রোহিঙ্গাদের হামলায় আহত হয়েছে এক পুলিশ কর্মী, নিহত হয়েছে এক বাংলাদেশি৷ এক মাসে রোহিঙ্গাদের অন্তত ৩০টি অপরাধের ঘটনা রেকর্ড করেছে টেকনাফ ও উখিয়া থানা৷ হত্যাসহ বিভিন্ন অপরাধে গ্রেপ্তার হয়েছে অন্তত ৩০ জন রোহিঙ্গা৷
বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ সোমবার ভোর রাতে কক্সবাজারের উখিয়া এলাকায় রোহিঙ্গা ডাকাত দলের পাঁচ সদস্যকে আটক করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ন (র্যাব)৷ তাদের কাছ থেকে দেশীয় অস্ত্রও উদ্ধার করা হয়েছে৷
র্যাব-৭ কক্সবাজার ক্যাম্পের অধিনায়ক মেজর রুহুল আমিন সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, বালুখালী রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্পের বাগান এলাকায় ছয়-সাত জনের রোহিঙ্গা ডাকাত দল ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছিলো৷ তাদের মধ্যে পাঁচ জনকে আটক করা হয়৷ তাদের সবার বাড়ি রাখাইনের মংডুর আকিয়াব এলাকায়৷ তাদের কাছ থেকে ৫টি রামদা উদ্ধার করা হয়৷
ধর্ষণ আর অপহরণের শিকার রোহিঙ্গা এতিম শিশুরা
মিয়ানমার সেনাদের সীমাহীন নির্যাতনের কারণে গত আড়াই মাসে ছয় লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা মুসলমান বাংলাদেশে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছে৷ সবচেয়ে দুর্বিষহ পরিস্থিতির মুখে পড়েছে শিশুরা৷ জন ওয়েনস এর ছবিতে উঠে এসেছে সেইসব দুর্দশার কিছু কথা৷
ছবি: DW/J. Owens
গুলি আর ছুরিকাঘাত
গত আগস্ট থেকে এ পর্যন্ত ছয় লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে পালিয়েছে৷ তাদেরই একজন মোহাম্মদ বেলাল৷ দৌড়ে পালাতে পেরেছিল ১০ বছর বয়সি এই কিশোর৷ সে জানায়, ‘‘সেদিন সেনাবাহিনী এসে পুরো গ্রাম পুড়িয়ে দেয়৷ আমার মা পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছিল, সেসময় তাঁকে গুলি করা হয়৷ আমার বাবা হাঁটতে পারছিলেন না, তারা তাঁকে ছুরি দিয়ে আঘাত করে৷ আমি নিজ চোখে এসব দেখেছি৷’’
ছবি: DW/J. Owens
আতঙ্কগ্রস্ত
মোহাম্মদ বেলালের বোন নূরও হত্যাযজ্ঞ দেখেছে৷ নিঃসঙ্গ হয়ে সে আর তার ভাই এখন বাংলাদেশে শিশুদের একটি আশ্রয়কেন্দ্রে আছে৷ এখানে সে নিয়মিত খাবার পাচ্ছে এবং খেলতে পারছে৷এ এক অদ্ভুত বৈপরীত্য৷ মিয়ানমারে থাকার সময় তাদের দুই ভাই-বোনকে বেশিরভাগ সময়ই না খেয়ে থাকতে হতো৷ তারপরও সাম্প্রতিক এই ট্রমা থেকে কিছুতেই বের হতে পারছে না সে৷ ‘‘আমি আমার বাবা-মা, বাড়ি আর দেশ, সবকিছুই ভীষণ মিস করছি,’’ জানায় নূর৷
ছবি: DW/J. Owens
গভীর সঙ্কট
৭০ বছরেরও বেশি সময় ধরে মিয়ানমারে চলছে এই সঙ্কট৷ সংঘাতে ২০১৬ সাল থেকে এ পর্যন্ত দু’ হাজারেরও বেশি মানুষ মারা গেছে৷ সাম্প্রতিক সেনা নিপীড়নের অভিজ্ঞতা জানাতে গিয়ে ১২ বছর বয়সি রহমান বলে, ‘‘তারা আমার বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেয়৷ অসুস্থ ছিল বলে আমার মা পালাতেও পারেনি৷’’
ছবি: DW/J. Owens
শিশুদের বাঁচাও
বাবা-মাকে হত্যার দৃশ্য নিজ চোখে দেখার পর দিলু আরা তার বোন রোজিনার সাথে পালায়৷ এখন ক্যাম্পে আছে ৫ বছর বয়সি এই শিশু৷ ‘‘আমি খুব কাঁদছিলাম আর পুরোটা সময়ই আমাদের মাথার উপর দিয়ে বুলেট উড়ে যাচ্ছিল৷ কোনো রকমে আমি পালিয়ে এসেছি,’’ বলে শিশুটি৷ বাবা-মা ছাড়া কুতুপালংয়ে আসা এই শিশুদের সাহয়তা দিচ্ছে আন্তর্জাতিক সাহায্য সংস্থা সেভ দ্য চিলড্রেন৷ বাংলাদেশে আসা রোহিঙ্গাদের শতকরা ৬০ ভাগই শিশু৷
ছবি: DW/J. Owens
পশুদের মতো শিকার
জাদেদ আলমও বাবা-মা ছাড়া কুতুপালংয়ে এসেছে৷তবে ভাগ্য ভালো বলে সে তার চাচীকে সাথে পায়৷চাচীই এখন তার দেখাশোনা করছেন৷ সে বলছিল ‘মান্দি পাড়া’ নামে এক গ্রামে বেড়ে উঠেছে সে৷ ফুটবল খেলতেও সে খুব পছন্দ করতো৷ তবে সেনা অভিযানের পর থেকে সবকিছুই বদলে যায়৷ সে জানায়, ‘‘তারা আমাদের বাড়ি ছেড়ে যেতে বলে৷ আমি আমার বাবা-মা’র সাথে দৌড়ে পালাচ্ছিলাম, এমন সময় তাঁদেরকে গুলি করে সেনারা৷ সাথে সাথে মারা যায় তারা৷’’
ছবি: DW/J. Owens
শিশু অপহরণ
এসব ঘটনার সময় সব পরিবারকেই যে আলাদা হতে হয়েছে, তা নয়৷ গত কয়েক সপ্তাহ ধরে রহমান আলী নামে এই ব্যক্তি এই ক্যাম্পে আছেন৷ তবে এখন তিনি তার ১০ বছর বয়সি ছেলে জিফাদকে খুঁজে পাচ্ছেন না৷ ক্যাম্প এলাকায় প্রায় সারা বছরই শিশু অপহরণের গুজব শোনা যায়৷ রহমানের আশংকা, তাঁর ছেলেও পাচারকারীদের হাতে পড়েছে৷ ‘‘আমি খেতে পারছি না, ঘুমাতে পারছি না৷ আমি মনে হয় পাগলই হয়ে গেছি,’’ বলে রহমান৷
ছবি: DW/J. Owens
‘আমি স্বাভাবিক নেই’
যখন গুলি শুরু হয়, তখন সকিনা খাতুন তাঁর বাচ্চাদের বাঁচাতে প্রাণপণে চেষ্টা করেছে৷ তারপরও ১৫ বছরের ইয়াসমিন আর ২০ বছরের জামালিকে বাঁচাতে পারেননি৷ ঘটনার সময় তারা পাশের গ্রামে ছিল৷ সকিনা বলছিল, ‘‘দাদা-দাদীর সামনে তাদের গলা কেটে হত্যা করা হয়৷ আমি এতটাই অনুভূতি শূণ্য হয়ে পড়েছি যে, এই কষ্টও অনুভব করতে পারছি না৷ তাই এই মুহূর্তে আমি স্বাভাবিক নেই৷’’ দুই সন্তানকে হারালেও বাকি নয় জনকে রক্ষা করতে পেরেছেন তিনি৷
ছবি: DW/J. Owens
হামলা, ধর্ষণ এবং লুটপাট
ইয়াসমিনের বয়স ১৫-র কাছাকাছি৷ তবে তাকে তার চেয়েও কম বয়সি বলে মনে হয়৷ গ্রামে থাকার সময় সে মার্বেল খেলতো আর বাড়ির কাছের মাঠে খেলতো৷ এখন অবশ্য ভিন্ন স্মৃতি তাড়িত করছে তাকে৷ মিয়ানমারের সেনারা তার বাবা ও ভাইদের প্রথমে মারধর ও পরে হত্যা করে৷ একদল সেনা তাকে ধর্ষণও করে৷ এখন ইয়াসমিন কেবল এটুকু বলতে পারে,‘‘আমার শরীরে ভীষণ ব্যথা৷’’
ছবি: DW/J. Owens
8 ছবি1 | 8
মেজর রুহুল আমিন আরো জানান, ‘‘আটকরা সবাই কুতুপালং এবং বালুখালী শরণার্থী ক্যাম্পের বাসিন্দা৷ তাদের বিরুদ্ধে আগে থেকেই ডাকাতি এবং রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্পের লোক জনকে জিম্মি করে টাকা-পয়সা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ আছে৷’’
এর আগে ২৮ অক্টোবর রামুতে এক বাংলাদেশিকে গলাকেটে হত্যা করে এক রোহিঙ্গা শরণার্থী৷ নিহত ব্যক্তির নাম আবদুল জব্বার (২৩) ৷ তিনি খুনিয়াপালংয়ের কালুয়ারখলীর হেডম্যান বশির আহম্মদের ছেলে৷ বনের গাছ কাটা নিয়ে দ্বন্দ্বে ওই হত্যাকাণ্ড ঘটে বলে পুলিশ জানায়৷ পুলিশ এই ঘটনায় হাফেজ মোস্তফা নামের এক রোহিঙ্গা শরণার্থীকে আটক করেছে৷
একই দিন রাতে উখিয়ার বালুখালী ১নং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের পাশে স্থানীয়দের উপর ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায় রোহিঙ্গারা৷ রোহিঙ্গাদের হামলায় ৪ জন স্থানীয় ব্যক্তি গুরুতর আহত হন৷ পাঁচ জন বাংলাদেশি এখনো নিখোঁজ৷
পুলিশ জানায়, রোহিঙ্গা শিবিরে নলকূপ স্থাপন করা নিয়ে রোহিঙ্গাদের সাথে স্থানীয়দের বিরোধ সৃষ্টি হয়৷ রাতে রোহিঙ্গারা ‘ডাকাত পড়েছে’ বলে শিবিরের মাইকে ঘোষণা করে সংঘবদ্ধভাবে স্থানীয়দের উপর হামলা করে৷
তারা আমাদের গলার কাঁটায় পরিণত হচ্ছে: গফুর উদ্দিন চৌধুরী
এর আগে গত ২১ অক্টোবর টেকনাফে রোহিঙ্গা দম্পতির হামলায় কবির আহমেদ নামে পুলিশের এক এএসআই আহত হন৷ টেকনাফের নয়াপাড়া শরণার্থী রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ডি ব্লকে রোহিঙ্গা নারী দিল বাহার ও তার স্বামী সৈয়দ আহমদ অবৈধভাবে একটি মুদির দোকান স্থাপনের চেষ্টা করে৷ এ সময় ক্যাম্প পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ কবির আহমদ ঘটনাস্থলে গিয়ে দোকান তৈরির কাজে বাধা দেন৷ এর ফলে প্রথমে তর্কাতর্কি ও পরে হাতাহাতি শুরু হয়৷ ওই রোহিঙ্গা দম্পতি হামলা চালালে এসআই কবির আহত হন৷
গত এক মাসে টেকনাফ ও উখিয়া থানা পুলিশ রোহিঙ্গাদের সংঘটিত অন্তত ৩০টির মতো অপরাধের ঘটনা রেকর্ড করেছে৷ আর হত্যাসহ বিভিন্ন অপরাধে অন্তত ৩০ জন রোহিঙ্গা শরণার্থীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে৷
কুতুপালং ও বালুখালী রোহিঙ্গা ক্যাম্প উখিয়ার পালংখালী ইউনিয়নে৷ ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এম গফুর উদ্দিন চৌধুরী ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘আমরা রোহিঙ্গাদের মানবিক কারণে আশ্রয় দিয়েছি৷ কিন্তু এখন তারা আমাদের গলার কাঁটায় পরিণত হচ্ছে৷ রোহিঙ্গাদের মধ্যে নানা সন্ত্রাসী গ্রুপ রয়েছে৷ তারা হত্যা, চুরি, ডাকাতি ও মাদক পাঁচারসহ হেন কোনো অপরাধ নাই যা তারা করছে না৷ তাদের কাছে আমরা কোণঠাসা৷ তারা গাছ কাটছে, হামলা করছে৷’’
তারা হত্যাকাণ্ডের মত অপরাধও করছে: ওসি আবুল খায়ের
আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘‘এখানে আসা রোহিঙ্গারা শিক্ষিত নয়, তাদের মধ্যে উগ্রতা বেশি৷ তাদের মধ্যে জঙ্গি বা বিদ্রোহীও থাকতে পারে৷ সেনাবাহিনী থাকায় তারা এখনো নিয়ন্ত্রণের বাইরে যায়নি৷ আমার দাবি, তাদের একটি নির্দিষ্ট জায়গায় রাখা হোক৷’’
উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবুল খায়ের ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘রোহিঙ্গা শরণার্থীদের ভিতরে উগ্রতা বা রুক্ষতা থাকা স্বাভাবিক৷ কারণ, তারা নির্যাতিত হয়েছেন৷ নিজেদের সামনে স্বজনদের হত্যার শিকার হতে দেখেছেন৷ কিছু কিছু রোহিঙ্গা অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে৷ তারা হত্যাকাণ্ডের মতো অপরাধও করছে৷ তাদের কাছে অস্ত্রসস্ত্র পাওয়া যাচ্ছে৷ তবে তা নিয়ন্ত্রণের বাইরে নয়৷ আমরা ফোর্স বাড়িয়েছি৷ সরকারের অন্যান্য সংস্থাও কাজ করছে৷’’
আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘‘সবাই শরণার্থী বেশে এসছে৷ তাদের মধ্যে আরসা, জঙ্গি বা বিদ্রোহী কেউ আছে কিনা তা আমরা নিশ্চিত করে বলতে পরছি না৷ তবে আমরা নজর রাখছি৷’’
আমাদের মধ্যেই কিছু খারাপ লোক অপরাধে জড়িয়ে আমাদের ক্ষতি করছে: ইউনূস আরমান
এদিকে রোহিঙ্গাদের একাংশ অপরাধে জড়িয়ে পড়ায় অনেক রোহিঙ্গা শরণার্থীই বিব্রত৷ তারাও এটাকে স্বাভাবিকভাবে দেখছেন না৷ কুতুপালং শরণার্থী ক্যাম্পের মুখপাত্র ইউনূস আরমান ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘আমাদের মধ্যেই কিছু খারাপ লোক অপরাধে জড়িয়ে আমাদের ক্ষতি করছে৷’’
তবে তিনি দাবি করেন, ‘‘২৫ অগাস্ট থেকে যারা এসেছেন, তাদের মধ্যেই ওই খারাপ লোকরাও এসেছেন৷ যারা আগে থেকেই রেজিষ্টার্ড ক্যাম্পে আছে, তারা এর সঙ্গে জড়িত নয়৷ আর অপরাধে জড়িয়ে পড়া রোহিঙ্গাদের সঙ্গে বাংলাদেশের স্থানীয়রা কেউ কেউ জড়িত৷’’
প্রিয় পাঠক, আপনার কিছু বলার থাকলে লিখুন নীচে মন্তব্যের ঘরে...
রোহিঙ্গাদের মুখচ্ছবি
ভয়াবহ সব অভিজ্ঞতার মুখে দেশ ছাড়তে বাধ্য হওয়া, পেছনের টান আর ভবিষ্যতের অনিশ্চয়তা- এই সব নিয়ে একরাশ হতাশা আর বেদনা স্পষ্ট প্রতিটি রোহিঙ্গার চোখেমুখে৷ সম্প্রতি রয়টার্সের ক্যামেরায় ধরা পড়া এমন কিছু অবয়ব নিয়েই এই ছবিঘর৷
ছবি: Reuters/D. Sagoli
অশ্রু
মাত্র একদিন আগেই পরিবারের সবাইকে নিয়ে পালিয়ে এসেছেন ৩০ বছর বয়সি আমিনা খাতুন৷ বাংলাদেশে পৌঁছানোর পর প্রথম রাত কেটেছে কক্সবাজারের শরণার্থী আশ্রয়কেন্দ্রের পাশের সড়কে৷ সাথে ছিল তারই মতো নতুন আসা আরও হাজার হাজার মানুষ৷ সামনের দিনগুলোর কথা ভেবেই হয়তো এই অশ্রুসজল চোখ!
ছবি: Reuters/D. Sagoli
শিশুদের চাহনি
ছবি তোলা হচ্ছে দেখলেই গ্রামের ছেলেমেয়েরা দৌড়ে আসে- এই দৃশ্য খুবই পরিচিত৷ কিন্তু শিশুদের চোখেও এত অবিশ্বাস আর হতাশা বোধহয় পরিচিত নয়৷
ছবি: Reuters/C. McNaughton
জীবন যুদ্ধ
সীমান্ত পাড়ি দিয়ে ৭০ এর বেশি বয়সি এই নারী মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে এসেছেন কিছুক্ষণ আগেই৷ জীবনের এই শেষ দিনগুলোতেও জীবন বাঁচাতে এমন যুদ্ধ করতে হবে কখনও হয়ত ভাবেননি৷
ছবি: Reuters/J. Silva
অসহায়ত্ব
এই শরণার্থী শিশুর অপেক্ষা একটু ওষুধের জন্য৷ সারা মুখে নানা ক্ষত আর তার ওপর মাছির আনাগোনাতেই বোঝা যাচ্ছে, একটু ওষুধ কতখানি দরকার তার৷
ছবি: Reuters/D. Sagolij
নিরুপায়
বৃষ্টি মাথায় ত্রাণকেন্দ্রের সামনে অপেক্ষা৷ আর তো কোন উপায় নেই!
ছবি: Reuters/C. McNaughton
আশ্রয়ের অপেক্ষা
মাত্রই বাংলাদেশে এসেছেন৷ শুরুতে জায়গা হয়েছে এক স্কুল ঘরে৷কিন্তু সেখানে তো আর থাকা যাবে না৷থাকতে হবে আশ্রয়কেন্দ্রে৷নতুন সেই ঠিকানার অপেক্ষাতেই এখন তারা৷
ছবি: Reuters/C. McNaughton
ত্রাণের আশা
কক্সবাজারের বালুখালি শরণার্থী শিবিরে আর সবার মতোই একটু ত্রাণের আশায় কোলের সন্তানকে নিয়ে অপেক্ষায় এই নারী৷
ছবি: REUTERS
চৌদ্দ দিন পর
সালেহা বেগম নামের এই মা এতটুকুন শিশুকে নিয়ে ১৪ দিন ধরে জঙ্গল পথে হেঁটেছেন৷ তারপর পেরেছেন সীমান্ত পাড়ি দিতে৷ এখন অপেক্ষা একটু আশ্রয়ের৷
ছবি: Reuters/C. McNaughton
বিশ্রাম
টেকনাফের শাহ পরীর দ্বীপ পর্যন্ত নৌকায় গাদাগাদি করে এসে কোনমতে পৌঁছেছে সবাই৷ নতুন আশ্রয়ে যাবার আগে তাই একটু বিশ্রাম৷
ছবি: Reuters/D. Sagolij
দায়িত্বের ভার
টেকনাফে পৌঁছেই ছুটতে হচ্ছে ত্রাণের আশায়৷ নিজেই এক শিশু, তার ওপর কোলে, পাশে আরও ভাই-বোন থাকায় দায়িত্ব যেন বেড়ে গেছে৷
ছবি: Reuters/D. Sagolij
প্রতিক্রিয়া
এত মানুষের টানাহ্যাঁচড়ার মধ্যেই দাঁড়াতে হয় ত্রাণের লাইনে৷ ধাক্কাধাক্কি সহ্য করে আর কতক্ষণ৷ তাল সামলাতে না পেরে তাই চোখ ফেটে গড়িয়ে পড়ে অশ্রু৷
ছবি: Reuters/C. McNaughton
অনিশ্চয়তা
আদরের ধন নাতিকে কোলে নিয়ে এই নারী বসে আছেন ত্রাণের আশায়৷ কিন্তু একটু ত্রাণই তো সব নয়৷ নাতির ভবিষ্যত কী, সেই ভাবনাতেই খানিকটা উদাস হয়ে পড়েছেন তিনি৷