1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

হিমন্তকে কেন আসামের মুখ্যমন্ত্রী করলো বিজেপি

গৌতম হোড় নতুন দিল্লি
১০ মে ২০২১

সর্বানন্দ সোনোয়াল নয়, জিতেও আসামের মুখ্যমন্ত্রী বদল করল বিজেপি। হিমন্ত বিশ্বশর্মা আসামের নতুন মুখ্যমন্ত্রী।

আসামের মুখ্যমন্ত্রী হলেন হিমন্ত বিশ্বশর্মা। ছবি: IANS

ছয় বছর আগে মুখ্যমন্ত্রী হতে না পেরেই কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপি-তে যোগ দিয়েছিলেন হিমন্ত বিশ্বশর্মা। পাঁচ বছর আগেই বিজেপি জেতার পর তিনি মুখ্যমন্ত্রী হতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তখন সর্বানন্দ সোনোয়ালকে মুখ্যমন্ত্রী করেন মোদী-শাহ।

সর্বানন্দও আসাম গণ পরিষদ বা অগপ থেকে এসেছিলেন। সেসময় বিজেপি-র কোনো মুখ না থাকায় তাঁকেই বিজেপি সভাপতি করা হয়েছিল। কিন্তু হিমন্ত আসার পর পরিস্থিতি অনেকটা বদলে যায়। শুধু আসাম নয়, তার সঙ্গে উত্তর পূর্বের আরো চারটি রাজ্যের দায়িত্ব দেয়া হয়। সেখানেও সাফল্য পান হিমন্ত।

এবার প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে দেখা যায়, সর্বানন্দ নন, বেশি গুরুত্ব পাচ্ছেন হিমন্ত। অসমীয় প্রতিদিনের প্রবীণ সাংবাদিক আশিস গুপ্ত ডিডাব্লিউকে জানিয়েছেন, ''সর্বানন্দ যত সুপারিশ করেছিলেন, তার প্রায় কোনোটাই মানা হয়নি। কিন্তু হিমন্ত বিশ্বশর্মার ক্ষেত্রে ঠিক উল্টো হয়েছে। তার অধিকাংশ সুপারিশই মানা হয়েছে। বিধায়কদের মধ্যে ৪২জন হিমন্তের অনুগামী।''

যে যুক্তিটা এক বিজেপি নেতা তার ঘনিষ্ঠমহলে দিয়েছেন, তা হলো, তাদের ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের কথাটা মাথায় রাখতে হচ্ছে। হিমন্তকে বেছে নেয়া মানে শুধু আসাম নয়, উত্তর পূর্বের অনেকগুলি রাজ্যে বিজেপি প্রার্থীদের জয়ের সম্ভাবনা অনেকটাই বেড়ে যাওয়া।

প্রবীণ সাংবাদিক ও উত্তর পূর্ব ভারত বিশেষজ্ঞ জয়ন্ত ভট্টাচার্য ডয়চে ভেলেকে বলেছেন, ''এই প্রথম একজন অহোমকে বাদ দিয়ে ব্রাক্ষ্মণকে মুখ্যমন্ত্রীর পদে বেছে নিল বিজেপি। খুবই তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা। এর থেকেই বোঝা যাচ্ছে, তিনি এখন কতটা ক্ষমতাবান ও কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতৃত্বের কাছে অপরিহার্য নেতা।''

তরুণ গগৈয়ের যখন রাজত্বের শেষ সময় হিমন্ত মুখ্যমন্ত্রী হতে চেয়েছিলেন। তিনি কার্যত বিদ্রোহও করেছিলেন। রাহুল গান্ধীর সঙ্গে দেখা করেছিলেন। রাহুল তার কথা কানে নেননি। তিনি তখন তরুণ গগৈ ও তার ছেলে গৌরব গগৈয়ের উপর ভরসা রেখেছিলেন। তারপর কংগ্রেস ছাড়েন হিমন্ত। এতদিন পরে বিজেপি-তে এসে সেই কাঙ্খিত পদ পেলেন হিমন্ত।

প্রশাসক ও রাজনীতিক হিসাবে হিমন্তের বড় গুণ কি? আশিসের মতে, ''হিমন্তের সাহস, সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষমতা দুটোই তার বড় গুণ। প্রশাসক হিসাবে এবং সংগঠক হিসাবে তিনি নিঃসন্দেহে সর্বানন্দের থেকে অনেক বেশি কার্যকর।'' জয়ন্তও মনে করেন, হিমন্তের সফল হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।

উত্তর পূর্বের জন্য হিমন্তকে এতদিন খোলা হাতে কাজ করতে দিয়েছেন বিজেপি-র শীর্ষ নেতৃত্ব। তার হাতে দায়িত্ব দিয়ে অনেকটাই নিশ্চিন্তে তারা। ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে তারা কোনো ঝুঁকি নিতে চাননি। সে জন্যই হিমন্তের আশাপূরণ হলো। তিনি আসামে মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে বসতে পারলেন।

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ