জি-টোয়েন্টি সম্মেলনের সময় প্রতিবাদ কর্মসূচিতে অংশ নিতে হামবুর্গে যাওয়া ব্যক্তিরা চাইলে শহরে তাঁবুতে থাকতে পারবেন৷ এই বিষয়ে দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ের পর জার্মানির সর্বোচ্চ আদালত বিক্ষোভকারীদের পক্ষে এই রায় দিয়েছেন৷
বিজ্ঞাপন
জার্মানির কেন্দ্রীয় সাংবিধানিক আদালত বুধবার জানিয়েছে, জি-টোয়েন্টি সামিটের প্রতিবাদকারীদের অবস্থানের জায়গা নির্ধারনে শহর কর্তৃপক্ষের সহায়তা করার আইনগত বাধ্যবাধকতা রয়েছে৷ প্রতিবাদকারীরা ইতোপূর্বে শহরের পার্কে তাবু টাঙিয়ে অবস্থানের ঘোষণা দিলে নগর কর্তৃপক্ষ তার বিরোধিতা করে৷ এই বিষয়ে একটি আদালত প্রতিবাদকারীদের বিপক্ষে রায় দিলেও সর্বোচ্চ আদালত তা খারিজ করে প্রতিবাদকারীদের এ ধরনের সমাবেশ আয়োজনের আইনি অধিকারের বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়েছে৷
ইউরোপে সেরা ১১টি শহুরে সৈকত
ঘুরতে যাওয়ার জন্য অনেক পর্যটকের কাছে এমন শহর পছন্দ যেখানে গেলে শহরের আমেজও পাওয়া যায়, আবার চাইলে একটুখানি সৈকতে হেঁটেও আসা যায়৷ ছবিঘরে ইউরোপের এমনই কিছু শহরের কথা থাকছে৷
ছবি: picture-alliance/DUMONT Bildarchiv/F. Heuer
বার্সেলোনা
এক দু’টি নয়, বার্সেলোনায় সৈকত আছে সাতটি৷ গত তিন দশকে বিশ্বের শহরগুলোর মধ্যে পর্যটন বৃদ্ধির হার সবচেয়ে বেশি ছিল বার্সেলোনাতে৷ ১৯৯০ সালে ১ দশমিক ৭ মিলিয়ন পর্যটক অন্তত একরাত বার্সেলোনাতে কাটিয়েছিলেন৷ ২০১৬ সালে এসে সংখ্যাটি দাঁড়িয়েছে ১৭ মিলিয়নে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/J. Carstensen
সান সিবাস্টিয়ান
স্পেনের বাস্ক অঞ্চলের উপকূলীয় এই শহরেও বেশ কয়েকটি বিচ আছে৷ সবচেয়ে জনপ্রিয় হলো ‘লা কনচা বে’৷ স্প্যানিশ কনচা শব্দের অর্থ শামুকের খোল৷ সৈকতটি দেখতে সেরকম বলে এর এমন নাম হয়েছে৷ বালুময় বিচটি ৪০ মিটারেরও বেশি প্রশস্ত৷ তবে যাঁরা সার্ফিং করেন তাঁদের পছন্দ থুরিওলা বিচ৷
ছবি: picture-alliance/dpa/A. L. Verde
নিস
দক্ষিণ ফ্রান্সের নিস শহরের সৈকত ধরে প্রায় সাত কিলোমিটার দীর্ঘ সড়ক চলে গেছে৷ সেখান দিয়ে হাঁটতে পছন্দ করেন পর্যটকরা৷ তবে নিসের সৈকতে নুড়ি থাকায় সেখানে সমুদ্রস্নান খুব একটা আরামদায়ক নয়৷
ছবি: picture-alliance/akg-images/H. Champollion
মার্সেই
গ্রীষ্মে তামপাত্রা ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি হলে পর্যটকরা প্লাজ ডে কাতালানস সৈকতে চলে যান৷ ভিয়ো পোর্ট থেকে সেখানে খুব সহজেই হেঁটে যাওয়া যায়৷ তবে ফ্রান্সের অন্যান্য সৈকতের মতো ঐ বিচেও প্রবেশে অর্থ লাগে৷ তাই শহরের কাছেই থাকা ছোট-বড় কোভগুলো একটু বেশি জনপ্রিয়, কেননা সেখানে যেতে টাকা লাগে না৷
ছবি: picture-alliance/maxppp/L. Florian
ট্রোভিল
ফ্রান্সের নরম্যান্ডি এলাকার অন্যতম সুন্দর সৈকতটি ট্রোভিলে অবস্থিত৷ বালুময় এই বিচের পাশেই ফ্রান্সের প্রথম সমুদ্র তীরবর্তী রিসোর্ট গড়ে উঠেছিল৷ ঊনিশ শতকে সেখানে পর্যটকদের জন্য কাঠের পায়ে হাঁটা রাস্তা নির্মাণ করা হয়েছিল৷
ছবি: picture-alliance/robertharding/G. Thouvenin
দ্য হেগ
শহরের কেন্দ্র থেকে মাত্র ১৫ মিনিটেই সৈকতে যাওয়া যায়৷ শেভেনিঙে এলাকাটি ছোট্ট মাছ ধরার গ্রাম থেকে ক্রমেই নেদারল্যান্ডসের সবচেয়ে বড় সমুদ্র তীরবর্তী রিসোর্ট এলাকা হিসেবে গড়ে উঠেছে৷
ছবি: picture-alliance/Arco Images/J. Kruse
ওস্টএন্ড
বেলজিয়ামের এই সৈকতে গেলে নয় কিলোমিটার এলাকা জুড়ে বালুর সৈকত পাওয়া যাবে৷ একসময় রাজপরিবারের গ্রীষ্মকালীন বাসস্থান ছিল সেখানে৷
ছবি: picture-alliance/vintage.de/B. Juettner
কামোলগি
ইটালির এই সৈকত এলাকায় ছোট ছোট শহর আছে৷ আর প্রতিটি শহরে আছে একটি করে বিচ৷ দুপুরে খাবার আগে কাঁধে তোয়ালে নিয়ে একটুখানি পানিতে দাপাদাপি করা যায়৷ আর সন্ধ্যা হলে সৈকত সংলগ্ন খাড়া পাহাড় আর জেটিতে মেতে ওঠা যায় রোম্যান্টিকতায়৷
ছবি: picture-alliance/dpa/M. C. Hurek
ভেনিস
ভেনিসে গিয়ে সৈকতের খোঁজ পেতে আপনাকে পিয়াৎসা সান মার্কো থেকে ভাপোরেততে (ওয়াটার বাস) করে লিডো দ্বীপে যেতে হবে৷ সময় লাগবে মাত্র ১০ মিনিট৷ ঊনিশ শতক থেকেই সৈকতটি পর্যটকদের বেশ প্রিয়৷
ছবি: picture-alliance/dpa/S. Stache
ডুবরনিক
ক্রোয়েশিয়ার এই সৈকত শহরের সিটি সেন্টারে গেলে মধ্যযুগীয় আমলের চিহ্ন পাওয়া যায়৷ অ্যাড্রিয়াটিক সাগরের ধারে অবস্থিত সবচেয়ে সুন্দর শহরগুলোর একটি ডুবরনিক৷ ১৯৭৯ সাল থেকে ডুবরনিক শহরের পুরনো অংশের নাম ইউনেস্কোর ঐতিহ্যের তালিকায় রয়েছে৷
ছবি: picture-alliance/PIXSELL/G. Jelavic
হামবুর্গ
সৈকত হতে হলে সাগরের পাশের শহর হতে হবে এমন তো কোনো কথা নেই৷ তাই এলবে নদীর তীরের শহর জার্মানির হামবুর্গের বিচে গেলে বাড়তি পাওনা হিসেবে বড় বড় কনটেনার জাহাজের আসা যাওয়া দেখতে পাওয়া যায়৷
ছবি: picture-alliance/dpa/B. Marks
11 ছবি1 | 11
তবে ‘পুঁজিবাদবিরোধী ক্যাম্প’ তৈরি করতে গিয়ে পার্কটিতে যাতে কেউ কোনো রকমের ভাঙচুর বা অন্য কোনো ক্ষতিকর কাজ করতে না পারে, সেদিকে নজর রাখতেও নগর কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছে আদালত৷ তবে পার্কের অখণ্ডতা ধরে রাখতে গিয়ে পাবলিক ফান্ড যত কম খরচ করা সম্ভব, সেদিকে নজর রাখতেও বলা হয়েছে৷ ফলে হামবুর্গ কর্তৃপক্ষ চাইলে ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে বিক্ষোভকারীদের অবস্থানস্থল অন্যত্র সরিয়ে নেয়ার সুযোগ রয়েছে৷ ধারণা করা হচ্ছে যে, কর্তৃপক্ষ সম্ভবত শহরের পার্কের বদলে অন্য কোথাও বিক্ষোভকারীদের অবস্থান করতে দিতে পারে৷
এদিকে, বুধবার সকালে প্রতিবাদকারীরা এলবে নদীর উপরে একটি সেতুতে একটি ব্যানার টাঙিয়েছে যেখানে লেখা আছে, ‘‘সেতু তৈরি কর, দেয়াল নয়’’৷ পশ্চিমা ধনী রাষ্ট্রগুলোর অভিবাসননীতির বিরোধিতা করে এই ব্যানারটি প্রদর্শন করা হচ্ছে৷
প্রতিবাদকারীরা হামবুর্গের পার্কে কার্যত একটি তাঁবু শহর গড়তে চাচ্ছেন, যেখানে দশ হাজার মানুষ তিন হাজার তাঁবু টাঙিয়ে জুলাইয়ের নয় তারিখ অবধি থাকবেন৷ শহর কর্তৃপক্ষ এ ধরনের ক্যাম্প পার্কে তৈরি আইনবিরুদ্ধ দাবি করে প্রতিবাদকারীদের তা স্থাপন করতে দেয়নি৷ এখন সর্বোচ্চ আদালতের নির্দেশনার পর নতুন করে ভাবতে হচ্ছে তাদের৷
উল্লেখ্য, আগামী সাত এবং আট জুলাই জার্মানির হামবুর্গ শহরে জি-টোয়েন্টি শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে৷ বিশ্বের ২০টি শিল্পোন্নত দেশের শীর্ষনেতারা এই সম্মেলনে অংশ নেবেন৷