ভারতে আবার বহুতলে আগুন। এবার হায়দরাবাদে। দুই নারী-সহ ছয়জন মৃত। ছয়জন অসুস্থ হাসপাতালে ভর্তি।
ছবি: Subrata Goswami/DW
বিজ্ঞাপন
হায়দরাবাদের এই বহুতল বাড়ির নাম স্বপ্নলোক কমপ্লেক্স। সেখানেই পাঁচতলায় আগুন লাগে। এই বাণিজ্যিক কমপ্লেক্সের পাঁচতলায় একটি মার্কেটিং সংস্থার অফিস ছিল। সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা নাগাদ আগুন লাগে।
দমকলের দশটি ইঞ্জিন গিয়ে আগুন আয়ত্বে আনে। কিন্তু ততক্ষণে প্রবল ধোঁয়ায় অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়েন। মোট ১২ জনকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তাদের মধ্যে দুই নারী-সহ ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে।
মধ্যরাতের পর আগুন আয়ত্বে আনলেও তখনো ধোঁয়া বের হচ্ছিল। দমকলের তরফে জানানো হয়েছে, ধোঁয়া বন্ধ হতে আরো কিছুটা সময় লাগবে।
কলকাতার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল পার্ক সার্কাস। তার ঠিক পাশেই ট্যাংরা। ট্যানারির জন্য বিখ্যাত এই ট্যাংরায় দীর্ঘদিন ধরে গড়ে উঠেছে অসংখ্য বেআইনি চামড়ার গোডাউন। রোববার বিকেলে সেখানেই আগুন লাগে।
ছবি: Satyajit Shaw/DW
নিয়মিত আগুন
প্রায় প্রতিমাসেই আগুন লাগে ট্যাংরায়। মাসখানেক আগে ভয়াবহ আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেছিল একটি বেআইনি রেক্সিনের গোডাউন। রোববারও একটি গোডাউনেই আগুন লাগে। বাড়ির গ্যারেজকে গোডাউন হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছিল।
ছবি: Satyajit Shaw/DW
নেই আগুন নেভানোর ব্যবস্থা
বাড়িতে বাড়িতে গড়ে উঠেছে গোডাউন। নেই আগুন নেভানোর ব্যবস্থা। সরু গলিতে ঢুকে কাজ করতে বেগ পেতে হয় দমকলকর্মীদের।
ছবি: Satyajit Shaw/DW
নির্বিকার প্রশাসন
প্রতিবারই আগুন লাগার পর প্রশাসনের তরফে জানানো হয়, ব্যবস্থা নেয়া হবে। কিন্তু ট্যাংরায় কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয় না। একইভাবে রমরমিয়ে চলতে থাকে বেআইনি ব্যবসা।
ছবি: Satyajit Shaw/DW
ভস্মিভূত এলাকা
আগুন লাগার পর এমনই চেহারা হয়েছে এলাকাটির। আশপাশের বাড়িও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ধোঁয়া বের হচ্ছে ছাইয়ের স্তূপ থেকে।
ছবি: Satyajit Shaw/DW
দুর্নীতির অভিযোগ
ট্যাংরায় বসবাসকারী অনেকেরই অভিযোগ, প্রশাসন এবং রাজনীতিকদের একাংশ ওইসব বেআইনি ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত। নিয়মিত তাদের টাকা দিয়ে চুপ করিয়ে রাখা হয়।
ছবি: Satyajit Shaw/DW
সরকারের অবস্থান
একসময় ট্যাংরা থেকে সমস্ত ট্যানারি বানতলায় নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিল সরকার। সে কাজ কিছুটা এগিয়েও ছিল। কিন্তু ফের ট্যাংরায় একের পর এক বেআইনি ব্যবসা গড়ে উঠেছে।
ছবি: Satyajit Shaw/DW
দমকল ঢোকার জায়গা নেই
রোববারও দমকলকর্মীরা অভিযোগ করেছেন, সরু গলিতে দমকল ঢোকানো যায় না। দূর থেকে পাইপ নিয়ে এসে কাজ করতে হয়। ট্যাংরার অধিকাংশ জায়গাতেই আগুন নেভানোর কোনো ব্যবস্থা নেই বলে এদিনও অভিযোগ করেছেন দমকলকর্মীরা।
ছবি: Satyajit Shaw/DW
8 ছবি1 | 8
এক সরকারি কর্মকর্তা জানিয়েছেন, শর্ট সার্কিট থেকেই আগুন লেগেছে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে আগুনের কারণ জানার জন্য তদন্ত শুরু হয়েছে।
মাস দুয়েক আগে সেকেন্দ্রাবাদে একটি বহুতলে আগুন লেগে দুইজন মারা গেছিলেন। তারপর আবার বহুতলে আগুন লাগলো।