1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

হিন্দুপল্লিতে হামলায় আটক ২২ জন, আসামি দেড় সহস্রাধিক

১৯ মার্চ ২০২১

সুনামগঞ্জের শাল্লায় হিন্দুদের বাড়ি-ঘরে হামলায় জড়িত সন্দেহে ২২ জনকে আটক করেছে পুলিশ৷ পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে৷ 

সুনামগঞ্জে হিন্দুপল্লিতে হামলা হয়েছে
ছবি: Harun ur Rashid Swapan/DW

ফেসবুকে একটি পোস্টকে কেন্দ্র করে হিন্দুদের বাড়িতে চালানো ব্যাপক হামলা ও লুটপাটে জড়িতদের ধরতে রাতভর অভিযান চালানো হয়৷ বৃহস্পতিবার গভীর রাতে সুনামগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাহেব আলী পাঠান ডয়চে ভেলের কন্টেন্ট পার্টনার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ‘‘হামলায় জড়িতদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে ৷ ছয় সন্দেহভাজনকে আটক করা হয়েছে, আটকের সংখ্যা বাড়তে পারে৷’’ 

শুক্রবার সকাল পর্যন্ত মোট ২২ জনকে আটক করা হয়েছে বলে দৈনিক প্রথম আলো জানায়৷

বুধবার সকালে শাল্লা উপজেলার হিন্দু অধ্যুষিত নোয়াগাঁও গ্রামে হামলা চালিয়ে ৬০-৭০টি বাড়ি-ঘর ভাঙচুর ও আসবাবপত্র তছনছ করা হয়৷ ওই হামলার জন্য হেফাজতে ইসলামীর অনুসারীদের দায়ী করেছে পুলিশ ও স্থানীয়রা৷ ওই ঘটনায় শাল্লা থানার দুটি মামলা হয়েছে, যার একটি দায়ের করেছে পুলিশ৷ সেখানে ‘অজ্ঞাতপরিচয়’ দেড় হাজার জনকে আসামি করা হয়েছে বলে ওসি নাজমুল হক জানান৷ 

ছবি: Harun ur Rashid Swapan/DW

অন্য মামলাটি করেছেন হবিবপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান বিবেকানন্দ মজুমদার বকুল৷ সেখানে ৮০ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতপরিচয় আরও ১০০ জনকে আসামি করা হয়েছে৷

বিবেকানন্দ মজুমদার বলেন, ‘‘মামলা করেছি, এখন আসামি গ্রেপ্তার করে বিচারের মাধ্যমে দ্রুত দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হোক৷’’ গত সোমবার দিরাই উপজেলায় হেফাজতে ইসলাম আয়োজিত সম্মেলনে যান হেফাজতে ইসলামের আমির জুনায়েদ বাবুনগরী ও যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হকসহ কয়েকজন কেন্দ্রীয় নেতা৷’’ পুলিশের ভাষ্য, সম্মেলনে মামুনুল হকের দেওয়া বক্তব্যের সমালোচনা করে স্থানীয় এক হিন্দু যুবক ফেসবুকে একটি পোস্ট দেন৷ শাল্লা থানার ওসি নাজমুল হক বলেন, ‘‘ওই ঘটনাকে ধর্মীয় উসকানি আখ্যায়িত করে ওই এলাকার মামুনুল হকের অনুসারীরা মঙ্গলবার রাতে বিক্ষোভ মিছিল করে৷’’

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সেই রাতেই ওই যুবককে পুলিশের হাতে তুলে দেয়া হয় ৷ 

বুধবার সকালে কাশিপুর, নাচনী, চণ্ডিপুরসহ কয়েকটি মুসলিম অধ্যুষিত গ্রামের হেফাজত নেতা মামুনুল হকের কয়েক হাজার অনুসারী দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র ও লাঠিসোটা নিয়ে নোয়াগাও গ্রামে অতর্কিত হামলা চালায়৷ হাজারো মানুষের আক্রমণে হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন গ্রাম ছেড়ে আত্মগোপনে যায় এবং এই সুযোগে হেফাজত নেতার অনুসারীরা গ্রামে প্রবেশ করে বিভিন্ন বাড়িতে লুটপাট ও তছনছ করে৷

সাম্প্রদায়িক এই হামলার সঙ্গে হেফাজতে ইসলামের ‘কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই’ দাবি করে সংঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আতাউল্লাহ আমিন বলেছেন, ‘‘সাধারণ মানুষ একত্রিত হয়ে ওই যুবকের বাড়িতে হামলা করেছে৷’’

ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িঘর ঘুরে দেখার পর র‌্যাবের মহাপরিচালক চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘‘নোয়াগাঁওয়ে হিন্দুদের ঘর-বাড়িতে হামলার ঘটনায় জড়িতদের ছাড় দেওয়া হবে না৷ তাদের অতি দ্রুত আইনের আওয়তায় এনে বিচার নিশ্চিত করা হবে৷ বাংলাদেশ অসাম্প্রদায়িক দেশ৷ সংখালঘুদের নির্যাতন করলে তা সহ্য করা হবে না৷’’ 

এনএস/এসিবি (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম, প্রথম আলো)

২০১৯ সালের জুলাইয়ের ছবিঘরটি দেখুন...

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ