1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বাগদাদের বইপাড়া

১৬ মার্চ ২০১২

বাগদাদ শহরে হিংসাত্মক ঘটনার অভাব নেই৷ শুক্রবারই এক হামলায় কমপক্ষে ২৭ জন পুলিশ কর্মী নিহত হয়েছে৷ এর মধ্যেও শান্তি খুঁজতে মানুষ যাচ্ছেন বইপাড়ায়৷

A number of leading market for books in front of shops selling, 19. April 2011; Copyright: DW/Munaf Al-Saidy
AL- Mutanabi Street in Baghdadছবি: DW

শহরে কখন যে কোথায় বোমা হামলা ঘটে, তা বলা মুশকিল৷ কিন্তু তা বলে তো সারাদিন বাড়িতে বসে থাকা যায় না! এই অবস্থায় বুদ্ধিজীবীরা মুতানবি স্ট্রিট'এ নিজেদের একটি মরূদ্যান খুঁজে নিয়েছেন৷ শুক্রবার ছুটির দিনে গোটা এলাকার মেজাজ বদলে যায়৷ প্রাচীন বইয়ের দোকানের পাশাপাশি বসে বইয়ের হাট৷ বেচাকেনার পাশাপাশি শোনা যায় আরবি ভাষায় কবিতা আবৃত্তির সুর৷ শাবান্দার কাফে'তে বসে লেবু চায়ে চুমুক দিতে দিতে অনেকে উপভোগ করেন সেই মনোরম পরিবেশ৷ শিয়া-সুন্নি দ্বন্দ্ব, জাতিগত পার্থক্য ভুলে, অসহিষ্ণুতা ও ঘৃণা সরিয়ে রেখে এখানে মানুষই একমাত্র পরিচয়৷ বইয়ের জগতেই মগ্ন হয়ে থাকেন দোকানদার, ক্রেতা ও পথচারীরা৷ সাদ্দাম হুসেনের আমলে বেশিরভাগ বই ছিল আরবি ভাষায়, নেতার খোশামোদ করে লেখা৷ ছিল কিছু বিদেশি ভাষার বইও৷ গণতান্ত্রিক ইরাকে এখন বইয়ের বৈচিত্র্য অনেক বেড়ে গেছে৷

দশম শতাব্দীর কবি আবু আল তায়িব আল মুতানবির প্রতিমূর্তিছবি: DW

মুতানবি স্ট্রিট'কে ঘিরে এই পরিবেশ নতুন নয়৷ সেই ১৯৩২ সালে বাদশাহ ফয়জালের আমলে সড়কটি উদ্বোধন করা হয়েছিল৷ দশম শতাব্দীর কবি আবু আল তায়িব আল মুতানবি আজকের ইরাকেই জন্মগ্রহণ করেছিলেন৷ গোটা আরব জগতের বুদ্ধিজীবীদের আখড়ায় পরিণত হয় এলাকাটি৷ এক কোণে শোভা পাচ্ছে কবির একটি প্রতিমূর্তি৷ রয়েছে তাঁর কাব্য থেকে একটি উদ্ধৃতি – ‘‘মরুভূমি আমাকে ভালোভাবেই চেনে, চেনে রাত্রি ও সশস্ত্র যোদ্ধারা, যুদ্ধ ও তরবারি, কাগজ ও কলম৷''

জমজমাট বইপাড়াছবি: DW

হিংসায় জর্জরিত ইরাকে মুতানবি স্ট্রিট একটি বিচ্ছিন্ন দ্বীপ বা মরূদ্যানের মতো৷ তবে হিংসালীলা থেকে রেহাই পায় নেই এই সড়কও৷ ২০০৭ সালের ৫ই মার্চ এক আত্মঘাতী হামলায় কমপক্ষে ৩০ জন নিহত ও ৬০ জন আহত হয়েছিল৷ রেহাই পায় নি শাবান্দার কাফে'ও৷ নিহতদের মধ্যে ছিলেন কাফের মালিকের ৫ পুত্রও৷ পুত্রশোক সহ্য করতে না পেরে তাঁদের মা প্রথমে অন্ধ হয়ে যান, কয়েক মাসের মধ্যেই তাঁর মৃত্যু হয়৷ শোকের ঢেউ সামলে উঠে ২০০৮ সালে আবার কাফে'টি খোলেন ৮০ বছরের বৃদ্ধ মহম্মদ আল-খাশালি৷

এলাকার মানুষ সুখদুঃখ ভাগ করে নিতে অভ্যস্ত৷ হামলার দিনে পবিত্র শহর নাজাফ'এর উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়েছিলেন এলাকার একটি বইয়ের দোকানের মালিক আবু রাবেয়া৷ সেখানে পৌঁছে বাগদাদে বোমা বিস্ফোরণের খবর পেলেন৷ হারানো বন্ধুদের কথা ভেবে এখনো কান্নাকাটি করেন তিনি৷ তবে উত্থান-পতন সত্ত্বেও আকর্ষণ হারায় নি মুতানবি স্ট্রিট৷ মানুষ এখনো সেখানে গিয়ে দুদণ্ড শান্তি উপভোগ করে আসেন৷

প্রতিবেদন: সঞ্জীব বর্মন

সম্পাদনা: দেবারতি গুহ

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ইউরোপ