আগামী ছয় মাসেও তিনি হার স্বীকার করবেন না। নির্বাচনের পর প্রথম সাক্ষাৎকারে জানালেন ডনাল্ড ট্রাম্প। আক্রমণ করলেন সুপ্রিম কোর্টকেও।
বিজ্ঞাপন
নভেম্বর নির্বাচনের পর দুই একবার তাঁকে জনসমক্ষে দেখা গেলেও সাংবাদিকদের সামনে বিশেষ মুখ খোলেননি তিনি। যা বলার টুইটে বলেছেন। তিনি যে হেরে গিয়েছেন, তা জানতে পারার পর একের পর এক টুইটে এক পা এক পা করে তিনি পিছিয়েছেন। নির্বাচনে কারচুপি হয়েছে বললেও ক্ষমতা হস্তান্তরের রাস্তা খুলে দিয়েছেন। রোববার প্রথম ফক্স চ্যানেলকে একান্ত সাক্ষাৎকার দিয়েছেন ডনাল্ড ট্রাম্প। সেখানে ফের নির্বাচনে ঐতিহাসিক কারচুপির অভিযোগ এনে আদালত থেকে নির্বাচনী কর্মকর্তা, সকলকেই এক হাত নিয়েছেন তিনি।
থ্যাংকসগিভিং ডে ও ট্রাম্পের টার্কি
যুক্তরাষ্ট্রে করোনার মধ্যে থ্যাংকসগিভিং ডে পালিত হচ্ছে৷ কিন্তু করোনা উপেক্ষা করে অনেক মানুষ সড়ক ও আকাশ পথে বাড়ি ফিরেছেন৷ হোয়াইট হাউজেও ছিল ভিন্ন আমেজ৷ বিস্তারিত ছবিঘরে৷
ছবি: Hannah McKay/REUTERS
থ্যাংকসগিভিং প্রথা
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প এবং ফার্স্ট লেডি মেলানিয়া ট্রাম্প থ্যাংকসগিভিং পালন করেছেন৷ মঙ্গলবার এই দিবস উপলক্ষ্যে ঐতিহ্যবাহী প্রথা ‘টার্কি পার্ডনিং’ অনুষ্ঠানের আয়োজন হয় হোয়াইট হাউজের রোজ গার্ডেনে৷
ছবি: Kevin Dietsch/Zumawire/imago images
টার্কি নির্বাচন
টুইটারে একটি পোলের মাধ্যমে জানতে চাওয়া হয়েছিল কর্ন আর তাই ভাই কব এই দুইজনের মধ্যে কাকে জীবনভিক্ষা দেয়া হবে৷ এই পোলে জয়ী হয় কর্ন৷ তার মানে এই নয় যে কব থ্যাংকসগিভিং এর খাবারে পরিণত হয়েছে৷ আগামী মাস থেকে কর্ন এবং কব যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন ভেটেরেনারি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রদর্শিত হবে৷
ছবি: Hannah McKay/REUTERS
কর্ন আর কবের ওজন
আইওয়া থেকে এই দুটি টার্কিকে থ্যাংকস গিভিং এর জন্য আনা হয়েছিল৷ ন্যাশনাল টার্কি ফেডারেশনের চেয়ারম্যান রন কার্ডেলের খামারে বড় হয়েছে তারা৷ আইওয়া স্টেট ইউনিভার্সিটিতে বাকি জীবনটা কাটাবে এই দুই টার্কি৷ কর্নের ওজন ১৯ কেজি আর কবের ওজন সাড়ে ১৮ কেজি৷
ছবি: Hannah McKay/REUTERS
পাঁচতারা হোটেলের আরাম আয়েশ
কর্ন আর কব রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসির বিলাসবহুল হোটেল উইলার্ড ইন্টারন্যাশনাল হোটেলে বিছানায় বসে আছে৷ এই হোটেলে অনেক রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ও তারকারা আতিথ্য গ্রহণ করে থাকেন৷ ১৯৪৭ সাল থেকে ক্ষমার জন্য নির্বাচিত টার্কিরা এই হোটেলে থাকে৷ ক্ষমা প্রদান অনুষ্ঠানের আগের দিন এই হোটেলে সাধারণ মানুষের দেখার জন্য তাদের আনা হয়৷ তারকা বনে যাওয়া এই টার্কিদের নিজের কক্ষ থাকে হোটেলে৷
ছবি: Hannah McKay/REUTERS
ঐতিহ্যবাহী প্রথা
১৮৭০ সাল থেকে থ্যাংকস গিভিং দিবসে টার্কি খামারিদের প্রেসিডেন্টকে টার্কি উপহার দেয়ার প্রথা চলে আসছে৷ ১৯২৩ সাল থেকে ১৯৪০ পর্যন্ত বন্ধ থাকার পর ৪৭ এ তা আবার শুরু হয় এবং এর সাথে যোগ হয় জীবনভিক্ষা অনুষ্ঠান৷ ১৯৮৯ সালে সিনিয়র বুশ জীবনভিক্ষার এই প্রথা আনুষ্ঠানিকভাবে প্রথম শুরু করেন৷
ছবি: Kevin Dietsch/UPI Photo/imago images
ক্ষমা প্রদান অনুষ্ঠান
হোয়াইট হাউজে ক্ষমা প্রদান অনুষ্ঠানে ট্রাম্পের পরিবারের অন্য সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন৷ সপরিবারে ইভাঙ্কা ট্রাম্প উপস্থিত ছিলেন সেখানে৷
ছবি: Susan Walsh/AP/dpa/picture alliance
নির্বাচনের পর দ্বিতীয়বার
নির্বাচনে জো বাইডেনের জয় নিশ্চিতের পর দ্বিতীয়বারের মত জনসমক্ষে এলেন ট্রাম্প৷ হোয়াইট হাউজের রোজ গার্ডেনে এই অনুষ্ঠানে কর্ন এবং কবের মৃত্যুদণ্ড বাতিল করে জীবন দানের ঘোষণা দেন তিনি৷ আনুষ্ঠানিকতা শেষে সাংবাদিকরা তাকে অনেক প্রশ্ন করলেও তার জবাব দেননি তিনি৷
ছবি: Hannah McKay/REUTERS
থ্যাংকসগিভিঙের ছুটি কাটাতে বাড়ির পথে
করোনাকালে বিমানপথে যাত্রায় অনেক ঝুঁকি৷ আর এই ঝুঁকি নিয়েই যুক্তরাষ্ট্রে থ্যাংকসগিভিং এ বাড়ি গিয়েছিলেন অনেকে৷ তবে বিমানবন্দরে সবার মুখেই ছিলো মাস্ক বা ফেস শিল্ড৷
ছবি: Kevin Mohatt/REUTERS
কলোরাডো, ক্যালিফোর্নিয়া বিমানবন্দরে নেই সামাজিক দূরত্ব
ছুটি উপলক্ষে বিমানবন্দরে ছিলো ভিড়৷ ফলে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা সম্ভব হয়নি৷
ছবি: Kevin Mohatt/REUTERS
বিমান ক্রুদের প্রস্তুতি
ক্যালিফোর্নিয়ার লস অ্যাঞ্জেলেস বিমানবন্দরে বিমান ক্রুদের দেখা যাচ্ছে পিপিই পরে বিমানে ওঠার প্রস্তুতি নিচ্ছেন৷
ছবি: Lucy Nicholson/REUTERS
শিকাগোতে যানজট
ইলিনয় অঙ্গরাজ্যের শিকাগো শহরের রাস্তা এটি৷ ছুটিতে বাড়ি ফেরারএই ছবি যেনো বাংলাদেশে ঈদের ছুটির কথা মনে করিয়ে দেয়৷
ছবি: Kamil Krzaczynski/REUTERS
বিমানবন্দরে করোনা পরীক্ষা
কয়েকটি দেশে ভ্রমণের ক্ষেত্রে করোনা পরীক্ষা বাধ্যতামূলক৷ তাই বিমানবন্দরে রাখা হয়েছে এমন ব্যবস্থা৷
ছবি: Lucy Nicholson/REUTERS
বোর্ডিংয়ে বিপত্তি
কলোরাডো অঙ্গরাজ্যের ডেনভারে বিমানবন্দরের চিত্র এটি৷ বোর্ডিংয়ের আগে সবাই অপেক্ষা করছে৷ কিন্তু নেই সামাজিক দূরত্ব৷
ছবি: Kevin Mohatt/REUTERS
13 ছবি1 | 13
ট্রাম্পের অভিযোগ, মার্কিন নির্বাচনে এত বড় কারচুপি এর আগে কখনো হয়নি। নির্বাচনী কর্মকর্তাদের সমালোচনা করে ট্রাম্পের বক্তব্য, কারচুপি আটকানোর জন্য কোনো ব্যবস্থাই নেয়নি তারা। যদিও নিজের বক্তব্যের সপক্ষে এখনো পর্যন্ত কোনো প্রমাণ দিতে পারেননি ট্রাম্প। আদালতও ট্রাম্প এবং রিপাবলিকানদের বহু অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছে।
এ দিন সুপ্রিম কোর্টেরও সমালোচনা করেছেন ট্রাম্প। তাঁর প্রশ্ন, কেন সুপ্রিম কোর্ট কেন নির্বাচনী পদ্ধতিতে হস্তক্ষেপ করবে না?
সুপ্রিম কোর্টে দেওয়ার মতো তাঁর হাতে যথেষ্ট তথ্য প্রমাণ আছে বলে এ দিনের সাক্ষাৎকারে দাবি করেছেন ডনাল্ড ট্রাম্প। বলেছেন, আগামী ছয় মাসেও নিজের হার তিনি স্বীকার করবেন না।
ট্রাম্পের এ দিনের সাক্ষাৎকারের পর বেশ কিছু প্রশ্ন আলোচনায় উঠে এসেছে। যে ভাবে তিনি আদালত এবং সুপ্রিম কোর্টকে আক্রমণ করেছেন, তা আদৌ দেশের প্রেসিডেন্ট করতে পারেন কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে একই সঙ্গে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের বক্তব্য, ট্রাম্প মুখে যাই বলুন, ক্ষমতা যে তিনি ছেড়ে দেবেন, তা মোটামুটি স্পষ্ট।