হামে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েছে: বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা
১৫ নভেম্বর ২০২০
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ডাব্লিউএইচও বলছে, হামের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে অগ্রগতির পরেও গত কয়েক বছর ধরে হামের প্রকোপ আবারও বাড়ছে এবং করোনা মহামারির কারণে পরিস্থিতি আরো কঠিন হয়ে পড়ছে৷
ছবি: Getty Images/J. Kannah
বিজ্ঞাপন
ডাব্লিউএইচও এবং মার্কিন স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ সিডিসির মতে, গত বছর প্রায় দুই লাখ সাত হাজার পাঁচশ মানুষ মিজলস বা হামে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে৷ তারা জানিয়েছে, ২০১৬ সালের চেয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়েছে শতকরা ৫০ ভাগ, যাদের অনেকের মৃত্যুই প্রতিরোধ করা যেত৷
ডাব্লিউএইচওর তথ্য মতে, ২০১৯ সালে হামে সংক্রমিতের সংখ্যা ছিল প্রায় আট লাখ ৭০ হাজার জন- যা ১৯৯৬ সালের পর সবচেয়ে বেশি৷ কোভিড-১৯ এর কারণে ২৬ দেশের প্রায় সাড়ে নয় কোটি মানুষকে এবছর টিকা দেয়া সম্ভব হবেনা৷
ইউরোপে ‘হাম’ রোগের প্রকোপ বাড়ছে
হাম রোগের প্রকোপ বাড়ার কথা জানা যায় গতবছর প্রকাশিত বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার একটি রিপোর্ট থেকে৷ অবশ্য চলতি বছরে সারা ইউরোপে হাম রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে গত বছরের চেয়েও বেশি৷ বিস্তারিত থাকছে ছবিঘরে৷
ছবি: picture-alliance/dpa
মাত্র ছ’মাসে...
২০১৮ সালের প্রথম ছ’মাসে ইউরোপে ৪২,০০০ মানুষ হামের ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন৷
ছবি: imago stock&people
টিকা না নেওয়ার কারণে
হামের বিরুদ্ধে টিকা না নেওয়াই হামে আক্রান্ত হওয়ার প্রধান কারণ বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা ডাব্লিউএইচও৷
ছবি: picture-alliance/dpa
জার্মানিতে টিকার হার
বর্তমানে জার্মানিতে হামের টিকা নেওয়ার হার শতকরা ৯৩ ভাগ৷
ছবি: Sean Gallup/Getty Images
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সতর্কবাণী
হাম ভাইরাস নিয়ে ২০১৭ সালেই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সতর্কবাণী দিয়েছিল৷
ছবি: picture-alliance/Keystone/U. Flueeler
ডাব্লিউএইচও-র লক্ষ্য হাম নির্মূল করা
ওয়ার্ল্ড হেল্থ অরগ্যানাইজেশন বা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার লক্ষ্য হাম নির্মূল করা৷ অ্যামেরিকা মহাদেশ এবং স্ক্যান্ডিনেভিয়ান দেশগুলিতে ইতিমধ্যেই এটি করতে সফল হয়েছে৷
ছবি: picture-alliance/Keystone/U. Flueeler
জার্মানি
হাম একটি ছোঁয়াচে রোগ৷ অনেক মা-বাবা এই রোগকে তেমন গুরুত্ব দেন না বলেই অনেক শিশু অন্যশিশুদের সাথে খেলার ফলে হামে সংক্রমিত হয়৷ তাই এ রোগটি সম্পর্কে সচেতনতা জরুরি, প্রয়োজন টিকা নেওয়াও৷
ছবি: picture-alliance/dpa/R. Schlesinger
হামকে অনেকে তেমন গুরুত্ব দেন না
অনেকে মনে করেন, হাম তেমন ক্ষতিকর কোনো অসুখ নয়৷ তবে হাম সম্পর্কে জার্মানির রবার্ট কখ ইন্সটিটিউট জানায় যে, হাম থেকে মস্তিষ্কে সংক্রমণ পর্যন্ত হতে পারে৷ তবে তা হাজারে মাত্র একজনের হয়ে থাকে এবং এদের প্রতি পাঁচজনের মধ্যে একজনের মৃত্যু ঘটে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/M. Gambarini
7 ছবি1 | 7
হাম রোগে আফ্রিকার দেশগুলোই বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে৷ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বিশেষজ্ঞ নাতাশা ক্রোকক্রফ্ট জানিয়েছেন, অনেক দেশেই শিশুদের প্রয়োজনীয় টিকাগুলো দেওয়া হয়না, ফলে করোনা মহামারির কারণে পরিস্থিতি আরো খারাপ হচ্ছে৷ তবে জাতিসংঘের শিশু তহবিল ইউনিসেফের পরিচালক হেনরিটা ফোর বলেন, ‘‘আমাদের অবশ্যই মনে রাখতে হবে যে একটি মারাত্মক রোগের বিরুদ্ধে লড়ে যাওয়ার কারণে যেন অন্য লড়াই বাধাগ্রস্থ না হয়৷''
শিশুদের রোগ হিসেবে হাম (লাল ব়্যাশ) পরিচিত হলেও এ রোগ বড়দেরও হয়ে থাকে এবং হলে মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে৷ জ্বর, সর্দি, কাশি, গলা ব্যথা, জয়েন্টে ব্যথা এসবই হাম রোগের প্রথম উপসর্গ৷ ২০১৯ সালে হামের প্রকোপ সবচেয়ে বেশি দেখা দেয় আফ্রিকার ডিআর কঙ্গো, জর্জিয়া, কাজাখস্তান, ইউক্রেনসহ নয়টি দেশে৷