হাতে হাতে বাংলাদেশের পতাকা দেখাই তাদের বড় আনন্দ
১৬ ডিসেম্বর ২০২২![](https://static.dw.com/image/46727139_800.webp)
ডয়চে ভেলের কনটেন্ট পার্টনার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে পতাকা বিক্রেতা শাহীন আলম বলেন, ‘‘এই যে আজকে মানুষ খুশি হইয়া আসতেছে, এই খুশি জানি সবসময় থাকে, ” বিজয় দিবসে এটুকুই তার প্রত্যাশা৷
বৃহস্পতিবার রাত তখন ২টা বেজে ১০ মিনিট৷ তিনজনেরই বাড়ি উত্তরের জেলা গাইবান্ধায়৷ গাজীপুর চৌরাস্তা থেকে সাভারে এসেছেন পতাকা বিক্রি করতে৷
অবশ্য পতাকা বিক্রি তাদের কারো মূল পেশা নয়৷ একজন মাছ বিক্রেতা, একজন কৃষক, আরেকজন রাজমিস্ত্রি৷ তিনজনের মধ্যে বয়োজ্যেষ্ঠ লাল মিয়া জানালেন, তিনি ছাড়া বাকি দুজনের কেউ ঢাকায় থাকেন না৷ প্রতিবছর বিজয় দিবস, স্বাধীনতা দিবস এলে গাইবান্ধা থেকে তারা দুজন আসেন৷ তিনজন মিলে ফেরি করে বিক্রি করেন জাতীয় পতাকা৷
তারিখ বা উপলক্ষ্য ধরে এভাবে পতাকা বিক্রি করে কখনো কিছু লাভ থাকে, কখনো আর্থিক লাভের চেয়ে শ্রমটাই বেশি যায়৷ তবে তাদের কাছে লাভের চেয়ে দেশের পতাকা বিক্রি করতে পারার আনন্দটাই মুখ্য৷
লাল মিয়া বলেন, ‘‘আমি চৌরাস্তায় মাছ বেচি৷ কিন্তু ১৬ ডিসেম্বর, ২৬ মার্চ পতাকার বিক্রি ভালো হয়, তাই প্রতিবছর আসি৷ এই যে আইজকাও আসছি ঠাণ্ডার মধ্যে৷ খেলার টাইমেও বিক্রি করছি৷ কিন্তু অন্যদেশের চেয়ে নিজের দেশের পতাকা বেচতি বেশি ভাল্লাগে৷”
এই দলের আরেক সদস্য স্বপন মিয়া গাইবান্ধায় কৃষিকাজ করেন৷ তিনি বললেন, “প্রতিবছর দুইটা দিনে স্মৃতিসৌধে আসি৷ পতাকা বেচা হয় অনেক৷ সারাবছর আবাদী করি৷ তবে, নতুন সংসারে এই বাড়তি আয় কাজে লাগে৷ মানুষ খুব আনন্দ নিয়া পতাকা কেনে, দেশের জন্য অনেক গর্ব হয়৷”
নববিবাহিত এই পতাকাবিক্রেতার কাছে দেশের পতাকা বিক্রি করতে পারাটা অনেক ‘মহান কাজ' বলে মনে হয়৷
তাদেরই আরেকজন শাহীন আলমের কাছে প্রশ্ন ছিল দেশকে কোথায় দেখতে চান৷ তিনি বললেন, ‘‘এই যে আজকে মানুষ খুশি হইয়া আসতেছে৷ এই খুশি জানি সবসময় থাকে৷ সবাই যেন ভালো থাকবার পারে৷”
মানুষের হাতে হাতে বিজয় নিশান তুলে দিতে হবে যে ! ভোরের আলো ফুটলেই বাড়বে চাপ, তাই তারা ব্যাগ থেকে আরও পতাকা বের করে বাঁশের গায়ে সাজাতে লেগে গেলেন৷
এনএস/এসিবি (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)