মধ্যবর্তী নির্বাচন এবং সংসদের বাইরে থাকা বিএনপির সঙ্গে সংলাপের সম্ভাবনা সরাসরি নাকচ করে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা৷ বাংলাদেশে এই বক্তব্য মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে৷
বিজ্ঞাপন
জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে যোগদানের জন্য আমেরিকা সফররত প্রধানমন্ত্রী নিউইয়র্কে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘‘কিসের মধ্যবর্তী নির্বাচন? এমন কি সমস্যা হয়েছে যে মধ্যবর্তী নির্বাচন? কার জন্য মধ্যবর্তী নির্বাচন? অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারী জিয়াউর রহমানের দলকে ক্ষমতায় আনতেই মধ্যবর্তী নির্বাচন?''
নিউইয়র্কের বাংলাদেশের স্থায়ী মিশনে এই সংবাদ সম্মেলনে এক প্রবাসী সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে বিএনপির সঙ্গে সংলাপের সম্ভাবনা নাকচ করে তার পক্ষে যুক্তি তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী পাল্টা প্রশ্ন রাখেন৷ বিরোধী দলের সঙ্গে ক্ষমতাসীন দল সংলাপে বসবে কি-না এমন প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, ‘‘সংলাপটা আবার কী? সংলাপ কার সাথে? বিরোধী দল? কে বিরোধী দল? সংসদীয় গণতন্ত্রে কারা বিরোধী দল? এর ডেফিনেশন কি?''
অন্যরকম নির্বাচন
দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ১৫৩টি আসনে একক প্রার্থী থাকায় রবিবার অর্ধেকের বেশি আসনে ভোট গ্রহণ হয়নি৷ নির্বাচনের দিনের কিছু ছবি দিয়ে সাজানো হয়েছে এই ছবিঘর৷
ছবি: DW/M. Mamun
নিরাপত্তা ব্যবস্থা
দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন সফল করতে সরকার ব্যাপক নিরাপত্তা প্রস্তুতি গ্রহণ করে৷ এজন্য ৫৯ জেলায় বিভিন্ন বাহিনীর প্রায় সাড়ে চার লাখ সদস্য মোতায়েন করা হয়৷ বাকি পাঁচটি জেলায় নির্বাচনের প্রয়োজন পড়েনি৷
ছবি: DW/M. Mamun
অলস সময়
ভোটার না থাকায় ঢাকার মিরপুরের হাজী আশ্রাফ আলী হাইস্কুলে স্থাপিত ভোটকেন্দ্রের সামনে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের অলসভাবে সময় কাটাতে দেখা যাচ্ছে৷
ছবি: DW/M. Mamun
ভোটারের জন্য অপেক্ষা
ঢাকার বঙ্গবন্ধু অ্যাকাডেমি ভোটকেন্দ্রের ছবি এটি৷ কেন্দ্রে প্রবেশ করতে ভোটারদের জন্য বাঁশ ও দড়ি দিয়ে নির্ধারিত স্থান চিহ্নিত করা হয়েছে৷ কিন্তু ভোটার নেই৷
ছবি: DW/M. Mamun
এখানেও একই অবস্থা
ছবিটি হারম্যান মাইনার কলেজ কেন্দ্রের৷ পাশাপাশি স্থাপিত কয়েকটি বুথ যেন খাঁ-খাঁ করছে৷ জাতীয় নির্বাচন পর্যবেক্ষক পরিষদ, জানিপপ-এর চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. নাজমুল আহসান কলিমুল্লাহ ডয়চে ভেলেকে জানান, ভোটার উপস্থিতি কম হবে এটাই স্বাভাবিক৷ কারণ এটি একটি ভিন্ন ধরনের নির্বাচন৷ একতরফার সঙ্গে আছে ব্যাপক সহিংসতা এবং বিরোধী দলের হরতাল-অবরোধ৷
ছবি: DW/M. Mamun
বিড়ম্বনার শিকার
নির্বাচনে ভোট দিতে গিয়ে ভোটার তালিকায় নাম খুঁজে না পেয়ে অনেক ভোটার ফিরে গেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে৷ তবে কেউ কেউ অবশ্য কষ্টটা শিকার করেই ভোট দিয়েছেন৷ ছবিতে মিরপুরের একটি কেন্দ্রে ভোটারদের সিরিয়াল নম্বর খুঁজতে দেখা যাচ্ছে৷ তাঁদের সহায়তা করছেন নির্বাচন সংশ্লিষ্টরা৷
ছবি: DW/S. Kumar Dey
ভোটাধিকার প্রয়োগ
ভোট দিচ্ছেন একজন ভোটার৷ অবশ্য তাঁর মতো ভাগ্যবান হতে পারেননি দেশের মোট ভোটারের শতকার ৫২ জন৷ অর্ধেকেরও বেশি প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ায় এসব ভোটারের ভোট দেয়ার সুযোগ ছিল না৷ এই কারণে রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রীও ভোট দিতে পারেননি৷
ছবি: DW/M. Mamun
নারী ভোটার
ঢাকার একটি কেন্দ্রে ভোট প্রয়োগের অপেক্ষায় কয়েকজন নারী ভোটার৷
ছবি: DW/M. Mamun
উৎসাহে কমতি নেই
আব্দুল হাকিম নামে ৮৯ বছরের এই ভোটার দুই ব্যক্তির সহায়তায় ঢাকার একটি ভোটকেন্দ্রে ভোট দিয়েছেন৷
ছবি: DW/M. Mamun
সেনা সদস্যদের পাহারা
দুজন ভোটার ভোট দিতে যাচ্ছেন৷ কেন্দ্রের নিরাপত্তায় সেখানে ছিলেন সেনা সদস্যরা৷
ছবি: DW/M. Mamun
9 ছবি1 | 9
প্রধানমন্ত্রীর এমন মন্তব্যের বিষয়ে জানতে চাইলে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক শাহেদুজ্জামান ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘নৈতিকতার ভিত্তি যখন দূর্বল হয়ে পড়ে তখন কোন সরকার প্রধান এমন কথাই বলেন৷ দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে প্রধানমন্ত্রী নিজেই বলেছিলেন, সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার জন্য এই নির্বাচন৷ নির্বাচনের পরে সবার সঙ্গে আলোচনা করে নতুন নির্বাচনের দিনক্ষন ঠিক করা হবে৷ এখন তিনি উল্টো কথা বলছেন৷''
শাহেদুজ্জামান বলেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রী নিজেও জানেন এখন কোন নির্বাচন হলে তার দলের পক্ষে জেতা হবে না৷ কারণ জনগন তাদের উপর আস্থা হারিয়ে ফেলেছে৷ তাই তিনি বলে ফেলেছেন, কার জন্য মধ্যবর্তী নির্বাচন? বিএনপিকে ক্ষমতায় আনতেই মধ্যবর্তী নির্বাচন?''
অধ্যাপক শাহেদুজ্জামান বলেন, ‘‘অনেক নিরপেক্ষ বিশ্লেষকও এখন সরকারের বিরুদ্ধে কথা বলতে শুরু করেছেন৷ দিন যত যাবে সরকারের ভিত্তি ততই দূর্বল হয়ে পড়বে৷''
বিএনপির আন্দোলন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘বিএনপি হয়তো এখন সে ধরনের কোন আন্দোলন করতে পারেনি, তবে একটা কথা মনে রাখতে হবে, বিএনপি কিন্তু ভেঙেও যায়নি৷ দলটি শক্তভাবে মাঠে নামলে জনগণ তাদের আন্দোলনে সাড়া দেবে৷ ফলে এখনই প্রধানমন্ত্রীকে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে হবে৷ সবার অংশগ্রহণ নিশ্চিত হয় এমন একটা নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে৷''
নিউইয়র্কের সাংবাদিক সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, ‘‘দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি অংশ না নেয়ায় জাতীয় পার্টি এখন বিরোধী দল হিসাবে রয়েছে৷'' বিএনপির মতো একটি রাজনৈতিক দলের সংসদের বাইরে থাকা নিয়ে প্রবাসী সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, ‘‘বাইরে আছে তো, বাইরে আছে৷ আমি কি করবো? নির্বাচন করে নাই- তো করে নাই৷ রাজনীতিতে কেউ ভুল সিদ্ধান্ত নিলে তার খেসারত তাকেই দিতে হবে৷''
২০১৩ সালের আলোচিত দশ মন্তব্য
২০১৩ সালে বিভিন্ন ধরনের মন্তব্য করে বাংলাদেশে আলোচনায় ছিলেন অনেকে৷ কোনো কোনো মন্তব্য সাধারণ মানুষের হাসির খোরাকও হয়েছে৷ বাংলাদেশে আলোচিত দশটি মন্তব্য প্রকাশ করা হলো এই ছবিঘরে৷
ছবি: DW/A. Chatterjee
‘হরতাল সমর্থকদের নাড়াচাড়ায় ভবন ধস’
সাভারে রানা প্লাজা ধসে পড়ার পর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহীউদ্দীন খান আলমগীর ২৪ এপ্রিল বলেন, ‘‘কিছু হরতাল সমর্থক ভবনটির ফাটল ধরা দেয়ালের বিভিন্ন স্তম্ভ এবং গেট ধরে নাড়াচাড়া করেছে বলে জানতে পেরেছি৷ ভবনটি ধসে পড়ার পেছনে সেটাও একটি সম্ভাব্য কারণ হতে পারে৷’’ রানা প্লাজা ধসে প্রাণ হারিয়েছেন এক হাজারের বেশি মানুষ৷
ছবি: Reuters
‘আমার কাছে তথ্য আছে’
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে অত্যন্ত সক্রিয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজিব ওয়াজেদ জয় বলেন, ‘‘আমার কাছে তথ্য আছে আওয়ামী লীগ আগামীবার আবার ক্ষমতায় আসবে৷’’ ২৩ জুলাই ঢাকায় এক আলোচনা সভায় একথা বলেন তিনি৷
ছবি: Sajeeb Ahmed Wazed
‘লোডশেডিং দিতে বলেছিলাম’
বিদ্যুতের প্রয়োজনীয় উৎপাদন নিশ্চিত হওয়ার পরও লোডশেডিং প্রসঙ্গে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘‘আমি নিজেই প্রতিদিন দুই ঘণ্টা করে লোডশেডিং দিতে বলেছিলাম৷ তা না হলে মানুষ ভুলে যাবে দেশে লোডশেডিং ছিল৷’’ ২০১৩ সালের ৪ আগস্ট ঢাকায় কুড়িল উড়ালসেতু উদ্বোধনকালে একথা বলেন শেখ হাসিনা৷
ছবি: dapd
‘...তারা বাঙালি নয়’ (প্রতীকী ছবি)
একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের টক শোতে রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী মিতা হকের একটি মন্তব্য আলোচনার ঝড় তোলে৷ ‘‘যারা ঘোমটা পরে, তারা বাঙালি নয়’’ – এ কথা সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হলেও, মিতা জানান, তিনি চোখ পর্যন্ত ঢেকে রাখার যে রীতি দেখা যাচ্ছে, তার সমালোচনা করেছিলেন৷ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, ‘‘আমরা যারা ধর্মনিরপেক্ষতায় বিশ্বাস করি, তাদের বিরুদ্ধে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অপপ্রচার চালানো হচ্ছে৷’’
ছবি: picture-alliance/dpa
‘২০ জন উপদেষ্টা’
বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ১৯৯৬ ও ২০০১ সালের তত্ত্বাবধায়ক সরকারে থাকা উপদেষ্টাদের নিয়ে নতুন সরকার গঠনের প্রস্তাব করেন৷ ২১ অক্টোবর তিনি বলেন, ‘‘ওই দুই সরকারের ২০ জন উপদেষ্টার মধ্য থেকে বর্তমান সরকারি দল পাঁচজন এবং বিরোধী দল পাঁচজন সদস্যের নাম প্রস্তাব করবেন৷’’ কিন্তু গণমাধ্যমের অনুসন্ধানে দেখা যায়, উপদেষ্টাদের মধ্যে মাত্র ১৪ জন এখন জীবিত আছেন৷ তাদের কয়েকজন আর উপদেষ্টা হতে রাজি নন৷
ছবি: Getty Images
‘...তেঁতুল বলি নাই’
হেফাজতে ইসলামের আমীর আহমেদ শফী এক ওয়াজ মাহফিলে ‘নারীদের তেঁতুল’ বলেন৷ বিষয়টি নিয়ে বাংলাদেশে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়৷ পরবর্তীতে ২ নভেম্বর চট্টগ্রামে এক সমাবেশে তিনি বলেন, ‘‘আমি মহিলাদের তেঁতুলের মতো বলেছি, তেঁতুল বলি নাই৷’’
ছবি: Mustafiz Mamun
‘ধ্বংস এখন অবধারিত’
সরকার গ্রামীণ ব্যাংক আইন সংশোধনের পর ব্যাংকটির ভবিষ্যত সম্পর্কে শান্তিতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘‘এর মাধ্যমে গ্রামীণ ব্যাংকের ধ্বংস অবধারিত হলো৷’’ ৬ নভেম্বর এক বিবৃতিতে একথা বলেন ইউনূস৷ গ্রামীণ ব্যাংক নিয়ে বর্তমান সরকারের সঙ্গে তাঁর বিরোধ রয়েছে৷
ছবি: Getty Images
‘মানুষ থুতু দেবে’
দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেওয়া প্রসঙ্গে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ১১ নভেম্বর বলেন, ‘‘সব দলের অংশগ্রহণ ছাড়া নির্বাচনে গেলে মানুষ আমাকে থুতু দেবে না? এর চেয়ে জেলেই মরে যাওয়া ভালো৷’’ এই মন্তব্যের কয়েকদিন পর তিনি বলেন, ‘‘এই সরকারকে সরাতে হলে নির্বাচন দরকার৷ নির্বাচনে না গেলে মানুষ থুতু দেবে৷’’ শেষ অবধি অবশ্য নির্বাচনে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন তিনি৷
ছবি: JEWEL SAMAD/AFP/Getty Images
‘আমরা আপনাদের তৈরি করেছি’
অবরোধের আগুনে পোড়া গীতা সরকার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সব রাজনীতিবিদদের উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘‘আমরা আপনাদের তৈরি করছি, আপনারা আমাদের তৈরি করেন নাই৷ আমাদের স্বামীরটা আমরা খাই৷ আপনারা আমাদের নিয়ে ছিনিমিনি খেলছেন৷’’ প্রধানমন্ত্রী ১ ডিসেম্বর ঢাকা মেডিকেল কলেজের বার্ন ইউনিট পরিদর্শনে গেলে তাঁকে এসব কথা বলেন গীতা৷
ছবি: Mustafiz Mamun
‘দিস ইজ বেয়াদবি’
১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসে স্মৃতিসৌধে যান নি ঢাকায় অবস্থানরত ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) রাষ্ট্রদূতরা৷ অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত ইইউ রাষ্ট্রদূতদের এই আচরণ প্রসঙ্গে ১৯ ডিসেম্বর বলেন, ‘‘ইইউ রাষ্ট্রদূত স্মৃতিসৌধে গেলেন না, দিস ইজ বেয়াদবি, এক্কেবারে বেয়াদবি৷’’ এরকম বিভিন্ন মন্তব্য করে গত পাঁচ বছর ধরেই আলোচনায় আছেন মুহিত৷
ছবি: DW/A. Chatterjee
10 ছবি1 | 10
সর্বোচ্চ আদালতের রায়ে মানবতা বিরোধী অপরাধে দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর সাজা কমে আমৃত্যু কারাদণ্ড হওয়ার পর সরকারি দলের সঙ্গে জামায়াতে ইসলামীর আঁতাতের যে অভিযোগ উঠেছে তাও উড়িয়ে দেন প্রধানমন্ত্রী৷ এই প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা পাল্টা প্রশ্ন করেন, ‘‘আঁতাত হলে বিচার হয়? মৃত্যুদণ্ড হবে কি না- সে সিদ্ধান্ত নেবে বিচার বিভাগ৷ বিচার বিভাগে তো হস্তক্ষেপ করতে পারি না৷''
প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের জবাবে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী এম কে আনোয়ার ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রী এ পর্যন্ত যত কথা দিয়েছেন তার একটিও রাখেননি৷ ১৯৮৬ সালেও চট্টগ্রামে একটি সমাবেশে শেখ হাসিন বলেছিলেন, এরশাদের অধীনে যারা নির্বাচনে যাবে তারা জাতীয় বেঈমান৷ এর পরদিন ঢাকায় এসে তিনি নির্বাচনের যাওয়ার ঘোষণা দিলেন৷''
এম কে আনোয়ার বলেন, ‘‘এবার শেখ হাসিনা নিজেই বললেন, সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার জন্য নির্বাচন৷ নির্বাচনের পরই সবার সঙ্গে আলোচনা করে নতুন নির্বাচনের দিনক্ষণ ঠিক করা হবে৷ এবারও তিনি কথা রাখলেন না৷''
আন্দোলন করে সরকারকে ক্ষমতা থেকে নামানোর বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘‘আমরা জনগণকে ভোগান্তিতে ফেলতে চাই না৷ তাই নরম কর্মসূচী পালন করছি৷ ঈদের পর টানা আন্দোলনে যাবো৷ সরকার যদি আমাদের আন্দোলনে বাধা দেয় তাহলে আমরাও সেভাবেই জবাব দেব৷ আন্দোলন করেই সরকারকে ক্ষমতা থেকে নামানো হবে৷''