চাহিদার সঙ্গে তাল মিলিয়ে হালাল অর্থনীতির ভিত্তিকে মজবুত করছে মুসলিম অধ্যুষিত দেশ ইন্দোনেশিয়া৷
ছবি: picture-alliance/dpa/Mast Irham
বিজ্ঞাপন
হালাল খাবার, হালাল ফ্যাশন, শরিয়া ব্যাংকিং, হালাল আবাসনসহ নানা খাতে ধর্মীয় অনুশাসন মেনে ব্যবসা-বাণিজ্যকে চাঙ্গা করে তুলেছে তারা, যারা প্রভাব পড়েছে দেশটির জিডিপি প্রবৃদ্ধিতেও৷
ইন্দোনেশিয়ার এমটিভির সাবেক ভিডিও জকি অরি অ্যান্টুং বলেন, তিনি নিয়মিত মদ পান করতেন, জিনস পরতেন, চুল স্পাইক করতেন এবং নামে মাত্র মসুলমান ছিলেন৷
‘‘কিন্তু ইসলামের রক্ষণশীলরা অনলাইনে ব্যাপক প্রচারণা চালান৷ যার মধ্য দিয়ে বিশ্বের সর্বাধিক জনবহুল মুসলিম দেশের ভিত্তি অর্জন করে ফেলে ইন্দোনেশিয়া এবং এর অর্থনীতিতে এটা পরিবর্তন আনে৷ আমি নিজেও এখন ইসলামী শরীয়া অনুযায়ী মুসলিমদের জন্য প্রার্থনা উৎসবের আয়োজন করি৷''
অন্টুং বলেন, সামাজিক পরিবর্তনগুলোকে মাথায় রেখে আবাসন থেকে শুরু করে শরিয়া ব্যাংকিংকে উৎসাহিত করা হচ্ছে৷
ইন্সটাগ্রাম এবং টুইটারে যৌথভাবে দুই কোটিরও বেশি ফলোয়ার রয়েছে এমন সেলিব্রিটিরাও ইন্দোনেশিয়ার ‘হিজরত' আন্দোলনে সম্পৃক্ত হন৷ অন্টুংয়ের মতে, ইসলামী অর্থনীতিকে আরও মূলধারায় আনার লক্ষ্য নিয়ে এটা করা হয়েছে৷ মক্কার উদ্দেশ্যে হযরত মুহাম্মদ (স.) এর মদিনা ছেড়ে যাওয়াকে মুসলিম ধর্মে হিজরত হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে৷
ইন্দোনেশিয়ার ২১৫ মিলিয়ন মুসলিম ঐতিহ্যগতভাবে মধ্যপন্থি এবং তাদের বিশ্বাসে প্রায়ই স্থানীয় রীতিনীতিগুলো অন্তর্ভুক্ত রয়েছে৷
অলাভজনক শরিয়াহ অর্থনীতি সমিতির সেক্রেটারি জেনারেল অডি সেতিয়াদি বলেন, রক্ষণশীলদের সংখ্যা এখন বাড়ছে এবং ফলে সংস্থাগুলোও ইসলামিক ব্র্যান্ডিং এবং মার্কেটিং পদ্ধতি বেছে নিয়েছে৷
যে দেশে জিন্স ‘হারাম’, গাঁজা ‘হালাল’
দেশটি এতটাই যুক্তরাষ্ট্রবিরোধী যে সেখানে রাষ্ট্রীয়ভাবেই ‘জিন্স’-এর পোশাক পরা নিষিদ্ধ৷ অথচ অন্যদিকে যে যত খুশি ‘গাঁজা’ সেবন করতে পারবেন! এমন দেশ উত্তর কোরিয়া সম্পর্কে জানুন মজার কিছু তথ্য৷
ছবি: Getty Images/C. Chu
ইচ্ছে মতো চুল কাটা মানা
হ্যাঁ, উত্তর কোরিয়ায় যার যেমন খুশি চুল কাটবেন সে উপায় নেই৷ স্বৈরশাসক কিম জং উন ক্ষমতায় আসার পর পরই ঠিক করে দিয়েছেন, দেশের সব পুরুষকে বিশেষ ১০টি আর মেয়েদের ১৮টি হেয়ার স্টাইলের মধ্যেই যে কোনো একটি বেছে নিতে হবে৷ আর কিম জং উন যেভাবে চুল কাটান সেভাবে দেশের আর কেউ কাটাতে পারবেন না৷
ছবি: picture alliance/AP Images
যে দেশে ‘স্বর্গ’ আছে...
উত্তর কোরিয়ার সব মানুষ মন থেকে নিজের দেশকে ‘স্বর্গ’ না বললেও, যাঁরা গাঁজা সেবন করেন, তাঁরা নিশ্চয়ই বলেন৷ এ দেশে যে যত খুশি গাঁজা খেতে পারেন৷ গাঁজা সেখানে কোনো নিষিদ্ধ মাদক নয়৷ সুতরাং যে যত খুশি গাঁজা খেলে কোনো সমস্যাই নেই৷
ছবি: picture alliance/Photopqr/l'Alsace
সবচেয়ে বড় স্টেডিয়াম
বিশ্বের সবচেয়ে বড় স্টেডিয়ামটি কিন্তু উত্তর কোরিয়ায়৷ নাম রুনগ্রাদো মে ডে স্টেডিয়াম৷ ১৯৮৯ সালের পহেলা মে স্টেডিয়ামটির কাজ শেষ হয়েছিল বলে নামের সঙ্গেও জুড়ে দেয়া হয়েছে ‘মে দিবস’৷ ১ লক্ষ ৫০ হাজার দর্শকের আসন আছে স্টেডিয়ামটিতে৷
ছবি: picture-alliance/dpa
জন্মদিনেও বাধা...
উত্তর কোরিয়ায় বছরের বিশেষ দু’টি দিনে কেউ জন্ম নিলে সেই দিনে জন্মদিন উদযাপন করা যাবে না৷ উত্তর কোরিয়া সাবেক দুই শাসক কিম ই সুং এবং কিম জং ইল মৃত্যুবরণ করেছিলেন বলে সেই দিনগুলোতে দেশের কোনো সাধারণ মানুষের জন্মদিন উদযাপন রাষ্ট্রীয়ভাবে নিষিদ্ধ৷ এ নিয়ম মানতে গিয়ে প্রায় ১ লাখ মানুষকে ৮ জুলাই বা ১৭ ডিসেম্বরের জন্মদিন উদযাপন করতে হয় একদিন পর, অর্থাৎ ৯ জুলাই এবং ১৮ ডিসেম্বরে৷
ছবি: Fotolia/Jenny Sturm
যুক্তরাষ্ট্র ‘শত্রু’, তাই...
এক সময় উত্তর কোরিয়ায় সমাজতন্ত্র কায়েমের চেষ্টা ছিল, কিন্তু এখন যে ধরনের শাসন চলছে তাকে সমাজতান্ত্রিক বলার উপায় নেই৷ দেশের নাম ‘ডেমোক্র্যাটিক পিপল’স রিপাবলিক অফ কোরিয়া’, অথচ ঘোষিতভাবেই চলছে একদলীয় শাসন৷ তবে সমাজতন্ত্র না থাকলেও উত্তর কোরিয়ার সেই ‘শীতল যুদ্ধের’ সময়কার যুক্তরাষ্ট্রবিরোধিতা ঠিকই আছে৷ যুক্তরাষ্টের মানুষ বেশি জিন্স পরে বলে এ দেশে জিন্স পরা নিষিদ্ধ৷
ছবি: picture-alliance/chromorange
5 ছবি1 | 5
‘‘রেস্তোঁরাগুলো তাদের হালাল প্রশংসাপত্র সুরক্ষার জন্য তোড়জোড় চালাচ্ছে, যার মধ্য দিয়ে তারা বোঝাতে চায় তারা ইসলামী আইন মেনে চলে৷ এখন এমনও হাসপাতাল রয়েছে যেখানে ওষুধগুলো যে হালাল উপদানে তৈরি করা হয়েছে তাও বলা হচ্ছে৷ জাপানি কোম্পানি শার্পও হালাল লেবেল লাগিয়ে রেফ্রিজারেটর বিক্রি করে৷''
অডি সেতিয়াদি বলেন, ‘‘ইন্দোনেশিয়ায় জন্মসূত্রে অনেক মসুলমান যুবক নিয়মিত উপার্জন করেন এবং তারা ইসলামী ভাবধারায় জীবনযাপন করতে চান৷ তারা কতটা ব্যয় করবেন তা নিয়ে তারা ভাবেন না, তারা কেবল মনের শান্তি চান৷''
গত এপ্রিলে নির্বাচনের সময় মধ্যপন্থী মুসলিম রাষ্ট্রপতি জোকো উইদোদো প্রবীণ রক্ষণশীল পণ্ডিত মাউরুফ আমিনকে তার সঙ্গে রাখেন৷ এতে পুনর্নির্বাচনের জন্য তার আরও বেশি মুসলিম ভোট পাওয়ার বিষয়টিকে সুরক্ষিত করেছিল বলে মনে করা হয়৷
বিশ্লেষকরা বলছেন, ইন্দোনেশিয়ার ওলামা কাউন্সিলের চেয়ারম্যান আমিন একদল আলেমকে সঙ্গে নিয়ে ইসলামী ব্যাংকিং এবং হালাল সদন বাধ্যতামূলক করাসহ ইসলামী অর্থনীতির বিষয়ে প্রচারণা চালাচ্ছেন৷
থমসন রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইন্দোনেশিয়ার মানুষ ২০১৯ সালে হালাল খাবার, পর্যটন, ফ্যাশন এবং প্রসাধনীর পেছনে ২১৯ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি ব্যয় করেছে, ২০১৪ সালে যা ছিল ১৯৩ বিলিয়ন ডলার৷
২০১৯ সালের জুন পর্যন্ত ইসলামী ব্যাংকিংয়ের সম্পদ ছিল ৪৮৬ দশমিক ৯ ট্রিলিয়র রুপী, যা গত নয় বছরের থেকে ৩০০ শতাংশেরও বেশি প্রবৃদ্ধির সূচককেই নির্দেশ করে৷
ব্যাংক ইন্দোনেশিয়ার ডেপুটি গভর্নর দোদি বুদি ওয়ালুয়ো রয়টার্সকে বলেন, দেশটিতে হালাল খাবার, ফ্যাশন এবং ইসলামী পর্যটনের চাহিদা দ্রুত বাড়ছে৷ শরিয়া অর্থনীতি অগ্রসরমান হচ্ছে এবং বাড়ছে হালাল পণ্য ও হালাল সনদের চাহিদা৷
কিছু আবাসন কোম্পানি মসুলামানদের, বিশেষ করে আয যিকরা সম্প্রদায়ের ৪০০ বাসিন্দাকে টার্গট করে মহানবীর পদাঙ্ক অনুসরণ করে হালাল আবাসনের কথা বলছে৷ সেই আবাসনের কেন্দ্রস্থলে একটি মসজিদ রয়েছে, যা লিবিয়ার স্বৈরশাসক মুয়াম্মার গাদ্দাফির অনুদানের অর্থে নির্মিত৷
ইন্দোনেশিয়া ২০১৪ সালে কোনো পণ্য হালাল কি না, তা লেবেল করতে কোম্পানিগুলোকে বলেছিল৷ সেই পদেক্ষেপের অগ্রগিত না হলেও দেশটিতে এখন হালাল পণ্যের বিপণন মূল ধারায় চলে এসেছে৷
গত মাসে জার্কাতায় হালাল পণ্য নিয়ে প্রদর্শনের আয়োজন করা হয়৷ সেখানে কোরিয়ার প্রতিষ্ঠান এসওএস বিউটি নতুন ধরনের ফাউন্ডেশন ক্রিম নিয়ে আসে৷ নামাজের আগে ওযু করার বিধান তুলে ধরে এই কোম্পানির প্রতিনিধি লিসা বলেন, ‘‘এটি আপনার চামড়ার ছিদ্রগুলো বন্ধ করবে না, সুতরাং আপনি ওযু করলে পানি ঢুকবে৷''
তুরস্কে ‘হালাল হলিডে’ জনপ্রিয় হচ্ছে
ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের জন্য নির্বিঘ্নে ছুটি কাটানোর ব্যবস্থা করতে বিশ্বব্যাপী হালাল পর্যটন জনপ্রিয় হচ্ছে৷ তুরস্কেও এই ধরনের চল বেড়েছে৷
ছবি: Reuters/O. Orsal
আলাদা সুইমিংপুল
তুরস্কের মোট ৬০টি হোটেল ও রিসোর্টে মুসলমান পর্যটকদের জন্য বিশেষ সুযোগ-সুবিধা আছে৷ এর মধ্যে আছে, নারী ও পুরুষদের জন্য আলাদা সুইমিংপুল ও সৈকতের ব্যবস্থা, প্রতিটি হোটেল রুমে আছে জায়নামাজ আর কোরান শরিফ৷ আর আছে হালাল খাবার৷ এ সব হোটেলে কোনো অ্যালকোহল পাওয়া যাবে না৷
ছবি: Reuters/O. Orsal
হালাল পর্যটকের সংখ্যা বাড়ছে
নিরাপত্তার অভাব ও রাজনৈতিক কারণে তুরস্কে সাম্প্রতিক সময়ে পর্যটকের সংখ্যা কমলেও হালাল পর্যটন বেড়েছে৷
ছবি: Reuters/O. Orsal
‘সহজে আতঙ্কিত হন না’
হালালবুকিং ডটকম ওয়েবসাইটের উফুক সেচগিন বলছেন, গত কয়েক বছরে অনেক পর্যটক ছুটি কাটানোর গন্তব্য হিসেবে তুরস্ককে বয়কট করেছেন৷ কিন্তু হালাল পর্যটন বেড়েছে৷ কারণ ‘‘হালাল প্রিয় পর্যটকরা সহজে শিরোনাম (গণমাধ্যমের) দেখে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন না,’’ মনে করেন তিনি৷
ছবি: Reuters/O. Orsal
দ্বিগুণ বেড়েছে!
সেচগিনের কোম্পানির মাধ্যমে ২০১৫ সালে তুরস্কে ১২ হাজার পর্যটক গিয়েছিল৷ এর পরের দুই বছর পর্যটকের সংখ্যা প্রতিবারই দ্বিগুণ করে বেড়েছে৷ চলতি বছর তাঁর কোম্পানি ৭০ হাজার পর্যটক আশা করছে৷
ছবি: Reuters/O. Orsal
অথচ মূল পর্যটনে উলটো চিত্র
হালালবান্ধব পর্যটন বাড়লেও তুরস্কে ২০১৬ সালে পর্যটক সংখ্যা তার আগের বছরের তুলনায় এক চতুর্থাংশ কমে গিয়েছিল৷ ঐ বছর দেশটিতে ব্যর্থ অভ্যুত্থান ও কয়েকটি বোমা হামলার ঘটনায় নিরাপত্তা শঙ্কা তৈরি হয়েছিল৷ এছাড়া রাশিয়ার সঙ্গে বিতর্কে জড়ানোর কারণে রুশ পর্যটকরাও তুরস্ক থেকে দূরে ছিলেন৷ তবে গতবছর থেকে পর্যটন খাত আবার ঘুরে দাঁড়িয়েছে৷ এ বছর ৪০ মিলিয়ন পর্যটক আশা করছে তুরস্ক৷
ছবি: Reuters/O. Orsal
তৃতীয় স্থানে
গত নভেম্বরে প্রকাশিত এক প্রতিবেদন বলছে, সেরা ‘ইসলামি হলিডে’-র গন্তব্যের তালিকায় তুরস্ক চার ধাপ এগিয়ে তিন নম্বরে এসেছে৷ প্রথম দু’টি হচ্ছে, আরব আমিরাত ও মালয়েশিয়া৷
ছবি: Reuters/O. Orsal
নারী কর্মী
এটি ওমে ডিলাক্স হোটেল৷ সেখানে নারীদের জন্য যে সুইমিংপুল আছে, সেখানে নারী নিরাপত্তাকর্মীরা কাজ করেন৷ স্পা’র জন্যও আছেন নারী কর্মী৷ ফোন আর ক্যামেরা জমা দেয়ার পরই অতিথিরা সেখানে প্রবেশ করতে পারেন৷
ছবি: Reuters/O. Orsal
বিদেশি পর্যটক
ওমে ডিলাক্স হোটেলের মহাব্যবস্থাপক ইউসুফ জারসেকার জানান, কয়েকবছর আগেও তাদের হোটেলে আসা পর্যটকদের ৮০-৯০ শতাংশ ছিলেন তুর্কি৷ আর এখন ৬০ শতাংশ অতিথিই হচ্ছেন বিদেশি৷ ছবিতে হোটেল রুমে কোরান শরিফ ও জায়নামাজ দেখা যাচ্ছে৷
ছবি: Reuters/O. Orsal
ইউরোপ থেকে তুরস্কে
বিদেশি পর্যটকদের বেশিরভাগই ইউরোপের বিভিন্ন দেশের বাসিন্দা৷ এ সব দেশে ডানপন্থিদের উত্থান ও অভিবাসীবিরোধী মনোভাব বৃদ্ধি পাওয়ায় অনেক মুসলমান পর্যটক ছুটি কাটাতে অন্য স্থানে যাওয়া শ্রেয় মনে করেন৷
ছবি: Reuters/O. Orsal
ফ্রান্সে বুর্কিনির উপর নিষেধাজ্ঞা
দেশটির বিভিন্ন স্থানে মুসলিম নারীদের সাঁতারের জনপ্রিয় পোশাক বুর্কিনির উপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে৷ তাই সে দেশের অনেক মুসলিম নারী অন্য দেশে যাচ্ছেন৷ যেমন রিহাব হাসাইনি৷ তুরস্কে ছুটি কাটানোর ফাঁকে তিনি জানান, ফ্রান্সে তাঁরা সৈকত কিংবা সুইমিংপুলে যেতে পারেননা৷
ছবি: Reuters/O. Orsal
‘সবাই তাকিয়ে থাকে’
জার্মানি থেকে পরিবার নিয়ে তুরস্কে ছুটি কাটাতে গিয়েছিলেন ইয়াভুজ তানরিভারদি৷ তিনি বলেন, ‘‘আমার স্ত্রী বোরকা দিয়ে ঢাকা বিকিনি পরেন৷ এখানে (তুরস্ক) এটা খুবই স্বাভাবিক৷ কিন্তু জার্মানিতে বিষয়টি সেরকম নয়৷ সবাই এমনভাবে তাকায় যেন আমরা এই সমাজের নই৷’’