1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

হিটলারের কূটনীতিকরাও ইহুদি নিধনযজ্ঞে জড়িত ছিলেন

১১ নভেম্বর ২০১০

নাৎসি বাহিনীর কর্তারাই নন কেবল, হিটলারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উঁচু পদের কর্মী, বিদেশে কর্মরত কূটনীতিকরাও ইহুদি নিধনে নীলনকশা তৈরি করেছেন, প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষে যুক্ত ছিলেন৷

গোপন নথি ঘেঁটে অনেক তথ্য জানা গেছেছবি: dapd
জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী গিডো ভেস্টারভেলে আনুষ্ঠানিকভাবে তদন্ত রিপোর্ট গ্রহণ করছেনছবি: AP

নানা নথিপত্র ঘেঁটে, ব্যাপক অনুসন্ধান চালিয়ে তদন্ত কমিশনের রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে৷

চারজন বহুমান্য ঐতিহাসিক গত পাঁচ বছর ধরে হরেক পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালিয়ে দেখেছেন, নাৎসি আমলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং কূটনীতিকরা ইহুদি হত্যাযজ্ঞে সরাসরি ও গোপনে মদত দিয়েছেন৷ যেমন ফ্রান্সে তৎকালীন কূটনীতিক ফরাসি ইহুদিদের আউশভিৎসে পাঠিয়েছিলেন৷ ইউরোপের অন্যান্য দেশ থেকেও ইহুদিদের আউশভিৎস এবং আরো অনেক মৃত্যুপুরি তথা কনসেনট্রেশন ক্যাম্পে পাঠানো হয়৷

তদন্ত রিপোর্টে বলা হয়েছে, ১৯৩৩ সালে নাৎসি বাহিনীর ক্ষমতা দখলের পর থেকেই, হিটলারের বিদেশ দপ্তর এবং কূটনীতিকরাও ইহুদি হত্যার নীলনকশা তৈরি করেছেন, প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষে যুক্ত ছিলেন৷

১৯৪০ সালে বিদেশ বিভাগের পরিচালক ফ্রানৎস রেডেমাখার ইহুদি দেখভাল বিভাগেরও দায়িত্ব পান৷ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ সমাপ্তির কয়েক মাস আগে নির্দেশ দেন ইউরোপের ইহুদিদের মাদাগাস্কারে পাঠাতে৷

চাঞ্চল্যকর তথ্যসমৃদ্ধ এক বইয়ে অতীতের অজানা তথ্য উঠে এসেছেছবি: dapd

তদন্ত কমিশনের প্রায় ৯০০ পৃষ্ঠার রিপোর্টে আরো বলা হয়েছে, কোনো কূটনীতিকই ইহুদি নিধনে বাধা দেননি৷ তদন্ত কমিটির প্রধান ডক্টর একার্ট কোনৎসে জেডডিএফ টিভি চ্যানেলে বলেছেন, সংঘবদ্ধ ক্রিমিনালরা যা করে থাকে, হিটলারের বিদেশ কার্যালয়ের কর্মীরা এবং কূটনীতিকরাও তাই করেছেন৷ এও বাহ্য৷ অমানবিক অপরাধের জন্যে বিন্দুমাত্র লজ্জিত নন৷ ওঁরা এতই আহাম্মক, যে গুরুতর অপরাধের নথিপত্রও ধ্বংস করে যাননি৷

উল্লেখ্য,২০০৫ সালে, গ্রিন পার্টির শীর্ষনেতা ইয়শকা ফিশার, পররাষ্ট্রমন্ত্রী থাকাকালীন নাৎসি-আমলের বিদেশ মন্ত্রণালয়ের কর্মী এবং কূটনীতিকদের ইহুদি নিধনে কী ভূমিকা ছিল, নির্দেশ দেন৷ ঐতিহাসিকদের নিয়ে কমিটি গঠন করেন৷

প্রতিবেদন: দাউদ হায়দার
সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ