হামাসকে যুদ্ধবিরতি চুক্তি গ্রহণ করার আহ্বান ট্রাম্পের
২ জুলাই ২০২৫
কাতার এবং মিশরের মধ্যস্থতায় এই যুদ্ধবিরতির চুক্তি তৈরি হয়েছে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প। আপাতত ৬০ দিনের জন্য এই যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। পরে ক্রমান্বয়ে তা বাড়ানো হবে বলে এবং স্থায়ী সমাধানের পথ খোঁজা হবে বলে জানানো হয়েছে।
এদিকে গাজায় গাজা হিউম্যানিটেরিয়ান ফাউন্ডেশন (জিএইচএফ) নামে যে মানবাধিকার সংস্থাটি কাজ করছে, তা সরিয়ে দেওয়ার দাবি জানিয়েছে অন্যান্য মানবাধিকার সংগঠনগুলি। তাদের অভিযোগ, অ্যামেরিকা এবং ইসরায়েল পরিচালিত এই সংস্থাটি অন্য সংস্থাগুলিকে ত্রাণ সরবরাহের কাজ করতে দিচ্ছে না। এই সংস্থার কর্মীদের ঘিরে রাখে অ্যামেরিকার অসরকারি সেনা এবং ইসরায়েলের সেনা। বিভিন্ন জায়গায় অন্য সংস্থার ত্রাণকর্মীদের উপর আক্রমণ চালিয়েছে তারা। অভিযোগ, জাতিসংঘ নির্দেশিত পথে ত্রাণের কাজ করছে না এই সংস্থা। অন্যদিকে ইসরায়েলের অভিযোগ, এই সংস্থা বাদ দিয়ে অন্য মানবাধিকার সংগঠনগুলি ত্রাণের জিনিস জঙ্গিদের সরবরাহ করছে।
এদিকে ট্রাম্প জানিয়েছেন, ইসরায়েল ইতিমধ্যেই নতুন যুদ্ধবিরতির চুক্তি মানতে সম্মত হয়েছে। চুক্তির বিস্তারিত তথ্য তিনি দেননি। তবে জানিয়েছেন, কাতার এবং মিশরের মধ্যস্থতাকারীরা খুব খেটে এই চুক্তি তৈরি করেছেন। মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি ফেরানোর জন্য হামাসের উচিত এই চুক্তি মেনে নেওয়া কারণ, এর চেয়ে ভালো চুক্তি তৈরি করা আর সম্ভব নয়, না মানলে ফল আরো খারাপ হবে বলে প্রচ্ছন্নে হুমকি দিয়ে রেখেছেন ট্রাম্প।
উল্লেখ্য, আগামী সোমবার হোয়াইট হাউসে ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকে বসার কথা ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর। তার আগে হামাস এই চুক্তি মেনে নিক, এমনটাই চাইছে মার্কিন প্রশাসন।
এর আগেও ইসরায়েল এবং হামাসকে যুদ্ধবিরতির চুক্তিতে সম্মত হওয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন ট্রাম্প। কিন্তু তা বাস্তবে সম্ভব হয়নি। গাজায় ক্রমাগত আক্রমণ চালিয়ে গেছে ইসরায়েলের সেনা। তবে এবার যুদ্ধবিরতি চুক্তির বয়ান অনেক বেশি বাস্তবসম্মত বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।
এসজি/জিএইচ (রয়টার্স, এপি)