স্বাধীনতার ৭০ বছরে ভারতে আবারো যেন প্রকট হয়ে উঠছে হিন্দু-মুসলিম ভেদাভেদের আবহ৷ হিন্দুত্ববাদী সংখ্যাগুরু দলতন্ত্রের দাপটে মোদী সরকার এখানকার অবৈধ বাংলাদেশি ও মিয়ানমারের মুসলিম রোহিঙ্গাদের স্বভূমিতে ফেরত পাঠাতে উদ্যোগী৷
বিজ্ঞাপন
প্রাক্তন উপরাষ্ট্রপতি হামিদ আনসারি সেদিকে ইঙ্গিত করেই নিজের বিদায়ী ভাষণে বলেছেন, অসহিষ্ণুতা, গণপিটুনিতে হত্যা, গোমাংসে নিষেধাজ্ঞা, লাভ জেহাদ, যুক্তিবাদীদের খুনের মতো ঘটনা ভারতীয় মূল্যবোধের পরিপন্থি৷ শুধু তাই নয়, স্বঘোষিত আইনরক্ষকদের দাপটে মুসলিমদের মধ্যে নিরাপত্তার অভাব দেখা দিয়েছে ভারতে৷ তাঁদের ভারতীয়ত্ব ও জাতীয়তাবাদ নিয়েও প্রশ্ন তোলা হচ্ছে৷
তবে শুধু তিনিই নন৷ ধর্মের নামে যারা বিদ্বেষ ও রক্তপাতের রাজনীতি করে তাদের একহাত নিয়ে তৃণমূল সাংসদ নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর পৌত্র সুগত বসু সংসদে দেওয়া বক্তব্যে ক্ষমতাসীন দল ও সরকারকে গান্ধীজির বার্তা স্মরণ করিয়ে দেন৷ স্মরণ করিয়ে দেন ১৯৪৭ সালের নভেম্বরের কথা, যখন গান্ধীজি বলেছিলেন কোনো মুসলিম যেন ভারতে নিরাপত্তার অভাববোধ না করেন৷ একটি সম্প্রদায় বা ভাষা যেন অন্য সম্প্রদায় বা ভাষার ওপর জোর খাটাবার চেষ্টা না করে৷
অথচ প্রধানমন্ত্রী মোদী বিজেপি নেতা ভেঙ্কাইয়া নাইডুর উপরাষ্ট্রপতি পদে নির্বাচিত হবার পর যে বক্তব্য রাখেন, তাতে শোনা গেছে ঠিক এর উলটো সুর৷ অন্তত পর্যবেক্ষক মহলের অভিমত এমনটাই৷ সেই বক্তব্যে মোদী বলেছিলেন, আগামী পাঁচ বছর দেশের রূপান্তর পর্ব শুরু হবে৷ বলা বাহুল্য, দেশের তিনটি শীর্ষপদই এখন বিজেপির দখলে৷ তাই স্বাভাবিকভাবেই উদ্বেগ আরও বেড়েছে৷ এটা কি হিন্দুরাষ্ট্র গঠনের প্রচ্ছন্ন ইঙ্গিত? কারণ ইতিমধ্যেই আঙুল উঠেছে একাংশের দেশাত্মবোধের দিকেও৷
ভারতে সাংস্কৃতিক অসহিষ্ণুতা বাড়ছে
বহু জাতি-ধর্ম-বর্ণের দেশ ভারত বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল গণতন্ত্র৷ কিন্তু মত প্রকাশের অধিকারের প্রশ্নে ইদানীং অসহিষ্ণুতার নানা দৃষ্টান্ত উঠে আসছে৷ সেই সঙ্গে অবশ্য সহিষ্ণুতার সীমা নিয়েও চলছে ব্যাপক বিতর্ক৷
ছবি: AP
আশিষ নন্দী ও অনগ্রসর শ্রেণি
সম্প্রতি জয়পুর সাহিত্য উৎসবের মঞ্চে প্রখ্যাত সমাজতত্ত্ববিদ আশিষ নন্দীর এক মন্তব্যকে ঘিরে শুরু হয়েছে চরম বিতর্ক৷ ভারতের অনগ্রসর শ্রেণির মানুষেরাই মূলত দুর্নীতির সঙ্গে বেশি যুক্ত, তিনি নাকি এমন কথা বলেছিলেন৷ বহুজন সমাজ পার্টি সহ বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দল আশিষ নন্দীর বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানায়৷ তিনি অবশ্য এর প্রেক্ষাপট খোলসা করে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন৷
ছবি: picture alliance/ZUMA Press
কমল হাসান ও তাঁর ‘বিশ্বরূপম’
দক্ষিণের রাজ্য তামিলনাডুর বিখ্যাত অভিনেতা ও বহুমুখী প্রতিভা কমল হাসান দেশে-বিদেশে পরিচিত৷ আফগানিস্তানের পটভূমিকায় তৈরি তাঁর সাম্প্রতিকতম ছবি ‘বিশ্বরূপম’ চরম বিরোধিতার মুখে পড়েছিল৷ তামিলনাডুর কিছু মুসলিম সংগঠনের আপত্তিতে ছবিটির মুক্তি অনিশ্চিত হয়ে পড়ে৷ নিজের গাড়ি-বাড়ি বন্ধক রেখে ছবিটি তৈরি করেছেন কমল হাসান৷ অবশেষে দুই পক্ষের মধ্যে রফা হয়েছে৷
ছবি: AFP/Getty Images
কলকাতায় ‘অনভিপ্রেত’ সলমান রুশদি
ভারতের ‘সাংস্কৃতিক রাজধানী’ বলে পরিচিত শহর কলকাতায় আমন্ত্রণ সত্ত্বেও পা রাখতে পারলেন না ভারতীয় বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ লেখক সলমান রুশদি৷ তাঁর উপন্যাস ‘মিডনাইটস চিলড্রেন’-এর উপর ভিত্তি করে তৈরি চলচ্চিত্র সম্প্রতি ভারতে মুক্তি পেয়েছে৷ পরিচালক দীপা মেহতার সঙ্গে দেশের অন্যান্য শহরে যেতে পারলেও তিনি কলকাতায় ‘অনভিপ্রেত’ রয়ে গেলেন৷ বিষয়টি নিয়ে এখনো চলছে বিতর্ক৷
ছবি: DW/H. Kiesel
তোপের মুখে পশ্চিমবঙ্গ
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সংস্কৃতিপ্রেমি হিসেবে পরিচিত৷ অথচ তাঁর শাসনকালেই সলমান রুশদির মতো আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন লেখক কলকাতায় পা রাখতে না পারায় রাজ্য সরকারের ভূমিকা নিয়ে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে৷ পূর্বসূরি বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের সময় বাংলাদেশের নির্বাসিত লেখিকা তসলিমা নাসরিনকেও কলকাতা ছাড়তে হয়েছিল৷
ছবি: Prabhakar Mani Tewari
তসলিমা নাসরিনকে ফিরিয়ে দিয়েছে কলকাতা
বাংলাদেশের নির্বাসিত লেখিকা তসলিমা নাসরিন ভারতে আশ্রয় নিয়ে কলকাতায় থাকতে চেয়েছিলেন৷ তসলিমাকে ঘিরে লাগাতার বিতর্কের জের ধরে পশ্চিমবঙ্গের বামপন্থি সরকার তাঁকে কলকাতায় থাকতে দেয় নি৷ তাঁর নিরাপত্তা ও জনজীবনে অশান্তির আশঙ্কা প্রকাশ করেই এমনটা করা হয়েছিল৷
ছবি: AFP/Getty Images
শশী থারুরের সতর্কতাবাণী
প্রাক্তন কূটনীতিক, লেখক, চিন্তাবিদ, রাজনীতিক, মন্ত্রী শশী থারুর ভারতের সমাজে বেড়ে চলা অসহিষ্ণুতা সম্পর্কে গভীর দুশ্চিন্তা প্রকাশ করেছেন৷ আশিষ নন্দীর মন্তব্য বা ‘বিশ্বরূপম’ ছবি নিয়ে বিতর্কের প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, মত প্রকাশের অধিকার ও অন্যদের আবেগে আঘাত করার অধিকারের মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা করতে হবে৷ তাঁর মতে, ভারত এখনো ‘আঘাত করার অধিকার’ মেনে নেওয়ার অবস্থায় পৌঁছে নি৷
ছবি: AP
6 ছবি1 | 6
বিজেপি-শাসিত রাজ্যের মাদ্রাসাগুলিতে ১৫ই আগস্ট স্বাধীনতা দিবস উদযাপনের এবং জাতীয় সংগীত গাইবার ভিডিও তুলে রাখা বাধ্যতামূলক করার নির্দেশ জারি করা হয়েছে৷ এই নিয়ে মাদ্রাসাগুলোতে দেখা দিয়েছে তীব্র অসন্তোষ৷ তাদের প্রশ্ন, ভারতীয় মুসলিমদের দেশাত্মবোধের পরীক্ষা নেবার জন্যই কি এই নির্দেশ? তা না হলে সংস্কৃত স্কুল, সরকারি স্কুল বা অন্যান্য সম্প্রদায়ের পরিচালিত স্কুলগুলি বাদ দিয়ে বেছে বেছে শুধু ১২ হাজার মাদ্রাসাগুলোর জন্যই এই নির্দেশ কেন? সর্ব ভারতীয় উলেমা ফোরামের কনভেনার সুহেবুর রেহমান বলেছেন, বিজেপি সরকার শুধু ভারতীয় মুসলিমদের কাছেই দেশাত্মবোধের প্রমাণ চেয়েছে৷ অবশ্য জাতীয় সংগীত গাইবার বিষয়ে এই উলেমাদের আপত্তি রয়েছে৷ জাতীয় সংগীতে নাকি এমন কিছু কিছু কথা আছে, যা ইসলামবিরোধী৷ ‘ভারত মাতা কি জয়' বলতেও তাঁদের আপত্তি৷ তবে এর বদলে কবি ইকবালের ‘সারে যাঁহা সে আচ্ছা' গানটি গাইতে তাঁদের আপত্তি নেই৷ বিতর্ক এই নিয়েই৷
অন্যদিকে, অবৈধভাবে ভারতে বসবাসকারী বাংলাদেশি এবং মিয়ানমারের মুসলিম রোহিঙ্গাদের চিহ্নিত করে স্বদেশে ফেরত পাঠাতে তৎপর হয়ে উঠেছে মোদী সরকার৷ আনুমানিক হিসেবে প্রায় দেড় কোটি বাংলাদেশি এবং প্রায় ৪০ হাজার রোহিঙ্গা শরণার্থী ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে রয়েছে৷ এক সমীক্ষায় বলা হয়, বহু দিন ধরে বাংলাদেশিরা গোপনে সীমান্ত পেরিয়ে এপারে এসে ধীরে ধীরে ভোটার কার্ড, রেশন কার্ড জোগাড় করে নিয়েছে মূলত স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাদের পৃষ্ঠপোষকতায়৷ কারণ ভোট ব্যাংক বলে একটা কথা আছে৷ এক্ষেত্রে তাঁদের ফেরত পাঠানো আদৌ সম্ভব কিনা – ডয়চে ভেলের এই প্রশ্নের উত্তরে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ সংস্থার দক্ষিণ এশীয়া বিভাগের প্রধান মীনাক্ষী গাঙ্গুলি বলেন, বাংলাদেশ সরকার যদি তাঁদের নাগরিক হিসেবে মেনে নিতে সম্মত হয়, তাহলে সেটা একটা প্রক্রিয়া হতে পারে৷
মীনাক্ষী গাঙ্গুলি
তিনি বলেন, ‘‘আজকাল যেটা দেখা যায়, সীমান্ত পার হতে গিয়ে অনেক বাংলাদেশি ধরা পড়েন এবং নথিপত্র না থাকায় তাঁদেরছ'মাস থেকে দু'বছরের জেল হয়৷ জেল থেকে বের হবার পর ঢাকা স্বভাবতই তাঁদের নিজের নাগরিক বলে মানতে চায়নি, চায় না৷ সেক্ষেত্রে তাঁরা না ঘরকা, না ঘাটকা অবস্থায় থাকেন৷ তাছাড়া কোনোভাবে তাঁরা যদি ভারতীয় ভোটার কার্ড বা রেশন কার্ড জোগাড় করে নিতে পারেন, তাহলে কী করে প্রমাণ হবে যে তাঁরা বাংলাদেশি?''
এ জন্য হয়ত ভারতের অভ্যন্তরীণ প্রক্রিয়াই দায়ী৷ গলদ আছে সিস্টেমেও৷ তাই সেটা দূর করতে হবে৷ ওদিকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে যে গত তিন বছরে ১৮০০ জন বাংলাদেশি নাগরিককে নাকি ফেরত পাঠাতে পেরেছে মোদী সরকার৷
রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানো নিয়ে মীনাক্ষী গাঙ্গুলি ডয়েচে ভেলেকে জানান, রোহিঙ্গারা মিয়ানমারে কীভাবে নির্যাতিত হচ্ছেন সেটা ভারত জানে৷ আন্তর্জাতিক মানবাধিকার কনভেনশনের সদস্য হিসেবে মিয়ানমার সরকারকে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের ফেরত নিতে বলতেপারে দিল্লি৷ না নিলে সেটা হবে মানবাধিকার লঙ্ঘন৷ কারণ এঁরা সকলেই তাঁদের নিজ ভিটেমাটি থেকে উৎখাত হয়ে ভারতে এসেছে৷
ভারতের ৭০তম স্বাধীনতা বার্ষিকীতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী চতুর্থবার দিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রথাগত ভাষণে বলেছেন, কাশ্মীর সমস্যার সমাধান গুলি দিয়ে বা গালি দিয়ে হবে না৷ হবে সম্প্রীতি দিয়ে৷ এ জন্য গড়তে হবে নব ভারত৷ কিন্তু নব ভারতের সংকল্প বলতে তিনি কী বোঝাতে চেয়েছেন? সংখ্যাগুরু দলতন্ত্রের চাপে বিরোধীদের কণ্ঠরোধ? এই নিয়ে আজ নানা মুনির নানা মত৷
বন্ধু, প্রতিবেদনটি সম্পর্কে কিছু বলার থাকলে লিখুন নীচের ঘরে৷
মুসলিম হত্যার প্রতিবাদে ভারতে বিক্ষোভ
পর পর কয়েকটি মুসলিম হত্যাকান্ডের পর হিন্দুত্ববাদীদের হিংস্র, সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষের বিরুদ্ধে ক্রমশ জোটবদ্ধ হচ্ছে, রুখে দাঁড়াচ্ছে ভারতের নাগরিক সমাজ৷ তাদেরই প্রতিবাদ হলো দেশজুড়ে৷
ছবি: Getty Images/AFP/C. Khanna
ভারতে মুসলিম হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ
সারা ভারত জুড়েই গো-হত্যা নিষিদ্ধ করার সরকারি ফরমান একটি উগ্রবাদী অপশক্তিকে যে আরও উৎসাহিত করেছে, তার প্রমাণ গেল কিছুদিনে বেশ কয়েকটি হত্যাকান্ড৷ সবশেষ জুনায়েদ নামের এক তরুণকে প্রথমে ‘গোখাদক’ এবং ‘দেশদ্রোহী’ বলে গালি-গালাজ করা হয়৷ তার পর একটা সময় ছুরি দিয়ে কুপিয়ে ফেলে দেওয়া হয় চলন্ত ট্রেন থেকে৷ এসবের প্রতিবাদেই সমগ্র দিল্লিবাসী নেমে আসেন রাজপথে৷
ছবি: Getty Images/AFP/C. Khanna
দিল্লিবাসী প্ল্যাকার্ড হাতে
সাবা দেওয়ান নামে এক তথ্যচিত্র পরিচালক প্রথম ডাক দেন, বুধবার সন্ধেয় দিল্লির যন্তরমন্তরে নীরব প্রতিবাদে সামিল হতে৷ তার ডাকে সাড়া দিয়ে গেল ২৮ জুন দিল্লিসহ সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ে প্রতিবাদ৷ প্রতিবাদের শ্লোগান হিসেবে বেছে নেয়া হয়, ‘নট ইন মাই নেম’ বা ‘আমার নামে নয়’৷
ছবি: Getty Images/AFP/C. Khanna
সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষ-বিরোধী প্রতিবাদ
ভিয়েতনাম যুদ্ধের সময় অ্যামেরিকার শান্তিকামী মানুষ যে যুদ্ধবিরোধী স্লোগান নিয়ে রাস্তায় নেমেছিলেন, সেই ‘নট ইন মাই নেম’ আবারও পুনরুজ্জীবিত হয়, হয়ে ওঠে সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষ-বিরোধী নাগরিক প্রতিবাদের নয়া মন্ত্র৷ স্পষ্টভাষায় জানিয়ে দেওয়া, এই হত্যায় আমার সায় নেই৷
ছবি: Getty Images/AFP/C. Khanna
কলকাতাও উত্তাল
একই বিক্ষোভে সাড়া ফেলে কলকাতার রাজপথেও৷ লেখক, কবি, শিল্পীরা ছাড়াও ছিলেন ধৃতিমান চট্টোপাধ্যায়, অপর্ণা সেন, অঞ্জন দত্ত'র মতো বিশিষ্টরা, যারা ভারতের ধর্মনিরপেক্ষতার আদর্শের পক্ষে সরব হয়েছিলেন৷ ঝিরঝিরে বৃষ্টি অগ্রাহ্য করে তাঁরা হাজির থাকলেন আগাগোড়া৷
ছবি: picture-alliance/AP Photo/B. Das
সব বড় শহরে বিক্ষোভ
দিল্লির মতো মুম্বাইও ফেটে পড়ে বিক্ষোভে৷ ‘নট ইন মাই নেম’-এর পাশাপাশি হিন্দু ডানপন্থি সরকারের নিশ্চুপতার সমালোচনা করেও প্ল্যাকার্ড দেখা যায়৷ এছাড়াও পাটনা, পুণে, লখনউ, এলাহাবাদ, চণ্ডীগড়, জয়পুর, হায়দরাবাদ, বেঙ্গালুরু, চেন্নাই, কোচি, অর্থাৎ দেশের সব বড় শহরে বুধবার ধ্বনিত হয়েছে এই প্রতিবাদ৷
ছবি: picture.alliance/AP Photo/R. Maqbool
প্রিটোরিয়ার নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ
গেল ২০ মে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রিটোরিয়ার রাজপথ সরব হয় ‘নট ইন মাই নেম’ নামের প্রতিবাদে৷ এই প্রতিবাদটি ছিল পুরো দক্ষিণ আফ্রিকায় নারীদের হত্যা ও ধর্ষণের প্রতিবাদে৷ ছবিতে বিয়ের গাউন পরে এক নারীকে এই প্রতিবাদে শামিল হতে দেখা যাচ্ছে৷
ছবি: Getty Images/AFP/W. de Wet
আইএসের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ
এর আগে ২০১৪ সালে সর্বপ্রথম হ্যাশট্যাগ দিয়ে ‘নট ইন মাই নেম’ প্রতিবাদটি সামাজিক মাধ্যমে ছড়ায়৷ ব্রিটিশ এক তরুণী এই প্রতিবাদের উদ্যোক্তা৷ বিশ্বব্যাপী আইএসের হত্যাযজ্ঞের প্রতিবাদে এই উদ্যোগটি নেয়া হয়৷