গত ৪০ বছরে মহাকাশ পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র থেকে তোলা ছবি পর্যবেক্ষণ করে বিজ্ঞানীরা বলছেন, হিমালয়ের বরফ আশঙ্কাজনক হারে গলছে৷ এমন চলতে থাকলে অন্তত একশ' কোটি মানুষ সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত হবে৷
বিজ্ঞাপন
বুধবার সায়েন্স অ্যাডভান্সেস জার্নালে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বিজ্ঞানীরা বলেছেন, গত শতকের তুলনায় হিমালয়ের হিমবাহ এখন দ্বিগুণ হারে গলছে৷ ২০০০ সাল থেকে বছরে শতকরা এক ভাগ করে গলছে বরফ৷ এর ফলে বছরে সাড়ে পাঁচ ফুট (৫০ সেন্টিমিটার)-এর চেয়েও বেশি করছে কমছে বরফ৷ আগের ২৫ বছরের তুলনায় দ্বিগুণ হারে কমছে বরফ৷ বরফ এই হারে গলায় বিজ্ঞানীরা শঙ্কিত৷ তারা বলছেন, এর ফলে ভারত, চীন, নেপাল, ভুটানসহ এশিয়ার কয়েকটি দেশের অন্তত একশ' কোটি মানুষের জন্য পানির সংকট দেখা দিতে পারে৷
সুন্দর এভারেস্টের ভয়ংকর গল্প
বিশ্বের সর্বোচ্চ চূড়া মাউন্ট এভারেস্টে উঠা একদিকে যেমন রোমাঞ্চকর, অন্যদিকে ভয়ানকও বটে৷ ছবিঘরে থাকছে অভিযাত্রীদের সাথে এভারেস্টে ঘটে যাওয়া ভয়ংকর সব ঘটনা৷
ছবি: DW/Jasvinder Sehgal
মৃত্যুর সংখ্যা কম নয়
হিমালয়ের বিভিন্ন চূড়ায় আরোহণ নিয়ে তথ্য সংগ্রহকারী অলাভজনক সংস্থা ‘দ্য হিমালয়ান ডাটাবেজ’ বলছে, ১৯০০ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত মাউন্ট এভারেস্টে উঠতে গিয়ে ২৮০ জনের বেশি পর্বতারোহী মারা গেছেন৷
ছবি: Imago
বেশি মৃত্যু নেপাল অংশে
এভারেস্টে উঠার জন্য বেশিরভাগ পর্বতারোহী নেপাল ও তিব্বতের অংশ বেছে নেন৷ দ্য হিমালয়ান ডাটাবেজ বলছে, নেপালের অংশটি দিয়ে এভারেস্টে উঠতে গিয়ে এ পর্যন্ত মৃত্যুর সংখ্যা প্রায় এক’শ ৮০ জন৷
ছবি: Imago
কিছুটা কম তিব্বতে
একই সময়ে তিব্বতের অংশ দিয়ে এভারেস্টে উঠতে গিয়ে নিহতের সংখ্যা ছিল একশ জনের উপরে৷
ছবি: picture alliance/Joker
কেউ মারা যাননি যে বছর
এভারেস্টে উঠত গিয়ে প্রায় প্রতিবছরই নিহতের ঘটনা ঘটে৷ এদিক থেকে ভাগ্যবান বলা যেতে পারে ২০১৬ সালকে, কেননা সে বছর তিব্বত অংশে প্রাণহানির কোনো খবর পাওয়া যায়নি৷ এ হিসেবে, নেপাল অংশের জন্য শুভ সালটি ছিল ২০১০৷ আর ১৯৮১ সালে তিব্বত ও নেপাল- কোনো অংশেই নিহতের ঘটনা ঘটেনি বলে জানিয়েছে দ্য হিমালয়ান ডাটাবেজ৷
ছবি: picture alliance/dpa/N. Shrestha
প্রাণহানির কারণ
পর্বতারোহীদের অভিজ্ঞতা বলছে, প্রাণহানির কারণগুলোর মধ্যে রয়েছে হিমবাহ ও বরফ ধস, পড়ে যাওয়া, পর্বতারোহণজনিত অসুস্থতা, শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যাসহ নানা রকমের দুর্যোগ৷
ছবি: DW/Jasvinder Sehgal
5 ছবি1 | 5
কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের হিমবাহ গবেষক জোশুয়া মাউরার বলেন, ‘‘যে হারে বরফ কমছে তা সত্যিই আশঙ্কাজনক, তবে বরফ গলার হার দ্বিগুন বেড়ে যাওয়াটা আরো বেশি আশঙ্কাজনক৷'' বিজ্ঞানীরা বলছেন, হিমবাহের গলন রোধ করতে বিশ্বের উষ্ণতা কমাতে হবে৷
জার্মানির বন শহরে জলবায়ু সম্মেলন চলছে৷ এ সময়েই সায়েন্স অ্যাডভান্সেসে প্রকাশিত হলো প্রতিবেদনটি৷ এবারের সম্মেলনে বিশেষজ্ঞরা মূলত ২০১৫ সালের প্যারিস চুক্তির বাস্তবায়ন নিয়ে আলোচনা করছেন৷