1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সাংবিধানিক আদালতের ক্ষমতা

১৩ মার্চ ২০১৩

ইউরোপীয় ইউনিয়নকে তোয়াক্কা না করেই হাঙ্গেরি সাংবিধানিক আদালতের ক্ষমতা সীমিত করল৷ সংবিধান বদলে সাংবিধানিক আদালতের ক্ষমতা খর্ব করলেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর ওর্বান৷

ছবি: Getty Images/AFP

ফলে আদালতের এবার সংসদের প্রণীত আইনের শুধুমাত্র প্রক্রিয়াগত দিক বিচার করার অধিকার রইল৷

কে এই ভিক্টর ওর্বান? ৪৯ বছর বয়স; সবল শরীর ও সুস্বাস্থ্যর অধিকারী; পাঁচ সন্তানের পিতা; ফুটবল খেলেন৷ হাঙ্গেরিতে কমিউনিস্ট শাসনের শেষ পর্যায়ে আন্দোলনকারী হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেন৷ ২০১০ সালে তাঁর ফিডেস পার্টিকে নিয়ে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতায় ক্ষমতায় আসেন৷ এমন সংখ্যাগরিষ্ঠতা, যে সংবিধান সংশোধনও তাঁর পক্ষে যে কোনো সময়ে সম্ভব৷

এবং গোলযোগের সূত্রপাত সেখানেই৷ ওর্বান-বিরোধীদের অভিযোগ, তিনি বিগত তিন বছরে এমন সব পরিবর্তন এনেছেন, যার ফলে হাঙ্গেরির গণমাধ্যম, কেন্দ্রীয় ব্যাংক, বিচার বিভাগ এবং অপরাপর সরকারি প্রতিষ্ঠানের স্বাধীনতা ক্ষুণ্ণ হয়েছে৷ ওর্বান হাঙ্গেরিতে গণতন্ত্রের ভিতই দুর্বল করে তুলছেন, এই হল অভিযোগ, এবং সেটা শুধু হাঙ্গেরি থেকেই নয়৷

ওর্বান সমর্থকদের বক্তব্য হল, ওর্বান যে বিদ্যুৎ সরবরাহকারী বিদেশি কোম্পানিগুলিকে সাধারণ হাঙ্গেরীয়দের জন্য বিদ্যুতের দাম কমাতে বাধ্য করেছেন, তার ফলেই তিনি আন্তর্জাতিক কোম্পানিগুলির রোষে পড়েছেন৷ বিদেশি মালিকানার ব্যবসায় ও শিল্পসংস্থাগুলির উপর ‘‘সংকট কর'' চাপানোটাও বিদেশে বিশেষ জনপ্রিয় হয়নি৷

সরকারের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ চলছেছবি: Reuters

বিরোধ অবধারিত

সাংবিধানিক আদালতের সঙ্গে ওর্বানের বিরোধ লাগাটা বস্তুত অবধারিত ছিল৷ এবং ওর্বান যে সবসময় জিতেছেন, এমনও নয়৷ তার একটি দৃষ্টান্ত হল, তাঁর ফিডেস পার্টি ভোটার রেজিস্ট্রেশনের নিয়মাবলী বদলানোর যে প্রস্তাব দেয়, তা সাংবিধানিক আদালতের আপত্তিতে রদ হয়ে যায়৷

বিগত কয়েক মাস ধরে সাংবিধানিক আদালত ওর্বান সরকারের একাধিক নীতি বাতিল করেছে৷ এখন সেগুলোকে তথাকথিত ‘বুনিয়াদি আইনে' যোগ করা হয়েছে৷ যেমন আশ্রয়হীন কিংবা ভবঘুরে মানুষদের ফাইন করা কিংবা গ্রেপ্তার করা চলবে৷ বাণিজ্যিক বেতার কিংবা টেলিভিশনে রাজনৈতিক আন্দোলনের প্রচারণা সংক্রান্ত বিজ্ঞাপন দেখানো চলবে না৷ অথবা সরকারি বৃত্তি পাওয়া ছাত্রছাত্রীদের স্নাতক হওয়ার পর বেশ কয়েক বছর ধরে স্বদেশেই কাজ করতে হবে৷

চেকস অ্যান্ড ব্যালান্সেস' থাকল না

ওর্বান সর্বশেষ যে পদক্ষেপ নিয়েছেন, তাতে সাংবিধানিক আদালত ‘বুনিয়াদি আইনের' একমাত্র প্রক্রিয়াগত ভুলত্রুটি ছাড়া অন্য কোনো ধরনের পর্যালোচনা করতে পারবে না৷ এছাড়া প্রাক্তন সংবিধান চালু থাকাকালীন যে সব রায় দেওয়া হয়েছিল বা সওয়াল করা হয়েছিল, আদালত তারও দৃষ্টান্ত দিতে পারবে না – যার অর্থ, বিগত বিশ বছরের জুরিসপ্রুডেন্স এক ধাক্কায় তামাদি হয়ে গেল৷

সেই ধাক্কার বিরুদ্ধে হাঙ্গেরিতে যে ব্যাপক কোনো রকম বিরোধ কি বিক্ষোভ হবে, তার সম্ভাবনা নেই, কেননা বিরোধীরা বড়ই দুর্বল৷ অন্যদিকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রেসিডেন্ট জোসে মানুয়েল বারোসো শুক্রবারই ওর্বানকে ফোন করে তাঁর উদ্বেগ জানিয়েছেন৷ জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী গিডো ভেস্টারভেলে ঐ ব্রাসেলস থেকেই তাঁর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন এবং বলেছেন, সাংবিধানিক আদালতগুলির স্বাধীনতা হল ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য দেশগুলির সাধারণ মূল্যবোধের অঙ্গ৷

এসি / এসবি (রয়টার্স, এপি, এএফপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ