আজকের যুগে নতুন কোনো গান সাফল্যের চার্ট বা তালিকার উপরদিকে না উঠলে শিল্পীর কদরই হয় না৷ কিন্তু কোনো নির্দিষ্ট ফর্মুলা কি সাফল্যের চাবিকাঠি হতে পারে? বিজ্ঞানী ও বিশেষজ্ঞরা সফল গানের কিছু বৈশিষ্ট্য খুঁজে পেয়েছেন৷
বিজ্ঞাপন
কিছু গান শুনলে বোঝা যায়, কেন সেগুলি ‘হিট' বা জনপ্রিয়৷ সে বিষয়ে সন্দেহের তেমন অবকাশ নেই৷ কিন্তু এর কারণ কী? মস্তিষ্ক গবেষক হিসেবে ভিনসেন্ট চেউং-এর মনে সেই প্রশ্ন জেগেছিল৷ তিনি জানতে চেয়েছিলেন সংগীতপ্রেমী হিসেবে কিছু গান কেন তার হৃদয় এত স্পর্শ করে৷
চেউং ও তার টিম অ্যামেরিকার জনপ্রিয় সংগীত চার্টের ৭৪৫টি হিট গান বিশ্লেষণ করেছে৷ একটি সফটওয়্যার প্রত্যেক কর্ড পরীক্ষা করে দেখেছে, সেটি সংগীতের প্রেক্ষাপটে কতটা বিস্ময়কর বা প্রত্যাশিত ছিল৷ তাঁরা সুর ও কথা ছাড়া স্বেচ্ছাসেবীদের শুধু কর্ডের বিন্যাস শুনিয়েছেন৷ শুনে তাঁরা পছন্দ-অপছন্দের কথা জানিয়েছেন৷
সে সময় মস্তিষ্কের উপর বেশ চাপ পড়ে বৈকি৷ কারণ গান শোনার সময়ে মস্তিষ্কের সেই সব অংশ সক্রিয় হয়, যেগুলি ধ্বনি, আবেগ, স্মৃতি ও প্রাপ্ত জ্ঞান বিশ্লেষণ করে৷ সেই পরীক্ষায় দেখা গেল, যে মানুষ দুটি ক্ষেত্রে কর্ডের বিন্যাস বিশেষভাবে পছন্দ করেছেন, যেগুলির সঙ্গে তাঁদের গভীর প্রত্যাশা জড়িয়ে রয়েছে৷ ভিনসেন্ট চেউং বলেন, ‘‘প্রথম ক্ষেত্রে দেখা গেল, যে কর্ডের বিন্যাস প্রত্যাশার সঙ্গে বেশ মিলে গেলে বেশিরভাগ মানুষ এমনকি অপ্রত্যাশিত কর্ডও পছন্দ করেন৷ দ্বিতীয় ক্ষেত্রে আবার দেখা গেল, যে কর্ডের বিন্যাস গানের বাকি অংশ সম্পর্কে অনিশ্চয়তা সৃষ্টি করলে তাঁরা প্রত্যাশিত কর্ড শুনলে খুশি হন৷''
অবিস্মৃত: মাইকেল জ্যাকসন
২৫শে জুন ২০০৯৷ মাত্র ৫০ বছর বয়সে বিংশ শতাব্দীর সাড়া জাগানো সংগীত তারকা ‘দ্য কিং অফ পপ’ মাইকেল জ্যাকসন চিরবিদায় নেন৷ হঠাৎ করেই বন্ধ হয়ে যান তাঁর হৃদযন্ত্র৷ সেই শোকে যেন আজও মুহ্যমান তাঁর ভক্তরা৷
ছবি: AP
যে খবরে সারা বিশ্ব হতভম্ব
২০০৯ সালের ২৫শে জুন ‘কিং অফ পপ’ মাইকেল জ্যাকসনের মৃত্যুসংবাদ সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে৷ অথচ তার ঠিক কিছুদিন আগেই ‘দিস ইজ ইট’ নামের বেশ কয়েকটি সংগীত কনসার্ট করার কথা জানিয়েছিলেন তিনি৷ পপ সংগীতের ইতিহাসে জ্যাকসন সূচনা করেছিলেন এক নতুন অধ্যায়৷ সারা জীবনে ৭৫ কোটিরও বেশি অ্যালবাম বিক্রি হয় তাঁর৷
ছবি: AP
শৈশব সুখের ছিল না
১৯৫৮ সালের ২৯শে আগস্ট যুক্তরাষ্ট্রের ইন্ডিয়ানা রাজ্যের গ্যারি শহরে এক গরিব পরিবারে জন্ম মাইকেল জ্যাকসনের৷ তিনি পাঁচ ভাই ও তিন বোনের সঙ্গে একটি কৃষ্ণাঙ্গ শ্রমিক এলাকায় বড় হন৷ এরপরেও অবশ্য সাফল্যের শিখরে উঠেছিলেন জ্যাকসন৷ পেয়েছিলেন সংগীত জগতের সবচেয়ে বড় পুরস্কার ‘গ্র্যামি’, তাও আবার ১৩ বার৷
ছবি: Express Newspapers/Getty Images
‘দ্য জ্যাকসন ফাইভ’
বাবা জো জ্যাকসন খুব ছোটবেলা থেকেই তাঁর সন্তানদের তারকা হিসেবে তৈরি করতে চেয়েছিলেন৷ তাই ১৯৬৪ সালে, পাঁচ ছেলে – জেরমাইন, জ্যাকি, টিটো, মেরলন ও মাইকেলকে নিয়ে প্রতিষ্ঠা করেন ‘দ্য জ্যাকসন ফাইভ’ সংগীত গোষ্ঠী৷ ১৯৬৯ সালে কিংবদন্তি সোল-লেবেল রেকর্ড কোম্পানি ‘মোটাউন’-এর সাথে চক্তিবদ্ধ হয় এই গ্রুপ৷
ছবি: Frank Barratt/Getty Images
সাফল্যের সূচনা
১৯৮২ সালে মাইকেল জ্যাকসনের প্রথম একক অ্যালবাম ‘থ্রিলার’ বের হয়, যার দশ কোটি ৮০ লাখ কপি বিক্রি হয়৷ অ্যালবামটির ব্যবসায়িক সাফল্য সংগীত জগতে সৃষ্টি করে এক নতুন রেকর্ড আর মাইকেল জ্যাকসনকে বলা হতে থাকে ‘পপ সম্রাট’৷ পরবর্তীতে ‘ব্যাড’-র ৩ কোটি আর ‘ডেঞ্জারাস’-এর দেড় কোটি কপি বিক্রি হয়৷
ছবি: picture alliance/dpa
নতুন মাইকেল
১৯৭৯ সালে মাইকেল জ্যাকসন তাঁর প্রথম কসমেটিক অপারেশনটি করান৷ এবং তার পরপরই একটি অ্যাক্সিডেন্টে তাঁর নাক ভেঙে যায়৷ তিনি ত্বকের সমস্যায়ও ভুগছিলেন৷ নিজে কৃষ্ণাঙ্গ ত্বকের জন্য গর্বিত হলেও, ক্রমশই তাঁর ত্বক সাদা হতে থাকে৷ এর পর থেকে প্রায়ই তাঁকে মুখোশ পরা অবস্থায় দেখা যেত, ছোঁয়াচে রোগে আক্রান্ত হওয়ার ভয়ে৷
ছবি: imago/paulrose
ভালোবাসা না শুধুই লোক দেখানো?
১৯৯৪ সালে পপ সম্রাট বিয়ে করেন এলভিস প্রেসলির কন্যা লিসা মারি প্রেসলিকে৷ এ বিয়ে মাত্র ২০ মাস টেকে৷ তাই এটা কি শুধুই লোক দেখানো না অভিনয়? – প্রশ্ন উঠেছিল মিডিয়ায়৷ এমনকি প্রকাশ্যে তাঁদের প্রথম চুম্বনটিও নাকি ছিল ম্যানেজারের শিখিয়ে দেওয়া৷ এর উত্তরে লিসা অবশ্য বলেছিলেন, ‘‘আমি গভীরভাবে মাইকেলের প্রেমে পড়েছিলাম’’৷
ছবি: AFP/Getty Images
অবশেষে পিতৃত্বের সুখ
লিসার সাথে ডিভোর্সের পর মাইকেল জ্যাকসন তাঁর ডাক্তারের সহকারী ডেবি রোকে বিয়ে করেন৷ এই দাম্পত্য নাকি ছিল ব্যবসায়িক কারণে, অর্থাৎ মাইকেল জ্যাকসন সন্তানের পিতা হতে চেয়েছিলেন বলেই বিয়ে করা৷ ডেবি দুই সন্তানের জন্ম দেন৷ তবে তৃতীয় সন্তানটির জন্ম হয়েছিল ‘আর্টিফিশিয়াল ইনসেমিনেশান’-এর মাধ্যমে৷
ছবি: picture-alliance/dpa
সফল ট্যুর
১৯৯৬/৯৭ সালে মাইকেল জ্যাকসন শেষবারের মতো কনসার্ট করতে ‘ওয়ার্ল্ড ট্যুর’-এ বের হন৷ ‘হিস্টরি’ অ্যালবামটি নিয়ে ৫৮টি শহরে ৮২টি কনসার্ট করেন, মাতিয়ে রাখেন প্রায় ৪ দশমিক ৫ মিলিয়ন ভক্তকে৷ সে সময় দারুণ সফল জ্যাকসন ভারতেও আসেন৷ গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস অনুয়ায়ী তিনিই ছিলেন সর্বকালের সবচেয়ে সফল শিল্পী৷
ছবি: BETH A. KEISER/AFP/Getty Images
জ্যাকসনের বিরুদ্ধে কড়া অভিযোগ
১৯৯৪ সালে মাইকেল জ্যাকসনের বিরুদ্ধে শিশু যৌন হয়রানির অভিযোগ আনা হয়৷ তবে যারা অভিযোগ করেছিল, সেই পরিবারটি এক মিলিয়ন ডলার দেওয়াতে জ্যাকসনের বিরুদ্ধে কোনো মামলা হয়নি৷ ২০০৩ সালে একই অভিযোগ আবারও আসে৷ কোর্টে নির্দোষ প্রমাণিত হলেও, সম্মান ছারখার হয়ে যায়৷ মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন পপ সম্রাট৷
ছবি: Pool/Getty Images
আবারো মঞ্চে ফিরে আসার ঘোষণা
২০০৯ সালের মার্চ মাসে আবার মঞ্চে ফিরে আসার ঘোষণা দিয়ে ভক্তদের অবাক করে দেন মাইকেল৷ তিনি আবারো আগের মতো ‘পারফর্ম’ করতে পারবেন কিনা – তা নিয়ে সন্দেহ থাকলেও, ‘দিস ইজ ইট’ শো দেখার জন্য টিকিট কেনার ‘ক্রেজ’ প্রত্যাশাকে ছাড়িয়ে যায়৷ লন্ডনে প্রথম শো করার ঠিক ১৮দিন আগেই সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে তাঁর মৃত্যুসংবাদ৷
ছবি: Getty Images
মরণোত্তর কেরিয়ার
মৃত্যুর পর ‘এক্সকেপ’-সহ দুটো অ্যালবাম বেরিয়েছে মাইকেল জ্যাকসনের৷ ফোর্বস ম্যাগাজিনের ২০১৯ সালের হিসাবে, মৃত্যুর পরও দুইশো কোটি ডলারের বেশি রোজগার করেছেন তিনি, যা অন্য সব মৃত শিল্পীদের চেয়ে বেশি৷ বলা বাহুল্য, ‘দ্য কিং অফ পপ’ এভাবেই বেঁচে থাকবেন চিরদিন ভক্তদের অন্তরে৷
ছবি: Robyn Beck/AFP/Getty Images
11 ছবি1 | 11
অর্থাৎ সংগীত উপভোগ করার ক্ষেত্রে বুদ্ধিমত্তার সাহায্যে আমাদের প্রত্যাশা নিয়ে খেলা করা হয়৷ নিপূণতার সঙ্গে সেই প্রত্যাশা পূরণ না হলে আমরা বরং খুশি হই৷ তাহলে কি আধুনিক কম্পিউটার এমন ফলাফলের ভিত্তিতে হিট ফর্মুলা সৃষ্টি করতে পারবে না?
সংগীত বিজ্ঞানী ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বিশেষজ্ঞ হিসেবে স্টেফান বাউমান মনে করেন, হিট গানে যেসব কর্ড ব্যবহার করা হয়, সেগুলি খুব সহজ-সরল হয়৷ ভিনসেন্ট চেউং-এর মতো বিশেষজ্ঞদের গবেষণায় সেই প্রমাণ পাওয়া গেছে৷ সি-ডিউর কর্ড সবচেয়ে ঘনঘন শোনা যায়, অন্যদিকে জ্যাজ সংগীতের কড়া পিচ খুবই বিরল৷ তাছা়ড়া কর্ডের জনপ্রিয় কিছু প্রোগ্রেশন বা ক্রমবৃদ্ধিও রয়েছে৷
পৃথিবীকে মাতিয়ে রাখা কালজয়ী কিছু গান
ভালোবাসা, সত্য, স্বাধীনতা আর মানবতার কথা বলা গান দশকের পর দশক ধরে আমাদের হৃদয় ছুঁয়ে যাচ্ছে৷ নতুন বছরে নতুন এক দশকেও প্রবেশ করেছে পৃথিবী৷ আসুন জেনে নেই বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে সাড়া জাগানো কিছু গান ও তার পেছনের গল্প৷
ছবি: picture alliance/ASSOCIATED PRESS
এলভিস প্রিসলি: ‘লাভ মি টেন্ডার’ (১৯৫৬)
পপ গানের গুরু এলভিস প্রিসলির ‘লাভ মি টেন্ডার’ গানের ইতিহাস দীর্ঘ৷ যুক্তরাষ্ট্রে গৃহযুদ্ধের সময় প্রথম গানটি প্রকাশ পায়৷ পরে ওই গৃহযুদ্ধ নিয়ে নির্মাণ করা সিনেমা ‘লাভ মি টেন্ডার’-এ প্রিসলি গানের সুর কিছুটা পরিবর্তন করেন৷ সিনেমায় প্রিসলি নিজেও অভিনয় করেছেন৷
ছবি: picture-alliance/Leemage/MP
বিটলস: ‘হেই জুড’ (১৯৬৮)
বিখ্যাত এই গানটি জন লেননের ছেলে জুলিয়ানকে উদ্দেশ্য করে লেখা৷ ইওকো ওনোর সঙ্গে লেননের প্রেম শুরু হলে স্ত্রীর সঙ্গে লেননের বিচ্ছেদ ঘটে৷ পাঁচ বছরের ছোট্ট ছেলেটি বাবা-মায়ের এই সম্পর্কচ্ছেদের সঙ্গে কিভাবে মানিয়ে নেবে তা নিয়েই এই গান৷
ছবি: Imago/LFI
জন লেনন: ‘ইমাজিন’ (১৯৭১)
জন লেননের সলো ক্যারিয়ারে সর্বাধিক বিক্রিত গান ‘ইমাজিন’৷ সেখানে এমন এক পৃথিবীর কথা বলা হয়েছে যেখানে থাকবে না কোনো ভেদাভেদ, হবে মানবতার জয়৷ এক যুক্তরাজ্যেই ১৬ লাখেরও বেশি ক্যাসেট বিক্রি হয়৷
ছবি: picture-alliance/dpa/A. Randu
অ্যাডেল: ‘স্কাইফল’ (২০১২)
২০১২ সালে জেমস বন্ড সিরিজের ‘স্কাইফল’ সিনেমায় ‘স্কাইফল’ গানের জন্য ব্রিটিশ গায়িকা অ্যাডেল অস্কার জেতেন৷ সিনেমায় এজেন্ট ০০৭ ড্যানিয়েল ক্রেগ আকাশ থেকে পড়ে যাচ্ছেন আর সঙ্গে নাটকীয় এই গান৷
ছবি: Getty Images
সেলিন ডিওন: ‘মাই হার্ট উইল গো অন’ (১৯৯৭)
মৃত্যুকে ছাপিয়ে ভালোবাসার জয়৷ ১৯৯৭ সালে মুক্তি পাওয়া ‘টাইটানিক’ সিনেমায় সেই ভালোবাসার জয়গান গাওয়া হয়েছে৷ সিনেমায় সেলিন ডিওনের ‘মাই হার্ট উইল গো অন’ বিশ্বজুড়ে প্রেমিক হৃদয়কে কাঁপিয়ে দিয়েছিল৷
ছবি: picture-alliance /dpa
সিন্ডি লোপার: ‘টাইম আফটার টাইম’ (১৯৮৪)
মার্কিন গায়িকা সিন্ডি লোপারের মিউজিক ভিডিও ‘টাইম আফটার টাইম’-এ দৈনন্দিন জীবনযাপনে ধীরে ধীরে ফিকে হতে থাকা নারী-পুরুষের ভালোবাসা দেখানো হয়েছে৷ সেখানে লোপার তার ভালোবাসার মানুষটিকে ছেড়ে যাচ্ছে, কিন্তু সারা জীবন সব পরিস্থিতিতে তাকে পাশে পাওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে যাচ্ছে৷
ছবি: Imago/MediaPunch/G. Gershoff
ক্যাট স্টিভান্স: ‘ফাদার অ্যান্ড সন’ (১৯৭০)
ব্রিটিশ গায়ক ক্যাট স্টিভানের আসল নাম ইউসুফ ইসলাম৷ তার জনপ্রিয় গান ‘ফাদার অ্যান্ড সন’-এ একটি ছেলে তার বাবার ইচ্ছার বিরুদ্ধে রাশিয়ায় যুদ্ধে যেতে চায়৷
ছবি: picture-Alliance/Photoshot
7 ছবি1 | 7
একটি ব্যান্ড নিজেদের এক সৃষ্টির মধ্যে সেই ধাঁচের প্রায় ৫০টি হিট গান অন্তর্গত করেছে৷ সেই মিউজিক ভিডিওতে এমন ছকে বাঁধা ফর্মুলা নিয়ে পরিহাসও করা হয়েছে৷ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা গবেষক হিসেবে ড. স্টেফান বাউমান মনে করেন, ‘‘অনেক কাল ধরেই হিট ফর্মুলার সন্ধান চলছে৷ ‘হিট সং বিজ্ঞান'-কে কেন্দ্র করে কিছু কোম্পানিও পত্তন করা হলেও সেই প্রচেষ্টা বিফল হয়েছে৷ কারণ শেষ পর্যন্ত কোনো সংগীতকে এমন সাংগীতিক প্রেক্ষাপটে ফেলা হয়, যেগুলি দুই-তিন বছরের আগের মেজাজের তুলনায় একেবারেই ভিন্ন৷''
মোটকথা পপ মিউজিক যুগের ভাবধারা তুলে ধরে৷ আকর্ষণীয় সাউন্ড বা ধ্বনি এবং চতুর বিপণন কৌশল হিট গান সৃষ্টি করতে পারে৷ অ্যালগোরিদম নির্দিষ্ট কোনো স্টাইল ও শিল্পীকে ‘কুল' অথবা ‘হট' করে তুলতে পারে৷
যে সব গানের মধ্যে ‘ইউ' বা ‘তুমি' শব্দটি বার বার শোনা যায়, সেগুলি বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সফল হয়৷ অনেক কিছু সম্ভব হলেও সাফল্যের কোনো গ্যারেন্টি নেই৷ কারণ প্রবণতা ও জনপ্রিয়তার বিষয়টি অনিশ্চয়তায় ভরা৷