1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জেরুসালেমে ধর্মীয় বিবাদ

২৫ জুলাই ২০১৭

অবশেষে জেরুসালেমের টেম্পল মাউন্টে ঢোকার পথ থেকে মেটাল ডিটেক্টর সরিয়ে নেয়ার পথই বেছে নিয়েছে ইসরায়েল৷ বিষয়টি নিয়ে ধর্মীয় সংঘাত নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ায় পিছু হটতে বাধ্য হলো তারা৷

Israel verschärfte Sicherheitsvorkehrungen am Tempelberg in Jerusalem
ছবি: picture-alliance/newscom/D. Hill

বিষয়টি নিয়ে বেশ কয়েকটি সংঘর্ষের ঘটনার পর ইসরায়েলের নিরাপত্তা মন্ত্রণালয় মঙ্গলবার জেরুসালেমের এই পবিত্র স্থানে প্রবেশদ্বারে মেটাল ডিটেক্টর সরিয়ে ফেলার সিদ্ধান্ত নেয়৷ দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহুর অফিস থেকে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, মেটাল ডিটেক্টরের বদলে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আরো উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে৷

কিন্তু কখন এই মেটাল ডিটেক্টর সরছে এবং এর বদলে কী প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে, তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি৷ স্থানীয় গণমাধ্যমের প্রকাশ যে, মুখ চিনতে পারে এমন ক্যামেরা ব্যবহার করা হতে পারে, মুসলিম ও খ্রিষ্টান উভয় সম্প্রদায়ের কাছেই পবিত্র বলে পরিচিত এই হারাম আল-শরিফ বা টেম্পল মাউন্টে প্রবেশের সময়৷

পশ্চিম তীরের একটি চেকপয়েন্টের কাছে প্যালেস্টাইনের প্রতিবাদকারীরা টায়ার জ্বালিয়ে দেনছবি: Getty Images/AFP/J. Ashtiyeh

আপাতত মনে করা হচ্ছে, যদি মেটাল ডিটেক্টর উঠিয়ে নেয়া হয়, তাহলে উত্তেজনা প্রশমিত হবে৷ তবে স্পষ্টতই এ নিয়ে দ্বিমুখী চাপে পড়েছে ইসরায়েলের প্রশাসন৷

একদিকে, প্যালেস্টাইনবাসী এই ডিটেক্টরের মধ্য দিয়ে পবিত্র স্থানে যেতে নারাজ৷ অন্যদিকে, দেশটির ভেতরে সরকারের এই ‘নতজানু' অবস্থানের সমালোচনা চলছে৷ ইসরায়েলি পত্রিকা হারেৎস-এ আলোচিত সাংবাদিক জুডি মল্জ লিখেছেন যে, মেটাল ডিটেক্টর সরিয়ে নেয়া মানে শুধু প্যালেস্টাইনের চাপের কাছেই নতি স্বীকার করা নয়, বরং সন্ত্রাসের কাছে নতজানু হওয়া৷

বিষয়টি নিয়ে ধর্মীয় ও রাজনৈতিক উস্কানির অভিযোগ উঠেছে৷ প্যালেস্টাইনের পত্রিকা আল-কুদসের মতে, ১৯৪৮ সালে যখন ইসরায়েল গঠিত হয়, তখন থেকেই আল-আকসা মসজিদকে ‘ইহুদীকরণ'-এর চক্রান্ত চলছিল৷ এতদিন পর তারা সেই প্রক্রিয়াই শুরু করেছে৷ অন্যদিকে, ইসরায়েলের এক সাংবাদিক টেম্পল মাউন্টে ইসরায়েলি পুলিশ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে দেশটির এক মুসলিম নেতার যোগ আছে বলে অভিযোগ করেছেন৷

Israel is to remove metal detectors from the Temple Mount

00:44

This browser does not support the video element.

তবে এ বিষয়টিকে অনেকেই পুরোপুরি ‘রাজনৈতিক' বলে ব্যাখ্যা দিয়েছেন৷ ইসরায়েলের নিরাপত্তা মন্ত্রী গিলাড এরডান রেডিওতে বলেছেন যে, এর সঙ্গে ধর্মের কোনো যোগ নেই৷ টেম্পল মাউন্টে যেসব ঘটনা ঘটেছে, সেগুলো ঠেকাতে এই মেটাল ডিটেক্টর বসানোর বিকল্প ছিল না বলে মনে করেন তিনি৷

অন্যদিকে, প্যালেস্টাইনের রামাল্লা থেকে প্রকাশিত হওয়া পত্রিকা আল-আইয়ামও মনে করছে যে, এই সংকট একেবারেই ধর্মীয় নয়৷ বরং ইসরায়েল ঘটনাটিকে ‘ধর্মীয় রং' দিয়ে সারা বিশ্বকে দেখাচ্ছে৷ এই সংকটের রাজনৈতিক দৃষ্টিকোণটিকে পাশ কাটিয়ে গেলে তা প্যালেস্টাইনদের সার্বভোমত্ব, স্বাধীনতা ও নিজস্ব রাষ্ট্র গঠনের অধিকারকে পাশ কাটিয়ে যাওয়া হয় বলে মনে করে পত্রিকাটি৷

এদিকে, আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও এ ঘটনাটি ব্যাপক আলোচিত হচ্ছে৷ আরব লিগের চেয়ারম্যান আহমেদ আবদুল ঘাইত ইসরায়েল ‘আগুন' নিয়ে খেলছে বলে অভিযোগ করেছেন৷ তুর্কি প্রেসিডেন্ট এর্দোয়ান মেটাল ডিটেক্টর বসিয়ে ইসরায়েল মুসলিম বিশ্বকে অপমান করেছে বলে মন্তব্য করেছেন৷

ক্যার্সটেন ক্নিপ/জেডএ

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ