হারিয়ে যাচ্ছে শীতের পাখি, দায়ী মানুষের কার্যকলাপ
৪ ফেব্রুয়ারি ২০১১জলাভূমির যেসব পাখি সাধারণত শীতের সময়ে ফিলিপাইন্সের বিভিন্ন দ্বীপে উড়ে আসে, এই বছরে ইউরোপ এবং এশিয়ায় প্রচণ্ড শীত থাকা সত্ত্বেও তাদেরকে দ্বীপগুলোতে দেখা যায়নি বললেই চলে৷ ফিলিপাইন্স ভিত্তিক ডেনমার্কের পক্ষী বিশারদ আর্নে জেনসেন একথাই বলেছেন৷ তিনি বলেন, ‘‘জলাভূমি প্রজাতির পাখিদের উড়ে আসা এই জনগোষ্ঠীর সংখ্যা মারাত্মকভাবে হ্রাস পেয়েছে৷'' তিনি বলেন, জরুরী ভিত্তিতে অভিবাসী পাখিদের জন্যে বাস্তব ভিত্তিক ভালো ব্যবস্থা করতে হবে, যার মধ্যে রয়েছে, শিকারমুক্ত জলাভূমির পাখিদের জন্যে অভয়ারণ্যের ব্যবস্থা করার পাশাপাশি পরিযায়ী পাখিদের নিরাপদে উড়ে আসার জন্যে আকাশেও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা৷
ফিলিপাইন্সের ক্যানডাবা জায়গাটি ম্যানিলার উত্তরে৷ ম্যানিলা থেকে জায়গাটি দুই ঘন্টার ড্রাইভ৷ আর্নে জেনসেন বলেন, ১৯৮০-র দশকে ক্যানডাবাতে ১ লাখ পাতিহাঁস নেমেছিল৷ আর এই কথা জানিয়েছেন পাখি বিশেষজ্ঞগণই৷ সেটি ছিল পাখিদের নিয়মিত যাত্রাবিরতি৷ পাখিরা পূর্ব-এশিয়া-অস্ট্রেলেশিয়াতে যাবার পথে সেখানে যাত্রা বিরতি করছিল৷ গত সপ্তাহান্তে বার্ষিক পাখি শুমারির সময়ে সেচ্ছাসেবীরা ৪১টি প্রজাতির ৮,৭২৫ টি পাখি গণনা করেন৷ আর গণনার শেষে ওয়ার্ল্ড বার্ড ক্লাব অফ ফিলিপাইন্সের প্রেসিডেন্ট মাইকেল লু ক্যানডাবাতে এএফপি-কে পাখির ঐ সংখ্যা সম্পর্কে জানান৷ তিনি বলেন, ক্যানডাবাতে যে পাখি এবার নেমেছিল, তাদের সংখ্যা গত বছরের তুলনায় ১১ হাজারেরও বেশি কম ছিল৷ তিনি বলেন, পাখিদের প্রধান হুমকি হচ্ছে শিকার৷ আর নাটকীয়ভাবে পাখির সংখ্যা গত ৫০ বছরে যেরকম কমে গেছে, সেজন্যে দায়ী দখল হয়ে যাওয়া খালি ভূমি৷ যেসব জায়গায় এখন চাষাবাদ করা হচ্ছে, বিশেষ করে ফলানো হচ্ছে ধান৷
চীনের দক্ষিণাঞ্চলের কাছাকাছি ফিলিপাইন্সের উত্তর অঞ্চলের পাওয়ে লেকটি আগে ছিল পাখির চারণ ভূমি৷ কিন্তু এখন সেই জায়গাটি শিকারী, কৃষক এবং ওয়াটারস্পোর্টসের দখলে চলে যাওয়ায়, পাখিদের জন্যে জন্যে লেকটি এক হুমকি হয়ে দেখা দিয়েছে৷
প্রতিবেদন: ফাহমিদা সুলতানা
সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন