1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

হারিয়ে যেতে বসেছে মাওরি ভাষা

২১ অক্টোবর ২০১০

দীর্ঘ তেইশ বছর পর মাওরি ভাষা ইংরেজি ভাষার পাশাপাশি নিউজিল্যান্ডের সরকারি ভাষা হিসেবে যোগ দিলেও এই ভাষা আজ হারিয়ে যেতে বসেছে৷

ছবি: The British Museum, London

বয়স্ক মাওরিরা যারা এই ভাষায় অনর্গল কথা বলতে পারতেন তাঁরা ধীরে ধীরে মারা যাচ্ছেন৷ অল্প বয়সিদের এই ভাষা শেখানোর মতো এখন আর তেমন কেউ নেই৷ ঐতিহাসিক ‘মাওরি অধিকার' নিয়ে সরকারের পরামর্শদাতা হিসেবে কাজ করে ওয়েটাংগি ট্রাইবুনাল৷ সম্প্রতি তাদের একটি প্রতিবেদনে এই আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে৷

১৮৪০ সালে উপসাগরীয় দ্বীপটিতে ব্রিটেনের রানি ভিক্টোরিয়ার প্রতিনিধিরা বে অফ আইল্যান্ডস'এর ওয়েটাংগি'তে মাওরিপ্রধানদের সঙ্গে এক চুক্তি সই করেছিলেন৷ ঐ চুক্তিতে তারা লিখিতভাবে ভাষাসহ সকল মাউরি টায়োংগা বা সম্পদ রক্ষা কারার অঙ্গীকার করেছিলেন৷ এরপর কয়েক বছরে নতুন এই ব্রিটিশ উপনিবেশে অভিবাসীদের সংখ্যা বাড়তে থাকে৷ ১৮৫৮ সালেই প্রথম আদমশুমারিতে দেখা যায়, মাওরি জনসংখ্যা ছিল ৫৬ হাজার৷ মাওরি ভাষাকে পেছনে ফেলে দেয় ইংরেজি ভাষা এবং দিনদিন তা সংখ্যালঘুদের ভাষায় পরিণত হয়ে যায়৷

এর এক দশকেরও কম সময় পরে ‘নেটিভ স্কুলস অ্যাক্ট' নামে এক অধ্যাদেশ জারি করা হয় যেখানে বলা হয়, একমাত্র ইংরেজিই হবে মাওরি শিশুদের শিক্ষার মাধ্যম৷

১৯৮৭ সালে যদিও মাওরি'কে অন্যতম সরকারি ভাষা হিসেবে ঘোষণা করা হয়, মাওরি আদিবাসীদের বেতার স্টেশন ১৯৯৩ সাল পর্যন্ত সম্প্রচার শুরু করতে পারেনি৷ এমনকি ২০০৪ সাল পর্যন্ত মাওরি টেলিভিশন চ্যানেলের জন্য সরকার কোনো অর্থবরাদ্দ দেয়নি৷

বিভিন্ন সাইন বোর্ড ও নোটিশে ইংরেজি ও মাওরি দু'টি ভাষা একসঙ্গে খুব কমই দেখা যায়৷ ওয়েটাংগি ট্রাইবুনাল বলেছে, আদিবাসী মানুষদের এই ভাষাকে বাঁচাতে হলে দেশটাকে দ্বিভাষিক করে তোলার ক্ষেত্রে সরকারকে আরও অনেক ব্যবস্থা নিতে হবে৷

মাওরি বিষয়ক মন্ত্রী পিটা শার্পল্স বলেছেন, সরকার অবশ্যই আরো অনেক কিছুই করতে পারে৷ তবে কিনা এই ভাষাকে পুনরুজ্জীবিত করা মাওরিদেরই দায়িত্ব৷ মাওরি শিক্ষাবিদ ও এনগাপুহি উপজাতির নেতা ডেভিড ব়্যাংকিন বলছেন, ‘‘পরবর্তী কয়েক প্রজন্মের মধ্যেই মাওরি ভাষা হারিয়ে যাবে৷ একে আর বাঁচানো যাবেনা৷ এমনকি আমাদের সন্তান ও নাতিনাতনিদের মধ্যে অল্প কয়েকজন যারা এই ভাষা শিখছে তারা ইংরেজি আরও ভালো পারে৷ এটাই মাউরির ভবিষ্যত এবং আমাদেরকে অচিরেই তা দেখতে হবে৷''

প্রতিবেদন: জান্নাতুল ফেরদৌস

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ