনেকা
অক্সফোর্ড-আস্ট্রাজেনেকার টিকার ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে একজন মেরুদণ্ডের প্রদাহে ভুগেছেন৷ সেপ্টেম্বরে এই ঘটনার পর কিছুদিন ট্রায়াল বন্ধ ছিল৷ কিন্তু পরে একটি স্বাধীন বিশেষজ্ঞ প্যানেল পরীক্ষার পর জানিয়েছে সেটির কারণ ভ্যাকসিন নয়৷ এছাড়া টিকাটি নেয়ার পর ইনজেকশনের স্থানে ও পেশিতে ব্যথা, মাথাব্যাথা ও অবসাদগ্রস্ততার মতো সাধারণ প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে৷ তবে বয়স্কদের ক্ষেত্রে তা তুলনামূলক কম ছিল৷
ছবি: picture-alliance/NurPhoto/J. Porzycki
স্পুটনিক ফাইভ
তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল শুরুর আগে গত আগস্টেই নিজেদের টিকা স্পুটনিক ফাইভ এর অনুমোদন দেয় রাশিয়া৷ দুই ধরনের পরিবর্তিত অ্যাডেনোভাইরাস ব্যবহার করা হয়েছে এতে৷ রুশ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, জ্বর, মাথাব্যাথার মতো টিকাটির কিছু সাধারণ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া রয়েছে৷ তবে কোন গুরুতর প্রতিক্রিয়ার তথ্য পাওয়া যায়নি৷ তবে এ বিষয়ে পর্যাপ্ত তথ্য প্রকাশ না করার অভিযোগ রয়েছে রাশিয়ার বিরুদ্ধে৷
ছবি: Sergei Karpukhin/TASS/dpa/picture alliance
দীর্ঘ প্রতিক্রিয়া
এখন পর্যন্ত যত তথ্য জানা গেছে সেগুলোর কোনটিই আসলে পরিপূর্ণ চিত্র তুলে ধরছে না৷ দীর্ঘ মেয়াদে টিকাগুলোর ব্যবহার মানবদেহে কী ধরনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া তৈরি করতে পারে তা অজানা৷ সেটি হয়ত সামনের মাস বা বছরগুলোতেই পরিস্কার হবে৷