1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

হাতে তৈরি ক্রিসমাস ডেকোরেশন

১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

প্রতিবছর নভেম্বর-ডিসেম্বর মাসে ক্রিসমাসকে ঘিরে ইউরোপে উৎসব শুরু হয়৷ বিভিন্ন জায়গায় বসে বড়দিনের বাজার৷ সেখানে ক্রিসমাস ট্রি সাজানোর নানান জিনিস পাওয়া যায়৷ জার্মানির একটি শহরে এখনও হাতে করে ক্রিসমাস ডেকোরেশন তৈরির চল আছে৷

Deutschland Sicherheit auf Weihnachtsmärkten | Berlin Breitscheidplatz
ছবি: Getty Images/AFP/O. Andersen

জার্মানির টুরিঙ্গিয়া রাজ্যের লাউশা শহরে এখনও এর চল আছে৷ আডভেন্টের প্রথম দুই সপ্তাহান্তে সেখানে একটি মেলা বসে৷ মেলায় হাতে তৈরি ডেকোরেশন পাওয়া যায়৷ শহরের বাইরে থেকেও অনেকে সেখানে যান কেনাকাটা করতে৷

কারখানায় উৎপাদিত ক্রিসমাস ডেকোরেশনের সঙ্গে হাতে তৈরি জিনিস এখনও পাল্লা দিয়ে চলছে৷ অলংকার নির্মাতা এগোন ম্যুলার-ব্লেশ বলেন, ‘‘প্রতিযোগিতা সত্ত্বেও এ সব জিনিসের জনপ্রিয়তা আছে৷ ক্রেতারা এখনও জানতে চান, এগুলো আসলেই লাউশায় তৈরি কিনা৷''

ডেকোরেশনের মধ্যে সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় ক্রিসমাস বল৷ এরপর আছে কাচের তৈরি পাখি৷ ব্যবসায়ী ক্রিস্টিনা বক জানান, ‘‘এই পাখি, ট্রাম্পেট ঐতিহ্যের অংশ৷ যখন ছোট ছিলাম, তখন ক্রিসমাস ট্রি-র নীচে এসব রাখা থাকত৷ আরও থাকত বাদাম, পাইন ফল ইত্যাদি৷ ''

চারশ' বছরেরও বেশি সময় আগে লাউশায় কাচ দিয়ে বিভিন্ন জিনিস তৈরির চল শুরু হয়৷ কাচের কারিগরদের ঘিরেই গ্রামটি গড়ে উঠেছিল৷ তবে কাচ দিয়ে প্রথম ক্রিসমাসের অলংকার তৈরি শুরু হয় ১৮৪৭ সালে৷

বড়দিনের বিশেষ বাজার

04:03

This browser does not support the video element.

লাউশার এক জাদুঘরে অতীতের বিভিন্ন জিনিস রাখা আছে৷ উনবিংশ শতাব্দীতে লাউশা থেকে যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভেনিয়ায় কাচের সাজসরঞ্জাম রপ্তানি শুরু হয়েছিল৷ কিন্তু ক্রিসমাস ডেকোরেশন তৈরির চল শুরু হলো কীভাবে? জাদুঘরের প্রধান আনিয়া ফ্যোলশে জানান, ‘‘কথিত আছে, লাউশার একজন গরিব কারিগর প্রথম ক্রিসমাস ডেকোরেশন বানাতে শুরু করেছিলেন৷ তখনকার দিনে আপেল আর বাদাম দিয়ে ক্রিসমাস ট্রি সাজানো হতো৷ কিন্তু গরিব ঐ কারিগরের সেগুলো কেনার সামর্থ্য ছিল না৷ তাই কাচ দিয়ে তিনি সেগুলো বানানো শুরু করেছিলেন৷''

লাউশার কারিগরদের মধ্যে পাঁচজন ক্রিসমাস ট্রি সাজানোর সরঞ্জাম তৈরিতে পারদর্শী৷ তাঁদের মধ্যে একজন মিশায়েল হাবেরলান্ড৷ তিনি এখনও তাঁর দাদার ছাঁচ দিয়ে কাজ করেন৷ হাবেরলান্ড বলেন, ‘‘আমার নানা অনেক পাখি বানিয়েছেন৷ মা বলতেন, যদি সব পাখি উড়তে পারত তাহলে লাউশার আকাশ অন্ধকার হয়ে যেত!''

সিলভার ও অ্যামোনিয়ার মিশ্রণ দিয়ে কাচের ছাঁচ তৈরি হয়৷ এরপর সেটি শুকিয়ে তাতে রং করা হয়৷

সুজানে ডাউস/জেডএইচ

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ