1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

হিগস-বোসন

১০ জুলাই ২০১২

৪ জুলাই ২০১২৷ পদার্থবিজ্ঞানের ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে থাকবে এই তারিখটি৷ সেদিন ইউরোপীয় বিজ্ঞানীরা সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় ঘোষণা দেন যে, তারা হিগস-বোসনের মতো বৈশিষ্ট্যের অধিকারী একটি কণা খুঁজে পেয়েছেন৷

***Das Pressebild darf nur in Zusammenhang mit einer Berichterstattung über CERN verwendet werden*** CMS collision events at 7 TeV: candidate ZZ to 4e Real CMS proton-proton collisions events in which 4 high energy electrons (red towers) are observed. The event shows characteristics expected from the decay of a Higgs boson but is also consistent with background Standard Model physics processes. Prepared for EPS HEP 2011 Conference. CMS-PHO-EVENTS-2011-008 -7 https://cdsweb.cern.ch/record/1378102 © 2011 CERN, for the benefit of the CMS Collaboration
ছবি: 2011 CERN

অনেকদিন ধরে অনেক টাকা-পয়সা খরচ করে অনেক বিজ্ঞানীর প্রচেষ্টার সম্মিলিত ফল এই ঘোষণা৷ অবশ্য বিজ্ঞানীরা খুঁজছিলেন ‘হিগস' নামের কণাকে৷ কিন্তু সেটা পাওয়া যায়নি৷ তার বদলে যেটা পাওয়া গেছে সেটার বৈশিষ্ট্য হিগসের মতোই৷ তাই অনেক খুশি বিশ্বের তাবৎ বিজ্ঞানীমহল৷

ব্রিটিশ বিজ্ঞানী পিটার হিগস ১৯৬৩ সালে এই ধরণের কণা থাকতে পারে বলে জানিয়েছিলেন৷ তাই কণাটার নামও হয়ে গেছে তাঁর নামে৷ এই পিটার হিগসও সেদিন উপস্থিত ছিলেন জেনেভায়৷ বিজ্ঞানীদের ঘোষণায় তিনি আপ্লুত হয়ে পড়েন৷ তিনি বলেন, ‘‘আমি কখনো ভাবিনি যে আমার জীবদ্দশাতেই এটা আবিষ্কৃত হবে৷''

কাঙ্খিত কণাটার পুরো নাম হিগস-বোসন৷ এই বোসন শব্দটা এসেছে বাঙালি বিজ্ঞানী  সত্যেন্দ্রনাথ বসুর নাম থেকে৷ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগে প্রায় ২০ বছর অধ্যাপনা করেছেন তিনি৷ এসময় আরেক বিখ্যাত পদার্থবিদ আলবার্ট আইনস্টাইনের সঙ্গে মিলে পার্টিকল ফিজিক্স বা কণা পদার্থবিজ্ঞানে অনেক অবদান রাখেন তিনি৷ তাদের দুজনের নামে ‘বোস-আইনস্টাইন স্ট্যাটিসটিকস' নামে একটি সংখ্যাতত্ত্ব রয়েছে৷ যেসব কণা এই সংখ্যাতত্ত্ব মেনে চলে তাদেরকে ‘বোসন' নামে ডাকা হয় বলে জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. আরশাদ মোমেন৷ হিগসও এই নিয়ম মেনে চলে বলে ধারনা করা হয়৷ তাই তার সঙ্গে যুক্ত হয়ে গেছে ‘বোসন' শব্দটি৷

এখন প্রশ্ন হচ্ছে কী এই হিগস-বোসন? ড. মোমেন বলেন, ‘‘হিগস হচ্ছে একটা সাব-অ্যাটোমিক আর্টিকল বা কণা যার কাজ হচ্ছে অন্যান্য কণার জন্য ভর তৈরি করা৷''

ছবি: 2011 CERN

ইউরোপের গবেষণা সংস্থা ‘সার্ন'এর বিজ্ঞানীরা নতুন এই আবিষ্কারের সঙ্গে জড়িত৷ সুইজারল্যান্ডের জেনেভা শহরের কাছে মাটির নীচে সার্নের ‘লার্জ হ্যাড্রন কোলাইডার' অবস্থিত৷ সেখানেই পরীক্ষাটা হয়েছে৷ এজন্য সূর্যের তাপমাত্রার চেয়েও এক লক্ষ গুন বেশি তাপমাত্রার পরিবেশ তৈরি করা হয়েছিল৷

আমাদের এই পৃথিবীটা কীভাবে তৈরি হয়েছিল তা নিয়ে সাধারণ মানুষের যেমন আগ্রহ রয়েছে, তেমনি বিজ্ঞানীদেরও৷ এই আগ্রহ থেকেই আসলে এত প্রচেষ্টা, এত গবেষণা৷ বিজ্ঞানীরা মনে করেন, সত্যি সত্যি হিগস-বোসন পাওয়া গেলে মানুষের আগ্রহের হয়তো কিছুটা মেটানো যেতে পারে৷ অর্থাৎ ‘বিগ ব্যাং' তত্ত্বের কারণে মহাবিশ্বের উৎপত্তি সম্পর্কে এখন যতটা জানা যায়, তার চেয়ে আরেকটু বেশি জানা যাবে৷ এমনটা মনে করেন বাংলাদেশের প্রখ্যাত পদার্থবিদ ও বিজ্ঞান একাডেমীর সভাপতি ড. এম. শমশের আলী'ও৷ তিনি বলেন, এর ফলে ‘ডার্ক ম্যাটার' বা অদৃশ্য পদার্থ এবং ‘ডার্ক এনার্জি' বা অন্ধকার শক্তি সম্পর্কে আরও বিস্তারিত ধারণা পাওয়া যাবে৷

হিগস কণার অস্তিত্ব সম্পর্কে ধারণা দেয়ায় ব্রিটিশ বিজ্ঞানী পিটার হিগসকে নোবেল দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বিখ্যাত পদার্থবিদ স্টিফেন হকিং৷ এদিকে, ড. শমশের আলী মনে করেন, পদার্থ বিজ্ঞানে অবদানের জন্য সত্যেন্দ্রনাথ বোসকে নোবেল পুরস্কার দেয়া উচিত ছিল৷ তিনি বলেন, যখনই হিগস-বোসন নিয়ে কথা হবে তখন হিগসের সঙ্গে সঙ্গে বসুর নামও উচ্চারিত হবে৷

প্রতিবেদন: জাহিদুল হক
সম্পাদনা: হোসাইন আব্দুল হাই

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ