খান ইউনুসের ব্রিগেড কম্য়ান্ডার রাফা সালামা নিহত হয়েছেন বলে দাবি করেছে ইসরায়েল। একই জায়গায় হামাসের সেনা-প্রধান ছিলেন বলে জানা গেছে।
বিজ্ঞাপন
রোববার ইসরায়েলের সেনা দাবি করেছে, গাজায় একটি আক্রমণে হামাসের খান ইউনুসের ব্রিগেড কম্য়ান্ডার রাফা সালামা নিহত হয়েছেন। গাজার আল মাওয়াসি ক্য়াম্পে বিমান আক্রমণ চালিয়েছিল ইসরায়েলের সেনা। তাতেই ওই ব্য়ক্তির মৃত্য়ু হয়েছে। ঘটনায় আরো বহু ফিলিস্তিনির মৃত্য়ু হয়েছে বলে জানা গেছে।
ইসরায়েলের দাবি, ওই ক্য়াম্পে সেফ হাউসে ছিলেন হামাসের সেনা-প্রধান। তবে তিনিও নিহত হয়েছেন কিনা, তা এখনো স্পষ্ট নয়। ইসরায়েলের দাবি, রাফার মৃত্য়ুতে অনেকটাই দুর্বল হয়ে পড়লো হামাসের যোদ্ধারা।
দুর্ভিক্ষের ঝুঁকিতে গাজাবাসী
গাজা উপত্যকায় ইসরায়েল এবং হামাসের মধ্যে যুদ্ধ চলতে থাকলে এবং মানবিক সহায়তার সুযোগ সীমিত থাকলে সেখানে দুর্ভিক্ষ সৃষ্টি হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে৷
ছবি: Mohammed Salem/REUTERS
অপুষ্টির শিকার শিশুরা
অপুষ্টির শিকার ফিলিস্তিনি শিশু ইয়ানা আয়াদের মা গাজা উপত্যকার দক্ষিণে একটি ফিল্ড হাসপাতালে মোবাইলে থাকা ইয়ানার একটি ছবি দেখাচ্ছেন৷ ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধের কারণে সেখানে দুর্ভিক্ষের শঙ্কা তৈরি হয়েছে৷
ছবি: Mohammed Salem/REUTERS
গরম খাবারের অপেক্ষা
একটি দাতব্য সংস্থার রান্না করা গরম খাবার নিতে ভিড় করেছে একদল ফিলিস্তিনি৷ যুদ্ধের কারণে গাজায় ত্রাণ সহায়তা ঠিকভাবে পৌঁছানো যাচ্ছে না৷ ছবিটি ১৯ জুন খান ইউনিসে তোলা৷
ছবি: Hatem Khaled/REUTERS
অপেক্ষায় শিশু
গাজায় খাদ্য সংকট চলছে৷ ছবিতে একটি শিশুকে খাবারের জন্য অপেক্ষা করতে দেখা যাচ্ছে৷
ছবি: Hatem Khaled/REUTERS
বাইরে চিকিৎসার জন্য যাওয়ার অপেক্ষা
অপুষ্টির শিকার ফিলিস্তিনি শিশু আমজাদ আল কানুকে ধরে রেখেছেন তার মা নাদা৷ গাজার বাইরে চিকিৎসা নিতে যাওয়ার জন্য খান ইউনিসের একটি হাসপাতালে অপেক্ষায় আছে শিশুটি৷
ছবি: Mohammed Salem/REUTERS
ক্যানসার চিকিৎসার অপেক্ষা
ফিলিস্তিনি শিশু জোরি আল-আর ক্যানসার এবং অপুষ্টির শিকার৷ চিকিৎসার জন্য সেও গাজার বাইরে যাওয়ার অপেক্ষায় আছে৷ ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধের কারণে সাধারণ গাজাবাসীরও মাসের পর মাস ধরে ভুগতে হচ্ছে৷
ছবি: Mohammed Salem/REUTERS
ফিলিস্তিনি মায়ের বিশ্রাম
গাজার খান ইউনিসের নাসের হাসপাতালে অসুস্থ সন্তানের পাশে বিশ্রাম নিচ্ছেন তার মা৷ যুদ্ধের কারণে সেখানকার চিকিৎসা ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে৷ বেসামরিক হতাহতের ঘটনা প্রতিনিয়তই বাড়ছে৷ হামাস গতবছরের অক্টোবরে ইসরায়েলে সন্ত্রাসী হামলা চালালে জবাবে গাজায় অভিযান শুরু করে দেশটি৷
ছবি: Mohammed Salem/REUTERS
6 ছবি1 | 6
রাফা হামাস সেনাপ্রধানের অন্য়তম বিশ্বাসযোগ্য নেতা ছিলেন বলে দাবি করেছে ইসরায়েল। ৭ অক্টোবর হামাস ইসরায়েলে ঢুকে যে অভিযান চালিয়েছিল, যাতে অন্তত ১২০০ মানুষের মৃত্য়ু হয়েছিল, তার অন্যতম পরিকল্পনা ছিল রাফার, দাবি ইসরায়েলের সেনার।
হামাস এখনো পর্যন্ত রাফার মৃত্য়ুর খবর স্বীকার করেনি। হামাসের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, সেনা-প্রধান সে সময় ওই জায়গায় ছিলেন না। তবে রাফার বিষয়ে কোনো মন্তব্য় করেননি তিনি। হামাসের পাল্টা অভিযোগ, ওই ক্য়াম্পে বোমাবর্ষণ করার ফলে অসংখ্য সাধারণ মানুষের মৃত্য়ু হয়েছে। ওই ঘটনা ধামাচাপা দিতেই কম্যান্ডারের মৃত্যুর খবর ছড়ানোর চেষ্টা করছে ইসরায়েল। তবে ইসরায়েল খুব স্পষ্টভাবেই জানিয়েছে, আক্রমণে রাফার মৃত্য়ু হয়েছে।