হামাসের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী
১৪ ডিসেম্বর ২০১২ফিলিস্তিনে দুটি গোষ্ঠী বেশ সরব৷ একটি হামাস, অন্যটি ফাতাহ৷ এর মধ্যে হামাসের দখলে রয়েছে গাজা এলাকা৷ আর ফাতাহ'র নিয়ন্ত্রণে পশ্চিম তীর৷ ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস ফাতাহ'র বর্তমান প্রধান৷ ইয়াসির আরাফাত এই সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা৷
২০০৪ সালে আরাফাতের মৃত্যুর পর হামাস ও ফাতাহ'র মধ্যে সম্পর্কের অবনতি হয়৷ এবং সেটা চরম আকার ধারণ করে ২০০৬ এর নির্বাচনের পর৷ ঐ নির্বাচনে হামাস জয়ী হয়৷ এর প্রতিক্রিয়ায় যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও আরব রাষ্ট্রসমূহ ফিলিস্তিনে সাহায্য বন্ধ করে দেয়৷
এরপর ২০০৭ সালে হামাস ফাতাহ সরকারের নিরাপত্তা বাহিনীকে পরাজিত করে গাজার দখল নিয়ে নেয়৷ সেই থেকে গাজা শাসন করছে হামাস৷ এর মধ্যে গত বছর হামাস ও ফাতাহ নেতৃবৃন্দের মধ্যে একটি চুক্তি সই হয়েছিল৷ তাতে দুই গোষ্ঠী মিলে একটা ঐকমত্যের সরকার প্রতিষ্ঠা করে নির্বাচন অনুষ্ঠানের কথা বলা হয়েছিল৷ কিন্তু পরবর্তীতে সেটা আর বাস্তবায়িত হয়নি৷
সেভাবেই চলছিল৷ এরপর কদিন আগে হামাসের সঙ্গে ইসরায়েলের সংঘাত শুরু হয়৷ এসময় প্রথমবারের মতো তেল আভিভ ও জেরুসালেম লক্ষ্য করে স্বল্প পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালাতে সক্ষম হয় হামাস৷ এর ফলে ফিলিস্তিনিদের কাছে হামাসের ভাবমূর্তি উন্নত হয়েছে, বলে মন্তব্য গাজার আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনৈতিক বিশ্লেষক মুখাইমার আবু শাদা'র৷ যদিও ১৭ লক্ষ জনগণ অধ্যুষিত গাজায় দারিদ্র, বেকারত্ব, অবরোধ, দুর্নীতি আর মানবাধিকার লঙ্ঘন স্বাভাবিক একটা ব্যাপার৷
তাইতো ফিলিস্তিনি ব্লগার সামাহ কাসাবের বক্তব্য, ‘‘আমি কিছুতেই বুছতে পারছিনা৷ মাত্র ক'দিন আগেই হামাসকে নিয়ে সবাই অখুশি ছিল৷ কিন্তু এখন সেটা বদলে গেছে৷ শুধুমাত্র ইসরায়েলের বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থান নেয়াতেই কি এই পরিবর্তন?''
সুতরাং বোঝাই যাচ্ছে বেশ খানিকটা আমুদে মেজাজেই ২৫ বছর পালন করলো হামাস৷ কিন্তু তাদের আসল যে উদ্দেশ্য, স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র, তা কবে পূরণ হবে কেউ জানেনা৷