1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

হাবল টেলিস্কোপের ৩০ বছর

৩ আগস্ট ২০২০

ভূ-পৃষ্ঠ থেকে সাড়ে পাঁচশ কিলোমিটার উঁচুতে থাকা হাবল টেলিস্কোপের ৩০ বছর পূর্ণ হয়েছে এ বছর৷ মহাবিশ্ব সম্পর্কে জ্যোতির্বিদদের ধারণা একেবারেই পালটে দিয়েছে এটি৷

Hubble wird 30, Projekt Zukunft
ছবি: ESA

মহাবিশ্বের ‘লার্জ ম্যাজেলানিক ক্লাউড' এলাকায় অবস্থান করা ‘ট্যারানচুলা নীহারিকা’, পৃথিবী থেকে সাড়ে ছয় হাজার আলোকবর্ষ দূরে অবস্থিত ‘কারিনা নীহারিকা'র ছবি তুলেছে হাবল টেলিস্কোপ৷

জার্মানির রুয়র ইউনিভার্সিটির অ্যাস্ট্রোফিজিসিস্ট রাল্ফ-ইয়ুর্গেন ডেটমার শুরু থেকেই হাবল টেলিস্কোপ ব্যবহার করছেন৷ তিনি বলেন, ‘‘হাবল টেলিস্কোপের উচ্চ রেজ্যুলেশনের কারণে আমাদের মহাবিশ্বের আকার যে খুব দ্রুত বাড়ছে, তা প্রমাণিত হয়েছে৷ গত ৫০ বছর ধরে আমরা এমনটা ভাবছিলাম৷ কিন্তু প্রমাণ করতে পারছিলাম না৷ এখন এটা প্রমাণিত হওয়ায় মহাবিশ্বের শুরু ও প্রসার সম্পর্কে আগের ধারনা বদলে গেছে৷’’

কয়েক দশকের পরিকল্পনা শেষে ১৯৯০ সালের ২৪ এপ্রিল স্পেস শাটল ডিসকোভারি হাবল টেলিস্কোপ নিয়ে অর্বিটের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করে৷ পৃথিবী থেকে সাড়ে পাঁচশ কিলোমিটার উঁচুতে এই টেলিস্কোপের অবস্থান৷ এটি পৃথিবীর পরিবেশের প্রভাব থেকে মুক্ত হয়ে মহাবিশ্ব সম্পর্কে তথ্য পাঠাবে বলে মনে করা হয়েছিল৷

কিন্তু শুরুতে ঝাপসা ছবি পাঠাচ্ছিল দেড় বিলিয়ন ডলারের এই টেলিস্কোপ৷ যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে এমনটা হয়েছিল৷ নির্মাণের পর পৃথিবীতে পরীক্ষা করে না দেখায় এই সমস্যা হয়েছিল৷

ত্রুটি দূর করতে নভচারীরা ১৯৯৩ সালে হাবলের কাছে উড়ে গিয়েছিলেন৷ তারা একটি লেন্স বসিয়ে দিয়েছিলেন- যেমনটা চোখের সমস্যা দূর করতে আমরা চশমা ব্যবহার করি৷

ফলে শুরুর তিন বছর পর স্পষ্ট দেখা শুরু করেছিল হাবল৷

ডেটমার বলেন, ‘‘এরপরই আসলে হাবল টেলিস্কোপ দিয়ে প্রত্যাশা অনুযায়ী ছবি পাওয়া সম্ভব হয়েছিল৷ হাবলকে মেরামত করতে পারার সুযোগ থাকায় পরেও আরো উন্নয়ন কাজ করা গেছে৷ অত্যাধুনিক সব যন্ত্রপাতি ইনস্টল করতে পারায় ৩০ বছর পর এখনও আমরা হাবলকে কাজে লাগাতে পারছি৷’’

এখন পর্যন্ত মোট পাঁচবার হাবল ঠিক করতে নভচারীরা সেখানে উড়ে গিয়েছেন৷ শেষবার গেছেন ২০০৯ সালে৷ সেই সময় সেন্সরগুলো পরিবর্তন করা হয়েছে, ক্যামেরার শক্তি বাড়ানো হয়েছে, সোলার প্যানেল বসানো হয়েছে৷ এসব কারণে হাবল এখনও সক্রিয় রয়েছে এবং মহাবিশ্বের ছবি তুলে যাচ্ছে৷

অন্যান্য গ্যালাক্সিতে গ্যাস আর তারার চলাফেরার ছবি তুলেছে হাবল৷ তারার চারদিকে ঘোরা গ্রহ আবিষ্কার করেছে৷ হাবলের কারণেই আমরা এখন জানি, আমাদের মহাবিশ্বের বয়স ১৩.৭ বিলিয়ন!

হাবল টেলিস্কোপ বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের ছবি বদলে দিয়েছে৷

টমাস হিলেব্রান্ডট/জেডএইচ

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ