1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

হানোফার শহরে রাস্তার নামকরণ হলো রবার্ট এঙ্কের নামে

২৪ জানুয়ারি ২০১১

রবার্ট এঙ্কের স্মৃতি ধরে রাখতে জার্মান শহর হানোফার তাঁর নামে একটি রাস্তার নামকরণ করলো৷ তাঁর প্রথম মৃত্যুবার্ষিকীতে নগর পিতা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন এঙ্কের নামে রাস্তার নামকরণ করার৷ এবার বাস্তবায়িত হলো সেই প্রতিশ্রুতি৷

বিশ্বের নন্দনীয় গোল রক্ষকদের অন্যতম ছিলেন রবার্ট এঙ্কেছবি: picture-alliance / augenklick/RO

বিশ্বের নন্দনীয় গোল রক্ষকদের অন্যতম রবার্ট এঙ্কে৷ জার্মান জাতীয় দল এবং বুন্ডেসলিগায় নিজের ক্লাবের হয়ে এনে দিয়েছেন অসংখ্য সাফল্য৷ ভক্তদের উপহার দিচ্ছিলেন একের পর এক চমৎকার অনিন্দ্য সুন্দর মুহূর্ত৷ কিন্তু এতোটা জনপ্রিয়তা আর সাফল্য সত্ত্বেও শেষ পর্যন্ত ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে আত্মবিসর্জন দেন রবার্ট এঙ্কে৷ ১৪ মাস আগে তাঁর সেই আত্মাহুতির পর থেকে জার্মান সরকার নানা উদ্যোগ নিয়েছে এঙ্কের স্মৃতিকে চিরস্মরণীয় করে রাখার জন্য৷

এবার হানোফার নগর কর্তৃপক্ষ এগিয়ে এলেন এঙ্কের নামে একটি গুরুত্বপূর্ণ সড়কের নামকরণ করার পদক্ষেপ নিয়ে৷ জার্মান ভাষায় এই সড়কের নাম হলো রবার্ট-এঙ্কে-স্ট্রাসে৷ এটি এঙ্কের নিজ শহর হানোফার এর প্রধান স্টেডিয়ামের নিকটবর্তী৷ রবার্ট এঙ্কে ২০০৪ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত এই মাঠেই খেলেছেন৷ জার্মানির উত্তরাঞ্চলের শহর হানোফারের মেয়র স্টেফান ভাইল এ প্রসঙ্গে বললেন, মৃত্যুর মাত্র কয়েকমাসের মধ্যেই একটি রাস্তার নাম পরিবর্তন করে কারো নামে নামকরণ করার ঘটনা বিরল৷ কিন্তু এঙ্কে এমন এক ব্যতিক্রমধর্মী ব্যক্তিত্ব ছিলেন যে তিনি আমাদেরকে এমন পদক্ষেপ নিতে বাধ্য করেছেন৷

ছবি: AP

উল্লেখ্য, এঙ্কে সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় নিজ দল হানোফারের হয়ে জার্মান ফুটবল লিগ বুন্ডেসলিগায় তাঁর কৃতিত্বের জন্য৷ খেলেছেন জনপ্রিয় ফুটবল দল বেনফিকা এবং বার্সেলোনার হয়েও৷ এছাড়া ২০০৭ সাল থেকে মৃত্যু পর্যন্ত জার্মানির হয়ে আটটি খেলায় কৃতিত্বের স্বাক্ষর রেখেছেন তিনি৷ কিন্তু মাত্র ৩২ বছর বয়সে আত্মাহুতি দেন এই কৃতি গোলরক্ষক৷ ২০০৯ সালের ১০ নভেম্বর চলন্ত ট্রেনের নিজে ঝাঁপিয়ে পড়েন৷

তাঁর আত্মহত্যায় শোকাহত ফুটবল জগত৷ ঘটনার পর তদন্তে যেটুকু জানা গেছে তা হলো চরম হতাশা বা অবসাদে ভুগছিলেন এই ফুটবল তারকা৷ এঙ্কের স্ত্রী টেরেসার মতে, প্রায় ছয় বছর ধরে মানসিক হতাশায় ভুগছিলেন তিনি৷ সেই হতাশার বলি দিতে গিয়ে নিজেকে শেষ করে দেন এঙ্কে৷

প্রতিবেদন: হোসাইন আব্দুল হাই

সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ