1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

হিংসা বাড়ছে ভারতে, রুখে দাঁড়াবে কে?‌

রাজীব চক্রবর্তী নতুন দিল্লি
২৯ এপ্রিল ২০১৭

এ কোন ভারত!‌ লম্বা দাড়ি আর মাথায় ফেজ টুপি, এটাই ‘‌অপরাধ'৷‌ ষাটোর্ধ নাগরিককে মেট্রোয় বলা হচ্ছে, ‘‘‌আসন চাইলে পাকিস্তানে যাও৷'‌'‌ কোথাও আবার মাইকে আজান দেওয়ার বিরোধিতা করায় শিল্পীর মাথা মুড়িয়ে দেওয়ার ফতোয়া দেওয়া হচ্ছে৷

ছবি: DW

ধর্ম আর রাজনীতিকে একসঙ্গে মিশিয়ে তৈরি হচ্ছে ভোটে জেতার দাওয়াই৷ প্রতিবাদীরা কোথায়?‌ সমস্যাটা এদেশে দীর্ঘ দিনের৷ কিন্তু ইদানিং মহামারির আকার নিয়েছে৷ উদাহরণ খুঁজতে স্মৃতি হতনাতে হচ্ছে না৷ প্রতিদিনই ঘটছে ধর্মীয় হিংসার ন্যাক্কারজনক ঘটনা৷ এইতো ক'‌দিন আগে রাজধানী দিল্লির অত্যাধুনিক মেট্রোরেলে এক মুসলিম বয়স্ক যাত্রী নম্রতা বজায় রেখে দুই ছোকরা যাত্রীর কাছে গিয়ে বললেন, ‘‌‘‌বাবা এই আসন দুটি বয়স্ক নাগরিকদের জন্য সংরক্ষিত৷ দয়া করে আসনটা ছাড়বে?‌'‌'‌ যাত্রীর অবশ্য একটা ‘‌দোষ'‌ ছিল বটে৷ তিনি গেরুয়া পরে ছিলেন না৷ সাদা রঙের জোব্বা পরে ছিলেন৷ লম্বা দাড়ি এবং মাথায় ফেজ টুপি ছিল তাঁর৷ ব্যাস, সংরক্ষিত আসন তো দূর, সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে শুনতে হল, ‘‌‘বসতে চাও?‌ এই আসন হিন্দুস্তানিদের জন্য৷ পাকিস্তানিদের জন্য নয়৷ তাই বসতে চাইলে জলদি পাকিস্তানে ভাগো৷'‌‌'‌

কিন্তু, ভুলে গেলে চলবে না, এটা ভারত৷ ওই দুই যুবককে শেষমেশ নতি স্বীকার করে ক্ষমা চেয়ে মেট্রোর সংরক্ষিত আসন ছেড়ে দিতে বাধ্য করেন বাকি সহযাত্রীরা৷ জওহরলাল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্রী বর্তমান সমাজকর্মী কবিতা কৃষ্ণন ফেসবুক পোস্টে এই ঘটনার উল্লেখ করেছেন৷ ছিঃ ছিঃ শুরু হয়েছে গোটা দেশজুড়ে৷ সংরক্ষিত ওই সিটের উলটো দিকেই বসেছিলেন অল ইন্ডিয়া সেন্ট্রাল কাউন্সিল অফ ট্রেড ইউনিয়নের জাতীয় সম্পাদক সন্তোষ রায়৷ তিনি যুবকদের ওই আচরণের তীব্র প্রতিবাদ করেন এবং বৃদ্ধের কাছে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে বলেন৷ তাঁর বিরোধিতায় আরও কয়েক জন যুবক জুটে যায়৷ তাঁদের একজন সন্তোষ রায়ের কলার ধরে বলেন, ‘‌‘‌আপনিও পাকিস্তানে যান৷'‌'‌ তবে, মেট্রোর কামরার অন্য যাত্রীরা এবার একসঙ্গে প্রতিবাদ করে উঠলে, ওই যুবকরা পিছু হটতে বাধ্য হয়৷ তার মধ্যেই ওই দুই যুবককে পুলিশের হাতে তুলে দেন মেট্রোর যাত্রীরা৷ কিন্তু অভিযুক্ত দুই যুবক শেষপর্যন্ত ক্ষমা চেয়ে নিলে, বিষয়টি নিয়ে আর জলঘোলা করতে চাননি ওই বৃদ্ধ৷

এদিকে ধর্মীয় উন্মাদনার বেশ কয়েকটি ঘটনাও ঘটেছে দু-‌একদিনের মধ্যে৷ উত্তরপ্রদেশে এখন যোগী-‌রাজ চলছে৷ মাসখানেক আগে মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন বিজেপি-‌র সাধু যোগী আদিত্যনাথ৷ তাঁর রাজ্যের একটি অঞ্চলে স্কুলে ছাত্রদের 'যোগী-হেয়ারকাট'(‌অর্থাৎ নেড়া)‌ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে৷ নিষিদ্ধ করা হয়েছে দাড়ি রাখা এবং মাছ, মাংসের মতো আমিষ খাবার৷ বলা হচ্ছে, প্রথম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির সমস্ত ছাত্রকে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের মতো চুল কাটাতে হবে৷ এমনই উদ্ভট এক নির্দেশিকা জারি করেছে মীরাটের এক ‘‌সেন্ট্রাল বোর্ড অফ সেকেন্ডারি এডুকেশন-‌অনুমোদিত স্কুল৷ স্কুলের ২৮,০০ জন ছাত্রের জন্য জারি করা নির্দেশিকায় রয়েছে আরও নানা অদ্ভুত বিষয়৷ স্কুলে একেবারে নিষিদ্ধ করে দেওয়া হয়েছে আমিষ খাবার৷ আনতে হবে নিরামিষ টিফিন৷ নির্দেশ, স্কুলের কোনও ছাত্রের মুখে যেন দাড়ি না থাকে৷

যুক্তি হিসেবে বলা হয়েছে, ‘‌‌‘‌‌এটা কোনও মাদ্রাসা নয়, বা নামাজ পড়ার জায়গা নয়৷'‌'‌ এখানেই শেষ নয়, 'লাভ জিহাদ' রুখতে জোর করে ছাত্র ও ছাত্রীর মধ্যে ভেদাভেদ সমঝে দেওয়া হচ্ছে৷ ঋষভ অ্যাকাডেমি কো-এডুকেশনাল ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলে যথাযথ হেয়ারকাট না থাকার অভিযোগে ঢুকতে দেওয়া হয়নি কয়েকজন ছাত্রকে৷ স্কুলের পরিচালন কমিটির সচিব রঞ্জিত জৈন বলেন, ‘‌‘‌আমরা কী চাইছি সেটা বুঝতে পারছিল না ছাত্ররা৷ সেজন্যই আমি ওদের বলি, যোগীর মতো হেয়ারকাট করাতে৷ আমরা সৈনিকদের মতো খুব ছোট হেয়ারকাট চাই৷ এছাড়াও ছাত্রদের কড়া নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যাতে কোনও ছাত্র দাড়ি না রাখে৷ কারণ এটা মাদ্রাসা নয়৷ বা নামাজ পড়ার জায়গাও নয়৷'‌'‌

সমাজসেবী অধ্যাপক অম্বিকেশ মাহাপাত্র সোশ্যাল সাইট ফেসবুকে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি-‌সম্পর্কিত একটি কার্টুন ফরওয়ার্ড করায় তাঁকে গ্রেপ্তার করেছিল পুলি, জেলে ঢোকানো হয়েছিল তাঁকে৷ প‌রে তাঁ উদ্যোগেই গড়ে উঠেছে ‘‌আক্রান্ত আমরা'‌ নামক একটি সংগঠন৷ দেশের বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে অম্বিকেশ বলছেন, ‘‌‘‌ভারতের বর্তমান সময়ে, বিশেষ করে ২০১৪ সালে লোকসভা নির্বাচনে কেন্দ্রে বিজেপি ক্ষমতায় আসার পর থেকে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ধর্মীয় উন্মাদনার বাতাবরণ ছড়িয়এ পড়ছে৷ বহু ক্ষেত্রে শাসক দল কৌশলে ধর্মের রাজনীকিকরণ করছে৷'‌'‌ তাঁর কথায়, ‘‌‘‌সাধারণ মানুষের মধ্যে ভয়ের বাতাবরণ তৈরি করে দেওয়া হচ্ছে৷ ফলে, এই ধর্মীয় উন্মাদনার বিরুদ্ধে ইচ্ছা থাকলেও রাস্তায় নামতে ভয় পাচ্ছে মানুষ৷'‌'‌ তাঁর আশা, খুব শীঘ্রই ভয়মুক্ত হয়ে রাস্তায় নামবে মানুষ৷

Ambikesh Mahapatra_Social Activist_002 - MP3-Stereo

This browser does not support the audio element.

একটি উচ্চমাধ্যমিক স্কুলের প্রধান শিক্ষক মামুদ হোসেন৷ ডেমোক্রেটিক সোশ্যালিস্ট পার্টির নেতা৷ তিনি বলছেন, ‘‌‘জাতীয়তায় ‌আমরা ভারতীয়, ধর্মে আমরা মুসলিম৷ কিন্তু, দেশের রাজনীতিতে সংখ্যালঘু মুসলিমদের ভোটব্যাঙ্ক হিসেবে দেখতে গিয়ে সার্বিক উন্নয়নের পরিবর্তে তাদের একাংশের মৌলবাদী কাজকর্মে মদত দেওয়া হচ্ছে৷'‌'‌ অর্থনৈতিক সন্তুষ্টির পরিবর্তে ধর্মীয় ভাবে সন্তুষ্ট করার চেষ্টা একটি সম্প্রদায়কে ক্রমশই পিছনের দিকে নিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তিনি৷ তাঁর কথায়, ‘‌‘‌সেকুলারিজমের নামে একটি সম্প্রদায়কে শুধুমাত্র ভোটব্যাঙ্ক হিসেবে দেখার ফলে আসলে ক্ষতি হচ্ছে দেশের সম্প্রীতির৷ এক ধর্মান্ধতার বিরুদ্ধে অস্ত্র হিসেবে অন্য এক ধর্মান্ধতাকে প্রশ্রয় দেওয়া বন্ধ হলেই দেশের মঙ্গল৷'‌'‌

এই পরিস্থিতি‌তে বলিউড অভিনেতা নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকি এই স্পর্শকাতর বিষয়ে এক শিক্ষনীয় কাজ করেছেন৷ ভারতে শিল্পী ও ধর্ম দুই ক্ষেত্রেই সহিষ্ণুতা বজায় রাখতে দেশবাসীকে একটি বার্তা দিয়েছেন তিনি৷ তাঁর ধর্ম কি সেটা জানতে রীতিমতো ডিএনএ টেস্ট করিয়েছেন৷ সেই পরীক্ষার ফল নিয়ে সোশাল সাইট ইনস্টাগ্রামে ৫৫ সেকেন্ডের ভিডিও আপলোড করেছেন তিনি৷ ভিডিওতে মুখে একটিও কথা না বলে হাতে একটার পর একটা প্ল্যাকার্ড ধরে গোটা দেশকে অনেক শিক্ষা দিয়েছেন নওয়াজউদ্দিন৷ ২০১২ সালে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে স্পেশাল জুরি অ্যাওয়ার্ড পাওয়া এই অভিনেতা একটি একটি করে প্ল্যাকার্ড বের করে দেখিয়েছেন, ডিএনএ পরীক্ষায় দেখা গেছে তিনি ১৬.‌৬৬ শতাংশ হিন্দু, ১৬.‌৬৬ শতাংশ মুসলমান, ১৬.‌৬৬ শতাংশ শিখ, ১৬.‌৬৬ শতাংশ খ্রিষ্টান, ১৬.‌৬৬ শতাংশ বৌদ্ধ এবং বিশ্বের বাকি সব ধর্মের ১৬.‌৬৬ শতাংশ৷ কিন্তু, শেষে তিনি যে পোস্টার তুলে ধরেছেন তাতে লেখা রয়েছে, ‘‌‘‌যখন আমার হৃদয় পরীক্ষা করলাম, দেখাগেল, আমি ১০০ শতাংশ শিল্পী৷'‌'‌

ধর্মীয় অসহিষ্ণুতা এবং রাজনীতিকে মিশিয়ে দেওয়ার চেষ্টা প্রবল ভাবে দেখা দিয়েছে ভারতে৷ সমগ্র উত্তর ভারত তথা গোবলয়ের ২ হাজার মাদ্রাসা এবং মসজিদে বিশেষ নজরদারি শুরু করেছে দিল্লি পুলিশ৷ সূত্রের খবর, পুলিশ নাকি জানতে পেরেছে এখানে শিক্ষার আড়ালে নাশকতায় মদত দেওয়া হচ্ছে৷ সম্প্রতি দিল্লিতে নাশকতার ছক কষায় ৫ যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল৷ তাঁদের জেরা করে বিজনৌরের এক মসজিদের ইমাম মহম্মদ ফৈজানকে গ্রেপ্তার করা হয়৷ তাঁকে জেরা করে একাধিক চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসে পুলিশের হাতে৷ তারপর থেকেই বিজনৌর ও সংলগ্ন এলাকার প্রায় ২০০০ মসজিদ ও মাদ্রাসায় বাড়তি নজরদারি চালানো হচ্ছে৷ পুলিশ সুপার অজয় সাহানি জানিয়েছেন, ‘‌‘‌এই সব মাদ্রাসায় মেধাবী ছাত্রদের নাশকতায় প্ররোচনা দেওয়ার চেষ্টা দেওয়া হচ্ছে৷ তাঁদের প্রভাবিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে৷ সন্ত্রাসের এই ফাঁদ থেকে ছেলেদের বাঁচানোর আবেদন জানানো হয়েছে অভিভাবকদেরও৷ ইতিমধ্যেই উত্তরপ্রদেশ ‘‌অ্যান্টি টেরর সেল'‌-‌এর অভিযানে ৮ সন্দেহভাজন কিশোরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে৷ তাঁদের মা–বাবাকে ডেকে বোঝানোর জন্য অনুরোধ করা হয়েছে৷ উত্তর প্রদেশ থেকে যে ৮ কিশোরকে উদ্ধার করা হয়েছে তাঁরা ধৃত মহম্মদ ফৈজানের ঘনিষ্ঠ৷'‌'‌

Mamud Hossen_DSP Leader of West Bengal_001 - MP3-Stereo

This browser does not support the audio element.

ঠিক অন্যরকম ঘটনাই বা ভারতে কম কি!‌ মানবতা ও সম্প্রীতির অনন্য নজির গড়ে পশ্চিমবঙ্গের মালদহের শেখপুরা গ্রামের হতদরিদ্র মানুষ সম্প্রীতি ও মানবতার পাঠ শিখিয়েছএ গোটা দেশকে৷ ঘটনা এমন যে বলা যেতেই পারে, রামের শেষ যাত্রা সম্পন্ন হল রহিমের কাঁধে চেপে ! মালদহের মানিকচক থানার শেখপুরা নিম্নবিত্ত, কৃষিজীবী, খেতমজুরদের গ্রাম৷ মূলত মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষের বাস৷ হাতে গোনা দু'তিনটি হিন্দু পরিবার রয়েছে এখানে৷ এক হিন্দু পরিবারের যুবক ছিলেন বিশ্বজিৎ রজক৷ খেতমজুর বিশ্বজিৎ দীর্ঘদিন ধরে যকৃতের ক্যান্সারে ভুগছিলেন৷ গত সোমবার রাতে বাড়িতেই তাঁর মৃত্যু হয়৷ বিশ্বজিতের মা-দাদা তাঁর দেহ নিয়ে ঠায় বসে৷ পান্তা জোটাতেই হিমসিম খাওয়া, তাঁদের সাধ্য ছিল না ৮ কিমি দূরের শ্মশানে নিয়ে গিয়ে সৎকার করার৷ গ্রামের হিন্দু পরিবারের মানুষও শুধুমাত্র মৃতদেহ দেখে গিয়ে দায় সেরেছেন৷ সেই সময়েই হাজির হন আরাসেফ আলি, আব্দুল খালেকরা৷ সঙ্গে আরও এক দঙ্গল মানুষ৷ বিশ্বজিতের মুসলিম প্রতিবেশীরা৷ তাঁরাই কাঁধে তুলে নেন সব দায়িত্ব৷

এরপরেই এ বছর ‘‌মুক্তি ভবন'‌ ছবির জন্য জাতীয় পুরস্কারের মঞ্চে ‘‌বিশেষ উল্লেখ'‌ পাওয়া আদিল হুসেন চারপাশের অস্থির সময়কে ভিত্তি করে তৈরি করছেন নতুন নাটক৷ তাঁ কথায়, ‘‌‘‌আমি মনে করি উদার হতে চাইলে পুরোটা হওয়া উচিত৷ প্রত্যেক শিশুর নিজের অধিকার আছে নিজের ধর্ম বেছে নেওয়ার৷ আমি বাবা হিসেবে, আমার সন্তানের ওপর কোনও বিশেষ ধর্ম চাপিয়ে দিতে চাই না৷ আজ আমার ছেলে যদি মনে করে ইসলাম ছাড়া অন্য কোনও ধর্ম মেনে চলবে তার সে স্বাধীনতা আছে৷ আর আমার আছে তার সিন্ধান্তর প্রতি পূর্ণ সমর্থন৷ কারণ, ধর্ম উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া কোনও জিনিস নয়৷'‌'‌

আপনার কি কিছু বলার আছে? লিখুন নীচের মন্তব্যের ঘরে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ