হামাসকে চুক্তি মেনে নেওয়ার জন্য চাপ দিলেন ট্রাম্প
৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫
দুই বছর ধরে হামাসের সঙ্গে ইসরায়েলের লড়াই চলছে। গাজা স্ট্রিপ কার্যত একটি ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। হাজার হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে। বহু মানুষ কার্যত অনাহারে দিন কাটাচ্ছেন। এই পরিস্থিতিতে এই লড়াই বন্ধের জন্য অ্যামেরিকার মধ্যস্থতায় একটি চুক্তিপত্র তৈরি করা হয়েছে। ইসরায়েল এবং হামাস এই শর্ত মেনে নিলে যুদ্ধবিরতি সম্ভব বলে মনে করছে অ্যামেরিকা।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু শর্ত মেনে নিয়েছেন কিন্তু হামাস এখনো শর্ত মানতে রাজি হয়নি। তাদের অভিযোগ, ওই পরিকল্পনাপত্র ইসরায়েলের স্বার্থ দেখে তৈরি করা হয়েছে। সোমবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, নেতানিয়াহু এবং তিনি হামাসকে ওই চুক্তির শর্ত মেনে নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। হামাস ওই শর্ত মেনে নিলে গাজা যুদ্ধ বন্ধ হবে বলে তিনি মনে করেন।
ইউরোপের নেতারাও ট্রাম্পের এই শান্তিচুক্তি সমর্থন করেছেন। তারাও হামাসের কাছে এই চুক্তি মেনে নেওয়ার আবেদন জানিয়েছেন।
জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইয়োহান ভাডেফুল জানিয়েছেন, এই চুক্তি গাজার মানুষের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। হামাসের সঙ্গে যাদের যোগাযোগ আছে, তাদের কাছে তার আহ্বান, হামাস যাতে এই চুক্তি মেনে নেয়, তার জন্য তারা সক্রিয় হোন।
ফরাসি প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাক্রোঁ এই চুক্তিকে স্বাগত জানিয়েছেন। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লিখেছেন, হামাসের সামনে এই চুক্তি মেনে নেওয়া ছাড়া আর কোনো উপায় নেই।
যুক্তরাজ্য এবং ইটালির প্রধানমন্ত্রীও হামাসের কাছে একই আবেদন করেছেন। দ্রুত চুক্তিটি মেনে নিয়ে একটি স্থিতাবস্থা তৈরির আহ্বান জানিয়েছেন তারা।
চুক্তি নিয়ে বহু প্রশ্নের উত্তর মিলছে না
যুক্তরাষ্ট্রে ডিডাব্লিউ দপ্তরের প্রধান ইনেস পোল জানিয়েছেন, চুক্তিটি নিয়ে বহু প্রশ্নের উত্তর এখনো স্পষ্ট নয়।
চুক্তিতে বলা হয়েছে, হামাস যদি চুক্তি মেনে না নেয়, তাহলে ইসরায়েল গাজায় আক্রমণ চালিয়ে যেতে পারবে। অন্যদিকে হামাস চুক্তি মেনে নিলে তাদের অন্য দেশে যাওয়ার নিরাপদ প্যাসেজ তৈরি করে দেওয়া হবে। কিন্তু তারা কোথায় যাবে, সে বিষয়ে কোনো তথ্য দেওয়া হয়নি।
অভিযোগ, এদিন সাংবাদিকদের প্রশ্ন করার সুযোগই দেওয়া হয়নি। ফলে এই প্রশ্নগুলির উত্তরও মেলেনি।
হামাসের সঙ্গে আলোচনা করবে কোন দেশ, তা-ও এখনো স্পষ্ট নয়। দোহায় ইসরায়েল হামলা চালানোর পর কাতার একাজে রাজি হবে কি না, তা স্পষ্ট নয়। তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিচেপ তাইয়েপ এরদোয়ান একাজ করতে পারেন বলেও মনে করছে কূটনৈতিক মহলের একাংশ।
এসজি/জিএইচ (রয়টার্স, এপি, এএফপি)