1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
রাজনীতিইসরায়েল

হামাসের হামলায় ইসরায়েল-আরব সম্পর্ক আগের অবস্থায়?

১১ অক্টোবর ২০২৩

ইসরায়েলে হামাসের হামলার পর ইসরায়েল ও সৌদি আরবের মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার যে প্রক্রিয়া চলছিল তার পরিবর্তে এখন ফিলিস্তিনিদের প্রতি নতুন করে আরবদের সমর্থন দেখা যাচ্ছে এবং দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানের প্রতি সমর্থন বাড়ছে৷

ইসরায়েল, ফিলিস্তিন ও সৌদি আরবের পতাকা
সৌদি আরব প্রকাশ্যে দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানের কথা বলছেছবি: DW

মাত্র দুই সপ্তাহ আগে সৌদি আরবের মোহামেদ বিন সালমান ও ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহু নিশ্চিত করেছিলেন যে, তাদের দুই দেশ ‘প্রতিদিনই একটু একটু করে ঘনিষ্ঠ' হচ্ছে৷

সেপ্টেম্বরের শেষদিকে মার্কিন টিভি ফক্স নিউজকে দেয়া সাক্ষাৎকারে সালমান দ্বিরাষ্ট্র সমাধানের কথা উল্লেখও করেননি৷ তিনি বলেছিলেন, ইসরায়েলের সঙ্গে নতুন চুক্তি ‘ফিলিস্তিনিদের প্রয়োজন মেটাবে ও তাদের একটি ভালো জীবনের নিশ্চয়তা দিবে'৷

তবে শনিবার ইসরায়েলে হামলার পর সৌদি আরব এখন প্রকাশ্যে দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানের কথা বলছে এবং তাদেরকে ফিলিস্তিনি জনগণের একনিষ্ঠ সমর্থক হিসেবে উপস্থাপন করছে৷

ফলে ইসরায়েলে হামলা করে ফিলিস্তিনিদের বিষয়টি আবার সামনে নিয়ে আসা যে, হামাসের একটি বড় সাফল্য- সেটা বললে অত্যুক্তি হবে না৷ ইউরোপীয় ইউনিয়ন, যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানিসহ অনেক দেশ ইরানসমর্থিত হামাসকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে বিবেচনা করে৷

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক থিংক ট্যাঙ্ক আটলান্টিক কাউন্সিলের নন-রেসিডেন্ট সিনিয়র ফেলো রিচার্ড লেব্যারন সংস্থার ওয়েবসাইটে লিখেছেন, হামাসের হামলা সৌদিদের একটি পরিষ্কার বার্তা দিয়েছে৷ সেটি হচ্ছে, সম্পর্ক স্বাভাবিক করার আলোচনায় ফিলিস্তিনিদের ইস্যুটি শুধুই একটি ‘সাবটপিক' অর্থাৎ উপ-বিষয় হিসেবে বিবেচনা করা যাবে না৷ ‘‘এই হামলা সৌদি আরব ও ইসরায়েলের মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিকের বিষয়ে পরিবর্তন আনবে,'' বলে মনে করেন তিনি৷

আটলান্টিক কাউন্সিলের ‘স্কোক্রফট মিডলইস্ট সিকিউরিটি ইনিশিয়েটিভের' পরিচালক জনাথন পানিকফ ডয়চে ভেলেকে বলেন, সৌদি আরব ও ইসরায়েলের মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার বিষয়ে অদূর ভবিষ্যতে অগ্রগতি হবে, এমনটা আশা করা যাচ্ছে না৷ ইসরায়েলের অভিযানে গাজায় অনেকের মৃত্যু হলে এবং সেখানে অনেক ধ্বংসযজ্ঞ চললে সেটি সম্ভব হবে না, বলে মনে করেন তিনি৷

ইউরোপিয়ান কাউন্সিল অন ফরেন রিলেসন্সের গবেষণা ফেলো হিউ লোভাট ডয়চে ভেলেকে বলেন, তার বিশ্বাস ‘‘আরব বিশ্বের জনগণের মতামত - যার বেশিরভাগই ইসরায়েলের প্রতিকূল- সেটি ইসরায়েলের প্রতিক্রিয়ার কারণে আরও বাড়বে৷''

এদিকে, ২০২০ সালে ইসরায়েলের সঙ্গে চুক্তি করা সংযুক্ত আরব আমিরাত ইসরায়েলে নিহতদের প্রতি শোক প্রকাশ করেছে৷ তবে সরাসরি হামাসের কর্মকাণ্ডের সমালোচনা করেনি বলে জানিয়েছে গণমাধ্যম ব্লুমবার্গ৷

ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা

শুধু আরব বিশ্বের চাপ নয়, সৌদি আরব ভবিষ্যতে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার দিকে এগোবে কিনা, সেই সিদ্ধান্ত নিতে ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকার দিকেও নজর রাখবে৷

এ বছর সৌদি আরব ও ইরানের মধ্যে সম্পর্ক উন্নয়নের চেষ্টা দেখা গেলেও মিত্রদের প্রশ্নে এখনও দুই দেশের মধ্যে দ্বন্দ্ব দেখা যায়৷

ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার মাধ্যমে সৌদি আরব আশা করেছিল যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তাদের সম্পর্ক ২০১৮ সালের আগের অবস্থায় ফিরে যাবে৷ ঐ বছর সাংবাদিক জামাল খাশোগি হত্যার পর দুই দেশের সম্পর্কে অবনতি হয়৷ এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ভালো সামরিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা এবং মার্কিনিদের তত্ত্বাবধানে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণেরও অনুমতি আশা করছে সৌদি আরব৷

আটলান্টিক কাউন্সিলের পানিকফের ধারণা, সৌদি আরবের বিশ্লেষকদের মনে হয়ত প্রশ্ন জাগতে পারে যে, সৌদি আরবের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ইসরায়েলের কাছাকাছিও নয়৷ ফলে ইসরায়েলের মতো দ্বন্দ্বের মুখোমুখি হলে সৌদি আরবে কত প্রাণহানি ও ধ্বংস হতে পারে, তা ভাবতে পারেন সৌদি বিশ্লেষকেরা৷ সে কারণে হয়ত সৌদি আরব আবারও ইসরায়েলের সঙ্গে আলোচনার টেবিলে ফিরতে পারে, বলে মনে করছেন তিনি৷

জেনিফার হোলাইস/জেডএইচ

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ